শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৪ জুন, ২০২১

আমেরিকাকে শত্রু ভাবা সহজ ছিল না

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আমেরিকাকে শত্রু ভাবা সহজ ছিল না

তখনকার বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে বসল লাহোরে, ১৯৬৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। ওই সম্মেলনের বিষয়-নির্বাচনী কমিটিতে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করলেন। স্বভাবতই তা গৃহীত হয়নি। ছয় দফা উত্থাপন করাকে আইয়ুব খান একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করলেন। ক্রমবর্ধমান জন-অসন্তোষের মুখে তাঁর জন্য একটি অভ্যন্তরীণ শত্রু প্রয়োজন ছিল, যাকে দেখিয়ে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষ ও সেনাবাহিনীকে একাট্টা হয়ে তাঁর পেছনে দাঁড়ানোর জন্য ডাক দিতে পারেন। শেখ মুজিব ও ছয় দফাকে তিনি সেই শত্রু হিসেবে দাঁড় করালেন। বললেন ছয় দফা জাতীয় সংহতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র মাত্র, এবং হুঙ্কার দিলেন যে এ ধরনের তৎপরতা বরদাশত করা হবে না। আইয়ুববিরোধী পশ্চিম পাকিস্তানি নেতারাও ছয় দফাকে তাদের স্বার্থের বিরোধী হিসেবেই দেখলেন, এবং প্রায় সবাই এর জোর বিরোধিতা করলেন। এতে পূর্ব ও পশ্চিমের দূরত্বটা আরও পরিষ্কার হলো।

জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আইয়ুব তিনজনকে চিনতেন; হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমান। ফজলুল হক ১৯৫৬-এর পরে রাজনীতিতে আর সক্রিয় ছিলেন না; ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু ঘটে। ক্ষমতা দখল করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাসানীকেও আইয়ুব খান বন্দী করেছিলেন। তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল চার বছর, তিনি মুক্ত হন অনশন করে এবং প্রবল জনমতের চাপে। সোহরাওয়ার্দীকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়নি। পরে করা হয়; কিন্তু বেশি দিন রাখা যায়নি। তাঁর মুক্তির জন্য প্রবল বিক্ষোভ হয়েছে, তা ছাড়া আইয়ুবের বিদেশি মুরব্বিরাও ঘোরতর মার্কিনপন্থি সোহরাওয়ার্দীকে আটকে রাখাটা পছন্দ করেনি; তাই তাঁকে সাত মাসের মধ্যেই মুক্তি দিতে হয়েছে; এর পরে তিনি তো মারাই গেলেন, ১৯৬৩-এর ৫ ডিসেম্বরে।

স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে মওলানা ভাসানী সব সময়ই উচ্চকণ্ঠ ছিলেন, সোহরাওয়ার্দী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ১৯৫৭ সালে স্বায়ত্তশাসন শতকরা ৯৮ ভাগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করেছিলেন, যার বিপরীতে মওলানা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন যে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন না দিলে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে যাবে। কিন্তু ১৯৬৬ সালে মওলানা শুধু পূর্ব পাকিস্তানের নন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি হিসেবে গোটা পাকিস্তানের জাতীয় পর্যায়ের নেতা; পূর্ব পাকিস্তানের তো বটেই সেই সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশেরও স্বায়ত্তশাসন তিনি চান; তাঁর দলের দাবি এক ইউনিট বাতিল করা চাই, যে দাবি পাঞ্জাবিদের ভিতর জনপ্রিয় নয়। আর পাঞ্জাবিরাই তো দেশ শাসনে প্রধান নিয়ামক। মওলানাকে তাই তখন ততটা বিপজ্জনক বলে মনে হয়নি। এ পরিস্থিতিতে শেখ মুজিব যখন ছয় দফা দিলেন, কেবল দিলেন না, সভা ও সমাবেশ করে ছয় দফার পক্ষে বলতে শুরু করলেন তখন আইয়ুব খান প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে তাঁকেই দেখতে পেলেন, এবং তাঁকে পাকিস্তানের সংহতির পক্ষে শত্রু হিসেবে দাঁড় করাতে চাইলেন। তাঁর শঙ্কা আরও বাড়ছিল কারণ তিনি টের পাচ্ছিলেন যে স্বায়ত্তশাসনের ওই আন্দোলনের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহানুভুতি রয়েছে। এর একটা প্রমাণ ছিল এই যে ১৯৬৩ সালেই পাকিস্তানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে এ রকম একটি ঘোষণা দেন যে পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ আর্থিক সাহায্য থেকে পূর্ব পাকিস্তানের অংশ আলাদাভাবে চিহ্নিত করে দেওয়া হবে।

১৯৬৬-এরই জুনে গৃহীত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত ১৪ দফায়ও মার্কিন সরকারের ওই দৃষ্টিভঙ্গির উল্লেখ পাওয়া যায়। সেটি এ রকমের : ‘পাকিস্তানের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরা প্রকাশ্যে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি দরদ প্রকাশ করিয়াছে। কিছুকাল পূর্বে তদানীন্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মি. ম্যাকনগি পূর্ব পাকিস্তান সফরকালে প্রকাশ্যে পূর্ব পাকিস্তানিদের সাহায্য করার প্রস্তাব করিয়াছেন।’ এর কারণ ছিল। আমেরিকানরা বিলক্ষণ বুঝতে পারছিল যে স্বায়ত্তশাসনের দাবির ন্যায্যতা রয়েছে এবং দাবিটি ক্রমেই প্রবল হবে। স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন যাতে কমিউনিস্টদের হাতে চলে না যায় তা নিশ্চিত করতে পূর্ববঙ্গের উঠতি বুর্জোয়াদের সহায়তাদানে সম্মতিটা আগেভাগেই জানিয়ে রাখাটা তারা ভালো বলে মনে করেছে। কমিউনিস্টদের প্রতি বিদ্বেষ অবশ্য আইয়ুব খানের নিজেরও নিতান্ত কম ছিল না; ১৯৬৬ সালের ২২ নভেম্বর ম্যানচেস্টারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, স্বায়ত্তশাসনের দাবিদারদের ভিতর বৃহত্তর বঙ্গ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগীরা তো রয়েছেই, কমিউনিস্টরাও আছে। বলার পেছনে একটা উদ্দেশ্য ছিল। সেটা হলো আমেরিকানরা কমিউনিস্ট দমনের জন্য তাঁর হাতকে আরও শক্তিশালী করুক এ কামনা। আরেকটা উদ্দেশ্য পুরনো; সেটা হলো দেশের মানুষের ভিতর যে ভারতবিদ্বেষ ও কমিউনিস্ট-ভীতি ছিল তাকে কাজে লাগিয়ে পূর্ববঙ্গের স্বায়ত্তশাসনবিরোধী করে তোলা।

ছয় দফা পূর্ববঙ্গে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। শেখ মুজিব প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভা করে এ বক্তব্য তুলে ধরেন যে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ উপনিবেশে পরিণত হয়েছে; এখানে যে শিল্পোন্নয়ন ঘটছে তাতেও পশ্চিম পাকিস্তানিদের আধিপত্য, ব্যবসা-বাণিজ্যও তাদের হাতে এবং পূর্ব পাকিস্তানকে বন্ধক রেখে যে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হচ্ছে তার বেশির ভাগই খরচ হচ্ছে পশ্চিমে অথচ ওই ঋণ শোধ করতে হবে পূর্ব পাকিস্তানের পণ্য বিক্রির টাকা দিয়েই। আঞ্চলিক বৈষম্য ও পীড়নের ওই সত্যটা পূর্ববঙ্গের মানুষ খুবই টের পাচ্ছিল। পূর্ব ও পশ্চিমের অর্থনীতি যে অভিন্ন নয়, তারা যে বিভক্ত, এ কথা ১৯৫০ সাল থেকেই বলা হচ্ছিল, ১৯৫৭-এর কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানী কথাটা খুব জোর দিয়েই বলেছেন; এবার ১৯৬৬-তে ছয় দফা পেশ এবং প্রচারে সেটা আগের চেয়ে বেশি করে সামনে চলে এলো। এ কাজ আইয়ুব খানের নিবর্তনমূলক কর্মকান্ডেও সহায়ক হয়েছিল। একপর্যায়ে তাঁর স্বঘোষিত ‘গোমস্তা’ গভর্নর আবদুল মোনায়েম খান শেখ মুজিবকে জনসভায় বক্তৃতা শেষ করার পরই গ্রেফতার, জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় বক্তৃতা করলে আবার গ্রেফতার, এ কার্যক্রম চালিয়ে শেখ মুজিব ও তাঁর বক্তব্য উভয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছিলেন। এর পরে শেখ মুজিবকে জেলে আটক রাখা এবং আটক অবস্থায় আগরতলা মামলার প্রধান আসামি করার কাজটি আইয়ুব খান করলেন। অসন্তুষ্ট পূর্ববঙ্গ তখন একজন বিদ্রোহী বাঙালি জাতীয়তাবাদী নায়ক খুঁজছিল, শেখ মুজিবের মধ্যে তাঁকে পাওয়া গেল।

ছয় দফাকে ন্যাপ পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি বলে মনে করেনি। তাঁদের বক্তব্য ছিল এ-রকমের যে, এতে শ্রমিক-কৃষকের অধিকারের কথা নেই, পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কেও উল্লেখ অনুপস্থিত। এ পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাপ তাদের ১৪ দফার মাধ্যমে জাতীয় মুক্তির একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করে। ন্যাপ তখনো দ্বিখন্ডিত হয়নি, তবে কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে, ছাত্র ইউনিয়ন দুই টুকরো হওয়াটা ঘটেছে আরও আগে। ন্যাপের ১৪ দফায় মওলানা ভাসানীর চিন্তাধারার প্রতিফলন ছিল। ছয় দফায় যা ছিল না, ১৪ দফায় তা ছিল। ১৪ দফায় পূর্ণ আঞ্চলিক শাসনের দাবি জোর দিয়েই করা হয়েছে, তবে সেই সঙ্গে বলা হয়েছে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব থাকবে জনগণের হাতে। যেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য। ১৪ দফায় পশ্চিম পাকিস্তানের এক ইউনিট ভাঙার কথা সরাসরি বলা হয়নি, তবে তার প্রদেশগুলোকে ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে পুনর্গঠিত করাসহ এমন একটি আঞ্চলিক ফেডারেশন গঠন করার কথা বলা হয়েছে যেখানে কোনো একটি প্রদেশের আধিপত্য থাকবে না। বলা হয়েছে, শ্রমিক ও কৃষকের অবস্থার উন্নতির ও জনগণের খাদ্যের দাবির কথা। শিক্ষাকে ব্যবসায়ে পরিণতকরণের মধ্য দিয়ে শিক্ষা সংকোচনের নীতিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ১৪ দফায় দাবি আছে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার। দাবি জানানো হয়েছে আমলাতান্ত্রিক পুঁজি এবং ব্যাংক, বীমা কোম্পানি ও পাট ব্যবসা জাতীয়করণের। ১৪ দফায় অঙ্গীকার আছে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার। শাসকদের চিহ্নিত করা হয়েছে পুঁজিপতি ও আমলাতন্ত্রী বলে।

ছয় দফায় পররাষ্ট্রনীতির কোনো উল্লেখ নেই; ন্যাপের ১৪ দফায় পররাষ্ট্রনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বলা হয়েছে, ‘সাম্রাজ্যবাদই আমাদের প্রধান শত্রু’। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার দাবি জানানো হয়েছে। ১৪ দফায় লক্ষ্য করা হয়েছে যে, ‘কিছু ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র মুক্তি অর্জনের জন্য সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিতেছে। বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো ইতিমধ্যেই সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর সহিত এক তীব্র অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হইয়াছে। এসবই পুঁজিবাদের সাধারণ সংকটকে গভীরতর করিতেছে এবং পুঁজিবাদী দেশগুলোর মধ্যকার বিরোধকে তীব্রতর করিয়া তুলিতেছে। [...] মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ইতিমধ্যে দক্ষিণ ভিয়েতনামে রীতিমত যুদ্ধ শুরু করিয়াছে। [...] লাওসে প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করিতেছে [...] তারা ছায়াযুদ্ধকে আরও বিস্তৃত করিতে চায়। তাহাদের লক্ষ্য হইতেছে চীন।’

ছয় দফার ছয় নম্বর দফায় অঙ্গরাষ্ট্রগুলোকে ‘স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে’ আধাসামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ১৪ দফায় এ দাবিটি আরও স্পষ্ট; সেখানে রয়েছে, ‘পাকিস্তান প্রতিরক্ষা কাঠামোকে পুনর্গঠন করিতে হইবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানকে আত্মনির্ভরশীল করিয়া তুলিতে হইবে।’ দাবিটির ব্যাখ্যা করে বলা আছে, ‘দেশের সকল অংশকে যথাযথভাবে রক্ষার ব্যবস্থা করিতে হইবে এবং সকল অঞ্চলের জনসাধারণকে জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদানের পরিপূর্ণ সুযোগ প্রদান করিতে হইবে। সেনাবাহিনীকে জাতীয় ভিত্তিতে গঠন করিতে হইবে এবং ক্রমশ উহার গঠন জনসংখ্যার আনুপাতিক হইতে হইবে।’ ‘জনসংখ্যার আনুপাতিক’ কথাটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু ন্যাপের ১৪ দফা জনপ্রিয় হয়নি। তার কারণ ছিল। পূর্ববঙ্গবাসীর কাছে তখন যে সত্যটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল তা হলো আঞ্চলিক বৈষম্য। ছয় দফা ওই বৈষম্যকেই চিহ্নিত করেছে। ছয় দফার প্রস্তাবগুলো এখানে স্মরণ করা যাক। সেগুলো হলো- ‘১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রকৃতি : পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশন-ভিত্তিক রাষ্ট্রসংঘ এবং তার ভিত্তি হবে লাহোর প্রস্তাব। ২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা : কেন্দ্রীয় সরকারের, ক্ষমতা কেবলমাত্র দুটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে, দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। ৩. মুদ্রা ও অর্থসম্বন্ধীয় ক্ষমতা : দুটির যে কোনো একটি; (ক) সমগ্র দেশের জন্য দুটি পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা। (খ) অভিন্ন মুদ্রা থাকবে কিন্তু ব্যবস্থা নিতে হবে মূলধন পাচার বন্ধের, পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভের। ৪. রাজস্ব কর ও শুল্ক : অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর কর ও শুল্ক ধার্যের সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে, তবে কেন্দ্রীয় ব্যয়ের জন্য অঙ্গরাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্র পাবে। ৫. বৈদেশিক বাণিজ্য : বহির্বাণিজ্যের পৃথক হিসাব থাকবে, বহির্বাণিজ্যে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর এখতিয়ারাধীন হবে, কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা অঙ্গরাষ্ট্রগুলো মেটাবে, অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দেশজ দ্রব্যাদি চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা কর জাতীয় বাধানিষেধ থাকবে না, অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর বিদেশে নিজ নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ ও নিজেদের স্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি করার ক্ষমতা থাকবে।’

পূর্ববঙ্গের রাজনীতির প্রধান ভুমিকা পালন করছিল যে উঠতি মধ্যবিত্ত এগুলো ছিল তাদেরও দাবি। তারা নিজেদের হিস্সা চেয়েছে। অখন্ড বঙ্গে এ মধ্যবিত্ত দেখছিল উন্নতির পথে অন্তরায় হচ্ছে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু মধ্যবিত্ত, পাকিস্তান কায়েম করে তাদের হটানো গেছে; কিন্তু তাদের জায়গা দখল করেছে অবাঙালিরা, যাদের হটানো না গেলে উন্নতির পথ অবরুদ্ধ থাকবে। মধ্যবিত্ত কিন্তু নিজেদেরই জাতি মনে করে, সেই জাতীয়তায় মেহনতিদের স্থান একেবারেই প্রান্তিক। ১৪ দফায় সমাজতন্ত্রের কথা আছে; মুখে যা-ই বলুক মধ্যবিত্ত কিন্তু সমাজতন্ত্র চায়নি, কেউ কেউ বরং সমাজতন্ত্রের কথা শুনে বিরক্তই হয়েছে। ওদিকে সমাজতন্ত্র যারা চায় তারা সুসংগঠিত ছিল না। দল হিসেবে পূর্ববঙ্গে ন্যাপ বের হয়ে এসেছে মূলত আওয়ামী লীগ ভেঙে, অখন্ড কমিউনিস্ট পার্টি নেতৃত্বের একাংশ আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে আসাটা পছন্দ করেনি, তাদের বক্তব্য ছিল আওয়ামী লীগের ভিতরে থাকলেই কাজ করতে বিশেষ করে জনগণের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে সুবিধা হবে। এঁরা মওলানাকেই ন্যাপ গঠনের জন্য দায়ী করেছেন।

সমাজতন্ত্রবিদ্বেষীরা যে চুপ করে থেকেছে তা নয়। মওলানা মুসলিম লীগের মুখপত্র দৈনিক আজাদের দ্বারা যেমন নিষ্ঠুরভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তেমনি হামলার শিকার হয়েছেন তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত ও আওয়ামী লীগের মুখপত্র বলে পরিচিত দৈনিক ইত্তেফাকেরও। ন্যাপকে ইত্তেফাক সোহরাওয়ার্দীর শেখানো নেহরু-এইডেড পার্টি বলে ঠাট্টা তো করেছেই আবার প্রশংসা ছলেও আক্রমণ করেছে; যেমন, লিখেছে, ‘ইতিমধ্যেই কম্যুনিস্ট ও অনুপ্রবেশকারীরা মওলানা ভাসানীকে তাঁর সম্মানজনক আসন হইতে টানিয়া অনেক নিম্নে নামাইয়া আনিয়াছে। আওয়ামী লীগে ঠাঁই না পাইয়া ঐসব অনুপ্রবেশকারী পশ্চিম পাকিস্তানের পাকিস্তানবিরোধী রাজনৈতিক এতিমদের সহিত কেন, তৃণগুচ্ছ সম্বল করিয়াও মরণের হাত হইতে বাঁচিবার চেষ্টা করিতে পারে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে ঐ শ্রেণীর নেতাদের যে কী রকমের “অভিনন্দন” জুটিবে, সেই-সম্পর্কে এখনই নিরাপদ ভবিষ্যদ্বাণী করা যাইতে পারে।’

যাদের অনুপ্রবেশকারী বলা হচ্ছে তারা সমাজতন্ত্রী, মওলানা ভাসানী নিজেও কিন্তু ওই দলেই পড়েন।

নিজের দল বিভক্ত ও বিভ্রান্ত; সরকার, সরকারি দল এবং বুর্জোয়া-মনোভাবাপন্ন সংবাদপত্র সবাই বিরুদ্ধে, নিজেদের পত্রিকা বলতে কিছুই নেই, বিপরীতে ছয় দফার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ও প্রচার, শত্রুপক্ষের প্রবল আক্রমণ এসবের মধ্যে জাতীয়তাবাদী সংগ্রামকে যারা সমাজতন্ত্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তারা যে আপাতত বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক। এবং তারা সেটা পারেওনি।

ন্যাপ যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করছিল তা-ও কিন্তু মধ্যবিত্তকে আকৃষ্ট করার কথা নয়। মধ্যবিত্ত তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শত্রু নয় মিত্র হিসেবেই দেখতে চাইছিল। ইংরেজরা ছিল ঔপনিবেশিক, তারা এখানে থাকত, শোষণ-নির্যাতন করত; তাদের কাজের পটভুমিতে আমেরিকানদের উজ্জ্বলই মনে হচ্ছিল। আমেরিকানরা আসা-যাওয়া করে, থাকে না, তাদের কাজকর্ম বন্ধুর মতোই। আমেরিকানদের সাহায্যে দেশের উন্নতি হচ্ছে, তারা ঋণ দিচ্ছে, সাহায্যের হাত প্রসারিত করে রেখেছে, অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করবে, তাদের অংশগ্রহণে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। পিস কোরের স্বেচ্ছাসেবকরা আসছে, দুর্যোগে আমেরিকানরা পাশে দাঁড়াচ্ছে। এসব দেখা যাচ্ছিল। তাদের ছাড়া চলবে কী করে, এ প্রশ্নটা ছিল। তদুপরি আমেরিকান সরকার ইতিমধ্যে বড় আকারে সাংস্কৃতিক প্রচার ও তৎপরতা শুরু করে দিয়েছিল। বড় বড় শহরে তারা ইনফরমেশন সেন্টার খুলেছে। সেখানে লাইব্রেরি আছে, গিয়ে বই ও পত্রিকা পড়া যায়, সিনেমা দেখা যায়, ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা সার্ভিস চালু হয়েছে, বিনামূল্যে বিতরণের জন্য পত্রিকা প্রকাশ করছে; সর্বোপরি বৃত্তি দিচ্ছে আমেরিকায় গিয়ে পড়াশোনার। ভ্রমণেও নিয়ে যাচ্ছে বিশিষ্ট শিক্ষকদের, ফুলব্রাইট স্কলাররা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে আসছে। আমেরিকাকে শত্রু ভাবাটা তখন খুব সহজ ছিল না।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
ব্রাজিলের ডিফেন্ডার গাব্রিয়েলের চোট
ব্রাজিলের ডিফেন্ডার গাব্রিয়েলের চোট

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

‘হিংসার রাজনীতি করে শেখ হাসিনা বগুড়ার উন্নয়ন করেনি’
‘হিংসার রাজনীতি করে শেখ হাসিনা বগুড়ার উন্নয়ন করেনি’

২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

মেহেরপুরে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে শিক্ষক নিহত
মেহেরপুরে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে শিক্ষক নিহত

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীবাড়িতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
টঙ্গীবাড়িতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যেসব লজ্জার রেকর্ড গড়ল ভারত
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যেসব লজ্জার রেকর্ড গড়ল ভারত

৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রোনালদোকে ছাড়াই বিশ্বকাপ নিশ্চিতের মিশনে পর্তুগাল
রোনালদোকে ছাড়াই বিশ্বকাপ নিশ্চিতের মিশনে পর্তুগাল

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান সেলিমের
তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান সেলিমের

১৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ, পশ্চিমবঙ্গে ২৯ বাংলাদেশি আটক
ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ, পশ্চিমবঙ্গে ২৯ বাংলাদেশি আটক

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবৈধ স্থাপনা সরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
অবৈধ স্থাপনা সরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে ফ্ল্যাটে নারীর গলা কাটা মরদেহ, গ্রেফতার ২
গাজীপুরে ফ্ল্যাটে নারীর গলা কাটা মরদেহ, গ্রেফতার ২

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মিচেলের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড
মিচেলের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড

২৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ময়মনসিংহে বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
ময়মনসিংহে বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সৌদিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির বিবেচনায় ট্রাম্প
সৌদিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির বিবেচনায় ট্রাম্প

২৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেরানীগঞ্জে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নভেম্বরের ১৫ দিনে প্রবাসী আয় এলো দেড় বিলিয়ন ডলার
নভেম্বরের ১৫ দিনে প্রবাসী আয় এলো দেড় বিলিয়ন ডলার

৩৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

একটি দল ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করছে: তৃপ্তি
একটি দল ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করছে: তৃপ্তি

৪৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ভিসা নিয়ে সতর্কবার্তা দিল ব্রিটিশ হাইক‌মিশন
ভিসা নিয়ে সতর্কবার্তা দিল ব্রিটিশ হাইক‌মিশন

৪৬ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
মুন্সীগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে : মোশাররফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে : মোশাররফ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জাতীয় নির্বাচন বানচালের ছলনা মানবো না: শহীদুল ইসলাম বাবুল
জাতীয় নির্বাচন বানচালের ছলনা মানবো না: শহীদুল ইসলাম বাবুল

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মাছ-রসুনের ভর্তা ও আচারের উৎসবে ভিড়
মাছ-রসুনের ভর্তা ও আচারের উৎসবে ভিড়

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পরিবেশবান্ধব নির্মাণে সুস্পষ্ট নির্দেশনা চান রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশবান্ধব নির্মাণে সুস্পষ্ট নির্দেশনা চান রিজওয়ানা হাসান

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুমিল্লা বোর্ডে ফেল থেকে পাশ ১০৮ জন
কুমিল্লা বোর্ডে ফেল থেকে পাশ ১০৮ জন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে পৃথক স্থানে মিলল ৩ লাশ
বরিশালে পৃথক স্থানে মিলল ৩ লাশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় দুই শতাব্দীর নবান্ন উৎসবে মেতেছে গ্রামবাসী
বগুড়ায় দুই শতাব্দীর নবান্ন উৎসবে মেতেছে গ্রামবাসী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিতে নবান্ন উৎসব উদযাপিত
ব্রিতে নবান্ন উৎসব উদযাপিত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

১১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

১১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া
ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া

মাঠে ময়দানে

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা