শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৯ মে, ২০২১ আপডেট:

ফিরে দেখা ৫ মে ২০১৩ হেফাজতের তান্ডব

এ কে এম শহীদুল হক
প্রিন্ট ভার্সন
ফিরে দেখা ৫ মে ২০১৩ হেফাজতের তান্ডব

২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা শহরে হেফাজতে ইসলামের তান্ডবের কথা কার না মনে আছে। সে তান্ডবে নগরবাসী ছিল আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে। ওই দিন হেফাজতের ১৩ দফা দাবি আদায়ের জন্য ঢাকা অবরুদ্ধ করার কর্মসূচি ছিল। সকালের মধ্যেই ঢাকার ছয়টি প্রবেশদ্বার হেফাজতের দখলে চলে যায়। হেফাজতপন্থিরা সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করে। সমাবেশে হেফাজতি নেতাদের রূপ ছিল অতিবিপ্লবীর মতো। পবিত্র ইসলাম ধর্মে বিনয় ও শালীনতা রক্ষা করে কথা বলার নির্দেশ থাকলেও হেফাজতি নেতাদের মধ্যে দেখা যায় তার বিপরীত চিত্র। তারা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে অশালীনভাবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। আপত্তিকর কথা বলছিলেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কওমি মাদরাসার হাজার হাজার ছাত্র-শিক্ষক এনে সমাবেশে জমায়েত করেছিলেন। হেফাজতের কিছু নেতা শিক্ষক ও ছাত্রদের বুঝিয়েছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইসলাম ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ইসলাম রক্ষার জন্য ঢাকা যেতে হবে এ কথা বলে নেতারা তাদের ঢাকা এনেছিলেন। সমাবেশে অসংখ্য কোমলমতি শিশুও ছিল।

হেফাজতে ইসলামের চাহিদা মোতাবেক তাদের ঢাকার ছয়টি প্রবেশদ্বারে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তারা সমাবেশ করছিল। হঠাৎ তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফীর দোয়া মাহফিলের ঘোষণা দেয়। ঢাকায় ঢোকার বায়না ধরে। এতে পুলিশ কর্মকর্তাদের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। ডিএমপি তাদের প্রথমে ঢাকায় ঢুকতে অনুমতি দেয়নি। পরে সরকারের নির্দেশে দিতে বাধ্য হয়েছিল। তবে বায়তুল মোকাররম নয়। মতিঝিলের শাপলা চত্বরে। হেফাজতে ইসলাম মতিঝিলের শাপলা চত্বরে এসে দোয়া মাহফিল করে আসর নামাজের আগেই চলে যাবে এ শর্ত মেনে নেয়।

হেফাজতিরা ঢাকায় ঢুকল। কেউ কেউ শাপলা চত্বরে গেল। আবার হাজার হাজার উগ্র হেফাজতি জঙ্গি মিছিল ও উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের অফিস অভিমুখে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছিল। পুলিশের বাধায় আওয়ামী লীগের অফিসে যেতে না পেরে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে বোমা, ককটেল, ইট, পাথর, লাঠি ইত্যাদি দিয়ে আক্রমণ করেছে। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও শর্টগান দিয়ে জবাব দেয়।

হেফাজতিরা রাস্তার আইল্যান্ডগুলো সব ভেঙে ফেলে। করাত দিয়ে আইল্যান্ডের অসংখ্য গাছ কেটে ফেলে। বায়তুল মোকাররমের উত্তরের দোকানগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। বুকস্টলের বিপুলসংখ্যক কোরআন শরিফ ও ইসলামী পুস্তক পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রাস্তার দুই পাশে পার্কিং গাড়িগুলো ভাঙা ও পোড়ানোর মহোৎসবে মেতে উঠেছিল হেফাজতিরা। আগুনের লেলিহান শিখা পুরো এলাকায় দাউদাউ করে জ্বলছিল। পুলিশের স্থাপনায় আগুন দিয়েছে। শান্তিনগরের ডিসি ট্রাফিক অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। দোতলায় পুলিশ আটকা পড়ে আগুনে পুড়ে মারাত্মক আহত হয়। তাদের মধ্যে কনস্টেবল পেয়ারুল ইসলামের অবস্থা মুমূর্ষু ছিল। পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। খরচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বহন করেন। মতিঝিল ব্যাংক ও অফিসপাড়ায় লোকজন আটকা পড়ে। তারা চরম নিরাপত্তাহীনতা, ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে ছিল।

আসর নামাজের পর আল্লামা শফী দোয়া করে সভা শেষ করে দেওয়ার কথা। আসর গেল, মাগরিব গেল কিন্তু আহমদ শফী শাপলা চত্বরে এলেন না। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল শাপলা চত্বরে যেতে। কিন্তু তিনি লালবাগ মাদরাসা থেকে বের হতে চাচ্ছিলেন না। তাঁকে নানাজন নানা পরামর্শ দিচ্ছিল। অবশেষে মাগরিবের পর রওনা হলেন। পথিমধ্যে তাঁর এক সঙ্গীর কাছে ফোন এলো। কথা বললেন। গাড়ি ঘুরিয়ে লালবাগ মাদরাসায় ফিরে গেলেন। এদিকে শাপলা চত্বরে হেফাজতিদের জ্বালাময়ী বক্তব্য চলছিল। বক্তারা ১৩ দফা ভুলে গিয়ে এক দফা অর্থাৎ সরকারের পদত্যাগ দাবি করছিলেন।

সন্ধ্যার পর আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার এবং আমি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে গেলাম। পুলিশ কমিশনার বেনজীর ও অন্যান্য অফিসার উপস্থিত ছিলেন। স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও ছিলেন। পুলিশ কমিশনারকে খুব ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। আমাকে দেখে ডিএমপির একজন সিনিয়র অফিসার বললেন, ‘স্যার, শাপলা চত্বরে যাওয়া যাবে না, হাত দেওয়া যাবে না। ওখানে গেলে শত শত লোক শহীদ হয়ে যাবে।’ আমি তাকে ধমক দিয়ে বললাম, ‘এত কথা বল কেন? ওরা যদি শহীদ হতে চায় হবে। আমাদের কী করার আছে। ওদের ওখান থেকে যথাশিগগির সম্ভব তাড়িয়ে দিতেই হবে। বিকল্প কোনো চিন্তা করার দরকার নেই।’

ডিজি র‌্যাব মোখলেছুর রহমান, র‌্যাবের কর্নেল জিয়া ও বিজিবি অফিসাররা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে এলেন। সবার মধ্যেই উদ্বেগের ছাপ ছিল। আমি ডিসি মতিঝিল, ডিসি রমনা ও ডিসি লালবাগের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হচ্ছিলাম। পুলিশের মনোবল দৃঢ়ই ছিল। তাদের জিজ্ঞাসা করলাম উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে তাড়িয়ে দেওয়া যাবে কি না। সবাই সাহসের সঙ্গে বললেন, অবশ্যই তাড়ানো যাবে। কিন্তু সরকারের শীর্ষ মহল থেকে অভিযান চালানোর গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছিল না। আমি কয়েকবার আলাপ করে অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি অভিযানের অনুমতি দিচ্ছিলেন না। তাঁর আশঙ্কা ছিল ওখানে অভিযান চালালে প্রাণহানির সম্ভাবনা থাকবে।

এদিকে বিভিন্ন সূত্র থেকে গোপন তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল রাত শেষে ফজরের নামাজের পর বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা হেফাজতের সঙ্গে যোগ দিয়ে সরকার পতনের লক্ষ্যে সর্বাত্মক নাশকতামূলক কাজ চালানোর পরিকল্পনা করছে। এ অবস্থায় হেফাজতকে রাতের মধ্যেই শাপলা চত্বর থেকে তাড়িয়ে দেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ খোলা ছিল না। পুলিশ কমিশনার বেনজীর র‌্যাব ও বিজিবি অফিসারদের সঙ্গে আলাপ করে অপারেশন প্ল্যান প্রস্তুত করলেন। প্ল্যানে পূর্ব ও দক্ষিণ দিক খোলা রাখা হলো যাতে অপারেশন শুরু হলে হেফাজতের লোকজন দুই দিক দিয়ে পালিয়ে যেতে পারে।

অপারেশনের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইজিপি মহোদয়কে কথা বলার জন্য অনুরোধ করলাম। তিনি কথা বললেন ও নির্দেশনা নিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সিদ্ধান্ত হলো অভিযানে শুধু গ্যাস, শর্টগান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হবে। কোনোক্রমেই রাইফেলের গুলি ছোড়া যাবে না। একটি লোকেরও যাতে প্রাণহানি না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

রাত ১টার কিছু পরে (৬/৫/২০১৩ তারিখে) অভিযান শুরু হয়। সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। সমাবেশস্থলে থাকা জিহাদিরা ভয়ে দিগ্বিদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। দক্ষিণ দিক খোলা থাকায় সেদিকেই বেশি লোক পালিয়ে গিয়েছিল। পূর্ব দিকেও কিছু পালিয়ে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টার মধ্যে পুরো শাপলা চত্বর ও আশপাশ এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে। একটি লোকেরও প্রাণহানি হয়নি। সকালে দিলকুশা থেকে পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পিস্তলটিও পাওয়া যায়নি। সম্ভবত অভিযান চলাকালে সে যে কোনো কারণেই বিচ্ছিন্ন হয়ে হেফাজতিদের আক্রমণে পড়েছিল।

শাপলা চত্বরের রাতের অভিযানে হেফাজতে ইসলামের কোনো নেতা-কর্মীর প্রাণহানি না হলেও হেফাজতের কতিপয় নেতা ও স্বার্থান্বেষী মহল চরম মিথ্যাচার করে, প্রচার করে শাপলা চত্বরে শত শত লোক মারা গেছে। হাইতিতে ভূমিকম্পে নিহতদের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে প্রচার করে ওইগুলো শাপলা চত্বরে নিহতদের ছবি। অথচ চ্যালেঞ্জ দেওয়া সত্ত্বেও তারা শাপলা চত্বরে কথিত নিহত বা আহত একটি লোকের নামও জানাতে পারেনি। আসলে শাপলা চত্বরের অভিযানে একটি লোকেরও প্রাণহানি হয়নি।

হেফাজতের যেসব জিহাদি নেতা ধ্বংসাত্মক কাজে উসকানি দিয়েছে তার কয়েকজনকে গ্রেফতার করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করলাম। এত তান্ডব ও ধ্বংসলীলা চালাল অথচ একটি লোকও গ্রেফতার হবে না? সরকারের শীর্ষ মহলের অনুমতি না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। তবু আমি সাহস করে ডিসি লালবাগ হারুনকে নির্দেশ দিলাম হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে গ্রেফতার করে ডিবি অফিসে পাঠিয়ে দিতে। হারুন তাই করল। এতে তৎকালীন আইজিপি মহোদয় রুষ্ট হয়েছিলেন। আমি ডিবির জয়েন্ট কমিশনারকে বলেছিলাম বাবুনগরীকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে সব তথ্য বের করতে। কেন তাঁরা ওয়াদা ও শর্ত ভঙ্গ করে ঢাকা শহরে ঢুকলেন। কেন তাঁরা আসর নামাজের পর শাপলা চত্বর ত্যাগ করলেন না, কেন তাঁরা রাতে শাপলা চত্বরে অবস্থান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ইত্যাদি তথ্য তাঁর কাছ থেকে জেনে তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করতে নির্দেশ দিলাম।

ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতিদের তান্ডবের রহস্য পুলিশের কাছে অকপটে প্রকাশ করেন। পরে তিনি আদালতেও কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি জানান শাপলা চত্বরে সমাবেশ শুরুর আগে তিনি লালবাগ মাদরাসায় অবস্থানকালীন জানতে পারেন তাঁদের উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা বায়তুল মোকাররম, পুরানা পল্টন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, বিজয়নগরসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি, লুটতরাজ, পুলিশের ওপর হামলা ইত্যাদি অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। আল্লামা আহমদ শফীর হুকুমে তিনি প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করেন। তাঁদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে জানতে পারেন হেফাজতের কর্মী ছাড়াও মতিঝিল, পল্টন, বায়তুল মোকাররম ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী এবং ছাত্রদল ও যুবদলের ছেলেরা সহিংস ঘটনা ঘটাচ্ছে। একপর্যায়ে খবর আসে উচ্ছৃঙ্খল লোকজন বায়তুল মোকাররমের বইয়ের দোকানসহ কোরআন শরিফ পোড়াচ্ছে। এ সংবাদ শুনে তাঁরা বিচলিত হয়ে পড়েন। তখন তিনি সমাবেশস্থলে উপস্থিত মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মাঈনুদ্দীন রুহী প্রমুখের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের সহিংসতা বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু সহিংসতা বন্ধের কোনো ইচ্ছা তাঁদের ছিল না। তাঁরা বরং তাঁকে চুপচাপ থাকতে পরামর্শ দেন। তাঁরা আরও বলেন, তাঁদের আন্দোলন এখন আর ১৩ দফার মধ্যে নেই। এটা এখন এক দফা- সরকার পতনের আন্দোলন। তাঁরা তাঁকে জানান, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের লোকজন তাঁদের সর্বাত্মক সহায়তা করছেন। তাঁদের সঙ্গে হেফাজত নেতাদের কথাও হচ্ছে।

বাবুনগরী বলেন, তিনি মাগরিবের নামাজের পর লালবাগ মাদরাসা থেকে শাপলা চত্বরে সমাবেশস্থলে যান। তখন ওখানে মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবুল হাসানাত, মাওলানা আমিন মুস্তফা, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন একরাস, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা মাঈনুদ্দীন রুহী, মাওলানা শামছুল আলম, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, আমানুল কারি, ফজলুল কারি জিহাদি ও মুফতি হারুন ইজহার উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, নেতারা ১৩ দফা না মানা পর্যন্ত এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত শাপলা চত্বরে অবস্থান করতে থাকবেন বলে বক্তব্য দিতে থাকেন। নেতারা মাওলানা বাবুনগরীকে জানান তাঁরা ১৮-দলীয় জোটের কাছ থেকে ইতিমধ্যে টাকা পেয়েছেন। আরও টাকা পাবেন। আগামীকাল (৬ মে) শাপলা চত্বরে অবস্থানকালে ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবার সরবরাহ করবেন। তাঁরা বাবুনগরীকে চিন্তা না করতে বলেন। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা শাপলা চত্বরে অবস্থান করবেন।

হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত গোপন তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে বিএনপি-জামায়াতপন্থি হেফাজতে ইসলামের কিছু আলেম ১৮-দলীয় জোটের সঙ্গে আঁতাত করে হেফাজতের কর্মী ও সমর্থকদের ব্যবহার করে সরকার পতন ঘটাতে ষড়যন্ত্র করেছিল। সরকার পতন ঘটানো যে এত সহজ নয় তা তাঁদের বোধগম্য ছিল না।

৫ মে সারা রাত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুলিশি অভিযান তদারক করছিলেন। ওই দিন আমি লক্ষ্য করলাম আলেমওলামাদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যথেষ্ট সম্মান, সহমর্মিতা ও ভববষরহমং আছে। প্রাণহানির আশঙ্কায় তিনি শাপলা চত্বরে পুলিশি অভিযান চালাতে অনুমতি দিচ্ছিলেন না, হেফাজত নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করতে নিষেধ করেছিলেন, আল্লামা শফীকে নিরাপদে হাটহাজারীতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি কওমি মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের দীর্ঘদিনের দাবি দাওরা হাদিসকে মাস্টার্স ডিগ্রির মর্যাদা দিয়েছেন। অথচ একশ্রেণির মাওলানা সংকীর্ণ রাজনৈতিক কারণে জাতির পিতার কন্যা ধার্মিক শেখ হাসিনাকে চিনতে ব্যর্থ হয়েছেন।

২০১৩ সালের পর হেফাজতে ইসলাম তেমন কোনো বড় কর্মসূচি দেয়নি। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তারা চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ দেশের অন্যান্য স্থানে যে তান্ডব ও ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তা পাক বাহিনীকেও হার মানিয়েছে। হেফাজতের মধ্যে থাকা বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আলেমরাই এ তান্ডবের মাস্টারমাইন্ড। মাওলানা বাবুনগরী ২০১৩ সালের তান্ডবের দায় বিএনপি-জামায়াতপন্থি আলেমদের দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেননি। তারাই এখন ওই একই কাজ করছে। আসলে এ তান্ডবের দায় হেফাজতের সব নেতার। তাঁদের কঠোর আইনের আমলে আনা অপরিহার্য। জনমত তৈরির মাধ্যমে এ সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঠেকানো না গেলে দেশের গণতন্ত্র, শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে পড়বে। তাই সরকারকে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা বিশেষ করে স্বনামধন্য আলেমওলামাদের পরামর্শ ও সমর্থন নিয়ে এ উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং ধর্মব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণের পন্থা বের করতে হবে। তাদের ছাড় দেওয়া মানে উগ্রবাদ প্রশ্রয় দেওয়া। ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের দায়ীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত রাখাসহ যথাযথ আইন প্রয়োগই বাঞ্ছনীয়।

হেফাজত যদি তাদের সংগঠনে ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-বিএনপিপন্থি আলেমদের বের করতে না পারে তবে তারা এ ধরনের ষড়যন্ত্র করেই যাবে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে হেফাজত দিন দিন সাধারণ মানুষের কাছে একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পাবে এবং জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যের কোঠায় পৌঁছবে।

                লেখক : সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

এই মাত্র | রাজনীতি

মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক
মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ

৯ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল গ্রাম, নিখোঁজ অন্তত ১০
উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল গ্রাম, নিখোঁজ অন্তত ১০

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেফতার ১১
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেফতার ১১

১৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশি সমর্থকরা শীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে : শানাকা
বাংলাদেশি সমর্থকরা শীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে : শানাকা

২২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার

৩৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বয়স্কদের সুষম খাদ্য
বয়স্কদের সুষম খাদ্য

৩৬ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে আত্মহত্যা, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ
কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে আত্মহত্যা, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

তিন দফা দাবি মানল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা
তিন দফা দাবি মানল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কঙ্গোতে ইবোলার নতুন প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
কঙ্গোতে ইবোলার নতুন প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন
পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্ঘটনা, বোয়িং-হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা
এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্ঘটনা, বোয়িং-হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের
ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত
২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় ইংল্যান্ডের
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় ইংল্যান্ডের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর চরাঞ্চলে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত
নরসিংদীর চরাঞ্চলে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওষুধের আগ্রাসী বিপণনে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন
ওষুধের আগ্রাসী বিপণনে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রোনালদোকে ছাড়াই আল-নাসরের গোল উৎসব
রোনালদোকে ছাড়াই আল-নাসরের গোল উৎসব

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাঁদপুর কবরস্থানে নবজাতক রেখে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ
চাঁদপুর কবরস্থানে নবজাতক রেখে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই স্যান্টনার, দায়িত্বে ব্রেসওয়েল
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই স্যান্টনার, দায়িত্বে ব্রেসওয়েল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই
ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল
রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন