বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

বুড়িগঙ্গা ও কর্ণফুলীকে বাঁচিয়ে রাখুন

দেশের দুই বৃহত্তম নগরী ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুই প্রধান নদী বুড়িগঙ্গা ও কর্ণফুলীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে। মঙ্গলবার বুড়িগঙ্গা পাড়ের কামরাঙ্গীর চরে ১২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। কামরাঙ্গীর চরের নবাবচর মৌজার হুজুরপাড়া, আশ্রাফাবাদ ও সাইনবোর্ড এলাকায় এ অভিযান চলাকালে নদীর তীর দখল ও ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের দায়ে তিনজনকে আটক করে জরিমানা করাও হয়। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরের সদরঘাট থানার কর্ণফুলী ঘাট এলাকায় পরিচালিত অভিযানে ছোট-বড় ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে চার একর ভূমি উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিন নদীতীরের এক কিলোমিটার এলাকার প্রায় ৮০টি অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করা হয়। ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেয়। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ভূমিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অর্থসংস্থানের পর অভিযান শুরু হয়। উচ্চ আদালত নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নদী সুরক্ষায় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের তাগিদ দেওয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের তোড়জোড় শুরু হয়েছে; যা অবশ্যই একটি ভালো দিক। তবে সংশ্লিষ্টদের এই সুমতি কতটা আসল আর কতটা লোক দেখানো তা নিয়েও সংশয় কম নয়। প্রতি বছরই বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার নদ-নদীগুলোকে অপদখলমুক্ত করতে অভিযান চলে। স্থাপনা ভাঙাও হয় ঘটা করে। কিন্তু অভিযান শেষে আবারও নির্মাণ হয় স্থাপনা। কর্ণফুলী নদী অপদখলমুক্ত করার ক্ষেত্রেও চলেছে একই প্রহসন। নদী সুরক্ষায় আদালতের নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযান যাতে প্রহসনে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। নদীর কূল ঘেঁষে চলাচলের সড়ক তৈরিরও উদ্যোগ নিতে হবে। নদী রক্ষায় যা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর