শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

আওয়ামী লীগ কি আবার ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ হবে?

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
আওয়ামী লীগ কি আবার ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ হবে?

জনগণকে ‘ইসলাম ও মুসলমানের নামে স্লোগান দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যায় না। ধর্মপ্রাণ বাঙালি মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে, কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ২৫৮; শেখ মুজিবুর রহমান)।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের মূল ভিত্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম অসাম্প্রদায়িক চেতনা। ধর্মান্ধ, মৌলবাদ এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান, বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙালি’- এ সেøাগান বুকে ধারণ করেই এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। জীবন উৎসর্গ করেছিল। আজ বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করল, তখন যদি আমরা ফিরে তাকাই তাহলে একটু হতাশই হতে হয়। হতাশা মাঝেমধ্যে আতঙ্কের রূপ পরিগ্রহ করে। যেমন আতঙ্কিত হলাম ১৭ মার্চ। ওই দিনই শুরু হলো মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনের অনুষ্ঠান। দিনটি জাতির পিতার ১০২তম জন্মদিন। ওই দিন সুনামগঞ্জের শাল্লায় নারকীয় তান্ডব ঘটানো হলো। হিন্দু অধ্যুষিত একটি গ্রামে চালানো হলো সন্ত্রাসী হামলা। লুটপাট করা হলো সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি। সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী ওই দিন অন্তত ৮৮ বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার অজুহাতে এ তান্ডব চালানো হয়। অথচ যে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েছিল, তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এখানে দুটি প্রশ্ন। প্রথম প্রশ্ন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা কি অপরাধ? দ্বিতীয় প্রশ্ন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কি অপরাধ নয়?

এ তান্ডব ঘটানোর আগে মৌলবাদী ওই নেতা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। অর্থাৎ লুটপাট ও বাড়ি ভাঙচুরের মদদদাতা মামুনুল।

বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে আমরা মৌলবাদী, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর আস্ফালন দেখছি। কথায় কথায় তারা হুমকি দিচ্ছে। সরকারকে আলটিমেটাম দিচ্ছে। ধমক দিচ্ছে। সরকারের মধ্যে একটি অংশ আবার প্রকাশ্যেই এদের সঙ্গে সমঝোতা করছে, তোয়াজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকার গত এক যুগ ধরে ক্ষমতায়। সংসদে এবং রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বড় রাজনৈতিক চাপ নেই। জনগণের মধ্যেও এ সরকার নিয়ে বড় ধরনের অস্বস্তি নেই। তার পরও কেন আওয়ামী লীগ মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আপস আপস খেলছে? আওয়ামী লীগ কি তাহলে তার মৌলিক অবস্থান পরিবর্তন করেছে? আওয়ামী লীগ কি তার অসাম্প্রদায়িক অবস্থান থেকে সরে এসেছে?

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ‘বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠিত হয়েছিল। মুসলিম লীগের দুঃশাসন, দমননীতি এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতিবাদই ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগের ভূমিষ্ঠ হওয়ার মূল প্রেরণা। ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এখান থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলটির নবযাত্রার সূচনা। জাতির পিতার বক্তব্য, বিবৃতি, লেখালেখি পড়লে দেখা যায় তিনি ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ঘৃণা করতেন। এ ধারার বিরুদ্ধেই তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতেই বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার কর্মীরা যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করে।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ২৫৮)।

বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ধর্মীয় অপশক্তির বিরুদ্ধে। ১৯৭১-এর ৩ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগের এমপি এবং এমএনএদের শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের একটি রূপকল্প উপস্থাপন করেছিলেন। তাঁর ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এ দেশে ইসলাম, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবই থাকবে এবং বাংলাদেশও থাকবে। হিন্দু বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে গত এক দশকে যে অত্যাচার হয়েছে তার অবসান হবে।’ (সূত্র : শেখ মুজিব; বাংলাদেশের আরেক নাম ড : আতিউর রহমান, পৃষ্ঠা ২১৯)।

জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার করেই আওয়ামী লীগ গত এক যুগ টানা ক্ষমতায়। কিন্তু এ সময়ে হিন্দু-বৌদ্ধদের ওপর থেমে থেমে মৌলবাদী শক্তির আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বৌদ্ধপল্লীর বসতবাড়ি। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর পাবনার সাঁথিয়ার হিন্দুপল্লী বনগ্রাম আক্রান্ত হয়। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল আক্রমণ করা হয় কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বাঘসীতারামপুরে। এভাবেই চলছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে আক্রমণ। কখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে, কখনো রংপুরের গঙ্গাচড়ার ঠাকুরপাড়ায়, কখনো ভোলার বোরহানউদ্দিনে, কখনো কুমিল্লার কোরবানপুর গ্রামে। এ হামলা, আক্রমণ ও বর্বরতা একই ধরনের। ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে উত্তেজিত করে তান্ডব চালানো হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু প্রতিটি ঘটনায় সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। বরং কোথাও কোথাও এসব ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ইন্ধনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের যেভাবে সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন ছিল, সে দায়িত্ব সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ পালন করতে পারেনি।

অথচ বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতায় জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।’ ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট যারা জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল, তারা ছিল স্বাধীনতাবিরোধী ’৭১-এর পরাজিত শক্তি। ’৭৫-এর পর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উল্টো পথে চলতে শুরু করে। জিয়াউর রহমান সামরিক ফরমানবলে সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ উপড়ে ফেলেন। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আবার চালু করেন। জিয়ার কল্যাণেই স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মান্ধ ফ্যাসিস্ট দল জামায়াতে ইসলামী আবার বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। যুদ্ধাপরাধের শিরোমণি গোলাম আযমকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন জিয়া। এ সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হয়। আওয়ামী লীগ ‘মুসলমানবিদ্বেষী’। আওয়ামী লীগ হিন্দুদের দল, আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল- এ কুৎসিত মিথ্যাচার মানুষের মননে এবং মগজে ঢোকানোর এক নিবিড় পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চলে দীর্ঘ ২১ বছর। ’৭৫-এর পর আওয়ামী লীগের নেতারাও এসব ধর্মীয় অপপ্রচারে বিভ্রান্তিতে পড়েন। নিজেদের ‘মুসলমান’ প্রমাণে মরিয়া হয়ে ওঠেন কেউ কেউ। ধর্ম ও রাজনীতির ককটেলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও আসক্ত হন। বঙ্গবন্ধু যেভাবে দৃঢ়চিত্তে অকপটে ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলতেন, যেভাবে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতেন সে পথ থেকে সরে আসে আওয়ামী লীগ। এ কথা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই, শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধের বিচার করে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার অদম্য দৃঢ়তার জন্যই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা যতই অবিচল থাকুন না কেন আওয়ামী লীগের ভিতরই মৌলবাদী গোষ্ঠী বাসা বেঁধেছে। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম নামের মৌলবাদী গোষ্ঠী ঢাকায় তান্ডব চালাল। আওয়ামী লীগ সরকার সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিল। তার পরই কোথায় যেন ছন্দপতন হলো। হেফাজতের তান্ডবকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো চলে গেল হিমাগারে। হেফাজতের সঙ্গে প্রকাশ্যে গোপনে এক সখ্য তৈরি হলো আওয়ামী লীগের কারও কারও। হেফাজতের দাবিতে পাল্টে গেল পাঠ্যপুস্তক। হেফাজতের আমির আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজত যেন আরও উগ্রবাদী হয়ে উঠল। কথায় কথায় সরকারকে আলটিমেটাম দেয়। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে হেফাজত যে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে, যেভাবে এর বিরোধিতা করেছে তা আওয়ামী লীগ কীভাবে সহ্য করল আমার বোধগম্য নয়। এ সময় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই এ নিয়ে কথা বলতে ইতস্তত করেছেন। এরপর এলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে বিতর্ক। এ সময়ও আওয়ামী লীগ যতটা পেরেছে সংযত থেকেছে। আওয়ামী লীগ কি তাহলে হেফাজতের সঙ্গে সহাবস্থানের নীতি নিয়েছে? আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই ইনিয়ে-বিনিয়ে এ নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা আমাকে বলেছেন হেফাজত কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক একটি সংগঠন। এর কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। বরং হেফাজতকে বশে রাখতে পারলে বিএনপি-জামায়াত এ শক্তিকে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থে ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন নবিশ শিক্ষার্থীও জানেন, হেফাজত একটি ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি। এরা আর যা-ই হোক আওয়ামী লীগের মিত্র হবে না। সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগকেই ছোবল মারবে। হেফাজতের সঙ্গে বা কোনো মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ আপস করলে তা আওয়ামী লীগের জন্যই ক্ষতির কারণ হবে। এখন হেফাজত কথায় কথায় হুমকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে যতই কঠোর হোক হেফাজতের ব্যাপারে অভূতপূর্ব সহনশীলতা দেখাচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার বোধহয় হেফাজতকে ভয় পায়। ফলে হেফাজতের আড়ালে আবার স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী গোষ্ঠী নীরবে ডালপালা মেলছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই চায়ের আড্ডায় বলতেন, জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধী ইস্যু নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আওয়ামী লীগের ভোট কমবে। কিন্তু এসব শঙ্কাকে পাত্তা দেননি শেখ হাসিনা। ২০০৮-এর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করেছিলেন। এ দেশের মানুষ সে অঙ্গীকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়ও কতজন কত বিপদের শঙ্কার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির দন্ড কার্যকর হবে, এটা যেন অনেকের কাছে ছিল অসম্ভব একটা ব্যাপার। কিন্তু শেখ হাসিনা অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি হলে বাংলাদেশ ভেঙে পড়বে, মধ্যপ্রাচ্য নাখোশ হবে- এ রকম কত গল্প আমাদের শোনানো হয়েছিল। কই? কিছুই তো হয়নি। তাই হেফাজতের প্রতি সহানুভূতিশীলতা সরকারের আদর্শিক চেতনায় প্রশ্ন তুলেছে। আদর্শের প্রশ্নে অবিচল ব্যক্তি এবং সংগঠনকেই মানুষ পছন্দ করে, ভালোবাসে। এ কারণেই ৭২ বছরেও আওয়ামী লীগ সজীব, সতেজ, জনপ্রিয়। প্রগতি, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাই আওয়ামী লীগের পরিচয়। আর ধর্মান্ধ মৌলবাদী যে কোনো সংগঠন বা গোষ্ঠীই হলো প্রগতির বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে। এরা কখনো কোনো দিন আওয়ামী লীগের বন্ধু হতে পারে না। আওয়ামী লীগ যদি ভুলেও তাদের আপন মনে করে তা হলেই তারা আওয়ামী লীগের ঘাড় মটকাবে। আমি এবং আমার মতো বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন শেখ হাসিনা কোনো দিন মৌলবাদী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস করবেন না। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা-আদর্শ শেখ হাসিনা ধারণ করেন। নিজের জীবন থাকতে তিনি বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে একচুলও সরবেন না। কিন্তু আমার ভয় অন্য জায়গায়। ইদানীং আওয়ামী লীগে ব্যাপক অনুপ্রবেশকারী ঢুকে গেছে। হঠাৎ বনে যাওয়া আওয়ামী লীগাররাই এখন আসল আওয়ামী লীগের চেয়ে ক্ষমতাবান। এসব ‘সুসময়ের আওয়ামী লীগের’ একটি বড় অংশই মৌলবাদী চিন্তা-চেতনার ধারক-বাহক। এরা আসলে ধর্মব্যবসায়ীদের এজেন্ট কিংবা মৌলবাদী গোষ্ঠীর অনুচর। এরা না বোঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, না জানে আওয়ামী লীগের নীতি। এদের লক্ষ্য একটাই- আওয়ামী লীগকে লক্ষ্যচ্যুত করা। নিজেদের আখের গোছানো। সুবিধাবাদী ও আপসকামিতার কারণে এরা অন্যায়কে যেমন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে না তেমনি একটু ধমক-হুমকিতেই ভড়কে যায়। ইদানীং আওয়ামী লীগে এসব ধর্মব্যবসায়ীর বাসা বাঁধার খবর পাওয়া যায়। এরা হেফাজত ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সখ্য করে নিরাপদে থাকতে চায়। এরা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা শুনলে কুঁচকে যায়। এরা ধর্মচর্চাকে পবিত্র অন্তঃকরণের কাজের চেয়ে লোক দেখানো কাজ মনে করে।

এরা না পড়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রাম, না জানে জাতির পিতার ভাবনা। এদের একটি বৃহৎ অংশ আওয়ামী লীগের ‘অতিথি পাখি’। এরা ছাড়াও প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। এরা মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা বলে, মনে হেফাজতকে সমর্থন করে। এরা প্রশাসনে, সরকারের নীতিতে মৌলবাদী চেতনার অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে। এ সংঘবদ্ধ ভয়ংকর শক্তির কারণেই সরকার হেফাজতের সঙ্গে সখ্য করে। এদের জন্যই হেফাজতের তান্ডবের বিচার হয় না। এদের মূল লক্ষ্য আসলে হেফাজতকে পৃষ্ঠপোষকতা নয়। মূল লক্ষ্য হলো আওয়ামী লীগকেই হেফাজত বানানো। এরা আওয়ামী লীগকে ১৯৫৫-এর আগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

বাংলাদেশ ৫১-এ পা রেখেছে। কিন্তু আমাদের যুদ্ধটা এখনো শেষ হয়নি। যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদরদের সন্তানরা এখন দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ রাজাকার যুদ্ধাপরাধীরাই ’৭১-এ ভারতের জুজু দেখিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। এখন যারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের অকারণ বিরোধিতা করছে তারা একই সূত্রে গাঁথা। দুই বিরোধিতা শেষ পর্যন্ত একবিন্দুতে মিলিত হয়। এরা আসলে বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করতে চায়। এদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজন আরেকটি যুদ্ধ। না হলে এরা আওয়ামী লীগকেও একটি সাম্প্রদায়িক দল বানিয়ে ফেলবে। ধ্বংস করবে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। আর এজন্যই আওয়ামী লীগ এবং শুভবুদ্ধির মানুষের জাগরণ খুব জরুরি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ মানে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও। এটি যদি আওয়ামী লীগ ভুলে যায় তাহলে আওয়ামী লীগ আবার আওয়ামী মুসলিম লীগ হয়ে যাবে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
দিনাজপুরে বাসচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত
দিনাজপুরে বাসচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিয়েতনামে বন্যায় ৫৫ জনের প্রাণহানি
ভিয়েতনামে বন্যায় ৫৫ জনের প্রাণহানি

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বোলিং পিচে হেডের ঝড়, ইতিহাস গড়ে সেঞ্চুরি
বোলিং পিচে হেডের ঝড়, ইতিহাস গড়ে সেঞ্চুরি

৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বরগুনায় ৪ ভুয়া চিকিৎসক আটক
বরগুনায় ৪ ভুয়া চিকিৎসক আটক

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

১০ মিনিট আগে | নগর জীবন

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সুদানে গণহত্যা: আরএসএফের শীর্ষ নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা
সুদানে গণহত্যা: আরএসএফের শীর্ষ নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার আবহাওয়া সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে
ঢাকার আবহাওয়া সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে

১৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

সিরাজগঞ্জে অসুস্থ দলীয় কর্মীর পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা
সিরাজগঞ্জে অসুস্থ দলীয় কর্মীর পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা
মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা

২০ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইমদাদুল হক মিলনের সাথে শুভসংঘ ঢাবি শাখার সৌজন্য সাক্ষাৎ
ইমদাদুল হক মিলনের সাথে শুভসংঘ ঢাবি শাখার সৌজন্য সাক্ষাৎ

২২ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

টেক্টরকে ফিরিয়ে জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ
টেক্টরকে ফিরিয়ে জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মৎস্য রপ্তানির নীতিমালা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করবে : মৎস্য উপদেষ্টা
মৎস্য রপ্তানির নীতিমালা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করবে : মৎস্য উপদেষ্টা

৩০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় : প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় : প্রধান বিচারপতি

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

৪১ মিনিট আগে | শোবিজ

শান্তি পরিকল্পনা ঘিরে মার্কিন সমর্থন হারানোর ঝুঁকি, জেলেনস্কির সতর্কবার্তা
শান্তি পরিকল্পনা ঘিরে মার্কিন সমর্থন হারানোর ঝুঁকি, জেলেনস্কির সতর্কবার্তা

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'আশুলিয়ার কম্পন নরসিংদীর মাধবদীর আফটারশক'
'আশুলিয়ার কম্পন নরসিংদীর মাধবদীর আফটারশক'

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগ
লক্ষ্মীপুরে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগ

৫১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

আ.লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : ইশরাক
আ.লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : ইশরাক

৫৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

ঘূর্ণিঝড়ের পর জ্যামাইকায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৬ মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড়ের পর জ্যামাইকায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৬ মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

র‌্যাবের জালে ৩ জন, ৯১ কেজি গাঁজা উদ্ধার
র‌্যাবের জালে ৩ জন, ৯১ কেজি গাঁজা উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন: বয়কট যুক্তরাষ্ট্রের, তবে থাকছে চমক
দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন: বয়কট যুক্তরাষ্ট্রের, তবে থাকছে চমক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা ভেঙে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আবেদন
গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা ভেঙে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আবেদন

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

প্রাকৃতিকের সাথে কৃত্রিম মাছ চাষও বাড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
প্রাকৃতিকের সাথে কৃত্রিম মাছ চাষও বাড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন
ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূকম্পন অনুভূত
আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূকম্পন অনুভূত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত
দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো
পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়
বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে