মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

আমাদের শুভ পরিণয়

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

আমাদের শুভ পরিণয়

১৯৮৪-এর ২৫ জুন সোমবার আজ থেকে ৩৫ বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়েছিল। আজ ২৫ জুন মঙ্গলবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমায় অনেকবার বলেছেন, ‘জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে আল্লাহর হাতে। আর বিয়ে হচ্ছে মানব-মানবীর দ্বিতীয় জন্ম।’ কত রাজার বিয়ের কারণে রাজ্য ধ্বংস হয়েছে, রাজা হয়েছেন ফকির। আবার উপযুক্ত মায়াবী গৃহিণীর কারণে ফকির হয়েছেন আমির। স্বাধীনতার পর এখনকার মতো সামাজিক অবস্থা ছিল না। আর বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্য মানুষ। যেখানে যেতেন সেখানেই হাজারো মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ত। এখনকার মতো খুব একটা বাধা দেওয়া হতো না। বঙ্গবন্ধুর কাছে যেতে চাই, হাত মেলাতে চাই, দেখা করতে চাই অথচ দেখা হলো না বা হবে না- এ ছিল বিরল ঘটনা। দারোগা-পুলিশ-এসএসএফ এসবের তখন কোনো বালাই ছিল না। আর লোকজন হাত বাড়ালে বঙ্গবন্ধু হাত না মিলিয়ে পারতেন না। বঙ্গবন্ধুকে সাধারণ মানুষ মারেনি, যারা পাহারা দেয় তারাই মেরেছে। বঙ্গবন্ধু দু-চারটি বিয়েতে আমাকে ওই কথা বলেছিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এত কাজ বাদ দিয়ে আপনি বিয়ের অনুষ্ঠানে? মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন ওসব। বাবর রোডের বাড়ির পাশে ফাঁকা মাঠে লতিফ ভাইয়ের বিয়ের বৌভাত। মা বঙ্গবন্ধুকে দাওয়াত করতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘লতিফের বৌভাতে যেতে পারলাম না। কাদেরের হলুদ থেকে বিয়ে-বৌভাত পর্যন্ত সব অনুষ্ঠানে থাকব।’ কী কপাল! তিনি কোনো কিছুতেই থাকতে পারেননি। দিল্লিতে যখন নির্বাসনে ছিলাম প্রিয়াঙ্কার এক স্কুল বান্ধবীর বিয়ের অনুষ্ঠানে মহান ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। দূরে এক টেবিলে বসে ছিলাম। সেখান থেকে ডেকে তার টেবিলে বসিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘টাইগার! তুমি এখানে?’ বলেছিলাম, আমার ভাস্তির বান্ধবীর বিয়ে। আমি যখন বলেছিলাম, আপনি এখানে? তিনিও বলেছিলেন, ‘বধূর পিতা আমার অফিসে কাজ করেন। বধূ প্রিয়াঙ্কার সহপাঠী। তাই এসেছি। বিয়ে মানবের দ্বিতীয় জন্ম। ওদের জীবন যাতে সুখের হয় সেজন্য আশীর্বাদ করতে এসেছি।’

আমার বিয়ে খুব মসৃণ ছিল না। নানান উথাল-পাথালের মধ্য দিয়ে নাসরীনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। নাসরীন যেমন আমার জন্য উপযুক্ত ছিলেন না, আমিও নাসরীনের জন্য উপযুক্ত নই। কিন্তু ভাগ্য আমাদের একত্র করেছে। এখনো আমার ছেলেমেয়েরা অনেক সময় মাকে বলে, ‘বাবার সঙ্গে বিয়ে না হলে তুমি যে বেখেয়ালি, তুমি কী করতে?’ শুনেছি, ওঁর মাও নাকি বলতেন, ‘তুমি যে কিছুই শিখছ না! স্বামীর ঘরে গিয়ে কী করবে?’ ওঁরা লক্ষেèৗর মানুষ। তাই ওঁর মা বলতেন, ‘সুবে যাওগি। সামকো অপোছ আওগি।’ কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ওঁর খুবই দুঃখ, বাবা-মাকে দেখাতে পারলেন না তাঁর স্বামীর ঘর থেকে সন্ধ্যায় ফিরতে হয়নি। বরং বাবা-মার ঘরের চাইতে শক্ত ঘর বেঁধেছেন স্বামীর ঘরে। নাসরীনের সঙ্গে আমার মনকষাকষি হয়েছে, মন খারাপ হয়েছে। কিন্তু এক দিনের জন্যও ঘর ছেড়ে যাননি। আর যাওয়ার কোনো কারণও নেই। ওঁকে এখন আর আমি আলাদা ভাবী না। আমার শরীরের অঙ্গই মনে করি। তবে এই ৩৫ বছরের বিবাহিত জীবনে কোনো কোনো সময় মারাত্মক কষ্ট হয়েছে। স্বাভাবিক দেনা-পাওনা নিয়ে, এটা-ওটা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব হয়, ঠোকাঠুকি হয় আমাদের সেসব হয়নি। কিন্তু আমাদের দুজনের চিন্তা-চেতনা ছিল আলাদা। নাসরীন সাদাসিধা, আত্মভোলা, একেবারে একজন নির্বিবাদী মহিলা। গাড়ি চাই, বাড়ি চাই, গহনা চাই- এই ৩৫ বছরে এক দিনের জন্যও শুনিনি। মানুষের জন্য প্রচুর মায়া। কিন্তু দৃঢ়তার অভাব। বন্ধুবান্ধবের জন্য পাগল। ধনীর চাইতে ওঁর গরিব বন্ধুই বেশি। রতনগঞ্জের অঞ্জলী আর মুকসুদপুরের রেনুকে পেলে ওঁ এখনো আমাদের ভুলে যেতে পারেন। বিয়ের ১৫-১৬ বছর পরও ওঁ স্ত্রী হননি, দুই সন্তানের জন্ম দিয়েও মা হননি। ছেলেমেয়েদের ভালোভাবে কোলে নিতে না পারায় আমার কলিজা জ্বলত। কাপড় ময়লা হবে ভাঁজ ভাঙবে এজন্য বাচ্চাদের ঘেঁষতে দিতেন না। আর এসব দেখে আমার মনে হতো এ কি উন্মাদ! কত পাগলকে দেখি নিজের বাচ্চা ছাড়ে না। আর আমার সুস্থ-সুন্দর স্ত্রী যার নিজের পেটের বাচ্চা কাপড়ের ভাঁজ ভাঙবে বলে ধরতে দেন না, কোলে নেন নাÑ এ কি ব্যাপার! ছেলেমেয়েরা ডাকাডাকি করছে, চিৎকার করছে গা করেন না, শুনতে পান না। আমি স্বস্তি পেতাম না। মা মাঝেসাজে বলতেন, ‘ওসব নিয়ে মন খারাপ করিস না। জানিস না নাসরীন যমজ। কিছুটা দুর্বলতা তো থাকবেই।’ মানিয়ে নিতাম কিন্তু কষ্ট হতো। ওভাবেই চলছিল আমাদের জীবন। রাজপুত্রের মতো ছেলে, রাজকন্যার মতো মেয়ে, স্ত্রীও রূপে-গুণে খুব ফেলনা নন। এর মধ্যে ২০০০ সালে বাবা চলে গেলেন, তারপর গেলেন মা। চারদিকে অন্ধকার। তত দিনে স্ত্রী অনেকটাই চলার মতো হয়েছেন। তবু গভীরতা নেই। আমরা দুজন কখনো একপ্রাণ একমন ছিলাম না। বিশুষ্ক বুকে শুধু আগুন জ্বলত। বাইরে থেকে দেখা না গেলেও ভিতরে পুড়ে খাক হয়ে যেত। এমনি সময় আমার ঘরে এলো আল্লাহর এক মহান নিয়ামত কুশিমণি। আল্লাহ বোধহয় মানুষকে এভাবেই দয়া করেন। যে মহিলা বিয়ের ২০ বছরে মা হননি, স্ত্রী হননি। কুশিমণি ঘরে এলে তিন-চার মাসেই তিনি এক প্রকৃত নারী হয়ে গেলেন! এক নারীর জীবনে যা যা থাকে দয়া-মায়া-ভালোবাসা, অন্যের জন্য ব্যাকুলতাÑ সব যেন কোথা থেকে উড়ে এসে তাঁর দেহমনে বাসা বেঁধে ফেলল। উঠতে-বসতে দীপ-কুঁড়ি-কুশি। কুশিকে ছাড়া তাঁর নাওয়া নেই, খাওয়া নেই, ঘুম নেই। পেটের ছেলেমেয়েরা ১০ বার ডাকলে শোনেন না, কুশি একবার উহ্ করলে যেখানেই থাকুন তাঁর বুকে বাজে, বুঝতে পারেন। কুশির আজ ১৪ বছর। এই ১৪ বছর আমার বাড়িতে ১৪টা কটু কথা হয়নি। আগে মাকে ভয় করে জোরে কথা বলতাম না। এখন কুশির ভয়ে আওয়াজ করে উত্তেজিতভাবে কোনো কথা বলা যায় না। সে বিরক্ত হয়। বছর তিন আগে একদিন দুপুরে খাওয়ার সময় কুশির মাকে কী যেন বলেছিলাম একটু বেশি জোরে। কুশিমণি উঠে গেল, খাওয়া বন্ধ। আমি বুঝতে পারিনি। বিকালে যথারীতি কোলে নেওয়ার জন্য মা মা বলে চিৎকার করছি, কুশির খবর নেই। যে একবার মা ডাকেই এসে কোলে এলিয়ে পড়ে সে আসছে না। পাশে বসা ওর মাকে জিজ্ঞাসা করলাম, মার কী হয়েছে, সে আসছে না কেন? ‘কেন তুমি জানো না, খাওয়ার সময় তুমি আমাকে কী বলেছ? কুশি রাগ করেছে।’ বললাম, ‘আমি আবার কী বললাম!’ ‘তা তুমিই বোঝো। জোরে বলেছো তাই ও মনে করেছে আমাকে গালি দিয়েছো। এখন সামলাও।’ ওর ঘরে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরে কোলে নিয়ে বসার ঘরে এলাম। অনেকক্ষণ কোলে নিয়ে বলার চেষ্টা করলাম, ‘আমি তোমার মাকে কিছু বলিনি। আওয়াজটা একটু বেশি হয়েছে।’ তাকে কোনোমতেই মানাতে পারলাম না যে আমি গালি দিইনি। অনেক বলেকয়ে মাফ চাওয়ার পর কপালে চুমু দিয়ে বলল, ‘ঠিক আছে, আম্মুকে যেন কিছু বলা না হয়। আমার আম্মুকে ধমকাতে পারবে না।’ আসলে এখন আর তাঁকে বকাঝকা করা, ধমক দেওয়ার কোনো দরকারও পড়ে না। কাকে ধমক দেব! তাঁকে ধমক দিলে তো আমাকেও দিতে হয়।

৩৬ বছর ছিলাম মায়ের কোলে, মায়ের আঁচলে। আজ ৩৫ বছর স্ত্রীর ছায়ায়-মায়ায় কোনোভাবে চলে যাচ্ছে। রাজনীতির উথাল-পাথাল ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শত্রুতায় জর্জরিত। তবু আল্লাহর দয়ায় বড় ভালো আছি। এই তো গতকাল ২৪ জুন আমি ছিলাম টাঙ্গাইলে। বাবর রোডের বাড়ির ছাদে শসা আর কুমড়া ধরেছে, কয়েকটা ড্রাগন ফলও হয়েছে। সেগুলো সঙ্গে দিয়ে দিয়েছিলেন। কী যে ভালো লেগেছে এসব লিখে বোঝানো যায় না। আমি ছোটবেলায় দেখতাম, বাবা যখন শেরপুর-নালিতাবাড়ীতে চাকরি করতেন তখন মাও বাবার জন্য আম রেখে দিতেন। আম যখন পেকে যেত তার গায়ে সরিষার তেল মাখিয়ে রাখতেন। তাতে নাকি কয়েক দিন বেশি থাকত। ঠিক তেমনি আমার স্ত্রী যখন আজকাল এটাওটা পাঠান বড় ভালো লাগে। আমার পাঁচজনের ছোট্ট সংসার। এক ছেলে, দুই মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে ভালোই আছি। পরিবার অনেক বড় হলেও সংসার খুবই ছোট। যেখান থেকেই হোক দুপুরে বাড়ি ফিরে মা মা চিৎকার করতে করতে দোতলায় উঠলেই চারজনকে দেখি। তখন নিজেকে সম্রাট বাবর-হুমায়ুন-আকবরের চাইতে ছোট মনে হয় না। সেই বিবাহবার্ষিকী আজ। যদিও আমরা বিবাহবার্ষিকী পালন করি না। কিন্তু দিনটা মনে রাখি, সম্মান করি। তাই গতকাল পাথরাইল রঘুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার স্ত্রীর দেড় শ টাকার স্যান্ডেল আর চার শ টাকার শাড়ির মারাত্মক বাতিক। তাই বিয়েবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর জন্য একটা শাড়ি কিনতে গিয়েছিলাম। একটা কিনতে গিয়ে অন্যদের জন্য সাত শ-আট শ টাকার ১০-১২টি, তাঁর জন্য এক হাজার থেকে পাঁচ-ছয় হাজার টাকার চারটি শাড়ি কিনেছি। কারণ এ ছাড়া অন্য কিছুতে তাঁর চাহিদা নেই। নতুন গাড়ি, নতুন বাড়ি, ভাইবোনের চাকরি, এটাওটা বলে কোনো দিন বিব্রত করেননি। বোনকে ভাইকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে গেলেও যেভাবে বলেন আমি বিব্রতই হই। সঙ্গে যারা থাকেন, কাজ করেন তাদেরও একেওকে এ রকম দু-এক শ আমাকে জিজ্ঞাসা না করেও দেন বা দিতে পারেন।

বিয়ের পরপরই কলকাতা দমদম বিমানবন্দরে বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা। বউকে দেখে ‘কী করি কী করি। নতুন বউকে কী দিই। আমি তো তেমন তৈরি না।’ এসব বলে হঠাৎ তার দুই হাত থেকে দুটি বালা খুলে আমার বউকে পরিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে বলেন, ‘এ দুটি আমার মায়ের দেওয়া, তোমাকে দিলাম।’ আমার খুবই ভালো লেগেছিল। বঙ্গমাতার হাতের বালা আমার স্ত্রীর হাতেÑ এর চাইতে বড় উপহার আর কী হতে পারে। কত জ্বালা-যন্ত্রণা, কত নির্যাতনÑ তার পরও বঙ্গমাতার বালা আমার স্ত্রীর হাতে! সেও এক অনাবিল প্রশান্তি। দেশবাসীর কাছে প্রার্থনা, আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য দোয়া করুন আমরা যাতে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থাকতে পারি।

বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী জেলখানায় যাওয়া শুরু করেছিলেন ১৯৬২-’৬৩ সালে। সেদিন ২০ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার বগুড়ার কোর্টে গিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে এক মামলায় হাজির হতে। আজকাল কোর্ট-কাচারিও এক আজব জিনিস! অনেকেই খুব একটা লেখাপড়া করে না। সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর হাজিরা নেওয়ার কোনো সুযোগ কোর্টের ছিল কিনা সন্দেহ। কারণ মামলাটি আমলযোগ্য নয়। উপরন্তু ওই মামলা নিয়ে হাই কোর্টে স্থগিতাদেশ আছে। তবু কীভাবে লতিফ সিদ্দিকীর হাজিরা নিয়ে তাকে সরাসরি জেলে পাঠিয়ে দিলেন। যে বগুড়া জেলে কোনো ডিভিশন ওয়ার্ড নেই। গত ১৪ বছরে বগুড়া জেলে কোনো ডিভিশন আসামি থাকেনি। তারা ডিভিশনের নিয়ম-কানুনও জানে না। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে স্বজনের মতো ব্যবহার করছেন। তবু আইন-কানুন-নিয়মের কিছু জিনিস তো আছে। শুক্রবার গিয়েছিলাম বড় ভাইকে দেখতে। যাঁর ’৬২-’৬৩ সালে ২০-২৫ বছর বয়সে জেলে যাওয়া শুরু, তাঁর এখন ৮০ বছরের ওপরে বয়স, জেলে যাওয়া শেষ হলো না! আবার দু-এক দিনের মধ্যেই বগুড়া যাব। জেল কর্তৃপক্ষ ও জেল প্রশাসন দারুণ সম্মান দেখিয়েছেন। আধঘণ্টার জন্য সার্কিট হাউসে বসেছিলাম। বিনা পয়সায় চা খাইয়েছেন। সার্কিট হাউসে অজু করে কোর্ট মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে টাঙ্গাইল ফিরেছিলাম। নামাজ শুরুর আগে আগে ডান পাশ থেকে হাত বাড়িয়ে বললেন, ‘আমি জেলা প্রশাসক’। তাঁর সঙ্গে ঘণ্টাখানেক আগে টেলিফোনে কথা হয়েছিল। তিনি সার্কিট হাউসে এনডিসিকে পাঠিয়েছিলেন। বড় ভালো লেগেছিল। নামাজ শেষে একজন পরিচয় দিলেন রুহুল হক বা রুহুল আমিন, ছোট ভাই আজাদের বন্ধু। বাঁ পাশে ছিলেন হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক। গতকাল ছিল বগুড়া সদরের উপনির্বাচন। কোনো উত্তাপ দেখলাম না। লেখাটা ফলাফলের আগেই পাঠালাম বলে ফলাফলের কথা বলতে পারলাম না। তবু বিএনপির সম্ভাবনা নেই। গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ একসময় সত্যিই ত্যাগী কর্মী, শেরপুর-ধুনটের এমপি। এখন টাকা-পয়সা হয়েছে। তাই তেমন জিয়ট নেই। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী টি. জামান নিকেতা। সে যে আমার অনেক পরিচিত মনে ছিল না। নির্বাসনে থাকতে কত যে চিঠি পাঠিয়েছে তার হিসাব নেই। আর কিছু হোক বা না হোক, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দলের জন্য নিবেদিত। হাইব্রিড কেউ নয়। দেখা যাক কী হয়। নির্বাচনের তো মৃত্যু ঘটেছে, ভোটারের আস্থা হারিয়েছে। মসজিদের মাইকে আজান দিয়েও ভোটার পাওয়া যায় না। বগুড়ায়ও তাই হবে। তবে মনে হয় টি. জামান নিকেতার জয় হবে।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর