বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নকল-ভেজাল প্রসাধনী

অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন

নকল-ভেজালের রাজত্বে জেঁকে বসেছে নামিদামি ব্র্যান্ডের বিদেশি প্রসাধনীও। খাঁটি পণ্য পেতে ভোক্তারা নামিদামি চেইন শপ কিংবা দোকানে গিয়েও ঠকছে অবলীলায়। হুবহু লোগো কিংবা প্যাকেজিংয়ের জন্য অনেক সময় ভোক্তা এমনকি দোকানিও বুঝতে পারেন না কসমেটিকটি আসল নাকি নকল। তবে সবচেয়ে উদ্বেগের খবর হলো, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দেশের কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকেই কিছুদিন পরপর আবিষ্কার করছে নকল-ভেজাল প্রসাধনীর কারখানা। গ্রেফতার করছে কারখানার মালিককেও। কিছুদিন পর কারাগার থেকে বের হয়ে এসে ওই একই ব্যক্তি পুনরায় চালু করছে নকল-ভেজাল কারখানা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এমন কর্মকা-ের পর ভেজালকে সঙ্গী করেই যেন অসহায় ভোক্তাদের সময় কাটছে। ভেজালই যেন হয়ে উঠছে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় নকল-ভেজাল পণ্যের বড় সিন্ডিকেট কাজ করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। এতে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এসব পণ্য পরীক্ষা করে দেখা গেছে, নকল পণ্যে যেসব কেমিক্যাল ব্যবহার হয় তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী ব্যবহার করে ত্বকের সর্বনাশ ডেকে এনেছেন এমন রোগী প্রায়ই পাচ্ছেন। গাঁটের টাকা খরচ করে নকল বিদেশি প্রসাধনী কিনে যারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন। বলা হয়, রাজধানীতে বিদেশি প্রসাধনীর নামে যেসব পণ্য বিক্রি হয় তার ৯০ শতাংশই নকল। সম্প্রতি রাজধানীর মৌলভীবাজারের তাজমহল টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাকওয়া এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ ধরনের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার প্রসাধনী আটক করা হয়েছে। নকল-ভেজাল বন্ধে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরও কড়া আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর