শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

আওয়ামী লীগ কি আবার ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ হবে?

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
আওয়ামী লীগ কি আবার ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ হবে?

জনগণকে ‘ইসলাম ও মুসলমানের নামে স্লোগান দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যায় না। ধর্মপ্রাণ বাঙালি মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে, কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ২৫৮; শেখ মুজিবুর রহমান)।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের মূল ভিত্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম অসাম্প্রদায়িক চেতনা। ধর্মান্ধ, মৌলবাদ এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান, বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙালি’- এ সেøাগান বুকে ধারণ করেই এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। জীবন উৎসর্গ করেছিল। আজ বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করল, তখন যদি আমরা ফিরে তাকাই তাহলে একটু হতাশই হতে হয়। হতাশা মাঝেমধ্যে আতঙ্কের রূপ পরিগ্রহ করে। যেমন আতঙ্কিত হলাম ১৭ মার্চ। ওই দিনই শুরু হলো মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনের অনুষ্ঠান। দিনটি জাতির পিতার ১০২তম জন্মদিন। ওই দিন সুনামগঞ্জের শাল্লায় নারকীয় তান্ডব ঘটানো হলো। হিন্দু অধ্যুষিত একটি গ্রামে চালানো হলো সন্ত্রাসী হামলা। লুটপাট করা হলো সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি। সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী ওই দিন অন্তত ৮৮ বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার অজুহাতে এ তান্ডব চালানো হয়। অথচ যে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েছিল, তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এখানে দুটি প্রশ্ন। প্রথম প্রশ্ন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা কি অপরাধ? দ্বিতীয় প্রশ্ন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কি অপরাধ নয়?

এ তান্ডব ঘটানোর আগে মৌলবাদী ওই নেতা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। অর্থাৎ লুটপাট ও বাড়ি ভাঙচুরের মদদদাতা মামুনুল।

বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে আমরা মৌলবাদী, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর আস্ফালন দেখছি। কথায় কথায় তারা হুমকি দিচ্ছে। সরকারকে আলটিমেটাম দিচ্ছে। ধমক দিচ্ছে। সরকারের মধ্যে একটি অংশ আবার প্রকাশ্যেই এদের সঙ্গে সমঝোতা করছে, তোয়াজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকার গত এক যুগ ধরে ক্ষমতায়। সংসদে এবং রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বড় রাজনৈতিক চাপ নেই। জনগণের মধ্যেও এ সরকার নিয়ে বড় ধরনের অস্বস্তি নেই। তার পরও কেন আওয়ামী লীগ মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আপস আপস খেলছে? আওয়ামী লীগ কি তাহলে তার মৌলিক অবস্থান পরিবর্তন করেছে? আওয়ামী লীগ কি তার অসাম্প্রদায়িক অবস্থান থেকে সরে এসেছে?

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ‘বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠিত হয়েছিল। মুসলিম লীগের দুঃশাসন, দমননীতি এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতিবাদই ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগের ভূমিষ্ঠ হওয়ার মূল প্রেরণা। ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এখান থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলটির নবযাত্রার সূচনা। জাতির পিতার বক্তব্য, বিবৃতি, লেখালেখি পড়লে দেখা যায় তিনি ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ঘৃণা করতেন। এ ধারার বিরুদ্ধেই তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতেই বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার কর্মীরা যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করে।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ২৫৮)।

বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ধর্মীয় অপশক্তির বিরুদ্ধে। ১৯৭১-এর ৩ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগের এমপি এবং এমএনএদের শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের একটি রূপকল্প উপস্থাপন করেছিলেন। তাঁর ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এ দেশে ইসলাম, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবই থাকবে এবং বাংলাদেশও থাকবে। হিন্দু বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে গত এক দশকে যে অত্যাচার হয়েছে তার অবসান হবে।’ (সূত্র : শেখ মুজিব; বাংলাদেশের আরেক নাম ড : আতিউর রহমান, পৃষ্ঠা ২১৯)।

জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার করেই আওয়ামী লীগ গত এক যুগ টানা ক্ষমতায়। কিন্তু এ সময়ে হিন্দু-বৌদ্ধদের ওপর থেমে থেমে মৌলবাদী শক্তির আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বৌদ্ধপল্লীর বসতবাড়ি। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর পাবনার সাঁথিয়ার হিন্দুপল্লী বনগ্রাম আক্রান্ত হয়। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল আক্রমণ করা হয় কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বাঘসীতারামপুরে। এভাবেই চলছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে আক্রমণ। কখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে, কখনো রংপুরের গঙ্গাচড়ার ঠাকুরপাড়ায়, কখনো ভোলার বোরহানউদ্দিনে, কখনো কুমিল্লার কোরবানপুর গ্রামে। এ হামলা, আক্রমণ ও বর্বরতা একই ধরনের। ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে উত্তেজিত করে তান্ডব চালানো হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু প্রতিটি ঘটনায় সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। বরং কোথাও কোথাও এসব ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ইন্ধনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের যেভাবে সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন ছিল, সে দায়িত্ব সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ পালন করতে পারেনি।

অথচ বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতায় জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।’ ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট যারা জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল, তারা ছিল স্বাধীনতাবিরোধী ’৭১-এর পরাজিত শক্তি। ’৭৫-এর পর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উল্টো পথে চলতে শুরু করে। জিয়াউর রহমান সামরিক ফরমানবলে সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ উপড়ে ফেলেন। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আবার চালু করেন। জিয়ার কল্যাণেই স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মান্ধ ফ্যাসিস্ট দল জামায়াতে ইসলামী আবার বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। যুদ্ধাপরাধের শিরোমণি গোলাম আযমকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন জিয়া। এ সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হয়। আওয়ামী লীগ ‘মুসলমানবিদ্বেষী’। আওয়ামী লীগ হিন্দুদের দল, আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল- এ কুৎসিত মিথ্যাচার মানুষের মননে এবং মগজে ঢোকানোর এক নিবিড় পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চলে দীর্ঘ ২১ বছর। ’৭৫-এর পর আওয়ামী লীগের নেতারাও এসব ধর্মীয় অপপ্রচারে বিভ্রান্তিতে পড়েন। নিজেদের ‘মুসলমান’ প্রমাণে মরিয়া হয়ে ওঠেন কেউ কেউ। ধর্ম ও রাজনীতির ককটেলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও আসক্ত হন। বঙ্গবন্ধু যেভাবে দৃঢ়চিত্তে অকপটে ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলতেন, যেভাবে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতেন সে পথ থেকে সরে আসে আওয়ামী লীগ। এ কথা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই, শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধের বিচার করে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার অদম্য দৃঢ়তার জন্যই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা যতই অবিচল থাকুন না কেন আওয়ামী লীগের ভিতরই মৌলবাদী গোষ্ঠী বাসা বেঁধেছে। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম নামের মৌলবাদী গোষ্ঠী ঢাকায় তান্ডব চালাল। আওয়ামী লীগ সরকার সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিল। তার পরই কোথায় যেন ছন্দপতন হলো। হেফাজতের তান্ডবকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো চলে গেল হিমাগারে। হেফাজতের সঙ্গে প্রকাশ্যে গোপনে এক সখ্য তৈরি হলো আওয়ামী লীগের কারও কারও। হেফাজতের দাবিতে পাল্টে গেল পাঠ্যপুস্তক। হেফাজতের আমির আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজত যেন আরও উগ্রবাদী হয়ে উঠল। কথায় কথায় সরকারকে আলটিমেটাম দেয়। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে হেফাজত যে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে, যেভাবে এর বিরোধিতা করেছে তা আওয়ামী লীগ কীভাবে সহ্য করল আমার বোধগম্য নয়। এ সময় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই এ নিয়ে কথা বলতে ইতস্তত করেছেন। এরপর এলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে বিতর্ক। এ সময়ও আওয়ামী লীগ যতটা পেরেছে সংযত থেকেছে। আওয়ামী লীগ কি তাহলে হেফাজতের সঙ্গে সহাবস্থানের নীতি নিয়েছে? আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই ইনিয়ে-বিনিয়ে এ নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা আমাকে বলেছেন হেফাজত কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক একটি সংগঠন। এর কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। বরং হেফাজতকে বশে রাখতে পারলে বিএনপি-জামায়াত এ শক্তিকে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থে ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন নবিশ শিক্ষার্থীও জানেন, হেফাজত একটি ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি। এরা আর যা-ই হোক আওয়ামী লীগের মিত্র হবে না। সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগকেই ছোবল মারবে। হেফাজতের সঙ্গে বা কোনো মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ আপস করলে তা আওয়ামী লীগের জন্যই ক্ষতির কারণ হবে। এখন হেফাজত কথায় কথায় হুমকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে যতই কঠোর হোক হেফাজতের ব্যাপারে অভূতপূর্ব সহনশীলতা দেখাচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার বোধহয় হেফাজতকে ভয় পায়। ফলে হেফাজতের আড়ালে আবার স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী গোষ্ঠী নীরবে ডালপালা মেলছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই চায়ের আড্ডায় বলতেন, জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধী ইস্যু নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আওয়ামী লীগের ভোট কমবে। কিন্তু এসব শঙ্কাকে পাত্তা দেননি শেখ হাসিনা। ২০০৮-এর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করেছিলেন। এ দেশের মানুষ সে অঙ্গীকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়ও কতজন কত বিপদের শঙ্কার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির দন্ড কার্যকর হবে, এটা যেন অনেকের কাছে ছিল অসম্ভব একটা ব্যাপার। কিন্তু শেখ হাসিনা অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি হলে বাংলাদেশ ভেঙে পড়বে, মধ্যপ্রাচ্য নাখোশ হবে- এ রকম কত গল্প আমাদের শোনানো হয়েছিল। কই? কিছুই তো হয়নি। তাই হেফাজতের প্রতি সহানুভূতিশীলতা সরকারের আদর্শিক চেতনায় প্রশ্ন তুলেছে। আদর্শের প্রশ্নে অবিচল ব্যক্তি এবং সংগঠনকেই মানুষ পছন্দ করে, ভালোবাসে। এ কারণেই ৭২ বছরেও আওয়ামী লীগ সজীব, সতেজ, জনপ্রিয়। প্রগতি, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাই আওয়ামী লীগের পরিচয়। আর ধর্মান্ধ মৌলবাদী যে কোনো সংগঠন বা গোষ্ঠীই হলো প্রগতির বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে। এরা কখনো কোনো দিন আওয়ামী লীগের বন্ধু হতে পারে না। আওয়ামী লীগ যদি ভুলেও তাদের আপন মনে করে তা হলেই তারা আওয়ামী লীগের ঘাড় মটকাবে। আমি এবং আমার মতো বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন শেখ হাসিনা কোনো দিন মৌলবাদী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস করবেন না। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা-আদর্শ শেখ হাসিনা ধারণ করেন। নিজের জীবন থাকতে তিনি বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে একচুলও সরবেন না। কিন্তু আমার ভয় অন্য জায়গায়। ইদানীং আওয়ামী লীগে ব্যাপক অনুপ্রবেশকারী ঢুকে গেছে। হঠাৎ বনে যাওয়া আওয়ামী লীগাররাই এখন আসল আওয়ামী লীগের চেয়ে ক্ষমতাবান। এসব ‘সুসময়ের আওয়ামী লীগের’ একটি বড় অংশই মৌলবাদী চিন্তা-চেতনার ধারক-বাহক। এরা আসলে ধর্মব্যবসায়ীদের এজেন্ট কিংবা মৌলবাদী গোষ্ঠীর অনুচর। এরা না বোঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, না জানে আওয়ামী লীগের নীতি। এদের লক্ষ্য একটাই- আওয়ামী লীগকে লক্ষ্যচ্যুত করা। নিজেদের আখের গোছানো। সুবিধাবাদী ও আপসকামিতার কারণে এরা অন্যায়কে যেমন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে না তেমনি একটু ধমক-হুমকিতেই ভড়কে যায়। ইদানীং আওয়ামী লীগে এসব ধর্মব্যবসায়ীর বাসা বাঁধার খবর পাওয়া যায়। এরা হেফাজত ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সখ্য করে নিরাপদে থাকতে চায়। এরা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা শুনলে কুঁচকে যায়। এরা ধর্মচর্চাকে পবিত্র অন্তঃকরণের কাজের চেয়ে লোক দেখানো কাজ মনে করে।

এরা না পড়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রাম, না জানে জাতির পিতার ভাবনা। এদের একটি বৃহৎ অংশ আওয়ামী লীগের ‘অতিথি পাখি’। এরা ছাড়াও প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। এরা মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা বলে, মনে হেফাজতকে সমর্থন করে। এরা প্রশাসনে, সরকারের নীতিতে মৌলবাদী চেতনার অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে। এ সংঘবদ্ধ ভয়ংকর শক্তির কারণেই সরকার হেফাজতের সঙ্গে সখ্য করে। এদের জন্যই হেফাজতের তান্ডবের বিচার হয় না। এদের মূল লক্ষ্য আসলে হেফাজতকে পৃষ্ঠপোষকতা নয়। মূল লক্ষ্য হলো আওয়ামী লীগকেই হেফাজত বানানো। এরা আওয়ামী লীগকে ১৯৫৫-এর আগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

বাংলাদেশ ৫১-এ পা রেখেছে। কিন্তু আমাদের যুদ্ধটা এখনো শেষ হয়নি। যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদরদের সন্তানরা এখন দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ রাজাকার যুদ্ধাপরাধীরাই ’৭১-এ ভারতের জুজু দেখিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। এখন যারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের অকারণ বিরোধিতা করছে তারা একই সূত্রে গাঁথা। দুই বিরোধিতা শেষ পর্যন্ত একবিন্দুতে মিলিত হয়। এরা আসলে বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করতে চায়। এদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজন আরেকটি যুদ্ধ। না হলে এরা আওয়ামী লীগকেও একটি সাম্প্রদায়িক দল বানিয়ে ফেলবে। ধ্বংস করবে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। আর এজন্যই আওয়ামী লীগ এবং শুভবুদ্ধির মানুষের জাগরণ খুব জরুরি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ মানে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও। এটি যদি আওয়ামী লীগ ভুলে যায় তাহলে আওয়ামী লীগ আবার আওয়ামী মুসলিম লীগ হয়ে যাবে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্নীতি কমেছে
দুর্নীতি কমেছে
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
রসুল (সা.)-এর দাওয়াত
রসুল (সা.)-এর দাওয়াত
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আমাদের করণীয়
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আমাদের করণীয়
বাক্‌স্বাধীনতা কারও দয়ার দান নয়
বাক্‌স্বাধীনতা কারও দয়ার দান নয়
একাত্তরের গৌরব ছিল দেশপ্রেম
একাত্তরের গৌরব ছিল দেশপ্রেম
দারিদ্র্য ভয়ংকর
দারিদ্র্য ভয়ংকর
রাজনৈতিক সংকট
রাজনৈতিক সংকট
নবীজি (সা.)-এর সিরাতে আছে আমাদের মুক্তির দিশা
নবীজি (সা.)-এর সিরাতে আছে আমাদের মুক্তির দিশা
অবারিত হোক ইতিহাসের পথ
অবারিত হোক ইতিহাসের পথ
ঋণ প্রবৃদ্ধি
ঋণ প্রবৃদ্ধি
বিচার বিভাগ
বিচার বিভাগ
সর্বশেষ খবর
যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধিবেশনে যাচ্ছেন না মোদি
যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধিবেশনে যাচ্ছেন না মোদি

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেষ বলে অ্যান্টিগার জয়, ব্যাটে-বলে ব্যর্থ সাকিব
শেষ বলে অ্যান্টিগার জয়, ব্যাটে-বলে ব্যর্থ সাকিব

৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে পিএসজি কোচ
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে পিএসজি কোচ

৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচন না হলে পাঁচ সংকটে পড়বে দেশ
নির্বাচন না হলে পাঁচ সংকটে পড়বে দেশ

৮ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

ঢাকার বাতাস আজ সহনীয়
ঢাকার বাতাস আজ সহনীয়

১০ মিনিট আগে | নগর জীবন

কে হবেন বশিরের রানিংমেট
কে হবেন বশিরের রানিংমেট

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

রসুল (সা.)-এর দাওয়াত
রসুল (সা.)-এর দাওয়াত

৫২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

এস্তোনিয়াকে উড়িয়ে দিল ইতালি
এস্তোনিয়াকে উড়িয়ে দিল ইতালি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ৫৪তম জশনে জুলুস
চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ৫৪তম জশনে জুলুস

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

থুতু কাণ্ডে সুয়ারেজের ৬ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা, বুসকেতস-আভিলেসও শাস্তির মুখে
থুতু কাণ্ডে সুয়ারেজের ৬ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা, বুসকেতস-আভিলেসও শাস্তির মুখে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভেনেজুয়েলায় যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, দাবি রিপোর্টে
ভেনেজুয়েলায় যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, দাবি রিপোর্টে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজারকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল মরক্কো
নাইজারকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল মরক্কো

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে নাদেলসহ সাড়ে ৩শ' জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে নাদেলসহ সাড়ে ৩শ' জনের বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

থুতু কাণ্ডে ক্ষমা চাইলেন সুয়ারেজ
থুতু কাণ্ডে ক্ষমা চাইলেন সুয়ারেজ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কর ফাঁকির অভিযোগে ব্রিটেনের উপপ্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
কর ফাঁকির অভিযোগে ব্রিটেনের উপপ্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে চারজনের মৃত্যু
বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে চারজনের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রৌমারীতে অটোভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত
রৌমারীতে অটোভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে বিএনপি’র দুইপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৮
মুন্সিগঞ্জে বিএনপি’র দুইপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৮

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টমটম চালক সোহেল হত্যা মামলার মূলহোতা গ্রেফতার
টমটম চালক সোহেল হত্যা মামলার মূলহোতা গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারত দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে, দাবি মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর
ভারত দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে, দাবি মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নওগাঁ ডিবির ওসি নিহত, স্ত্রী আহত
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নওগাঁ ডিবির ওসি নিহত, স্ত্রী আহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মনে হচ্ছে ‘অন্ধকারতম’ চীনের কাছে ভারত-রাশিয়াকে হারিয়েছি : ট্রাম্প
মনে হচ্ছে ‘অন্ধকারতম’ চীনের কাছে ভারত-রাশিয়াকে হারিয়েছি : ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ যেমন থাকবে আবহাওয়া
আজ যেমন থাকবে আবহাওয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

করিমগঞ্জে সালিশি দরবারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
করিমগঞ্জে সালিশি দরবারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আয়ারল্যান্ড সফরে ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন কক্স
আয়ারল্যান্ড সফরে ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন কক্স

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পঞ্চগড়ে মহিলা দলের মতবিনিময় সভা
পঞ্চগড়ে মহিলা দলের মতবিনিময় সভা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৬ সেপ্টেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, আহত ২
কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, আহত ২

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলা ভাষায় সিরাতচর্চায় অমুসলিমদের অবদান
বাংলা ভাষায় সিরাতচর্চায় অমুসলিমদের অবদান

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ডিআর কঙ্গোতে সংঘাতে সব পক্ষই যুদ্ধাপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
ডিআর কঙ্গোতে সংঘাতে সব পক্ষই যুদ্ধাপরাধ করেছে: জাতিসংঘ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
মুনিয়ার বোনকে গ্রেফতারের দাবি ইলিয়াসের
মুনিয়ার বোনকে গ্রেফতারের দাবি ইলিয়াসের

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দামি ঘড়ি-আইপ্যাড ফিরিয়ে দিলেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির
দামি ঘড়ি-আইপ্যাড ফিরিয়ে দিলেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তেজনা বাড়িয়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপর দিয়ে ২ যুদ্ধবিমান উড়াল ভেনেজুয়েলা
উত্তেজনা বাড়িয়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপর দিয়ে ২ যুদ্ধবিমান উড়াল ভেনেজুয়েলা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবারও ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবারও ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফোনে যেসব নম্বর থেকে কল পেলেই বুঝবেন জিমেইল হ্যাকের চেষ্টা চলছে
ফোনে যেসব নম্বর থেকে কল পেলেই বুঝবেন জিমেইল হ্যাকের চেষ্টা চলছে

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

নুরাল পাগলার মরদেহে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে
নুরাল পাগলার মরদেহে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো লতিফ সিদ্দিকীর ভাইকে
বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো লতিফ সিদ্দিকীর ভাইকে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের পাশে শুয়ে রাত কাটালেন উপাচার্য
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের পাশে শুয়ে রাত কাটালেন উপাচার্য

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিরাপত্তা শঙ্কায় বিসিবি সভাপতি, গানম্যান চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি
নিরাপত্তা শঙ্কায় বিসিবি সভাপতি, গানম্যান চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আবদুল কাদেরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ছাত্রদল সভাপতির
আবদুল কাদেরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ছাত্রদল সভাপতির

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এসএসসি ও সমমানের বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
এসএসসি ও সমমানের বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৩০ বাংলাদেশি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৩০ বাংলাদেশি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে, দাবি মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর
ভারত দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে, দাবি মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আফগানিস্তানে জরুরি ত্রাণ সহায়তা পাঠাল বাংলাদেশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আফগানিস্তানে জরুরি ত্রাণ সহায়তা পাঠাল বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসুতে জিএস পদে বাকেরকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন মাহিন
ডাকসুতে জিএস পদে বাকেরকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন মাহিন

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মেসিদের সঙ্গে লাতিন অঞ্চলে আরও যাদের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত
মেসিদের সঙ্গে লাতিন অঞ্চলে আরও যাদের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হুন্দাই কারখানায় ট্রাম্প বাহিনীর অভিযান, ক্ষেপেছে দক্ষিণ কোরিয়া
হুন্দাই কারখানায় ট্রাম্প বাহিনীর অভিযান, ক্ষেপেছে দক্ষিণ কোরিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণে সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবে লেবানন
হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণে সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবে লেবানন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগ ভারতপন্থী, বিএনপিকে ট্যাগ দিবেন না : রিজভী
খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগ ভারতপন্থী, বিএনপিকে ট্যাগ দিবেন না : রিজভী

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা মোতায়েন, পুতিনের হুঁশিয়ারি
ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা মোতায়েন, পুতিনের হুঁশিয়ারি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভুয়া আর্থিক প্রণোদনা নিয়ে সতর্ক করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
ভুয়া আর্থিক প্রণোদনা নিয়ে সতর্ক করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেন্টাগনকে ‘যুদ্ধ দফতর’ হিসেবে পরিচিত করানোর আদেশ ট্রাম্পের
পেন্টাগনকে ‘যুদ্ধ দফতর’ হিসেবে পরিচিত করানোর আদেশ ট্রাম্পের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাড়ে তিন হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সাড়ে তিন হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাইফুর রহমান না থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তো: ড. মঈন খান
সাইফুর রহমান না থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তো: ড. মঈন খান

১৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

মনে হচ্ছে ‘অন্ধকারতম’ চীনের কাছে ভারত-রাশিয়াকে হারিয়েছি : ট্রাম্প
মনে হচ্ছে ‘অন্ধকারতম’ চীনের কাছে ভারত-রাশিয়াকে হারিয়েছি : ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৈষম্যের ক্ষোভে উত্তাল ইন্দোনেশিয়া: বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলো কী?
বৈষম্যের ক্ষোভে উত্তাল ইন্দোনেশিয়া: বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলো কী?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভেনেজুয়েলায় যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, দাবি রিপোর্টে
ভেনেজুয়েলায় যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, দাবি রিপোর্টে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বস্তায় আদা চাষ
বস্তায় আদা চাষ

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা
পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাপানি গাড়ির শুল্ক প্রায় অর্ধেক কমালেন ট্রাম্প
জাপানি গাড়ির শুল্ক প্রায় অর্ধেক কমালেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
এবার বিএনপির সমাবেশে অপু বিশ্বাস
এবার বিএনপির সমাবেশে অপু বিশ্বাস

প্রথম পৃষ্ঠা

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন
কবর থেকে লাশ তুলে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

অর্ধশত আসনে কাটাছেঁড়া
অর্ধশত আসনে কাটাছেঁড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

খাদের কিনারে পর্যটন খাত
খাদের কিনারে পর্যটন খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাটারি রিকশার দখলে ঢাকা
ব্যাটারি রিকশার দখলে ঢাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্রিটিশ নাগরিকত্বের আড়ালে টিউলিপের বাণিজ্য
ব্রিটিশ নাগরিকত্বের আড়ালে টিউলিপের বাণিজ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর বিএনপি
শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আমার কাছে চিঠি এলো ওপারে যাবার
আমার কাছে চিঠি এলো ওপারে যাবার

শোবিজ

নুরের শারীরিক অবস্থার অবনতি
নুরের শারীরিক অবস্থার অবনতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে আবাসিক হলে জমজমাট প্রচার
ছুটির দিনে আবাসিক হলে জমজমাট প্রচার

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বসুন্ধরা আবাসিকে দেশের প্রথম ‘টগি টয়স’-এর যাত্রা
বসুন্ধরা আবাসিকে দেশের প্রথম ‘টগি টয়স’-এর যাত্রা

নগর জীবন

বিএনপির ছয় প্রার্থী মাঠে জামায়াতের একক
বিএনপির ছয় প্রার্থী মাঠে জামায়াতের একক

নগর জীবন

জামায়াতকে ক্ষমা চাইতে বললেন ফারুক
জামায়াতকে ক্ষমা চাইতে বললেন ফারুক

প্রথম পৃষ্ঠা

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে কক্সবাজারে তুলকালাম
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে কক্সবাজারে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

মুনিয়ার বোনকে গ্রেপ্তারের দাবি ইলিয়াসের
মুনিয়ার বোনকে গ্রেপ্তারের দাবি ইলিয়াসের

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির তিন নেতার মনোনয়ন দৌড় অন্য দলগুলোর একক প্রার্থী
বিএনপির তিন নেতার মনোনয়ন দৌড় অন্য দলগুলোর একক প্রার্থী

নগর জীবন

গোয়ালন্দে লাশে অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় নয়
গোয়ালন্দে লাশে অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

লিটনদের এশিয়া কাপ মিশন
লিটনদের এশিয়া কাপ মিশন

মাঠে ময়দানে

অপুষ্টিতে দুই কোটি মানুষ
অপুষ্টিতে দুই কোটি মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাজ্যের সংসদে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা
যুক্তরাজ্যের সংসদে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

প্রথম পৃষ্ঠা

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী আনুতিন
থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী আনুতিন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো লতিফ সিদ্দিকীর ভাইকে
বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো লতিফ সিদ্দিকীর ভাইকে

নগর জীবন

টোডা বিলে লাল শাপলা
টোডা বিলে লাল শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির নোটিস
ছুটির নোটিস

প্রথম পৃষ্ঠা

১৭ ঘণ্টার অভিযানে অপহৃত শিশু উদ্ধার গ্রেপ্তার ১
১৭ ঘণ্টার অভিযানে অপহৃত শিশু উদ্ধার গ্রেপ্তার ১

নগর জীবন

গণপরিষদের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায় এনসিপি
গণপরিষদের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায় এনসিপি

নগর জীবন

নির্বাচনের বিকল্প নেই
নির্বাচনের বিকল্প নেই

নগর জীবন