বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভারতে বিমান হামলা

পাকিস্তানকে শোধরাতে হবে

বহুল প্রচারিত একটি ছড়া ‘সাপ পুষলে সাপের ফণায় জীবন দিতে হয়’। জঙ্গি নামের সাপ পোষার কারবারি পাকিস্তানের জন্য তেমন পরিণাম যেন অনিবার্য হয়ে উঠছে। পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ পাওয়া জঙ্গি গ্রুপ জইশ-ই মোহাম্মদ কয়েকদিন আগে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে আধাসামরিক বাহিনীর ৪০ জন সদস্যকে হত্যা করে। তার বদলা নিতে ভারতীয় বিমানবাহিনী হেসেখেলে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীরের ৮০ কিলোমিটারের ভিতরের বিভিন্ন জঙ্গি ঘাঁটিতে। এর ফলে জঙ্গি সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের বিমানবাহিনীর বোমারু বিমান পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মোহাম্মদের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। গত দুই দশক ধরে পাকিস্তানের ভাওয়ালপুরে মাসুদ আজহারের নেতৃত্বে জইশ-ই-মোহাম্মদ সন্ত্রাসবাদের চর্চা চালিয়ে আসছে। এ সংগঠন ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্ট ও ২০১৬ সালে পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়। এ সন্ত্রাসী সংগঠনকে জাতিসংঘও নিষিদ্ধ করেছে। তার পরও তারা পাকিস্তানে থেকে অবাধে কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে পাকিস্তানি শাসকদের প্রশ্রয়ে। ২০০৪ সালে পাকিস্তান লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাদের ভূখণ্ডে কোনো জঙ্গি সংগঠনকে কাজ করতে দেবে না। কিন্তু কথা দিয়েও কথা রাখেনি পাকিস্তান। এমনকি বুধবার পাকিস্তান সরকারকে জানানো হয়েছিল পাকিস্তান ও ওই দেশটির অধিকৃত কাশ্মীরে এ সংগঠন অবাধে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির চালিয়ে আসছে। পাকিস্তান সে অভিযোগ অস্বীকার করে। পাকিস্তান সরকার এসব জঙ্গিশিবির ধ্বংস করার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় গোয়েন্দা সূত্র ব্যবহার করে ভারতীয় বিমানবাহিনীর সেনারা পাকিস্তানের বালাকোটের জঙ্গিশিবির ধ্বংস করেছে। ভারতের দাবি, তাদের হামলায় বেশকিছু জঙ্গি কমান্ডারসহ প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছে। পাকিস্তান এ হামলার নিন্দা করে বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ১৯৭১ সালের পর হঠাৎ করেই দুই দেশের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে যুদ্ধাবস্থা। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে জঙ্গি হামলা এবং তার বদলা নিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ঘটনা। নিজেদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের স্বার্থে পাকিস্তান জঙ্গি পোষার অপভূমিকা থেকে সরে আসবে-  এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর