শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৪ জুন, ২০২১

আমেরিকাকে শত্রু ভাবা সহজ ছিল না

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আমেরিকাকে শত্রু ভাবা সহজ ছিল না

তখনকার বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে বসল লাহোরে, ১৯৬৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। ওই সম্মেলনের বিষয়-নির্বাচনী কমিটিতে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করলেন। স্বভাবতই তা গৃহীত হয়নি। ছয় দফা উত্থাপন করাকে আইয়ুব খান একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করলেন। ক্রমবর্ধমান জন-অসন্তোষের মুখে তাঁর জন্য একটি অভ্যন্তরীণ শত্রু প্রয়োজন ছিল, যাকে দেখিয়ে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষ ও সেনাবাহিনীকে একাট্টা হয়ে তাঁর পেছনে দাঁড়ানোর জন্য ডাক দিতে পারেন। শেখ মুজিব ও ছয় দফাকে তিনি সেই শত্রু হিসেবে দাঁড় করালেন। বললেন ছয় দফা জাতীয় সংহতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র মাত্র, এবং হুঙ্কার দিলেন যে এ ধরনের তৎপরতা বরদাশত করা হবে না। আইয়ুববিরোধী পশ্চিম পাকিস্তানি নেতারাও ছয় দফাকে তাদের স্বার্থের বিরোধী হিসেবেই দেখলেন, এবং প্রায় সবাই এর জোর বিরোধিতা করলেন। এতে পূর্ব ও পশ্চিমের দূরত্বটা আরও পরিষ্কার হলো।

জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আইয়ুব তিনজনকে চিনতেন; হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমান। ফজলুল হক ১৯৫৬-এর পরে রাজনীতিতে আর সক্রিয় ছিলেন না; ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু ঘটে। ক্ষমতা দখল করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাসানীকেও আইয়ুব খান বন্দী করেছিলেন। তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল চার বছর, তিনি মুক্ত হন অনশন করে এবং প্রবল জনমতের চাপে। সোহরাওয়ার্দীকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়নি। পরে করা হয়; কিন্তু বেশি দিন রাখা যায়নি। তাঁর মুক্তির জন্য প্রবল বিক্ষোভ হয়েছে, তা ছাড়া আইয়ুবের বিদেশি মুরব্বিরাও ঘোরতর মার্কিনপন্থি সোহরাওয়ার্দীকে আটকে রাখাটা পছন্দ করেনি; তাই তাঁকে সাত মাসের মধ্যেই মুক্তি দিতে হয়েছে; এর পরে তিনি তো মারাই গেলেন, ১৯৬৩-এর ৫ ডিসেম্বরে।

স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে মওলানা ভাসানী সব সময়ই উচ্চকণ্ঠ ছিলেন, সোহরাওয়ার্দী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ১৯৫৭ সালে স্বায়ত্তশাসন শতকরা ৯৮ ভাগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করেছিলেন, যার বিপরীতে মওলানা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন যে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন না দিলে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে যাবে। কিন্তু ১৯৬৬ সালে মওলানা শুধু পূর্ব পাকিস্তানের নন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি হিসেবে গোটা পাকিস্তানের জাতীয় পর্যায়ের নেতা; পূর্ব পাকিস্তানের তো বটেই সেই সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশেরও স্বায়ত্তশাসন তিনি চান; তাঁর দলের দাবি এক ইউনিট বাতিল করা চাই, যে দাবি পাঞ্জাবিদের ভিতর জনপ্রিয় নয়। আর পাঞ্জাবিরাই তো দেশ শাসনে প্রধান নিয়ামক। মওলানাকে তাই তখন ততটা বিপজ্জনক বলে মনে হয়নি। এ পরিস্থিতিতে শেখ মুজিব যখন ছয় দফা দিলেন, কেবল দিলেন না, সভা ও সমাবেশ করে ছয় দফার পক্ষে বলতে শুরু করলেন তখন আইয়ুব খান প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে তাঁকেই দেখতে পেলেন, এবং তাঁকে পাকিস্তানের সংহতির পক্ষে শত্রু হিসেবে দাঁড় করাতে চাইলেন। তাঁর শঙ্কা আরও বাড়ছিল কারণ তিনি টের পাচ্ছিলেন যে স্বায়ত্তশাসনের ওই আন্দোলনের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহানুভুতি রয়েছে। এর একটা প্রমাণ ছিল এই যে ১৯৬৩ সালেই পাকিস্তানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে এ রকম একটি ঘোষণা দেন যে পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ আর্থিক সাহায্য থেকে পূর্ব পাকিস্তানের অংশ আলাদাভাবে চিহ্নিত করে দেওয়া হবে।

১৯৬৬-এরই জুনে গৃহীত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত ১৪ দফায়ও মার্কিন সরকারের ওই দৃষ্টিভঙ্গির উল্লেখ পাওয়া যায়। সেটি এ রকমের : ‘পাকিস্তানের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরা প্রকাশ্যে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি দরদ প্রকাশ করিয়াছে। কিছুকাল পূর্বে তদানীন্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মি. ম্যাকনগি পূর্ব পাকিস্তান সফরকালে প্রকাশ্যে পূর্ব পাকিস্তানিদের সাহায্য করার প্রস্তাব করিয়াছেন।’ এর কারণ ছিল। আমেরিকানরা বিলক্ষণ বুঝতে পারছিল যে স্বায়ত্তশাসনের দাবির ন্যায্যতা রয়েছে এবং দাবিটি ক্রমেই প্রবল হবে। স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন যাতে কমিউনিস্টদের হাতে চলে না যায় তা নিশ্চিত করতে পূর্ববঙ্গের উঠতি বুর্জোয়াদের সহায়তাদানে সম্মতিটা আগেভাগেই জানিয়ে রাখাটা তারা ভালো বলে মনে করেছে। কমিউনিস্টদের প্রতি বিদ্বেষ অবশ্য আইয়ুব খানের নিজেরও নিতান্ত কম ছিল না; ১৯৬৬ সালের ২২ নভেম্বর ম্যানচেস্টারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, স্বায়ত্তশাসনের দাবিদারদের ভিতর বৃহত্তর বঙ্গ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগীরা তো রয়েছেই, কমিউনিস্টরাও আছে। বলার পেছনে একটা উদ্দেশ্য ছিল। সেটা হলো আমেরিকানরা কমিউনিস্ট দমনের জন্য তাঁর হাতকে আরও শক্তিশালী করুক এ কামনা। আরেকটা উদ্দেশ্য পুরনো; সেটা হলো দেশের মানুষের ভিতর যে ভারতবিদ্বেষ ও কমিউনিস্ট-ভীতি ছিল তাকে কাজে লাগিয়ে পূর্ববঙ্গের স্বায়ত্তশাসনবিরোধী করে তোলা।

ছয় দফা পূর্ববঙ্গে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। শেখ মুজিব প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভা করে এ বক্তব্য তুলে ধরেন যে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ উপনিবেশে পরিণত হয়েছে; এখানে যে শিল্পোন্নয়ন ঘটছে তাতেও পশ্চিম পাকিস্তানিদের আধিপত্য, ব্যবসা-বাণিজ্যও তাদের হাতে এবং পূর্ব পাকিস্তানকে বন্ধক রেখে যে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হচ্ছে তার বেশির ভাগই খরচ হচ্ছে পশ্চিমে অথচ ওই ঋণ শোধ করতে হবে পূর্ব পাকিস্তানের পণ্য বিক্রির টাকা দিয়েই। আঞ্চলিক বৈষম্য ও পীড়নের ওই সত্যটা পূর্ববঙ্গের মানুষ খুবই টের পাচ্ছিল। পূর্ব ও পশ্চিমের অর্থনীতি যে অভিন্ন নয়, তারা যে বিভক্ত, এ কথা ১৯৫০ সাল থেকেই বলা হচ্ছিল, ১৯৫৭-এর কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানী কথাটা খুব জোর দিয়েই বলেছেন; এবার ১৯৬৬-তে ছয় দফা পেশ এবং প্রচারে সেটা আগের চেয়ে বেশি করে সামনে চলে এলো। এ কাজ আইয়ুব খানের নিবর্তনমূলক কর্মকান্ডেও সহায়ক হয়েছিল। একপর্যায়ে তাঁর স্বঘোষিত ‘গোমস্তা’ গভর্নর আবদুল মোনায়েম খান শেখ মুজিবকে জনসভায় বক্তৃতা শেষ করার পরই গ্রেফতার, জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় বক্তৃতা করলে আবার গ্রেফতার, এ কার্যক্রম চালিয়ে শেখ মুজিব ও তাঁর বক্তব্য উভয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছিলেন। এর পরে শেখ মুজিবকে জেলে আটক রাখা এবং আটক অবস্থায় আগরতলা মামলার প্রধান আসামি করার কাজটি আইয়ুব খান করলেন। অসন্তুষ্ট পূর্ববঙ্গ তখন একজন বিদ্রোহী বাঙালি জাতীয়তাবাদী নায়ক খুঁজছিল, শেখ মুজিবের মধ্যে তাঁকে পাওয়া গেল।

ছয় দফাকে ন্যাপ পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি বলে মনে করেনি। তাঁদের বক্তব্য ছিল এ-রকমের যে, এতে শ্রমিক-কৃষকের অধিকারের কথা নেই, পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কেও উল্লেখ অনুপস্থিত। এ পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাপ তাদের ১৪ দফার মাধ্যমে জাতীয় মুক্তির একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করে। ন্যাপ তখনো দ্বিখন্ডিত হয়নি, তবে কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে, ছাত্র ইউনিয়ন দুই টুকরো হওয়াটা ঘটেছে আরও আগে। ন্যাপের ১৪ দফায় মওলানা ভাসানীর চিন্তাধারার প্রতিফলন ছিল। ছয় দফায় যা ছিল না, ১৪ দফায় তা ছিল। ১৪ দফায় পূর্ণ আঞ্চলিক শাসনের দাবি জোর দিয়েই করা হয়েছে, তবে সেই সঙ্গে বলা হয়েছে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব থাকবে জনগণের হাতে। যেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য। ১৪ দফায় পশ্চিম পাকিস্তানের এক ইউনিট ভাঙার কথা সরাসরি বলা হয়নি, তবে তার প্রদেশগুলোকে ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে পুনর্গঠিত করাসহ এমন একটি আঞ্চলিক ফেডারেশন গঠন করার কথা বলা হয়েছে যেখানে কোনো একটি প্রদেশের আধিপত্য থাকবে না। বলা হয়েছে, শ্রমিক ও কৃষকের অবস্থার উন্নতির ও জনগণের খাদ্যের দাবির কথা। শিক্ষাকে ব্যবসায়ে পরিণতকরণের মধ্য দিয়ে শিক্ষা সংকোচনের নীতিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ১৪ দফায় দাবি আছে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার। দাবি জানানো হয়েছে আমলাতান্ত্রিক পুঁজি এবং ব্যাংক, বীমা কোম্পানি ও পাট ব্যবসা জাতীয়করণের। ১৪ দফায় অঙ্গীকার আছে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার। শাসকদের চিহ্নিত করা হয়েছে পুঁজিপতি ও আমলাতন্ত্রী বলে।

ছয় দফায় পররাষ্ট্রনীতির কোনো উল্লেখ নেই; ন্যাপের ১৪ দফায় পররাষ্ট্রনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বলা হয়েছে, ‘সাম্রাজ্যবাদই আমাদের প্রধান শত্রু’। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার দাবি জানানো হয়েছে। ১৪ দফায় লক্ষ্য করা হয়েছে যে, ‘কিছু ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র মুক্তি অর্জনের জন্য সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিতেছে। বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো ইতিমধ্যেই সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর সহিত এক তীব্র অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হইয়াছে। এসবই পুঁজিবাদের সাধারণ সংকটকে গভীরতর করিতেছে এবং পুঁজিবাদী দেশগুলোর মধ্যকার বিরোধকে তীব্রতর করিয়া তুলিতেছে। [...] মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ইতিমধ্যে দক্ষিণ ভিয়েতনামে রীতিমত যুদ্ধ শুরু করিয়াছে। [...] লাওসে প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করিতেছে [...] তারা ছায়াযুদ্ধকে আরও বিস্তৃত করিতে চায়। তাহাদের লক্ষ্য হইতেছে চীন।’

ছয় দফার ছয় নম্বর দফায় অঙ্গরাষ্ট্রগুলোকে ‘স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে’ আধাসামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ১৪ দফায় এ দাবিটি আরও স্পষ্ট; সেখানে রয়েছে, ‘পাকিস্তান প্রতিরক্ষা কাঠামোকে পুনর্গঠন করিতে হইবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানকে আত্মনির্ভরশীল করিয়া তুলিতে হইবে।’ দাবিটির ব্যাখ্যা করে বলা আছে, ‘দেশের সকল অংশকে যথাযথভাবে রক্ষার ব্যবস্থা করিতে হইবে এবং সকল অঞ্চলের জনসাধারণকে জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদানের পরিপূর্ণ সুযোগ প্রদান করিতে হইবে। সেনাবাহিনীকে জাতীয় ভিত্তিতে গঠন করিতে হইবে এবং ক্রমশ উহার গঠন জনসংখ্যার আনুপাতিক হইতে হইবে।’ ‘জনসংখ্যার আনুপাতিক’ কথাটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু ন্যাপের ১৪ দফা জনপ্রিয় হয়নি। তার কারণ ছিল। পূর্ববঙ্গবাসীর কাছে তখন যে সত্যটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল তা হলো আঞ্চলিক বৈষম্য। ছয় দফা ওই বৈষম্যকেই চিহ্নিত করেছে। ছয় দফার প্রস্তাবগুলো এখানে স্মরণ করা যাক। সেগুলো হলো- ‘১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রকৃতি : পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশন-ভিত্তিক রাষ্ট্রসংঘ এবং তার ভিত্তি হবে লাহোর প্রস্তাব। ২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা : কেন্দ্রীয় সরকারের, ক্ষমতা কেবলমাত্র দুটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে, দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। ৩. মুদ্রা ও অর্থসম্বন্ধীয় ক্ষমতা : দুটির যে কোনো একটি; (ক) সমগ্র দেশের জন্য দুটি পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা। (খ) অভিন্ন মুদ্রা থাকবে কিন্তু ব্যবস্থা নিতে হবে মূলধন পাচার বন্ধের, পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভের। ৪. রাজস্ব কর ও শুল্ক : অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর কর ও শুল্ক ধার্যের সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে, তবে কেন্দ্রীয় ব্যয়ের জন্য অঙ্গরাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্র পাবে। ৫. বৈদেশিক বাণিজ্য : বহির্বাণিজ্যের পৃথক হিসাব থাকবে, বহির্বাণিজ্যে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর এখতিয়ারাধীন হবে, কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা অঙ্গরাষ্ট্রগুলো মেটাবে, অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দেশজ দ্রব্যাদি চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা কর জাতীয় বাধানিষেধ থাকবে না, অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর বিদেশে নিজ নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ ও নিজেদের স্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি করার ক্ষমতা থাকবে।’

পূর্ববঙ্গের রাজনীতির প্রধান ভুমিকা পালন করছিল যে উঠতি মধ্যবিত্ত এগুলো ছিল তাদেরও দাবি। তারা নিজেদের হিস্সা চেয়েছে। অখন্ড বঙ্গে এ মধ্যবিত্ত দেখছিল উন্নতির পথে অন্তরায় হচ্ছে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু মধ্যবিত্ত, পাকিস্তান কায়েম করে তাদের হটানো গেছে; কিন্তু তাদের জায়গা দখল করেছে অবাঙালিরা, যাদের হটানো না গেলে উন্নতির পথ অবরুদ্ধ থাকবে। মধ্যবিত্ত কিন্তু নিজেদেরই জাতি মনে করে, সেই জাতীয়তায় মেহনতিদের স্থান একেবারেই প্রান্তিক। ১৪ দফায় সমাজতন্ত্রের কথা আছে; মুখে যা-ই বলুক মধ্যবিত্ত কিন্তু সমাজতন্ত্র চায়নি, কেউ কেউ বরং সমাজতন্ত্রের কথা শুনে বিরক্তই হয়েছে। ওদিকে সমাজতন্ত্র যারা চায় তারা সুসংগঠিত ছিল না। দল হিসেবে পূর্ববঙ্গে ন্যাপ বের হয়ে এসেছে মূলত আওয়ামী লীগ ভেঙে, অখন্ড কমিউনিস্ট পার্টি নেতৃত্বের একাংশ আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে আসাটা পছন্দ করেনি, তাদের বক্তব্য ছিল আওয়ামী লীগের ভিতরে থাকলেই কাজ করতে বিশেষ করে জনগণের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে সুবিধা হবে। এঁরা মওলানাকেই ন্যাপ গঠনের জন্য দায়ী করেছেন।

সমাজতন্ত্রবিদ্বেষীরা যে চুপ করে থেকেছে তা নয়। মওলানা মুসলিম লীগের মুখপত্র দৈনিক আজাদের দ্বারা যেমন নিষ্ঠুরভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তেমনি হামলার শিকার হয়েছেন তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত ও আওয়ামী লীগের মুখপত্র বলে পরিচিত দৈনিক ইত্তেফাকেরও। ন্যাপকে ইত্তেফাক সোহরাওয়ার্দীর শেখানো নেহরু-এইডেড পার্টি বলে ঠাট্টা তো করেছেই আবার প্রশংসা ছলেও আক্রমণ করেছে; যেমন, লিখেছে, ‘ইতিমধ্যেই কম্যুনিস্ট ও অনুপ্রবেশকারীরা মওলানা ভাসানীকে তাঁর সম্মানজনক আসন হইতে টানিয়া অনেক নিম্নে নামাইয়া আনিয়াছে। আওয়ামী লীগে ঠাঁই না পাইয়া ঐসব অনুপ্রবেশকারী পশ্চিম পাকিস্তানের পাকিস্তানবিরোধী রাজনৈতিক এতিমদের সহিত কেন, তৃণগুচ্ছ সম্বল করিয়াও মরণের হাত হইতে বাঁচিবার চেষ্টা করিতে পারে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে ঐ শ্রেণীর নেতাদের যে কী রকমের “অভিনন্দন” জুটিবে, সেই-সম্পর্কে এখনই নিরাপদ ভবিষ্যদ্বাণী করা যাইতে পারে।’

যাদের অনুপ্রবেশকারী বলা হচ্ছে তারা সমাজতন্ত্রী, মওলানা ভাসানী নিজেও কিন্তু ওই দলেই পড়েন।

নিজের দল বিভক্ত ও বিভ্রান্ত; সরকার, সরকারি দল এবং বুর্জোয়া-মনোভাবাপন্ন সংবাদপত্র সবাই বিরুদ্ধে, নিজেদের পত্রিকা বলতে কিছুই নেই, বিপরীতে ছয় দফার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ও প্রচার, শত্রুপক্ষের প্রবল আক্রমণ এসবের মধ্যে জাতীয়তাবাদী সংগ্রামকে যারা সমাজতন্ত্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তারা যে আপাতত বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক। এবং তারা সেটা পারেওনি।

ন্যাপ যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করছিল তা-ও কিন্তু মধ্যবিত্তকে আকৃষ্ট করার কথা নয়। মধ্যবিত্ত তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শত্রু নয় মিত্র হিসেবেই দেখতে চাইছিল। ইংরেজরা ছিল ঔপনিবেশিক, তারা এখানে থাকত, শোষণ-নির্যাতন করত; তাদের কাজের পটভুমিতে আমেরিকানদের উজ্জ্বলই মনে হচ্ছিল। আমেরিকানরা আসা-যাওয়া করে, থাকে না, তাদের কাজকর্ম বন্ধুর মতোই। আমেরিকানদের সাহায্যে দেশের উন্নতি হচ্ছে, তারা ঋণ দিচ্ছে, সাহায্যের হাত প্রসারিত করে রেখেছে, অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করবে, তাদের অংশগ্রহণে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। পিস কোরের স্বেচ্ছাসেবকরা আসছে, দুর্যোগে আমেরিকানরা পাশে দাঁড়াচ্ছে। এসব দেখা যাচ্ছিল। তাদের ছাড়া চলবে কী করে, এ প্রশ্নটা ছিল। তদুপরি আমেরিকান সরকার ইতিমধ্যে বড় আকারে সাংস্কৃতিক প্রচার ও তৎপরতা শুরু করে দিয়েছিল। বড় বড় শহরে তারা ইনফরমেশন সেন্টার খুলেছে। সেখানে লাইব্রেরি আছে, গিয়ে বই ও পত্রিকা পড়া যায়, সিনেমা দেখা যায়, ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা সার্ভিস চালু হয়েছে, বিনামূল্যে বিতরণের জন্য পত্রিকা প্রকাশ করছে; সর্বোপরি বৃত্তি দিচ্ছে আমেরিকায় গিয়ে পড়াশোনার। ভ্রমণেও নিয়ে যাচ্ছে বিশিষ্ট শিক্ষকদের, ফুলব্রাইট স্কলাররা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে আসছে। আমেরিকাকে শত্রু ভাবাটা তখন খুব সহজ ছিল না।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

২৭ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

৩৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

৩৯ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

৫৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৫৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত
নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নোয়াখালীতে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
নোয়াখালীতে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পাকিস্তান
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পাকিস্তান

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাউবির কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুলের নতুন ডিন ড. সিরাজুল ইসলাম
বাউবির কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুলের নতুন ডিন ড. সিরাজুল ইসলাম

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এই প্রথম গোলটি আমি সারাজীবন মনে রাখব: লেভানদোভস্কি
এই প্রথম গোলটি আমি সারাজীবন মনে রাখব: লেভানদোভস্কি

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

১৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প
শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প

পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা
বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি
টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি

পূর্ব-পশ্চিম

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

ভিয়েতনামে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৯০ নিখোঁজ ১২
ভিয়েতনামে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৯০ নিখোঁজ ১২

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

ঋতুপর্ণাদের ‘মিশন অস্ট্রেলিয়া’
ঋতুপর্ণাদের ‘মিশন অস্ট্রেলিয়া’

মাঠে ময়দানে

সিটি লিভারপুলের হারের রাতে চেলসির স্বস্তি
সিটি লিভারপুলের হারের রাতে চেলসির স্বস্তি

মাঠে ময়দানে

‘শত্রুরা খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করছে’
‘শত্রুরা খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করছে’

পূর্ব-পশ্চিম