শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাষ্ট্রপতির উপদেশ

পুলিশকে জনবান্ধব হতে উদ্বুদ্ধ করুক

সেবাপ্রার্থীরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সেজন্য সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার জন্য পুলিশবাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে বুধবার বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, জনগণকে হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে সেবাপ্রার্থীদের প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা ও পরামর্শদানে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। পুলিশবাহিনীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশ ও জনগণের সেবা প্রদানেরও তাগিদ দিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রপতির বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং এতে জনইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছে। অগ্রসর গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় পুলিশকে বলা হয় জনগণের বন্ধু। মানুষের সবচেয়ে আস্থার স্থলে থাকে পুলিশের অবস্থান। আমাদের দেশের পুলিশ এ ভূমিকা পালন করে কিনা তা একটি প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। যুগ যুগ ধরে সব দিক থেকে পিছিয়ে থাকা আমাদের এই দেশে অগ্রসর দেশগুলোর মানদণ্ডে পুলিশের অবস্থান যে সন্তুষ্ট হওয়ার মতো নয়, এটি খুবই বোধগম্য বিষয়। শত শত বছর ধরে আমাদের এই ভূখণ্ডে পরাধীনতার অভিশাপ বিরাজ করেছে। ভিনদেশি শাসকরা এ দেশের মানুষকে তাদের শাসনের অক্টোপাসে আবদ্ধ করতে পুলিশবাহিনীকে ব্যবহার করেছে। স্বাধীনতার পর সে ধারা থেকে সরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হলেও ’৭৫-পরবর্তী সামরিক জান্তা ও তাদের বশংবদদের শাসনের কারণে সম্ভব হয়নি। আশার কথা, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুলিশবাহিনীকে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর তাগিদ অনুভব করছে। প্রধানমন্ত্রীও ইতিপূর্বে পুলিশকে জনবান্ধবভাবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। মামলার ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে পুলিশের কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন। পুলিশবাহিনীর সামর্থ্য বাড়াতে লোকবল বাড়ানোসহ অন্যান্য উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। স্বীকার করতেই হবে, পুলিশহীন কোনো রাষ্ট্র কিংবা সমাজ কল্পনা করাও কঠিন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে পুলিশবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। পুলিশবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার সাম্প্রতিক উদ্যোগ বাস্তবে পরিণত করার ব্যাপারে সরকার ও রাষ্ট্র সাধ্যের সবকিছু করবে- দেশবাসী এমনটিই দেখতে চায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর