শনিবার, ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

পবিত্র ঈদুল ফিতর

করোনাকালে ঈদ উৎসব ভাগাভাগি করে নিতে হবে

করোনাকালে এ বছর ভিন্ন অবয়বে উদ্যাপন হচ্ছে মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে এটি জাতীয় উৎসবেরও দাবিদার। এ উৎসবে শরিক হয় সব সম্প্রদায়ের মানুষ। এবার তাতে ব্যত্যয় ঘটছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে ঈদুল ফিতর হলো সিয়াম সাধকদের জন্য মহান আল্লাহর পুরস্কার। যারা মাহে রমজানে আত্মশুদ্ধির শিক্ষায় নিজেদের আলোকিত করেন ঈদুল ফিতরের আনন্দ বিশেষভাবে আসে তাদের জন্যই। শাব্দিক দিক থেকে ঈদের অর্থ বারবার ফিরে আসে এমন আনন্দ। আর ফিতর শব্দটির উৎপত্তি আরবি ফুতুর থেকে। যার অর্থ সকালবেলার নাশতা বা মূল্যবান পুরস্কার। মাহে রমজানে আল্লাহর যেসব বান্দা সিয়াম সাধনা করেছেন শাওয়াল মাসের সূচনায় রোজা ভঙ্গ এবং ঈদের জামাতে হাজির হওয়াই হলো ইসলামী পরিভাষায় ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের সকালে বিশ্বাসী মানুষ ছুটে যায় ঈদগাহে। মুমিনদের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি করে ঈদগাহের এই মিলনমেলা। মানুষ উৎসবী পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন মনমানসিকতা দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পবিত্র-জীবন যাপন করবে, আল্লাহ তেমনটিই চান। এ উৎসবে সমাজের ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সব বিশ্বাসী মানুষ যাতে অংশ নিতে পারে, সেজন্য রয়েছে আল্লাহর সুস্পষ্ট বিধান। এজন্যই সাদাকাতুল ফিতর আদায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাহে রমজানের মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা মানুষকে যেমন ত্যাগের শিক্ষা দেয়, তেমন ঈদ উৎসবকে ধনী-নির্ধন-নির্বিশেষে আত্মীয়স্বজন প্রতিবেশীদের মধ্যে ভাগাভাগির তাগিদ দেয়। এবারের ঈদেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা সবাই সমাজের গরিব-দুঃখী মানুষের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে সে তাগিদের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করব। এ বছর ঈদুল ফিতর এমন এক সময় এসেছে যখন দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারী মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। মহামারী থেকে রক্ষা পেতে আমাদের দেশেও লকডাউন পালন করা হচ্ছে। ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ঈদের জামাতে নামাজ আদায়ের সময় মাস্ক ব্যবহারসহ একজনের সঙ্গে আরেকজনের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে মেলামেশার ক্ষেত্রেও সংযত থাকতে হবে। করোনাকালে দেশের লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তারা যাতে ঈদের দিন ক্ষুধার কষ্ট থেকে রেহাই পায়, সেদিকে সবারই নজর দেওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর