শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

আওয়ামী লীগ কি আবার ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ হবে?

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
আওয়ামী লীগ কি আবার ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ হবে?

জনগণকে ‘ইসলাম ও মুসলমানের নামে স্লোগান দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যায় না। ধর্মপ্রাণ বাঙালি মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে, কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ২৫৮; শেখ মুজিবুর রহমান)।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের মূল ভিত্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম অসাম্প্রদায়িক চেতনা। ধর্মান্ধ, মৌলবাদ এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান, বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙালি’- এ সেøাগান বুকে ধারণ করেই এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। জীবন উৎসর্গ করেছিল। আজ বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করল, তখন যদি আমরা ফিরে তাকাই তাহলে একটু হতাশই হতে হয়। হতাশা মাঝেমধ্যে আতঙ্কের রূপ পরিগ্রহ করে। যেমন আতঙ্কিত হলাম ১৭ মার্চ। ওই দিনই শুরু হলো মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনের অনুষ্ঠান। দিনটি জাতির পিতার ১০২তম জন্মদিন। ওই দিন সুনামগঞ্জের শাল্লায় নারকীয় তান্ডব ঘটানো হলো। হিন্দু অধ্যুষিত একটি গ্রামে চালানো হলো সন্ত্রাসী হামলা। লুটপাট করা হলো সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি। সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী ওই দিন অন্তত ৮৮ বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার অজুহাতে এ তান্ডব চালানো হয়। অথচ যে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েছিল, তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এখানে দুটি প্রশ্ন। প্রথম প্রশ্ন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা কি অপরাধ? দ্বিতীয় প্রশ্ন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কি অপরাধ নয়?

এ তান্ডব ঘটানোর আগে মৌলবাদী ওই নেতা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। অর্থাৎ লুটপাট ও বাড়ি ভাঙচুরের মদদদাতা মামুনুল।

বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে আমরা মৌলবাদী, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর আস্ফালন দেখছি। কথায় কথায় তারা হুমকি দিচ্ছে। সরকারকে আলটিমেটাম দিচ্ছে। ধমক দিচ্ছে। সরকারের মধ্যে একটি অংশ আবার প্রকাশ্যেই এদের সঙ্গে সমঝোতা করছে, তোয়াজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকার গত এক যুগ ধরে ক্ষমতায়। সংসদে এবং রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বড় রাজনৈতিক চাপ নেই। জনগণের মধ্যেও এ সরকার নিয়ে বড় ধরনের অস্বস্তি নেই। তার পরও কেন আওয়ামী লীগ মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আপস আপস খেলছে? আওয়ামী লীগ কি তাহলে তার মৌলিক অবস্থান পরিবর্তন করেছে? আওয়ামী লীগ কি তার অসাম্প্রদায়িক অবস্থান থেকে সরে এসেছে?

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ‘বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠিত হয়েছিল। মুসলিম লীগের দুঃশাসন, দমননীতি এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতিবাদই ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগের ভূমিষ্ঠ হওয়ার মূল প্রেরণা। ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এখান থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলটির নবযাত্রার সূচনা। জাতির পিতার বক্তব্য, বিবৃতি, লেখালেখি পড়লে দেখা যায় তিনি ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ঘৃণা করতেন। এ ধারার বিরুদ্ধেই তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতেই বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার কর্মীরা যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করে।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ২৫৮)।

বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ধর্মীয় অপশক্তির বিরুদ্ধে। ১৯৭১-এর ৩ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগের এমপি এবং এমএনএদের শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের একটি রূপকল্প উপস্থাপন করেছিলেন। তাঁর ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এ দেশে ইসলাম, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবই থাকবে এবং বাংলাদেশও থাকবে। হিন্দু বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে গত এক দশকে যে অত্যাচার হয়েছে তার অবসান হবে।’ (সূত্র : শেখ মুজিব; বাংলাদেশের আরেক নাম ড : আতিউর রহমান, পৃষ্ঠা ২১৯)।

জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার করেই আওয়ামী লীগ গত এক যুগ টানা ক্ষমতায়। কিন্তু এ সময়ে হিন্দু-বৌদ্ধদের ওপর থেমে থেমে মৌলবাদী শক্তির আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বৌদ্ধপল্লীর বসতবাড়ি। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর পাবনার সাঁথিয়ার হিন্দুপল্লী বনগ্রাম আক্রান্ত হয়। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল আক্রমণ করা হয় কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বাঘসীতারামপুরে। এভাবেই চলছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে আক্রমণ। কখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে, কখনো রংপুরের গঙ্গাচড়ার ঠাকুরপাড়ায়, কখনো ভোলার বোরহানউদ্দিনে, কখনো কুমিল্লার কোরবানপুর গ্রামে। এ হামলা, আক্রমণ ও বর্বরতা একই ধরনের। ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে উত্তেজিত করে তান্ডব চালানো হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু প্রতিটি ঘটনায় সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। বরং কোথাও কোথাও এসব ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ইন্ধনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের যেভাবে সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন ছিল, সে দায়িত্ব সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ পালন করতে পারেনি।

অথচ বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতায় জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।’ ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট যারা জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল, তারা ছিল স্বাধীনতাবিরোধী ’৭১-এর পরাজিত শক্তি। ’৭৫-এর পর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উল্টো পথে চলতে শুরু করে। জিয়াউর রহমান সামরিক ফরমানবলে সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ উপড়ে ফেলেন। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আবার চালু করেন। জিয়ার কল্যাণেই স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মান্ধ ফ্যাসিস্ট দল জামায়াতে ইসলামী আবার বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। যুদ্ধাপরাধের শিরোমণি গোলাম আযমকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন জিয়া। এ সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হয়। আওয়ামী লীগ ‘মুসলমানবিদ্বেষী’। আওয়ামী লীগ হিন্দুদের দল, আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল- এ কুৎসিত মিথ্যাচার মানুষের মননে এবং মগজে ঢোকানোর এক নিবিড় পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চলে দীর্ঘ ২১ বছর। ’৭৫-এর পর আওয়ামী লীগের নেতারাও এসব ধর্মীয় অপপ্রচারে বিভ্রান্তিতে পড়েন। নিজেদের ‘মুসলমান’ প্রমাণে মরিয়া হয়ে ওঠেন কেউ কেউ। ধর্ম ও রাজনীতির ককটেলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও আসক্ত হন। বঙ্গবন্ধু যেভাবে দৃঢ়চিত্তে অকপটে ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলতেন, যেভাবে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতেন সে পথ থেকে সরে আসে আওয়ামী লীগ। এ কথা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই, শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধের বিচার করে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার অদম্য দৃঢ়তার জন্যই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা যতই অবিচল থাকুন না কেন আওয়ামী লীগের ভিতরই মৌলবাদী গোষ্ঠী বাসা বেঁধেছে। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম নামের মৌলবাদী গোষ্ঠী ঢাকায় তান্ডব চালাল। আওয়ামী লীগ সরকার সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিল। তার পরই কোথায় যেন ছন্দপতন হলো। হেফাজতের তান্ডবকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো চলে গেল হিমাগারে। হেফাজতের সঙ্গে প্রকাশ্যে গোপনে এক সখ্য তৈরি হলো আওয়ামী লীগের কারও কারও। হেফাজতের দাবিতে পাল্টে গেল পাঠ্যপুস্তক। হেফাজতের আমির আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজত যেন আরও উগ্রবাদী হয়ে উঠল। কথায় কথায় সরকারকে আলটিমেটাম দেয়। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে হেফাজত যে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে, যেভাবে এর বিরোধিতা করেছে তা আওয়ামী লীগ কীভাবে সহ্য করল আমার বোধগম্য নয়। এ সময় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই এ নিয়ে কথা বলতে ইতস্তত করেছেন। এরপর এলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে বিতর্ক। এ সময়ও আওয়ামী লীগ যতটা পেরেছে সংযত থেকেছে। আওয়ামী লীগ কি তাহলে হেফাজতের সঙ্গে সহাবস্থানের নীতি নিয়েছে? আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই ইনিয়ে-বিনিয়ে এ নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা আমাকে বলেছেন হেফাজত কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক একটি সংগঠন। এর কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। বরং হেফাজতকে বশে রাখতে পারলে বিএনপি-জামায়াত এ শক্তিকে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থে ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন নবিশ শিক্ষার্থীও জানেন, হেফাজত একটি ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি। এরা আর যা-ই হোক আওয়ামী লীগের মিত্র হবে না। সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগকেই ছোবল মারবে। হেফাজতের সঙ্গে বা কোনো মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ আপস করলে তা আওয়ামী লীগের জন্যই ক্ষতির কারণ হবে। এখন হেফাজত কথায় কথায় হুমকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে যতই কঠোর হোক হেফাজতের ব্যাপারে অভূতপূর্ব সহনশীলতা দেখাচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার বোধহয় হেফাজতকে ভয় পায়। ফলে হেফাজতের আড়ালে আবার স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী গোষ্ঠী নীরবে ডালপালা মেলছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই চায়ের আড্ডায় বলতেন, জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধী ইস্যু নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আওয়ামী লীগের ভোট কমবে। কিন্তু এসব শঙ্কাকে পাত্তা দেননি শেখ হাসিনা। ২০০৮-এর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করেছিলেন। এ দেশের মানুষ সে অঙ্গীকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়ও কতজন কত বিপদের শঙ্কার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির দন্ড কার্যকর হবে, এটা যেন অনেকের কাছে ছিল অসম্ভব একটা ব্যাপার। কিন্তু শেখ হাসিনা অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি হলে বাংলাদেশ ভেঙে পড়বে, মধ্যপ্রাচ্য নাখোশ হবে- এ রকম কত গল্প আমাদের শোনানো হয়েছিল। কই? কিছুই তো হয়নি। তাই হেফাজতের প্রতি সহানুভূতিশীলতা সরকারের আদর্শিক চেতনায় প্রশ্ন তুলেছে। আদর্শের প্রশ্নে অবিচল ব্যক্তি এবং সংগঠনকেই মানুষ পছন্দ করে, ভালোবাসে। এ কারণেই ৭২ বছরেও আওয়ামী লীগ সজীব, সতেজ, জনপ্রিয়। প্রগতি, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাই আওয়ামী লীগের পরিচয়। আর ধর্মান্ধ মৌলবাদী যে কোনো সংগঠন বা গোষ্ঠীই হলো প্রগতির বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে। এরা কখনো কোনো দিন আওয়ামী লীগের বন্ধু হতে পারে না। আওয়ামী লীগ যদি ভুলেও তাদের আপন মনে করে তা হলেই তারা আওয়ামী লীগের ঘাড় মটকাবে। আমি এবং আমার মতো বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন শেখ হাসিনা কোনো দিন মৌলবাদী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস করবেন না। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা-আদর্শ শেখ হাসিনা ধারণ করেন। নিজের জীবন থাকতে তিনি বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে একচুলও সরবেন না। কিন্তু আমার ভয় অন্য জায়গায়। ইদানীং আওয়ামী লীগে ব্যাপক অনুপ্রবেশকারী ঢুকে গেছে। হঠাৎ বনে যাওয়া আওয়ামী লীগাররাই এখন আসল আওয়ামী লীগের চেয়ে ক্ষমতাবান। এসব ‘সুসময়ের আওয়ামী লীগের’ একটি বড় অংশই মৌলবাদী চিন্তা-চেতনার ধারক-বাহক। এরা আসলে ধর্মব্যবসায়ীদের এজেন্ট কিংবা মৌলবাদী গোষ্ঠীর অনুচর। এরা না বোঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, না জানে আওয়ামী লীগের নীতি। এদের লক্ষ্য একটাই- আওয়ামী লীগকে লক্ষ্যচ্যুত করা। নিজেদের আখের গোছানো। সুবিধাবাদী ও আপসকামিতার কারণে এরা অন্যায়কে যেমন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে না তেমনি একটু ধমক-হুমকিতেই ভড়কে যায়। ইদানীং আওয়ামী লীগে এসব ধর্মব্যবসায়ীর বাসা বাঁধার খবর পাওয়া যায়। এরা হেফাজত ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সখ্য করে নিরাপদে থাকতে চায়। এরা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা শুনলে কুঁচকে যায়। এরা ধর্মচর্চাকে পবিত্র অন্তঃকরণের কাজের চেয়ে লোক দেখানো কাজ মনে করে।

এরা না পড়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রাম, না জানে জাতির পিতার ভাবনা। এদের একটি বৃহৎ অংশ আওয়ামী লীগের ‘অতিথি পাখি’। এরা ছাড়াও প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। এরা মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা বলে, মনে হেফাজতকে সমর্থন করে। এরা প্রশাসনে, সরকারের নীতিতে মৌলবাদী চেতনার অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে। এ সংঘবদ্ধ ভয়ংকর শক্তির কারণেই সরকার হেফাজতের সঙ্গে সখ্য করে। এদের জন্যই হেফাজতের তান্ডবের বিচার হয় না। এদের মূল লক্ষ্য আসলে হেফাজতকে পৃষ্ঠপোষকতা নয়। মূল লক্ষ্য হলো আওয়ামী লীগকেই হেফাজত বানানো। এরা আওয়ামী লীগকে ১৯৫৫-এর আগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

বাংলাদেশ ৫১-এ পা রেখেছে। কিন্তু আমাদের যুদ্ধটা এখনো শেষ হয়নি। যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদরদের সন্তানরা এখন দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ রাজাকার যুদ্ধাপরাধীরাই ’৭১-এ ভারতের জুজু দেখিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। এখন যারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের অকারণ বিরোধিতা করছে তারা একই সূত্রে গাঁথা। দুই বিরোধিতা শেষ পর্যন্ত একবিন্দুতে মিলিত হয়। এরা আসলে বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করতে চায়। এদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজন আরেকটি যুদ্ধ। না হলে এরা আওয়ামী লীগকেও একটি সাম্প্রদায়িক দল বানিয়ে ফেলবে। ধ্বংস করবে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। আর এজন্যই আওয়ামী লীগ এবং শুভবুদ্ধির মানুষের জাগরণ খুব জরুরি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ মানে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও। এটি যদি আওয়ামী লীগ ভুলে যায় তাহলে আওয়ামী লীগ আবার আওয়ামী মুসলিম লীগ হয়ে যাবে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নূরুল হুদার জবানবন্দি
নূরুল হুদার জবানবন্দি
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সর্বশেষ খবর
চুয়াডাঙ্গায় ট্যাংকলরি চাপায় ইজিবাইক চালকসহ নিহত ৩
চুয়াডাঙ্গায় ট্যাংকলরি চাপায় ইজিবাইক চালকসহ নিহত ৩

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় টিএমএসএস ফিটনেস ও জিম সেন্টার উদ্বোধন
বগুড়ায় টিএমএসএস ফিটনেস ও জিম সেন্টার উদ্বোধন

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ অবশ্যই সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম
জুলাই সনদ অবশ্যই সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের আধিপত্য রুখতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : আব্দুস সালাম
ভারতের আধিপত্য রুখতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : আব্দুস সালাম

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাতিরঝিলে ম্যারাথনে দৌড়ালেন দেশি-বিদেশি ৮০০ প্রতিযোগী
হাতিরঝিলে ম্যারাথনে দৌড়ালেন দেশি-বিদেশি ৮০০ প্রতিযোগী

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খানসামায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
খানসামায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার
পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে: ওবায়দুর রহমান চন্দন
বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে: ওবায়দুর রহমান চন্দন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতে ৫ দাবি
দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতে ৫ দাবি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব
চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঝিনাইদহ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
ঝিনাইদহ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই শহিদদের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ প্রদানের বিষয়ে কাজ করছে সরকার’
‘জুলাই শহিদদের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ প্রদানের বিষয়ে কাজ করছে সরকার’

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
গাজীপুরে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফজরকে আদালতে নেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, শুরু হয়নি চারজনের রিমান্ড
ফজরকে আদালতে নেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, শুরু হয়নি চারজনের রিমান্ড

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে আরও ছয়জনের শরীরে করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ছয়জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

২ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

চট্টগ্রামে ৪৪তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতা শুরু
চট্টগ্রামে ৪৪তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতা শুরু

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের
মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাধবদী বাজারে আগুনে পুড়লো ৪২ দোকান
মাধবদী বাজারে আগুনে পুড়লো ৪২ দোকান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাজারীখিল অভয়ারণ্যে ৩৩ অজগর অবমুক্ত
হাজারীখিল অভয়ারণ্যে ৩৩ অজগর অবমুক্ত

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বগুড়ায় অপহৃত তিন শিক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ৪
বগুড়ায় অপহৃত তিন শিক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ৪

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ডিসিপার্ক পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ডিসিপার্ক পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত ১
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে ভাগ্নের হাতে মামা খুন
ঝিনাইদহে ভাগ্নের হাতে মামা খুন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'এনসিপির কার্যালয় হবে নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের আশ্রয়স্থল'
'এনসিপির কার্যালয় হবে নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের আশ্রয়স্থল'

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে মাদকসহ আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
জনতার হাতে মাদকসহ আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাকা মেরে খাওয়ার জন্য আমরা ক্ষমতায় বসিনি: ধর্ম উপদেষ্টা
টাকা মেরে খাওয়ার জন্য আমরা ক্ষমতায় বসিনি: ধর্ম উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল
ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ইশতেহার ঘোষণা করবে এনসিপি
৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ইশতেহার ঘোষণা করবে এনসিপি

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‍্যাব, মূল হোতা গ্রেফতার
মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‍্যাব, মূল হোতা গ্রেফতার

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা
তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়
ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ
ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল
ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন
তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া
তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ
ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সবজির বাজার চড়া, সহনীয় মুরগির দাম
সবজির বাজার চড়া, সহনীয় মুরগির দাম

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস
বিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি
দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় ৪৮ ঘণ্টার নারকীয় ইসরায়েলি তাণ্ডব, নিহত ৩০০
গাজায় ৪৮ ঘণ্টার নারকীয় ইসরায়েলি তাণ্ডব, নিহত ৩০০

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ৩ দিনের ছুটিতে দেশ
টানা ৩ দিনের ছুটিতে দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প
গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের
দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর
এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত: ট্রাম্পকে পুতিন
ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত: ট্রাম্পকে পুতিন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া
১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু
২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, বন্ধ হবে মনোনয়ন বাণিজ্য : মাসুদ সাঈদী
পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, বন্ধ হবে মনোনয়ন বাণিজ্য : মাসুদ সাঈদী

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার
মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিএনপির বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে ইসলামি দলগুলো
বিএনপির বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে ইসলামি দলগুলো

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যাকে পালিয়ে যেতে হয় : জ্বালানি উপদেষ্টা
এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যাকে পালিয়ে যেতে হয় : জ্বালানি উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের
মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন অনলাইনেও দান করা যাবে পাগলা মসজিদে
এখন অনলাইনেও দান করা যাবে পাগলা মসজিদে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল কেনার টাকা না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা
মোটরসাইকেল কেনার টাকা না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত

প্রথম পৃষ্ঠা

চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা
চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা

শোবিজ

ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি
জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এবার বিশ্বকাপের হাতছানি
এবার বিশ্বকাপের হাতছানি

মাঠে ময়দানে

আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা
আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা

নগর জীবন

প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে
প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে
পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

থানায় হামলা ভাঙচুর
থানায় হামলা ভাঙচুর

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন
দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

আপিল বিভাগের রায়ে ফুঁসে ওঠে ছাত্রসমাজ
আপিল বিভাগের রায়ে ফুঁসে ওঠে ছাত্রসমাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

সম্পাদকীয়

কবরের মতো বন্দিশালা
কবরের মতো বন্দিশালা

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

প্রথম পৃষ্ঠা

সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি
সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

কলেজের সামনেই মাথায় ঘাড়ে কোপ পরীক্ষার্থীর
কলেজের সামনেই মাথায় ঘাড়ে কোপ পরীক্ষার্থীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য
বগুড়ায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

নগর জীবন

এবার পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা মুরাদনগরে
এবার পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা মুরাদনগরে

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যয়বহুল তৌসিফ
ব্যয়বহুল তৌসিফ

শোবিজ

ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা
ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা

দেশগ্রাম

সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২
সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২

প্রথম পৃষ্ঠা

‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান
‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান

শোবিজ

স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম বাদ
স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম বাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে
জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে

দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন
নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন

দেশগ্রাম

বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু
বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু

দেশগ্রাম

গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার
গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম