শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৪ জুন, ২০২১

আমেরিকাকে শত্রু ভাবা সহজ ছিল না

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আমেরিকাকে শত্রু ভাবা সহজ ছিল না

তখনকার বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে বসল লাহোরে, ১৯৬৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। ওই সম্মেলনের বিষয়-নির্বাচনী কমিটিতে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করলেন। স্বভাবতই তা গৃহীত হয়নি। ছয় দফা উত্থাপন করাকে আইয়ুব খান একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করলেন। ক্রমবর্ধমান জন-অসন্তোষের মুখে তাঁর জন্য একটি অভ্যন্তরীণ শত্রু প্রয়োজন ছিল, যাকে দেখিয়ে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষ ও সেনাবাহিনীকে একাট্টা হয়ে তাঁর পেছনে দাঁড়ানোর জন্য ডাক দিতে পারেন। শেখ মুজিব ও ছয় দফাকে তিনি সেই শত্রু হিসেবে দাঁড় করালেন। বললেন ছয় দফা জাতীয় সংহতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র মাত্র, এবং হুঙ্কার দিলেন যে এ ধরনের তৎপরতা বরদাশত করা হবে না। আইয়ুববিরোধী পশ্চিম পাকিস্তানি নেতারাও ছয় দফাকে তাদের স্বার্থের বিরোধী হিসেবেই দেখলেন, এবং প্রায় সবাই এর জোর বিরোধিতা করলেন। এতে পূর্ব ও পশ্চিমের দূরত্বটা আরও পরিষ্কার হলো।

জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আইয়ুব তিনজনকে চিনতেন; হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমান। ফজলুল হক ১৯৫৬-এর পরে রাজনীতিতে আর সক্রিয় ছিলেন না; ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু ঘটে। ক্ষমতা দখল করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাসানীকেও আইয়ুব খান বন্দী করেছিলেন। তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল চার বছর, তিনি মুক্ত হন অনশন করে এবং প্রবল জনমতের চাপে। সোহরাওয়ার্দীকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়নি। পরে করা হয়; কিন্তু বেশি দিন রাখা যায়নি। তাঁর মুক্তির জন্য প্রবল বিক্ষোভ হয়েছে, তা ছাড়া আইয়ুবের বিদেশি মুরব্বিরাও ঘোরতর মার্কিনপন্থি সোহরাওয়ার্দীকে আটকে রাখাটা পছন্দ করেনি; তাই তাঁকে সাত মাসের মধ্যেই মুক্তি দিতে হয়েছে; এর পরে তিনি তো মারাই গেলেন, ১৯৬৩-এর ৫ ডিসেম্বরে।

স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে মওলানা ভাসানী সব সময়ই উচ্চকণ্ঠ ছিলেন, সোহরাওয়ার্দী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ১৯৫৭ সালে স্বায়ত্তশাসন শতকরা ৯৮ ভাগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করেছিলেন, যার বিপরীতে মওলানা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন যে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন না দিলে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে যাবে। কিন্তু ১৯৬৬ সালে মওলানা শুধু পূর্ব পাকিস্তানের নন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি হিসেবে গোটা পাকিস্তানের জাতীয় পর্যায়ের নেতা; পূর্ব পাকিস্তানের তো বটেই সেই সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশেরও স্বায়ত্তশাসন তিনি চান; তাঁর দলের দাবি এক ইউনিট বাতিল করা চাই, যে দাবি পাঞ্জাবিদের ভিতর জনপ্রিয় নয়। আর পাঞ্জাবিরাই তো দেশ শাসনে প্রধান নিয়ামক। মওলানাকে তাই তখন ততটা বিপজ্জনক বলে মনে হয়নি। এ পরিস্থিতিতে শেখ মুজিব যখন ছয় দফা দিলেন, কেবল দিলেন না, সভা ও সমাবেশ করে ছয় দফার পক্ষে বলতে শুরু করলেন তখন আইয়ুব খান প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে তাঁকেই দেখতে পেলেন, এবং তাঁকে পাকিস্তানের সংহতির পক্ষে শত্রু হিসেবে দাঁড় করাতে চাইলেন। তাঁর শঙ্কা আরও বাড়ছিল কারণ তিনি টের পাচ্ছিলেন যে স্বায়ত্তশাসনের ওই আন্দোলনের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহানুভুতি রয়েছে। এর একটা প্রমাণ ছিল এই যে ১৯৬৩ সালেই পাকিস্তানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে এ রকম একটি ঘোষণা দেন যে পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ আর্থিক সাহায্য থেকে পূর্ব পাকিস্তানের অংশ আলাদাভাবে চিহ্নিত করে দেওয়া হবে।

১৯৬৬-এরই জুনে গৃহীত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত ১৪ দফায়ও মার্কিন সরকারের ওই দৃষ্টিভঙ্গির উল্লেখ পাওয়া যায়। সেটি এ রকমের : ‘পাকিস্তানের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরা প্রকাশ্যে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি দরদ প্রকাশ করিয়াছে। কিছুকাল পূর্বে তদানীন্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মি. ম্যাকনগি পূর্ব পাকিস্তান সফরকালে প্রকাশ্যে পূর্ব পাকিস্তানিদের সাহায্য করার প্রস্তাব করিয়াছেন।’ এর কারণ ছিল। আমেরিকানরা বিলক্ষণ বুঝতে পারছিল যে স্বায়ত্তশাসনের দাবির ন্যায্যতা রয়েছে এবং দাবিটি ক্রমেই প্রবল হবে। স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন যাতে কমিউনিস্টদের হাতে চলে না যায় তা নিশ্চিত করতে পূর্ববঙ্গের উঠতি বুর্জোয়াদের সহায়তাদানে সম্মতিটা আগেভাগেই জানিয়ে রাখাটা তারা ভালো বলে মনে করেছে। কমিউনিস্টদের প্রতি বিদ্বেষ অবশ্য আইয়ুব খানের নিজেরও নিতান্ত কম ছিল না; ১৯৬৬ সালের ২২ নভেম্বর ম্যানচেস্টারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, স্বায়ত্তশাসনের দাবিদারদের ভিতর বৃহত্তর বঙ্গ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগীরা তো রয়েছেই, কমিউনিস্টরাও আছে। বলার পেছনে একটা উদ্দেশ্য ছিল। সেটা হলো আমেরিকানরা কমিউনিস্ট দমনের জন্য তাঁর হাতকে আরও শক্তিশালী করুক এ কামনা। আরেকটা উদ্দেশ্য পুরনো; সেটা হলো দেশের মানুষের ভিতর যে ভারতবিদ্বেষ ও কমিউনিস্ট-ভীতি ছিল তাকে কাজে লাগিয়ে পূর্ববঙ্গের স্বায়ত্তশাসনবিরোধী করে তোলা।

ছয় দফা পূর্ববঙ্গে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। শেখ মুজিব প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভা করে এ বক্তব্য তুলে ধরেন যে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ উপনিবেশে পরিণত হয়েছে; এখানে যে শিল্পোন্নয়ন ঘটছে তাতেও পশ্চিম পাকিস্তানিদের আধিপত্য, ব্যবসা-বাণিজ্যও তাদের হাতে এবং পূর্ব পাকিস্তানকে বন্ধক রেখে যে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হচ্ছে তার বেশির ভাগই খরচ হচ্ছে পশ্চিমে অথচ ওই ঋণ শোধ করতে হবে পূর্ব পাকিস্তানের পণ্য বিক্রির টাকা দিয়েই। আঞ্চলিক বৈষম্য ও পীড়নের ওই সত্যটা পূর্ববঙ্গের মানুষ খুবই টের পাচ্ছিল। পূর্ব ও পশ্চিমের অর্থনীতি যে অভিন্ন নয়, তারা যে বিভক্ত, এ কথা ১৯৫০ সাল থেকেই বলা হচ্ছিল, ১৯৫৭-এর কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানী কথাটা খুব জোর দিয়েই বলেছেন; এবার ১৯৬৬-তে ছয় দফা পেশ এবং প্রচারে সেটা আগের চেয়ে বেশি করে সামনে চলে এলো। এ কাজ আইয়ুব খানের নিবর্তনমূলক কর্মকান্ডেও সহায়ক হয়েছিল। একপর্যায়ে তাঁর স্বঘোষিত ‘গোমস্তা’ গভর্নর আবদুল মোনায়েম খান শেখ মুজিবকে জনসভায় বক্তৃতা শেষ করার পরই গ্রেফতার, জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় বক্তৃতা করলে আবার গ্রেফতার, এ কার্যক্রম চালিয়ে শেখ মুজিব ও তাঁর বক্তব্য উভয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছিলেন। এর পরে শেখ মুজিবকে জেলে আটক রাখা এবং আটক অবস্থায় আগরতলা মামলার প্রধান আসামি করার কাজটি আইয়ুব খান করলেন। অসন্তুষ্ট পূর্ববঙ্গ তখন একজন বিদ্রোহী বাঙালি জাতীয়তাবাদী নায়ক খুঁজছিল, শেখ মুজিবের মধ্যে তাঁকে পাওয়া গেল।

ছয় দফাকে ন্যাপ পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি বলে মনে করেনি। তাঁদের বক্তব্য ছিল এ-রকমের যে, এতে শ্রমিক-কৃষকের অধিকারের কথা নেই, পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কেও উল্লেখ অনুপস্থিত। এ পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাপ তাদের ১৪ দফার মাধ্যমে জাতীয় মুক্তির একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করে। ন্যাপ তখনো দ্বিখন্ডিত হয়নি, তবে কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে, ছাত্র ইউনিয়ন দুই টুকরো হওয়াটা ঘটেছে আরও আগে। ন্যাপের ১৪ দফায় মওলানা ভাসানীর চিন্তাধারার প্রতিফলন ছিল। ছয় দফায় যা ছিল না, ১৪ দফায় তা ছিল। ১৪ দফায় পূর্ণ আঞ্চলিক শাসনের দাবি জোর দিয়েই করা হয়েছে, তবে সেই সঙ্গে বলা হয়েছে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব থাকবে জনগণের হাতে। যেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য। ১৪ দফায় পশ্চিম পাকিস্তানের এক ইউনিট ভাঙার কথা সরাসরি বলা হয়নি, তবে তার প্রদেশগুলোকে ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে পুনর্গঠিত করাসহ এমন একটি আঞ্চলিক ফেডারেশন গঠন করার কথা বলা হয়েছে যেখানে কোনো একটি প্রদেশের আধিপত্য থাকবে না। বলা হয়েছে, শ্রমিক ও কৃষকের অবস্থার উন্নতির ও জনগণের খাদ্যের দাবির কথা। শিক্ষাকে ব্যবসায়ে পরিণতকরণের মধ্য দিয়ে শিক্ষা সংকোচনের নীতিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ১৪ দফায় দাবি আছে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার। দাবি জানানো হয়েছে আমলাতান্ত্রিক পুঁজি এবং ব্যাংক, বীমা কোম্পানি ও পাট ব্যবসা জাতীয়করণের। ১৪ দফায় অঙ্গীকার আছে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার। শাসকদের চিহ্নিত করা হয়েছে পুঁজিপতি ও আমলাতন্ত্রী বলে।

ছয় দফায় পররাষ্ট্রনীতির কোনো উল্লেখ নেই; ন্যাপের ১৪ দফায় পররাষ্ট্রনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বলা হয়েছে, ‘সাম্রাজ্যবাদই আমাদের প্রধান শত্রু’। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার দাবি জানানো হয়েছে। ১৪ দফায় লক্ষ্য করা হয়েছে যে, ‘কিছু ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র মুক্তি অর্জনের জন্য সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিতেছে। বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো ইতিমধ্যেই সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর সহিত এক তীব্র অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হইয়াছে। এসবই পুঁজিবাদের সাধারণ সংকটকে গভীরতর করিতেছে এবং পুঁজিবাদী দেশগুলোর মধ্যকার বিরোধকে তীব্রতর করিয়া তুলিতেছে। [...] মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ইতিমধ্যে দক্ষিণ ভিয়েতনামে রীতিমত যুদ্ধ শুরু করিয়াছে। [...] লাওসে প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করিতেছে [...] তারা ছায়াযুদ্ধকে আরও বিস্তৃত করিতে চায়। তাহাদের লক্ষ্য হইতেছে চীন।’

ছয় দফার ছয় নম্বর দফায় অঙ্গরাষ্ট্রগুলোকে ‘স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে’ আধাসামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ১৪ দফায় এ দাবিটি আরও স্পষ্ট; সেখানে রয়েছে, ‘পাকিস্তান প্রতিরক্ষা কাঠামোকে পুনর্গঠন করিতে হইবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানকে আত্মনির্ভরশীল করিয়া তুলিতে হইবে।’ দাবিটির ব্যাখ্যা করে বলা আছে, ‘দেশের সকল অংশকে যথাযথভাবে রক্ষার ব্যবস্থা করিতে হইবে এবং সকল অঞ্চলের জনসাধারণকে জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদানের পরিপূর্ণ সুযোগ প্রদান করিতে হইবে। সেনাবাহিনীকে জাতীয় ভিত্তিতে গঠন করিতে হইবে এবং ক্রমশ উহার গঠন জনসংখ্যার আনুপাতিক হইতে হইবে।’ ‘জনসংখ্যার আনুপাতিক’ কথাটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু ন্যাপের ১৪ দফা জনপ্রিয় হয়নি। তার কারণ ছিল। পূর্ববঙ্গবাসীর কাছে তখন যে সত্যটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল তা হলো আঞ্চলিক বৈষম্য। ছয় দফা ওই বৈষম্যকেই চিহ্নিত করেছে। ছয় দফার প্রস্তাবগুলো এখানে স্মরণ করা যাক। সেগুলো হলো- ‘১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রকৃতি : পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশন-ভিত্তিক রাষ্ট্রসংঘ এবং তার ভিত্তি হবে লাহোর প্রস্তাব। ২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা : কেন্দ্রীয় সরকারের, ক্ষমতা কেবলমাত্র দুটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে, দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। ৩. মুদ্রা ও অর্থসম্বন্ধীয় ক্ষমতা : দুটির যে কোনো একটি; (ক) সমগ্র দেশের জন্য দুটি পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা। (খ) অভিন্ন মুদ্রা থাকবে কিন্তু ব্যবস্থা নিতে হবে মূলধন পাচার বন্ধের, পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভের। ৪. রাজস্ব কর ও শুল্ক : অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর কর ও শুল্ক ধার্যের সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে, তবে কেন্দ্রীয় ব্যয়ের জন্য অঙ্গরাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্র পাবে। ৫. বৈদেশিক বাণিজ্য : বহির্বাণিজ্যের পৃথক হিসাব থাকবে, বহির্বাণিজ্যে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর এখতিয়ারাধীন হবে, কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা অঙ্গরাষ্ট্রগুলো মেটাবে, অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দেশজ দ্রব্যাদি চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা কর জাতীয় বাধানিষেধ থাকবে না, অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর বিদেশে নিজ নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ ও নিজেদের স্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি করার ক্ষমতা থাকবে।’

পূর্ববঙ্গের রাজনীতির প্রধান ভুমিকা পালন করছিল যে উঠতি মধ্যবিত্ত এগুলো ছিল তাদেরও দাবি। তারা নিজেদের হিস্সা চেয়েছে। অখন্ড বঙ্গে এ মধ্যবিত্ত দেখছিল উন্নতির পথে অন্তরায় হচ্ছে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু মধ্যবিত্ত, পাকিস্তান কায়েম করে তাদের হটানো গেছে; কিন্তু তাদের জায়গা দখল করেছে অবাঙালিরা, যাদের হটানো না গেলে উন্নতির পথ অবরুদ্ধ থাকবে। মধ্যবিত্ত কিন্তু নিজেদেরই জাতি মনে করে, সেই জাতীয়তায় মেহনতিদের স্থান একেবারেই প্রান্তিক। ১৪ দফায় সমাজতন্ত্রের কথা আছে; মুখে যা-ই বলুক মধ্যবিত্ত কিন্তু সমাজতন্ত্র চায়নি, কেউ কেউ বরং সমাজতন্ত্রের কথা শুনে বিরক্তই হয়েছে। ওদিকে সমাজতন্ত্র যারা চায় তারা সুসংগঠিত ছিল না। দল হিসেবে পূর্ববঙ্গে ন্যাপ বের হয়ে এসেছে মূলত আওয়ামী লীগ ভেঙে, অখন্ড কমিউনিস্ট পার্টি নেতৃত্বের একাংশ আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে আসাটা পছন্দ করেনি, তাদের বক্তব্য ছিল আওয়ামী লীগের ভিতরে থাকলেই কাজ করতে বিশেষ করে জনগণের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে সুবিধা হবে। এঁরা মওলানাকেই ন্যাপ গঠনের জন্য দায়ী করেছেন।

সমাজতন্ত্রবিদ্বেষীরা যে চুপ করে থেকেছে তা নয়। মওলানা মুসলিম লীগের মুখপত্র দৈনিক আজাদের দ্বারা যেমন নিষ্ঠুরভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তেমনি হামলার শিকার হয়েছেন তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত ও আওয়ামী লীগের মুখপত্র বলে পরিচিত দৈনিক ইত্তেফাকেরও। ন্যাপকে ইত্তেফাক সোহরাওয়ার্দীর শেখানো নেহরু-এইডেড পার্টি বলে ঠাট্টা তো করেছেই আবার প্রশংসা ছলেও আক্রমণ করেছে; যেমন, লিখেছে, ‘ইতিমধ্যেই কম্যুনিস্ট ও অনুপ্রবেশকারীরা মওলানা ভাসানীকে তাঁর সম্মানজনক আসন হইতে টানিয়া অনেক নিম্নে নামাইয়া আনিয়াছে। আওয়ামী লীগে ঠাঁই না পাইয়া ঐসব অনুপ্রবেশকারী পশ্চিম পাকিস্তানের পাকিস্তানবিরোধী রাজনৈতিক এতিমদের সহিত কেন, তৃণগুচ্ছ সম্বল করিয়াও মরণের হাত হইতে বাঁচিবার চেষ্টা করিতে পারে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে ঐ শ্রেণীর নেতাদের যে কী রকমের “অভিনন্দন” জুটিবে, সেই-সম্পর্কে এখনই নিরাপদ ভবিষ্যদ্বাণী করা যাইতে পারে।’

যাদের অনুপ্রবেশকারী বলা হচ্ছে তারা সমাজতন্ত্রী, মওলানা ভাসানী নিজেও কিন্তু ওই দলেই পড়েন।

নিজের দল বিভক্ত ও বিভ্রান্ত; সরকার, সরকারি দল এবং বুর্জোয়া-মনোভাবাপন্ন সংবাদপত্র সবাই বিরুদ্ধে, নিজেদের পত্রিকা বলতে কিছুই নেই, বিপরীতে ছয় দফার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ও প্রচার, শত্রুপক্ষের প্রবল আক্রমণ এসবের মধ্যে জাতীয়তাবাদী সংগ্রামকে যারা সমাজতন্ত্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তারা যে আপাতত বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক। এবং তারা সেটা পারেওনি।

ন্যাপ যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করছিল তা-ও কিন্তু মধ্যবিত্তকে আকৃষ্ট করার কথা নয়। মধ্যবিত্ত তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শত্রু নয় মিত্র হিসেবেই দেখতে চাইছিল। ইংরেজরা ছিল ঔপনিবেশিক, তারা এখানে থাকত, শোষণ-নির্যাতন করত; তাদের কাজের পটভুমিতে আমেরিকানদের উজ্জ্বলই মনে হচ্ছিল। আমেরিকানরা আসা-যাওয়া করে, থাকে না, তাদের কাজকর্ম বন্ধুর মতোই। আমেরিকানদের সাহায্যে দেশের উন্নতি হচ্ছে, তারা ঋণ দিচ্ছে, সাহায্যের হাত প্রসারিত করে রেখেছে, অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করবে, তাদের অংশগ্রহণে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। পিস কোরের স্বেচ্ছাসেবকরা আসছে, দুর্যোগে আমেরিকানরা পাশে দাঁড়াচ্ছে। এসব দেখা যাচ্ছিল। তাদের ছাড়া চলবে কী করে, এ প্রশ্নটা ছিল। তদুপরি আমেরিকান সরকার ইতিমধ্যে বড় আকারে সাংস্কৃতিক প্রচার ও তৎপরতা শুরু করে দিয়েছিল। বড় বড় শহরে তারা ইনফরমেশন সেন্টার খুলেছে। সেখানে লাইব্রেরি আছে, গিয়ে বই ও পত্রিকা পড়া যায়, সিনেমা দেখা যায়, ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা সার্ভিস চালু হয়েছে, বিনামূল্যে বিতরণের জন্য পত্রিকা প্রকাশ করছে; সর্বোপরি বৃত্তি দিচ্ছে আমেরিকায় গিয়ে পড়াশোনার। ভ্রমণেও নিয়ে যাচ্ছে বিশিষ্ট শিক্ষকদের, ফুলব্রাইট স্কলাররা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে আসছে। আমেরিকাকে শত্রু ভাবাটা তখন খুব সহজ ছিল না।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিভাগের আরও খবর
অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ
অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ
বিনিয়োগে মন্দা
বিনিয়োগে মন্দা
অস্তিত্বসংকটে শুঁটকিশিল্প
অস্তিত্বসংকটে শুঁটকিশিল্প
দরুদ পাঠে সুরভিত জীবন
দরুদ পাঠে সুরভিত জীবন
আহা গ্রিন ক্লিন হেলদি সিটি!
আহা গ্রিন ক্লিন হেলদি সিটি!
আড়াই হাজার বছর আগের মাছচাষি
আড়াই হাজার বছর আগের মাছচাষি
মনুষ্যত্বহীনতার ঘৃণা গড়ে ওঠেনি সংবিতে
মনুষ্যত্বহীনতার ঘৃণা গড়ে ওঠেনি সংবিতে
পোশাক খাতে অস্থিরতা
পোশাক খাতে অস্থিরতা
চাপে নতি স্বীকার নয়
চাপে নতি স্বীকার নয়
শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন
শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন
তিন দেশের বিমানবন্দরে তিন ধরনের ব্যবহার
তিন দেশের বিমানবন্দরে তিন ধরনের ব্যবহার
কালো দাগ রেখেই নতুন বাংলাদেশের পথ চলা
কালো দাগ রেখেই নতুন বাংলাদেশের পথ চলা
সর্বশেষ খবর
গাজীপুর সাফারি পার্কে শেষ জিরাফের মৃত্যু
গাজীপুর সাফারি পার্কে শেষ জিরাফের মৃত্যু

১ সেকেন্ড আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

হাতিয়ায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার, ৪ ট্রলারসহ ৫০ জেলে আটক
হাতিয়ায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার, ৪ ট্রলারসহ ৫০ জেলে আটক

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জয়া আন্টি খুব নরম মনের মানুষ: করণ জোহর
জয়া আন্টি খুব নরম মনের মানুষ: করণ জোহর

৯ মিনিট আগে | শোবিজ

বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গঠনে বিনিয়োগই টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি : শিক্ষা উপদেষ্টা
বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গঠনে বিনিয়োগই টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি : শিক্ষা উপদেষ্টা

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গাজার আকাশে টহল দিচ্ছে মার্কিন ড্রোন
যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গাজার আকাশে টহল দিচ্ছে মার্কিন ড্রোন

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে পৃথক ঘটনায় একদিনে ৪ জনের মৃত্যু
গোবিন্দগঞ্জে পৃথক ঘটনায় একদিনে ৪ জনের মৃত্যু

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় আহত-অসুস্থদের চিকিৎসায় বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল
গাজায় আহত-অসুস্থদের চিকিৎসায় বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে ইয়েমেনে জাতিসংঘের ৭ কর্মী আটক
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে ইয়েমেনে জাতিসংঘের ৭ কর্মী আটক

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জে পৃথক দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পৃথক দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে হবে: সালাহউদ্দিন
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে হবে: সালাহউদ্দিন

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

যৌন হেনস্তার মামলায় জামিনে ‘আজ কি রাত’ খ্যাত সুরকার
যৌন হেনস্তার মামলায় জামিনে ‘আজ কি রাত’ খ্যাত সুরকার

৩০ মিনিট আগে | শোবিজ

মৌলভীবাজারে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু
মৌলভীবাজারে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শরীয়তপুরে নাজমা হত্যা মামলার আসামি শহিদুল গ্রেফতার
শরীয়তপুরে নাজমা হত্যা মামলার আসামি শহিদুল গ্রেফতার

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে পিকআপভ্যান উল্টে পথচারী নিহত
সিরাজগঞ্জে পিকআপভ্যান উল্টে পথচারী নিহত

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় নতুন বেসামরিক প্রধান হিসেবে স্টিভ ফ্যাগিনকে নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের
গাজায় নতুন বেসামরিক প্রধান হিসেবে স্টিভ ফ্যাগিনকে নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোয়াখালীতে পাঁচ দিনব্যাপী ‘অদম্য নারী উদ্যোক্তা মেলা’ শুরু
নোয়াখালীতে পাঁচ দিনব্যাপী ‘অদম্য নারী উদ্যোক্তা মেলা’ শুরু

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উপখাদ্য পরিদর্শক পদে ১৪২ জনের প্রার্থিতা বাতিল
উপখাদ্য পরিদর্শক পদে ১৪২ জনের প্রার্থিতা বাতিল

৫৪ মিনিট আগে | ক্যারিয়ার

ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক সূচক প্রণয়ণের উদ্যোগ ঢাকা চেম্বারের
ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক সূচক প্রণয়ণের উদ্যোগ ঢাকা চেম্বারের

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

খাবার-পানি সঙ্কটে ১৫ লাখ গাজাবাসী, দরকার জরুরি সহায়তা: জাতিসংঘ
খাবার-পানি সঙ্কটে ১৫ লাখ গাজাবাসী, দরকার জরুরি সহায়তা: জাতিসংঘ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ
প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কক্সবাজারে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা নারী গ্রেফতার
কক্সবাজারে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা নারী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হামাস
টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হামাস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইংল্যান্ড সিরিজে খেলা হচ্ছে না জেমিসনের
ইংল্যান্ড সিরিজে খেলা হচ্ছে না জেমিসনের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে কাবাডি খেলায় হাজারো দর্শক, ফিরে এলো হারানো ঐতিহ্য
সোনারগাঁয়ে কাবাডি খেলায় হাজারো দর্শক, ফিরে এলো হারানো ঐতিহ্য

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিং-বাণিজ্য স্থগিতই থাকবে, ঘোষণা পাকিস্তানের
আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিং-বাণিজ্য স্থগিতই থাকবে, ঘোষণা পাকিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদিতমারীতে অটোরিকশা উল্টে নিহত ২
আদিতমারীতে অটোরিকশা উল্টে নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সব দলকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান ফখরুলের
গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সব দলকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান ফখরুলের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলায় মুক্তি পাবে প্রভাসের ‘ফৌজি’ সিনেসা
বাংলায় মুক্তি পাবে প্রভাসের ‘ফৌজি’ সিনেসা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মাদ্রাসার ৫ম ও ৮ম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার বিষয় ও মানবণ্টন প্রকাশ
মাদ্রাসার ৫ম ও ৮ম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার বিষয় ও মানবণ্টন প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুষ্টিয়ায় কুখ্যাত ‘চল্লিশ বাহিনী’র প্রধানের সহযোগী জামিল মালিথা আটক
কুষ্টিয়ায় কুখ্যাত ‘চল্লিশ বাহিনী’র প্রধানের সহযোগী জামিল মালিথা আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
এক মাস আগেও ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে : নীলা চৌধুরী
এক মাস আগেও ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে : নীলা চৌধুরী

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা নিয়ে সৌদি আরবের পরিকল্পনা ফাঁস!
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা নিয়ে সৌদি আরবের পরিকল্পনা ফাঁস!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কমিশনের কাছে ২১ দাবি, আছে সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন বেতনের প্রস্তাবনা
কমিশনের কাছে ২১ দাবি, আছে সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন বেতনের প্রস্তাবনা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রশিদ খানকে টপকে রিশাদের বিশ্বরেকর্ড
রশিদ খানকে টপকে রিশাদের বিশ্বরেকর্ড

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফরিদপুরে এ কে আজাদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
ফরিদপুরে এ কে আজাদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চলতি মাসেই বিএনপির ২০০ আসনে প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল, আরপিও সংশোধনের বিষয়ে আপত্তি
চলতি মাসেই বিএনপির ২০০ আসনে প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল, আরপিও সংশোধনের বিষয়ে আপত্তি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া
জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল কি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য?
ইসরায়েল কি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে তহবিল দিতে ইইউ’র রুশ সম্পদ ব্যবহারের পদক্ষেপ ব্যর্থ
ইউক্রেনকে তহবিল দিতে ইইউ’র রুশ সম্পদ ব্যবহারের পদক্ষেপ ব্যর্থ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে কমিউনিটি সেন্টারে আগুন
মিরপুরে কমিউনিটি সেন্টারে আগুন

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অবশেষে সাজেক যাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত হচ্ছে
অবশেষে সাজেক যাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত হচ্ছে

২২ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

ওমরাহ যাত্রীদের নতুন নিয়ম : রিটার্ন টিকিট ক্রয় বাধ্যতামূলক
ওমরাহ যাত্রীদের নতুন নিয়ম : রিটার্ন টিকিট ক্রয় বাধ্যতামূলক

১৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘এনসিপির সঙ্গে এখনই জোট গঠন বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না, অপেক্ষা করতে হবে’
‘এনসিপির সঙ্গে এখনই জোট গঠন বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না, অপেক্ষা করতে হবে’

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আফগান সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানে ৪০০ শতাংশ বেড়েছে টমেটোর দাম!
আফগান সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানে ৪০০ শতাংশ বেড়েছে টমেটোর দাম!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার উদ্যোগ স্থগিতের সিদ্ধান্ত
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার উদ্যোগ স্থগিতের সিদ্ধান্ত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিজ বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতা
নিজ বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতা

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে মুসল্লিদের ৬০ বছরের ভোগান্তির অবসানে ডিসির উদ্যোগ
নারায়ণগঞ্জে মুসল্লিদের ৬০ বছরের ভোগান্তির অবসানে ডিসির উদ্যোগ

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুনার নদীতে বাঁধ দিচ্ছে আফগানিস্তান, পাকিস্তানের বিপদ বাড়ছে?
কুনার নদীতে বাঁধ দিচ্ছে আফগানিস্তান, পাকিস্তানের বিপদ বাড়ছে?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের ভেতরে নাশকতায় শেখ হাসিনার পরিকল্পনা কাজ করছে : গয়েশ্বর
দেশের ভেতরে নাশকতায় শেখ হাসিনার পরিকল্পনা কাজ করছে : গয়েশ্বর

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের বাধা উপেক্ষা করে কি পশ্চিম তীর দখল করতে পারবে ইসরায়েল?
যুক্তরাষ্ট্রের বাধা উপেক্ষা করে কি পশ্চিম তীর দখল করতে পারবে ইসরায়েল?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সব জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে বিএনপি : মির্জা ফখরুল
সব জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘দখল করা ব্যাংকের কর্মীদের পোলিং এজেন্ট বানাতে চায় একটি দল’
‘দখল করা ব্যাংকের কর্মীদের পোলিং এজেন্ট বানাতে চায় একটি দল’

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ওয়েলসে স্টারমারের লেবার পার্টির ঐতিহাসিক পরাজয়
ওয়েলসে স্টারমারের লেবার পার্টির ঐতিহাসিক পরাজয়

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ
ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত দিনে ইউক্রেনের নতুন ১০ এলাকার দখল রাশিয়ার
সাত দিনে ইউক্রেনের নতুন ১০ এলাকার দখল রাশিয়ার

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লিবিয়ায় অভিবাসীরা নির্যাতন ও অপহরণের শিকার হচ্ছেন : আইওএম প্রধান
লিবিয়ায় অভিবাসীরা নির্যাতন ও অপহরণের শিকার হচ্ছেন : আইওএম প্রধান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিয়াঙ্কাকে কেন ‌‌‘ইঁদুর’ বলেছিলেন শাহরুখ?
প্রিয়াঙ্কাকে কেন ‌‌‘ইঁদুর’ বলেছিলেন শাহরুখ?

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত ডা. মিজান
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত ডা. মিজান

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিছনাকান্দির ‘অপমৃত্যু’
বিছনাকান্দির ‘অপমৃত্যু’

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের হিসাব
ভোটে জোটের হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বিশৃঙ্খল প্রশাসনে মেরামত শুরু
বিশৃঙ্খল প্রশাসনে মেরামত শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবানা ও ইলিয়াস কাঞ্চনের সেরা দৃশ্য
শাবানা ও ইলিয়াস কাঞ্চনের সেরা দৃশ্য

শোবিজ

ভিউকার্ডের দিনগুলো...
ভিউকার্ডের দিনগুলো...

শোবিজ

বিএনপির রুহুল কুদ্দুস দুলু জামায়াতের ইউনুস
বিএনপির রুহুল কুদ্দুস দুলু জামায়াতের ইউনুস

নগর জীবন

গণপরিবহনে নৈরাজ্য চরমে
গণপরিবহনে নৈরাজ্য চরমে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড় বিনিয়োগে হচ্ছে দুই হাজার কর্মসংস্থান
বড় বিনিয়োগে হচ্ছে দুই হাজার কর্মসংস্থান

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দুই মিনিটে শনাক্ত হচ্ছে মাদক
দুই মিনিটে শনাক্ত হচ্ছে মাদক

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যয়ে পার্থক্য আকাশপাতাল
ব্যয়ে পার্থক্য আকাশপাতাল

পেছনের পৃষ্ঠা

ফরিদপুরে অবাঞ্ছিত এ কে আজাদ, মশালমিছিল
ফরিদপুরে অবাঞ্ছিত এ কে আজাদ, মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যর্থ প্রেমিক মামুন এক যুগ ধরে শিকলবন্দি
ব্যর্থ প্রেমিক মামুন এক যুগ ধরে শিকলবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

বন্দরের ট্যারিফ নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা
বন্দরের ট্যারিফ নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা

খবর

খুশির একি কাণ্ড
খুশির একি কাণ্ড

শোবিজ

থাইল্যান্ডের কাছে মেয়েদের হার
থাইল্যান্ডের কাছে মেয়েদের হার

মাঠে ময়দানে

নিশ্চিহ্ন অর্ধশতাধিক পাহাড়
নিশ্চিহ্ন অর্ধশতাধিক পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকার-আইএমএফ মুখোমুখি
সরকার-আইএমএফ মুখোমুখি

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ভাঙছে দেব-রুক্নিণীর?
মান ভাঙছে দেব-রুক্নিণীর?

শোবিজ

প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীদের যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা আটকে দিল পুলিশ
প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীদের যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা আটকে দিল পুলিশ

নগর জীবন

হাফ ডজন প্রার্থীর সরব প্রচার
হাফ ডজন প্রার্থীর সরব প্রচার

নগর জীবন

উত্তাপ কমছে সবজিতে
উত্তাপ কমছে সবজিতে

পেছনের পৃষ্ঠা

জাতীয় ক্রিকেটে ময়মনসিংহের অভিষেক আজ
জাতীয় ক্রিকেটে ময়মনসিংহের অভিষেক আজ

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা কিংসের সামনে আল সিব
বসুন্ধরা কিংসের সামনে আল সিব

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমান নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন
তারেক রহমান নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেডারেশন কাপে জয়ে শুরু আবাহনীর
ফেডারেশন কাপে জয়ে শুরু আবাহনীর

মাঠে ময়দানে

নজর এখন টি-২০ সিরিজ
নজর এখন টি-২০ সিরিজ

মাঠে ময়দানে

গানের পাখি পাপিয়া
গানের পাখি পাপিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

মনুষ্যত্বহীনতার ঘৃণা গড়ে ওঠেনি সংবিতে
মনুষ্যত্বহীনতার ঘৃণা গড়ে ওঠেনি সংবিতে

সম্পাদকীয়

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের বিএনপিতে যোগদান
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের বিএনপিতে যোগদান

নগর জীবন