শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

আওয়ামী লীগ কি আবার ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ হবে?

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
আওয়ামী লীগ কি আবার ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ হবে?

জনগণকে ‘ইসলাম ও মুসলমানের নামে স্লোগান দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যায় না। ধর্মপ্রাণ বাঙালি মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে, কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ২৫৮; শেখ মুজিবুর রহমান)।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের মূল ভিত্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম অসাম্প্রদায়িক চেতনা। ধর্মান্ধ, মৌলবাদ এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান, বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙালি’- এ সেøাগান বুকে ধারণ করেই এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। জীবন উৎসর্গ করেছিল। আজ বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করল, তখন যদি আমরা ফিরে তাকাই তাহলে একটু হতাশই হতে হয়। হতাশা মাঝেমধ্যে আতঙ্কের রূপ পরিগ্রহ করে। যেমন আতঙ্কিত হলাম ১৭ মার্চ। ওই দিনই শুরু হলো মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনের অনুষ্ঠান। দিনটি জাতির পিতার ১০২তম জন্মদিন। ওই দিন সুনামগঞ্জের শাল্লায় নারকীয় তান্ডব ঘটানো হলো। হিন্দু অধ্যুষিত একটি গ্রামে চালানো হলো সন্ত্রাসী হামলা। লুটপাট করা হলো সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি। সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী ওই দিন অন্তত ৮৮ বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার অজুহাতে এ তান্ডব চালানো হয়। অথচ যে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েছিল, তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এখানে দুটি প্রশ্ন। প্রথম প্রশ্ন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা কি অপরাধ? দ্বিতীয় প্রশ্ন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কি অপরাধ নয়?

এ তান্ডব ঘটানোর আগে মৌলবাদী ওই নেতা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। অর্থাৎ লুটপাট ও বাড়ি ভাঙচুরের মদদদাতা মামুনুল।

বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে আমরা মৌলবাদী, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর আস্ফালন দেখছি। কথায় কথায় তারা হুমকি দিচ্ছে। সরকারকে আলটিমেটাম দিচ্ছে। ধমক দিচ্ছে। সরকারের মধ্যে একটি অংশ আবার প্রকাশ্যেই এদের সঙ্গে সমঝোতা করছে, তোয়াজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকার গত এক যুগ ধরে ক্ষমতায়। সংসদে এবং রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বড় রাজনৈতিক চাপ নেই। জনগণের মধ্যেও এ সরকার নিয়ে বড় ধরনের অস্বস্তি নেই। তার পরও কেন আওয়ামী লীগ মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আপস আপস খেলছে? আওয়ামী লীগ কি তাহলে তার মৌলিক অবস্থান পরিবর্তন করেছে? আওয়ামী লীগ কি তার অসাম্প্রদায়িক অবস্থান থেকে সরে এসেছে?

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ‘বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠিত হয়েছিল। মুসলিম লীগের দুঃশাসন, দমননীতি এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতিবাদই ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগের ভূমিষ্ঠ হওয়ার মূল প্রেরণা। ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এখান থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলটির নবযাত্রার সূচনা। জাতির পিতার বক্তব্য, বিবৃতি, লেখালেখি পড়লে দেখা যায় তিনি ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ঘৃণা করতেন। এ ধারার বিরুদ্ধেই তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতেই বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার কর্মীরা যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করে।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ২৫৮)।

বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ধর্মীয় অপশক্তির বিরুদ্ধে। ১৯৭১-এর ৩ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগের এমপি এবং এমএনএদের শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের একটি রূপকল্প উপস্থাপন করেছিলেন। তাঁর ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এ দেশে ইসলাম, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবই থাকবে এবং বাংলাদেশও থাকবে। হিন্দু বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে গত এক দশকে যে অত্যাচার হয়েছে তার অবসান হবে।’ (সূত্র : শেখ মুজিব; বাংলাদেশের আরেক নাম ড : আতিউর রহমান, পৃষ্ঠা ২১৯)।

জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার করেই আওয়ামী লীগ গত এক যুগ টানা ক্ষমতায়। কিন্তু এ সময়ে হিন্দু-বৌদ্ধদের ওপর থেমে থেমে মৌলবাদী শক্তির আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বৌদ্ধপল্লীর বসতবাড়ি। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর পাবনার সাঁথিয়ার হিন্দুপল্লী বনগ্রাম আক্রান্ত হয়। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল আক্রমণ করা হয় কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বাঘসীতারামপুরে। এভাবেই চলছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে আক্রমণ। কখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে, কখনো রংপুরের গঙ্গাচড়ার ঠাকুরপাড়ায়, কখনো ভোলার বোরহানউদ্দিনে, কখনো কুমিল্লার কোরবানপুর গ্রামে। এ হামলা, আক্রমণ ও বর্বরতা একই ধরনের। ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে উত্তেজিত করে তান্ডব চালানো হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু প্রতিটি ঘটনায় সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। বরং কোথাও কোথাও এসব ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ইন্ধনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের যেভাবে সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন ছিল, সে দায়িত্ব সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ পালন করতে পারেনি।

অথচ বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতায় জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।’ ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট যারা জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল, তারা ছিল স্বাধীনতাবিরোধী ’৭১-এর পরাজিত শক্তি। ’৭৫-এর পর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উল্টো পথে চলতে শুরু করে। জিয়াউর রহমান সামরিক ফরমানবলে সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ উপড়ে ফেলেন। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আবার চালু করেন। জিয়ার কল্যাণেই স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মান্ধ ফ্যাসিস্ট দল জামায়াতে ইসলামী আবার বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। যুদ্ধাপরাধের শিরোমণি গোলাম আযমকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন জিয়া। এ সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হয়। আওয়ামী লীগ ‘মুসলমানবিদ্বেষী’। আওয়ামী লীগ হিন্দুদের দল, আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল- এ কুৎসিত মিথ্যাচার মানুষের মননে এবং মগজে ঢোকানোর এক নিবিড় পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চলে দীর্ঘ ২১ বছর। ’৭৫-এর পর আওয়ামী লীগের নেতারাও এসব ধর্মীয় অপপ্রচারে বিভ্রান্তিতে পড়েন। নিজেদের ‘মুসলমান’ প্রমাণে মরিয়া হয়ে ওঠেন কেউ কেউ। ধর্ম ও রাজনীতির ককটেলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও আসক্ত হন। বঙ্গবন্ধু যেভাবে দৃঢ়চিত্তে অকপটে ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলতেন, যেভাবে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতেন সে পথ থেকে সরে আসে আওয়ামী লীগ। এ কথা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই, শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধের বিচার করে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার অদম্য দৃঢ়তার জন্যই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা যতই অবিচল থাকুন না কেন আওয়ামী লীগের ভিতরই মৌলবাদী গোষ্ঠী বাসা বেঁধেছে। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম নামের মৌলবাদী গোষ্ঠী ঢাকায় তান্ডব চালাল। আওয়ামী লীগ সরকার সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিল। তার পরই কোথায় যেন ছন্দপতন হলো। হেফাজতের তান্ডবকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো চলে গেল হিমাগারে। হেফাজতের সঙ্গে প্রকাশ্যে গোপনে এক সখ্য তৈরি হলো আওয়ামী লীগের কারও কারও। হেফাজতের দাবিতে পাল্টে গেল পাঠ্যপুস্তক। হেফাজতের আমির আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজত যেন আরও উগ্রবাদী হয়ে উঠল। কথায় কথায় সরকারকে আলটিমেটাম দেয়। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে হেফাজত যে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে, যেভাবে এর বিরোধিতা করেছে তা আওয়ামী লীগ কীভাবে সহ্য করল আমার বোধগম্য নয়। এ সময় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই এ নিয়ে কথা বলতে ইতস্তত করেছেন। এরপর এলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে বিতর্ক। এ সময়ও আওয়ামী লীগ যতটা পেরেছে সংযত থেকেছে। আওয়ামী লীগ কি তাহলে হেফাজতের সঙ্গে সহাবস্থানের নীতি নিয়েছে? আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই ইনিয়ে-বিনিয়ে এ নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা আমাকে বলেছেন হেফাজত কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক একটি সংগঠন। এর কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। বরং হেফাজতকে বশে রাখতে পারলে বিএনপি-জামায়াত এ শক্তিকে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থে ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন নবিশ শিক্ষার্থীও জানেন, হেফাজত একটি ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি। এরা আর যা-ই হোক আওয়ামী লীগের মিত্র হবে না। সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগকেই ছোবল মারবে। হেফাজতের সঙ্গে বা কোনো মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ আপস করলে তা আওয়ামী লীগের জন্যই ক্ষতির কারণ হবে। এখন হেফাজত কথায় কথায় হুমকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে যতই কঠোর হোক হেফাজতের ব্যাপারে অভূতপূর্ব সহনশীলতা দেখাচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার বোধহয় হেফাজতকে ভয় পায়। ফলে হেফাজতের আড়ালে আবার স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী গোষ্ঠী নীরবে ডালপালা মেলছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই চায়ের আড্ডায় বলতেন, জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধী ইস্যু নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আওয়ামী লীগের ভোট কমবে। কিন্তু এসব শঙ্কাকে পাত্তা দেননি শেখ হাসিনা। ২০০৮-এর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করেছিলেন। এ দেশের মানুষ সে অঙ্গীকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়ও কতজন কত বিপদের শঙ্কার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির দন্ড কার্যকর হবে, এটা যেন অনেকের কাছে ছিল অসম্ভব একটা ব্যাপার। কিন্তু শেখ হাসিনা অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি হলে বাংলাদেশ ভেঙে পড়বে, মধ্যপ্রাচ্য নাখোশ হবে- এ রকম কত গল্প আমাদের শোনানো হয়েছিল। কই? কিছুই তো হয়নি। তাই হেফাজতের প্রতি সহানুভূতিশীলতা সরকারের আদর্শিক চেতনায় প্রশ্ন তুলেছে। আদর্শের প্রশ্নে অবিচল ব্যক্তি এবং সংগঠনকেই মানুষ পছন্দ করে, ভালোবাসে। এ কারণেই ৭২ বছরেও আওয়ামী লীগ সজীব, সতেজ, জনপ্রিয়। প্রগতি, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাই আওয়ামী লীগের পরিচয়। আর ধর্মান্ধ মৌলবাদী যে কোনো সংগঠন বা গোষ্ঠীই হলো প্রগতির বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে। এরা কখনো কোনো দিন আওয়ামী লীগের বন্ধু হতে পারে না। আওয়ামী লীগ যদি ভুলেও তাদের আপন মনে করে তা হলেই তারা আওয়ামী লীগের ঘাড় মটকাবে। আমি এবং আমার মতো বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন শেখ হাসিনা কোনো দিন মৌলবাদী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস করবেন না। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা-আদর্শ শেখ হাসিনা ধারণ করেন। নিজের জীবন থাকতে তিনি বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে একচুলও সরবেন না। কিন্তু আমার ভয় অন্য জায়গায়। ইদানীং আওয়ামী লীগে ব্যাপক অনুপ্রবেশকারী ঢুকে গেছে। হঠাৎ বনে যাওয়া আওয়ামী লীগাররাই এখন আসল আওয়ামী লীগের চেয়ে ক্ষমতাবান। এসব ‘সুসময়ের আওয়ামী লীগের’ একটি বড় অংশই মৌলবাদী চিন্তা-চেতনার ধারক-বাহক। এরা আসলে ধর্মব্যবসায়ীদের এজেন্ট কিংবা মৌলবাদী গোষ্ঠীর অনুচর। এরা না বোঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, না জানে আওয়ামী লীগের নীতি। এদের লক্ষ্য একটাই- আওয়ামী লীগকে লক্ষ্যচ্যুত করা। নিজেদের আখের গোছানো। সুবিধাবাদী ও আপসকামিতার কারণে এরা অন্যায়কে যেমন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে না তেমনি একটু ধমক-হুমকিতেই ভড়কে যায়। ইদানীং আওয়ামী লীগে এসব ধর্মব্যবসায়ীর বাসা বাঁধার খবর পাওয়া যায়। এরা হেফাজত ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সখ্য করে নিরাপদে থাকতে চায়। এরা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা শুনলে কুঁচকে যায়। এরা ধর্মচর্চাকে পবিত্র অন্তঃকরণের কাজের চেয়ে লোক দেখানো কাজ মনে করে।

এরা না পড়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রাম, না জানে জাতির পিতার ভাবনা। এদের একটি বৃহৎ অংশ আওয়ামী লীগের ‘অতিথি পাখি’। এরা ছাড়াও প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। এরা মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা বলে, মনে হেফাজতকে সমর্থন করে। এরা প্রশাসনে, সরকারের নীতিতে মৌলবাদী চেতনার অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে। এ সংঘবদ্ধ ভয়ংকর শক্তির কারণেই সরকার হেফাজতের সঙ্গে সখ্য করে। এদের জন্যই হেফাজতের তান্ডবের বিচার হয় না। এদের মূল লক্ষ্য আসলে হেফাজতকে পৃষ্ঠপোষকতা নয়। মূল লক্ষ্য হলো আওয়ামী লীগকেই হেফাজত বানানো। এরা আওয়ামী লীগকে ১৯৫৫-এর আগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

বাংলাদেশ ৫১-এ পা রেখেছে। কিন্তু আমাদের যুদ্ধটা এখনো শেষ হয়নি। যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদরদের সন্তানরা এখন দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ রাজাকার যুদ্ধাপরাধীরাই ’৭১-এ ভারতের জুজু দেখিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। এখন যারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের অকারণ বিরোধিতা করছে তারা একই সূত্রে গাঁথা। দুই বিরোধিতা শেষ পর্যন্ত একবিন্দুতে মিলিত হয়। এরা আসলে বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করতে চায়। এদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজন আরেকটি যুদ্ধ। না হলে এরা আওয়ামী লীগকেও একটি সাম্প্রদায়িক দল বানিয়ে ফেলবে। ধ্বংস করবে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। আর এজন্যই আওয়ামী লীগ এবং শুভবুদ্ধির মানুষের জাগরণ খুব জরুরি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ মানে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও। এটি যদি আওয়ামী লীগ ভুলে যায় তাহলে আওয়ামী লীগ আবার আওয়ামী মুসলিম লীগ হয়ে যাবে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
থানায় হামলা
থানায় হামলা
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
সর্বশেষ খবর
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা

৫৪ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আশুরার দিনের ফজিলত
আশুরার দিনের ফজিলত

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান
ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি
আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)
যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল
৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা
ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’
মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো
যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১
পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে
অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা
পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান
নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ
শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান
এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন
যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’
‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা
অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা
আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা

নগর জীবন

ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে
ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে

নগর জীবন

মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু
মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু

শোবিজ

রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়
রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য
নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য

শোবিজ

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেখা হবে এশিয়ান কাপে
দেখা হবে এশিয়ান কাপে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা

পেছনের পৃষ্ঠা

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক
বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক

প্রথম পৃষ্ঠা

তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা
তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা

মাঠে ময়দানে

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ
ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ডিজে তানিয়া বৃষ্টি
ডিজে তানিয়া বৃষ্টি

শোবিজ

নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের
নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের

নগর জীবন

বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা
বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা

শোবিজ

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা