মঙ্গলবার, ১১ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনাভাইরাসের ঝুঁকি

জনসচেতনতা সৃষ্টির পদক্ষেপ নিন

মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাংলাদেশ এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। কেবল করোনাভাইরাস নয়, যে কোনো সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যসচেতনতা ও প্রস্তুতি সন্তোষজনক অবস্থা থেকে দূরে। সুতরাং করোনাভাইরাস মোকাবিলা ও প্রতিরোধে আমাদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্তদের সেবা দিতে রাতদিন কঠোর পরিশ্রম করছেন। সম্প্রতি ভারতীয় ভেরিয়েন্ট বহনকারী করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। ভারতে যাত্রী চলাচলে সীমান্ত বন্ধ থাকলেও আমদানি করা পণ্য নিয়ে স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশে আসছে শত শত ট্রাক। এসব ট্রাকের চালক ও সহকারীদের নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে সেজন্য ২৬ এপ্রিল থেকে সীমান্ত বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ। তারা বলছেন, করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হওয়া সবাই চিকিৎসাধীন আছেন, কারও অবস্থাই খারাপ নয়। এ ভেরিয়েন্ট দেশে ছড়িয়েছে কি না তা পরীক্ষার ওপর নির্ভর করবে। যে কয়েকজনের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে এ ফলাফল পাওয়া গেছে। এ ভেরিয়েন্ট অনেক বেশি সংক্রামক। নতুন ভেরিয়েন্ট নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর উদ্বিগ্ন ও সারা দেশের মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। বিপদ থেকে বাঁচতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরের সতর্কতা মানার বালাই নেই স্থলবন্দরগুলোয়। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০টি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ট্রাকচালক ও সহকারীদের স্বাস্থ্য স্থলবন্দর ঘিরে পরীক্ষা করা হচ্ছে অনভিজ্ঞ আনসার সদস্য দিয়ে। বন্দরের ভিতরে কোনো সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। বন্দর বা প্রশাসনের নেই তদারকির ব্যবস্থা। বন্দর কর্তৃপক্ষ যেসব শ্রমিকের মুখে মাস্ক নেই তাদের মাস্ক দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। আমরা মনে করি সরকার করোনাভাইরাস থেকে উ™ূ¢ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সম্ভব সব পদক্ষেপ নেবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর