শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতি এত আক্রোশ কেন?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতি এত আক্রোশ কেন?

নতুন বছর ভালো থাকব, ভালো শুনব, ভালো দেখব- মনে হয় আর হচ্ছে না। আজ কদিন খবরের শিরোনাম ওবায়দুল কাদের। শেষ পর্যন্ত ওবায়দুল কাদেরও রাজাকার হলেন অথবা রাজাকার বলে আখ্যা পেলেন। বেশ কয়েক বছর আগে আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল চেলা কালিহাতির সয়া-পালিমায় পাল্টাপাল্টি জনসভা করতে গিয়ে ‘কাদের সিদ্দিকী রাজাকার, এ মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ স্লোগান তুলেছিল। যারা স্লোগান দিয়েছিল তারা সবাই বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর লোক। সেখানে যেমন মাজহারুল ইসলাম ছিল, ছিল বর্তমান কালিহাতি আসনের এমপি সোহেল হাজারী। তোফায়েল আহমেদ, আমু ভাই, বাহাউদ্দিন নাছিম, মোহাম্মদ নাসিমসহ আরও অনেককে ব্যাপারটা বলেছিলাম। তারা অসহায়ের মতো আচরণ করেছিলেন। সে সময় বলেছিলাম, আমি যদি রাজাকার হই তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তো আমার কমান্ডার। জীবনে যা কিছু করেছি প্রায় সবই তাঁর নির্দেশ-আদেশে করেছি। এমনকি মুক্তিযুদ্ধও তাঁর নির্দেশে করা। যুদ্ধজীবনে বা যুদ্ধের সময় কষ্ট না হয় আমিই করেছি, কিন্তু কষ্ট করার নির্দেশ তো তিনিই দিয়েছিলেন। সে সময় এও বলেছিলাম, যে যাই বলুন গোলাম আযম আমার নেতা না, কমান্ডারও না। আমার নেতা-পিতা-কমান্ডার সবই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার পরও অনেকের গা-জ্বালা করেছিল। আওয়ামী লীগ যুক্তি মানে না, ‘বিচার মানি তালগাছ আমার’- নীতিতে তারা বিশ্বাসী। চিত হয়ে থুতু ছুড়লে যে বুকে পড়ে- মানতে না চাইলেও এটাই ধ্রুব সত্য। কিন্তু যেহেতু আমাকে গালাগালি তাই আওয়ামী লীগ মনে করত ভালোই হয়েছে। অথচ দেশবাসী অন্তত কিছুটা মনে করে যে আমাকে গালি দিলে বঙ্গবন্ধুও কিছুটা পান। কারণ বঙ্গবন্ধু এবং দেশের জন্য আমি আমার জীবন-যৌবন ঝরিয়েছি। আজ কদিন একরামুল করিম চৌধুরীর কথাবার্তায় ভীষণ মর্মাহত হয়েছি। প্রিয় ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সব দলেই দলাদলি থাকে। আওয়ামী লীগ তো উপদলের কারখানা। তাই দলেও ওবায়দুল কাদেরের বিরোধিতা থাকবে, বিরুদ্ধে লোক থাকবে। তাই বলে ওবায়দুল কাদের একেবারে ফেলনা- এটা বলা যায় না। এ দেশে সত্যিই অনেক ফেলনাকে রাস্তা থেকে তুলে এনে অনেক নেতা পথ দেখিয়েছেন। কিন্তু ওবায়দুল কাদের সে রকম রাস্তা থেকে তুলে আনা মানুষ নন। তিনি গ্রামের মানুষ হতে পারেন, মফস্বলের সাধারণ ঘরের হতে পারেন, রাজ-রাজড়া পরিবারের আমরা তেমন কেউ না। আমরা প্রায় সবাই প্রাসাদ ভেঙে জনতার রাজত্ব কায়েমের দলের। আইয়ুব-মোনায়েমকে তাড়াতে না পারলে আজকের বাংলাদেশ হতো না। আর বাংলাদেশ না হলে তো একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং এমপি হতেন না। এমপি হয়েছেন, হয়তো পয়সাও হয়েছে, সেই গরমে ধরাকে সরা-জ্ঞান করছেন, তাল সামলাতে পারছেন না। একরামুল করিমের কথাবার্তায় আমার এক গল্প মনে পড়ে গেল। এক মহারাজার খুবই শিকারের শখ ছিল। প্রতি বছর আশপাশের রাজা-জমিদারদের নিয়ে শিকারে বেরোতেন। একবার শিকারের নির্দিষ্ট দিনে আশপাশের সবাই এসেছে। যেদিন যাত্রা হবে সেদিন সকালে আর রাজার শিকারি হাতি ওঠে না। মাহুত শত চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে রাজাকে খবর দেয়। রাজা শিকারের পরিকল্পনা বাতিল করে হাতি নিয়ে ব্যস্ত হন। অনেক দিনের পুরনো হাতি, তার জন্য রাজার দরদ অপরিসীম। দেশের নানা প্রান্ত থেকে বড় বড় পশু চিকিৎসক-বদ্যি আনা হলো। নানাজন নানাভাবে চেষ্টা করল। কিন্তু হাতিকে কেউ ওঠাতে পারল না। এতে ছয়-সাত দিন চলে গেলে আশপাশের সব রাজা-জমিদারকে মহারাজা বিদায় করে দিলেন। রাজবাড়ির পাশেই ছিল এক হতদরিদ্র ব্রাহ্মণের বাস। তাদের একদিন খাবার জুটলে আরেক দিন জোটে না। রাজার প্রিয় শিকারি হাতি ওঠে না, রাজ্যে চলেছে হাহাকার। একসময় মহারাজা ঘোষণা করলেন, যে হাতিকে সুস্থ করতে পারবে, দাঁড় করাতে পারবে তাকে সাত গ্রাম পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কারের লোভেও অনেকে এলো, কিন্তু কোনো কাজের কাজ হলো না। তখন রাজবাড়ির পাশের ব্রাহ্মণী ব্রাহ্মণকে বলল, ‘যাও না, তুমি গিয়ে কিছু করতে পার কিনা দেখ। তোমার যে শরীর-স্বাস্থ্য, বুক-পিঠ দেখা যায়। তোমাকে দেখেও তো হাতি উঠে দাঁড়িয়ে যেতে পারে।’ খোঁচা খেয়ে ব্রাহ্মণ রাজার কাছে গেল, ‘রাজামশাই, আমি আপনার হাতিকে দাঁড় করাতে পারি।’ অনুমতি পেয়ে ব্রাহ্মণ গেল হাতিশালায়। এক দিন যায়, দুই দিন যায় সমস্যার কোনো কিনারা পায় না। হাতির মাথার কাছে গালে হাত দিয়ে দরিদ্র ব্রাহ্মণ বসে আছে। সে হাতির চোখের দিকে তাকিয়ে দেখে চোখ একেবারে বুজে আছে আর অঝরে পানি ঝরছে। এমনিই দেহ আন্দাজে হাতির চোখ ছোট। ব্রাহ্মণ তাকিয়ে আছে হাতির মাথার দিকে। কিছুক্ষণ পর পানি পড়া কিছুটা বন্ধ হয়ে যায় এবং আস্তে আস্তে হাতি তার ছোট চোখ খুলতে থাকে। একটু সুস্থও মনে হয়। এ সময় পাশের এক গর্ত থেকে এক ব্যাঙ হাতির মাথায় লাফিয়ে পড়ে। আর সঙ্গে সঙ্গে হাতির চোখ দিয়ে আবার দরদর করে পানি ঝরা শুরু করে। কিছুক্ষণ হাতির মাথায় বসে থেকে ব্যাঙ আবার লাফিয়ে তার গর্তে পড়ে। যায় কয়েক মিনিট। আস্তে আস্তে হাতির চোখের পানি ঝরা কমে আসে। আবার ব্যাঙ গিয়ে হাতির মাথায় লাফিয়ে পড়ে। বারবার এমন করছে। একবার হাতির মাথায় ব্যাঙের লাফিয়ে পড়া এবং গর্তে গিয়ে পড়া দেখে ব্রাহ্মণ গর্তের দিকে তাকিয়ে দেখেন কী যেন চকচক করছে। পরের বার ব্যাঙ হাতির মাথায় লাফিয়ে পড়তেই ব্রাহ্মণ সেই চকচকে জিনিসটা ব্যাঙের গর্ত থেকে চট করে তুলে এনে দেখেন সেটা আর কিছু না, একটা আধুলি। ব্রাহ্মণের হাতে আধুলি। একসময় ব্যাঙ হাতির মাথা থেকে লাফিয়ে গর্তে পড়ে। আধুলি ছাড়া গর্তে লাফিয়ে পড়ে আর সে নাড়াচাড়া করে না। পাঁচ মিনিট, দশ মিনিট, এক ঘণ্টা যায় ব্যাঙ চুপচাপ বসে আছে। ওদিকে রাজার হাতি একসময় দাঁড়িয়ে পড়ে। সারা বাড়িতে আনন্দের বান ডেকে যায়, রাজার হাতি দাঁড়িয়েছে, রাজার হাতি দাঁড়িয়েছে। এত কান্ডের পর রাজা কঙ্কালসার ব্রাহ্মণকে দরবারে ডেকে পাঠান। চারদিকে ধন্য ধন্য রব। রাজা ব্রাহ্মণকে জিজ্ঞেস করেন, ‘যে কাজ কেউ পারল না তা তুমি পারলে কী করে, আমাকে বলতে হবে।’ ব্রাহ্মণ বললেন, মহারাজা! আপনি আমাদের বাপ-মা। এসব আমি আপনাকে বলতে পারব না। মহারাজা শুনবেন হাতি দাঁড় করার কৌশল, ব্রাহ্মণ বলবেন না। অনেক ঠেলাঠেলির পর মহারাজা বললেন, ‘হাতি দাঁড় করানোর জন্য তোমাকে সাত গ্রাম উপঢৌকন দিতে চেয়েছি তা তো দেবই, কী করে হাতি দাঁড় করিয়েছ তা বললে সাত-এর স্থলে ১৪ গ্রাম দেব। কিন্তু না বললে তোমাকে শূলে চড়াব।’ তখন ব্রাহ্মণ মহারাজাকে বললেন, মহারাজা যদি জানতেই হয় তাহলে আমার সঙ্গে আপনার একা হাতিশালায় যেতে হবে। মহারাজা তাতেও রাজি। গেলেন হাতিশালায়। যেখানে হাতি শুয়ে ছিল মাহুতকে সেখানে শোয়াতে বললেন। হাতি শুয়ে পড়লে কঙ্কালসার ব্রাহ্মণ গর্তে চুপচাপ বসে থাকা ব্যাঙকে এক হাতে তুলে আধুলি আগে যেখানে ছিল সেখানে সেভাবে রেখে দিয়ে ব্যাঙকে তার ওপর আগের মতো বসিয়ে দেয়। এক-দুই মিনিট পর ব্যাঙ হাতির মাথায় আবার লাফিয়ে পড়ে। হাতির দুই চোখ দিয়ে আবার ঝরঝর করে পানি ঝরতে থাকে। দু-চার বার এমন করার পর ব্রাহ্মণ সেই আধুলিটা সরিয়ে নিলে হাতির মাথা থেকে লাফিয়ে গর্তে পড়ে ব্যাঙ চুপচাপ বসে থাকে। কয়েক মিনিট পর হাতি আবার উঠে দাঁড়ায়। তখন ব্রাহ্মণ মহারাজাকে বলেন, ‘হুজুর! হাতি যখন শুয়েছিল আধুলির গরমে ব্যাঙ হাতির মাথায় লাফিয়ে পড়ছিল। আর হাতির মাথায় ব্যাঙ লাফিয়ে পড়ায় হাতি বেদনায়-দুঃখে-অভিমানে আর উঠে দাঁড়ায়নি। শুধু কেঁদেছে। মহারাজ এ আর কিছু না, পাছার তলে আধুলির গরম।’ পাছা থেকে আধুলি সরিয়ে নিলে আর গরম থাকে না, ব্যাঙ হাতির মাথায় লাফিয়ে পড়ে না। ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার বলায় আমার কি এটা বলা অন্যায় হবে যে, সবই ক্ষমতার গরম, মানে আধুলির গরম। ওবায়দুল কাদের রাজাকার পরিবারের, রাজাকার বংশের বা তিনি রাজাকার এসব বলার মানে কী? কাদেরিয়া বাহিনীর বেসামরিক প্রশাসক ছিলেন আনোয়ারুল আলম শহীদ। তার বাবা আবদুল করিম ইছাপুরী ঘোর মুসলিম লীগার টাঙ্গাইল জেলা শান্তি কমিটির অন্যতম সদস্য। কই, তাকে নিয়ে তো কথা ওঠেনি? অনেক আশা করে তাকে রক্ষীবাহিনীর অন্যতম পরিচালক বানানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা ক্ষমতায় বসেছিল, প্রথম তিনি তাদের প্রতি আনুগত্য জানিয়েছিলেন। তার পরও তার বীরত্ব নিয়ে কথা হয় না। হুমায়ূন আহমেদের নানা বারহাট্টা উপজেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এ রকম হাজার জনের নাম বলতে পারি। কই তাদের নিয়ে তো কোনো কথা হয় না? একরামুল করিম এও বলেছেন, অজপাড়াগাঁয়ের একজন ছোট্ট মানুষ এত বড় নেতা হয়েছে। সত্যিই ওবায়দুল কাদের কারও হাতে-পায়ে ধরে নেতা হননি। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর আমি যদি সশস্ত্র প্রতিবাদ না করতাম তাহলে যেমন জিয়াউর রহমানের লোকেরা আওয়ামী লীগকে কবর দিত, ঠিক তেমনি দেশের ভিতরে ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে ওবায়দুল কাদেরই ছাত্র-যুব সমাজকে হিমাদ্রির মতো অবিচল রেখেছিলেন। আজ আধুলির গরমে যে যত নাচানাচিই করুন, সে সময় ওবায়দুল কাদেরের এক দুর্বার ভূমিকা রয়েছে। ষাটের দশকে গণঅভ্যুত্থানের মহান নেতা তোফায়েল আহমেদের ভূমিকা যেমন, আশির দশকে ছাত্রনেতা ওবায়দুল কাদেরের ভূমিকাও তেমন। তিনি কোনো খেলনা নন। ওবায়দুল কাদেরকে অবলম্বন করেই ধীরে ধীরে ছাত্রলীগ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। সবই ওবায়দুল কাদেরকে ঘিরে। দলীয় কোন্দলে বা দলের আশকারায় একজন আরেকজনের চরিত্রহনন করলে তাতে শুধু ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, দলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাকে গালাগাল করে ছোট করে যারা মনে করে তারা লাভবান হচ্ছে তারা একটুও বুঝতে চায় না কাদের সিদ্দিকীকে গালি দেওয়া, ছোট করা বঙ্গবন্ধুর গায়েও লাগে, সিদ্দিকী পরিবারকে ধ্বংসের চেষ্টা বঙ্গবন্ধুরও ক্ষতি। সত্যিই আমি মর্মাহত ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে এমন বিষোদ্গার করায়। ২০০৪ সালে সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলায় ওবায়দুল কাদের ও বাহাউদ্দিন নাছিম আহত হয়ে যখন দিল্লির অ্যাপোলো হসপিটালসে কাতরাচ্ছিলেন তখন আমার হাত ধরে তারা দুজনই বলেছিলেন, ‘কাদের ভাই! আমরা কি মরে যাব?’ তার সেদিনের সেই আকুতি আমাকে স্পর্শ করে। বাহাউদ্দিন নাছিমের উৎকণ্ঠা আমাকে নাড়া দেয়।

এটা কোনোমতেই ভালো কিছু না। মতের অমিল হলেই একজন আরেকজনকে রাজাকার, রাজাকারের পরিবার বলে টুঁটি চেপে ধরতে হবে যেমনটা একরামুল করিম চৌধুরী ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে বলেছেন। কাজটা ভালো করেননি। যদিও আওয়ামী লীগে ন্যায়-অন্যায়ের বিচার নেই। আওয়ামী লীগ কখনো দলের নেতাদের সম্মান রক্ষার খুব একটা চেষ্টা করে না। হুজুর মওলানা ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু থাকতে তবু কিছুটা করা হতো। কিন্তু এখন তার কানাকড়িও নেই। এ কাদা ছোড়াছুড়ি কবে শেষ হবে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া চরিত্রহনন করা কবে বন্ধ হবে তা আমরা কেউ জানি না। কিন্তু দেশের মঙ্গল দেশের কল্যাণে এটা বন্ধ হওয়া উচিত। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একজন ব্যক্তি নন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা একসময়ের ছাত্র নেতৃত্বকে ছোট করা খেলো করা। তাকে ছোট করে তার দলকে কেউ বড় করতে পারবে না, হবেও না। নিশ্চয়ই ওবায়দুল কাদেরের অপমানে হাততালি দেওয়ার লোকজনও পাওয়া যাবে। কিন্তু তাতে দলের-সরকারের-সমাজের কোনো লাভ হবে না।

২৪ জানুয়ারি ছিল শহীদ মতিউর রহমান দিবস। পুরান ঢাকার নবকুমার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছিল। অন্যদিকে ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে হানাদারদের পরাজিত করে ’৭২-এর ২৪ জানুয়ারি সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে রাজধানীর বাইরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম টাঙ্গাইল গিয়েছিলেন। বিন্দুবাসিনী স্কুলমাঠে তাঁর পায়ের কাছে কাদেরিয়া বাহিনী কয়েক হাজার অস্ত্র বিছিয়ে দিয়েছিল। কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা বয়ে আনতে ৩১৫টি ট্রাকের প্রয়োজন হয়েছিল। সে ঐতিহাসিক অস্ত্র প্রদান দিবস স্মরণীয় করতে টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এক সর্বদলীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। যেখানে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, প্রবীণ নেতা ফজলুর রহমান খান ফারুক সভাপতিত্ব করেছেন এবং কাদেরিয়া বাহিনীর সর্বস্তরের যোদ্ধা ও জনগণ অংশগ্রহণ করেছেন। হাজারো লোকের মিছিল হয়েছে, দিনব্যাপী লাঠিখেলা হয়েছে। কিন্তু পত্রপত্রিকায় তেমন খবর আসেনি, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়ও নয়। অথচ ’৭২ সাল থেকে বসবাস করা সাবেক মন্ত্রী বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর বাড়ি প্রশাসন দখল করে নিয়েছে তার খবর ছিল দিনব্যাপী। বুঝতে পারলাম না প্রশাসন কী করছে, কী করতে চাচ্ছে। আমাদের নাতির বয়সের এক মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট আগ বাড়িয়ে বললেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী সরকারি জায়গা দখল করেছিলেন। হাই কোর্টের নির্দেশে তা দখলমুক্ত করলাম।’ কথাটা মোটেও সত্য নয়। হাই কোর্টে মামলার কোনো নিষ্পত্তি হয়নি, সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। যদি সরকারের জায়গা হয় সরকার নেবে। কিন্তু তার জন্য কারও চরিত্রহননের প্রয়োজন কি? বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ’৭২ সাল থেকে সেখানে ছিলেন। কারণ আমাদের পৈতৃক বাড়ি পাকিস্তানি হানাদাররা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল। লতিফ সিদ্দিকীর বিয়ের পর ভাবিকে নিয়ে ওই বাড়িতে প্রথম ওঠা হয়েছিল। কত নেতা, কত মন্ত্রী- তার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, কামারুজ্জামান, মান্নান ভাই, কতজন সেখানে গেছেন, খেয়েছেন।

’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু নিহত হলে আমরা যখন সব ছেড়ে চলে যাই তখন আমার ঢাকার বাবর রোডের বাড়ি আর টাঙ্গাইলে আকুরটাকুর পাড়ার লতিফ ভাই বাসা ছেড়ে গিয়েছিলেন। ২৪ জানুয়ারি, ২০২১, লতিফ ভাইয়ের আকুরটাকুর পাড়ার ভাঙা বাড়িঘর ভাঙচুর করে প্রশাসন দখল নিয়েছে। এখন আমাকে বাবর রোড থেকে নামিয়ে দিয়ে দখল নেওয়া হবে। কারণ অবৈধ দখলদার হিসেবে আমার নাম মহান সংসদেও তোলা হয়েছে। এ সবই ইতিহাস। যে লতিফ সিদ্দিকী না হলে আমরা রাজনীতিতে আসতাম না, মুক্তিযোদ্ধা হতাম না, বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেতাম না, সেই লতিফ সিদ্দিকীকে অবৈধ দখলদার বলে দাঁত কেলিয়ে হাসার লোকের অভাব নেই। কত শত লাখো সরকারি জমি ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত নিয়ে কতজন ভোগদখল করছে আর পুরো ৫০ বছর একজন সুনাগরিকের দখলে থাকার পরও জায়গাটিতে তিনি দখলদার! আমরা বাংলাদেশ না বানালে আজ যারা বড় বড় নেতা-কর্মকর্তা, তাদের নামগন্ধ থাকত না। এখনো পাকিস্তান থাকলে এরা অনেকে দারোয়ান-পিয়নের ওপরে উঠতে পারত না।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৮৮
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৮৮

এই মাত্র | ডেঙ্গু আপডেট

ডেঙ্গুতে ৬ জনের প্রাণহানি
ডেঙ্গুতে ৬ জনের প্রাণহানি

১ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

সন্ত্রাসী কাজ করে কিছু মানুষ, কলঙ্ক দেওয়া হয় সব কাশ্মীরিকে: ওমর
সন্ত্রাসী কাজ করে কিছু মানুষ, কলঙ্ক দেওয়া হয় সব কাশ্মীরিকে: ওমর

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে গোপালগঞ্জের ২ যুবক নিহত
ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে গোপালগঞ্জের ২ যুবক নিহত

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা

৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নভেম্বরের ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ডলার
নভেম্বরের ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ডলার

৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করায় শাস্তি পেলেন বাবর
ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করায় শাস্তি পেলেন বাবর

৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

প্রকৃতিতে উঁকি দিচ্ছে শীত, বাড়ছে লেপ-তোশকের চাহিদা
প্রকৃতিতে উঁকি দিচ্ছে শীত, বাড়ছে লেপ-তোশকের চাহিদা

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দাউদের ডান হাত থেকে নাম্বার ওয়ান শত্রু রাজনের উত্থান-পতন
দাউদের ডান হাত থেকে নাম্বার ওয়ান শত্রু রাজনের উত্থান-পতন

১৪ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে শর্ত শিথিল করতে বলেছি : আসিফ নজরুল
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে শর্ত শিথিল করতে বলেছি : আসিফ নজরুল

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯
ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার
চট্টগ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার

২৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি
জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি

২৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নীলফামারীতে ক্রীড়া সামগ্রী ও সাইকেল বিতরণ
নীলফামারীতে ক্রীড়া সামগ্রী ও সাইকেল বিতরণ

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
লক্ষ্মীপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ড্র করেও বিশ্বকাপে স্পেন-অস্ট্রিয়া-সুইজারল্যান্ড
ড্র করেও বিশ্বকাপে স্পেন-অস্ট্রিয়া-সুইজারল্যান্ড

৩১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হত্যাচেষ্টা মামলায় তাপস-কামরুলসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
হত্যাচেষ্টা মামলায় তাপস-কামরুলসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে হবিগঞ্জে নৌ র‌্যালি
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে হবিগঞ্জে নৌ র‌্যালি

৩৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

রংপুর বইমেলাসহ প্রশাসনের সাংস্কৃতিক আয়োজন বয়কট
রংপুর বইমেলাসহ প্রশাসনের সাংস্কৃতিক আয়োজন বয়কট

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে প্রোটিয়া দলে এনগিডি
ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে প্রোটিয়া দলে এনগিডি

৩৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে যাচ্ছেন ট্রাম্প পুত্র
বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে যাচ্ছেন ট্রাম্প পুত্র

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উলিপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি
উলিপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি

৪৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নীলফামারীতে নতুন আলু উত্তোলন
নীলফামারীতে নতুন আলু উত্তোলন

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে
সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে

৪৬ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বাউবির এমবিএ পরীক্ষার ফল প্রকাশ
বাউবির এমবিএ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

৪৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিএসটিআই-এর সব সেবা এখন অনলাইনে
বিএসটিআই-এর সব সেবা এখন অনলাইনে

৪৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার
সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা
তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

৪ ঘণ্টা আগে | টক শো

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের শুল্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ
ট্রাম্পের শুল্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা