শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৪ জুন, ২০২১

আমেরিকাকে শত্রু ভাবা সহজ ছিল না

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আমেরিকাকে শত্রু ভাবা সহজ ছিল না

তখনকার বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে বসল লাহোরে, ১৯৬৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। ওই সম্মেলনের বিষয়-নির্বাচনী কমিটিতে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করলেন। স্বভাবতই তা গৃহীত হয়নি। ছয় দফা উত্থাপন করাকে আইয়ুব খান একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করলেন। ক্রমবর্ধমান জন-অসন্তোষের মুখে তাঁর জন্য একটি অভ্যন্তরীণ শত্রু প্রয়োজন ছিল, যাকে দেখিয়ে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষ ও সেনাবাহিনীকে একাট্টা হয়ে তাঁর পেছনে দাঁড়ানোর জন্য ডাক দিতে পারেন। শেখ মুজিব ও ছয় দফাকে তিনি সেই শত্রু হিসেবে দাঁড় করালেন। বললেন ছয় দফা জাতীয় সংহতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র মাত্র, এবং হুঙ্কার দিলেন যে এ ধরনের তৎপরতা বরদাশত করা হবে না। আইয়ুববিরোধী পশ্চিম পাকিস্তানি নেতারাও ছয় দফাকে তাদের স্বার্থের বিরোধী হিসেবেই দেখলেন, এবং প্রায় সবাই এর জোর বিরোধিতা করলেন। এতে পূর্ব ও পশ্চিমের দূরত্বটা আরও পরিষ্কার হলো।

জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আইয়ুব তিনজনকে চিনতেন; হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমান। ফজলুল হক ১৯৫৬-এর পরে রাজনীতিতে আর সক্রিয় ছিলেন না; ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু ঘটে। ক্ষমতা দখল করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাসানীকেও আইয়ুব খান বন্দী করেছিলেন। তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল চার বছর, তিনি মুক্ত হন অনশন করে এবং প্রবল জনমতের চাপে। সোহরাওয়ার্দীকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়নি। পরে করা হয়; কিন্তু বেশি দিন রাখা যায়নি। তাঁর মুক্তির জন্য প্রবল বিক্ষোভ হয়েছে, তা ছাড়া আইয়ুবের বিদেশি মুরব্বিরাও ঘোরতর মার্কিনপন্থি সোহরাওয়ার্দীকে আটকে রাখাটা পছন্দ করেনি; তাই তাঁকে সাত মাসের মধ্যেই মুক্তি দিতে হয়েছে; এর পরে তিনি তো মারাই গেলেন, ১৯৬৩-এর ৫ ডিসেম্বরে।

স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে মওলানা ভাসানী সব সময়ই উচ্চকণ্ঠ ছিলেন, সোহরাওয়ার্দী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ১৯৫৭ সালে স্বায়ত্তশাসন শতকরা ৯৮ ভাগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করেছিলেন, যার বিপরীতে মওলানা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন যে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন না দিলে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে যাবে। কিন্তু ১৯৬৬ সালে মওলানা শুধু পূর্ব পাকিস্তানের নন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি হিসেবে গোটা পাকিস্তানের জাতীয় পর্যায়ের নেতা; পূর্ব পাকিস্তানের তো বটেই সেই সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশেরও স্বায়ত্তশাসন তিনি চান; তাঁর দলের দাবি এক ইউনিট বাতিল করা চাই, যে দাবি পাঞ্জাবিদের ভিতর জনপ্রিয় নয়। আর পাঞ্জাবিরাই তো দেশ শাসনে প্রধান নিয়ামক। মওলানাকে তাই তখন ততটা বিপজ্জনক বলে মনে হয়নি। এ পরিস্থিতিতে শেখ মুজিব যখন ছয় দফা দিলেন, কেবল দিলেন না, সভা ও সমাবেশ করে ছয় দফার পক্ষে বলতে শুরু করলেন তখন আইয়ুব খান প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে তাঁকেই দেখতে পেলেন, এবং তাঁকে পাকিস্তানের সংহতির পক্ষে শত্রু হিসেবে দাঁড় করাতে চাইলেন। তাঁর শঙ্কা আরও বাড়ছিল কারণ তিনি টের পাচ্ছিলেন যে স্বায়ত্তশাসনের ওই আন্দোলনের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহানুভুতি রয়েছে। এর একটা প্রমাণ ছিল এই যে ১৯৬৩ সালেই পাকিস্তানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে এ রকম একটি ঘোষণা দেন যে পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ আর্থিক সাহায্য থেকে পূর্ব পাকিস্তানের অংশ আলাদাভাবে চিহ্নিত করে দেওয়া হবে।

১৯৬৬-এরই জুনে গৃহীত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত ১৪ দফায়ও মার্কিন সরকারের ওই দৃষ্টিভঙ্গির উল্লেখ পাওয়া যায়। সেটি এ রকমের : ‘পাকিস্তানের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরা প্রকাশ্যে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি দরদ প্রকাশ করিয়াছে। কিছুকাল পূর্বে তদানীন্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মি. ম্যাকনগি পূর্ব পাকিস্তান সফরকালে প্রকাশ্যে পূর্ব পাকিস্তানিদের সাহায্য করার প্রস্তাব করিয়াছেন।’ এর কারণ ছিল। আমেরিকানরা বিলক্ষণ বুঝতে পারছিল যে স্বায়ত্তশাসনের দাবির ন্যায্যতা রয়েছে এবং দাবিটি ক্রমেই প্রবল হবে। স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন যাতে কমিউনিস্টদের হাতে চলে না যায় তা নিশ্চিত করতে পূর্ববঙ্গের উঠতি বুর্জোয়াদের সহায়তাদানে সম্মতিটা আগেভাগেই জানিয়ে রাখাটা তারা ভালো বলে মনে করেছে। কমিউনিস্টদের প্রতি বিদ্বেষ অবশ্য আইয়ুব খানের নিজেরও নিতান্ত কম ছিল না; ১৯৬৬ সালের ২২ নভেম্বর ম্যানচেস্টারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, স্বায়ত্তশাসনের দাবিদারদের ভিতর বৃহত্তর বঙ্গ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগীরা তো রয়েছেই, কমিউনিস্টরাও আছে। বলার পেছনে একটা উদ্দেশ্য ছিল। সেটা হলো আমেরিকানরা কমিউনিস্ট দমনের জন্য তাঁর হাতকে আরও শক্তিশালী করুক এ কামনা। আরেকটা উদ্দেশ্য পুরনো; সেটা হলো দেশের মানুষের ভিতর যে ভারতবিদ্বেষ ও কমিউনিস্ট-ভীতি ছিল তাকে কাজে লাগিয়ে পূর্ববঙ্গের স্বায়ত্তশাসনবিরোধী করে তোলা।

ছয় দফা পূর্ববঙ্গে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। শেখ মুজিব প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভা করে এ বক্তব্য তুলে ধরেন যে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ উপনিবেশে পরিণত হয়েছে; এখানে যে শিল্পোন্নয়ন ঘটছে তাতেও পশ্চিম পাকিস্তানিদের আধিপত্য, ব্যবসা-বাণিজ্যও তাদের হাতে এবং পূর্ব পাকিস্তানকে বন্ধক রেখে যে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হচ্ছে তার বেশির ভাগই খরচ হচ্ছে পশ্চিমে অথচ ওই ঋণ শোধ করতে হবে পূর্ব পাকিস্তানের পণ্য বিক্রির টাকা দিয়েই। আঞ্চলিক বৈষম্য ও পীড়নের ওই সত্যটা পূর্ববঙ্গের মানুষ খুবই টের পাচ্ছিল। পূর্ব ও পশ্চিমের অর্থনীতি যে অভিন্ন নয়, তারা যে বিভক্ত, এ কথা ১৯৫০ সাল থেকেই বলা হচ্ছিল, ১৯৫৭-এর কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানী কথাটা খুব জোর দিয়েই বলেছেন; এবার ১৯৬৬-তে ছয় দফা পেশ এবং প্রচারে সেটা আগের চেয়ে বেশি করে সামনে চলে এলো। এ কাজ আইয়ুব খানের নিবর্তনমূলক কর্মকান্ডেও সহায়ক হয়েছিল। একপর্যায়ে তাঁর স্বঘোষিত ‘গোমস্তা’ গভর্নর আবদুল মোনায়েম খান শেখ মুজিবকে জনসভায় বক্তৃতা শেষ করার পরই গ্রেফতার, জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় বক্তৃতা করলে আবার গ্রেফতার, এ কার্যক্রম চালিয়ে শেখ মুজিব ও তাঁর বক্তব্য উভয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছিলেন। এর পরে শেখ মুজিবকে জেলে আটক রাখা এবং আটক অবস্থায় আগরতলা মামলার প্রধান আসামি করার কাজটি আইয়ুব খান করলেন। অসন্তুষ্ট পূর্ববঙ্গ তখন একজন বিদ্রোহী বাঙালি জাতীয়তাবাদী নায়ক খুঁজছিল, শেখ মুজিবের মধ্যে তাঁকে পাওয়া গেল।

ছয় দফাকে ন্যাপ পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি বলে মনে করেনি। তাঁদের বক্তব্য ছিল এ-রকমের যে, এতে শ্রমিক-কৃষকের অধিকারের কথা নেই, পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কেও উল্লেখ অনুপস্থিত। এ পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাপ তাদের ১৪ দফার মাধ্যমে জাতীয় মুক্তির একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করে। ন্যাপ তখনো দ্বিখন্ডিত হয়নি, তবে কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে, ছাত্র ইউনিয়ন দুই টুকরো হওয়াটা ঘটেছে আরও আগে। ন্যাপের ১৪ দফায় মওলানা ভাসানীর চিন্তাধারার প্রতিফলন ছিল। ছয় দফায় যা ছিল না, ১৪ দফায় তা ছিল। ১৪ দফায় পূর্ণ আঞ্চলিক শাসনের দাবি জোর দিয়েই করা হয়েছে, তবে সেই সঙ্গে বলা হয়েছে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব থাকবে জনগণের হাতে। যেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য। ১৪ দফায় পশ্চিম পাকিস্তানের এক ইউনিট ভাঙার কথা সরাসরি বলা হয়নি, তবে তার প্রদেশগুলোকে ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে পুনর্গঠিত করাসহ এমন একটি আঞ্চলিক ফেডারেশন গঠন করার কথা বলা হয়েছে যেখানে কোনো একটি প্রদেশের আধিপত্য থাকবে না। বলা হয়েছে, শ্রমিক ও কৃষকের অবস্থার উন্নতির ও জনগণের খাদ্যের দাবির কথা। শিক্ষাকে ব্যবসায়ে পরিণতকরণের মধ্য দিয়ে শিক্ষা সংকোচনের নীতিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ১৪ দফায় দাবি আছে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার। দাবি জানানো হয়েছে আমলাতান্ত্রিক পুঁজি এবং ব্যাংক, বীমা কোম্পানি ও পাট ব্যবসা জাতীয়করণের। ১৪ দফায় অঙ্গীকার আছে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার। শাসকদের চিহ্নিত করা হয়েছে পুঁজিপতি ও আমলাতন্ত্রী বলে।

ছয় দফায় পররাষ্ট্রনীতির কোনো উল্লেখ নেই; ন্যাপের ১৪ দফায় পররাষ্ট্রনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বলা হয়েছে, ‘সাম্রাজ্যবাদই আমাদের প্রধান শত্রু’। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার দাবি জানানো হয়েছে। ১৪ দফায় লক্ষ্য করা হয়েছে যে, ‘কিছু ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র মুক্তি অর্জনের জন্য সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিতেছে। বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো ইতিমধ্যেই সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর সহিত এক তীব্র অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হইয়াছে। এসবই পুঁজিবাদের সাধারণ সংকটকে গভীরতর করিতেছে এবং পুঁজিবাদী দেশগুলোর মধ্যকার বিরোধকে তীব্রতর করিয়া তুলিতেছে। [...] মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ইতিমধ্যে দক্ষিণ ভিয়েতনামে রীতিমত যুদ্ধ শুরু করিয়াছে। [...] লাওসে প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করিতেছে [...] তারা ছায়াযুদ্ধকে আরও বিস্তৃত করিতে চায়। তাহাদের লক্ষ্য হইতেছে চীন।’

ছয় দফার ছয় নম্বর দফায় অঙ্গরাষ্ট্রগুলোকে ‘স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে’ আধাসামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ১৪ দফায় এ দাবিটি আরও স্পষ্ট; সেখানে রয়েছে, ‘পাকিস্তান প্রতিরক্ষা কাঠামোকে পুনর্গঠন করিতে হইবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানকে আত্মনির্ভরশীল করিয়া তুলিতে হইবে।’ দাবিটির ব্যাখ্যা করে বলা আছে, ‘দেশের সকল অংশকে যথাযথভাবে রক্ষার ব্যবস্থা করিতে হইবে এবং সকল অঞ্চলের জনসাধারণকে জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদানের পরিপূর্ণ সুযোগ প্রদান করিতে হইবে। সেনাবাহিনীকে জাতীয় ভিত্তিতে গঠন করিতে হইবে এবং ক্রমশ উহার গঠন জনসংখ্যার আনুপাতিক হইতে হইবে।’ ‘জনসংখ্যার আনুপাতিক’ কথাটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু ন্যাপের ১৪ দফা জনপ্রিয় হয়নি। তার কারণ ছিল। পূর্ববঙ্গবাসীর কাছে তখন যে সত্যটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল তা হলো আঞ্চলিক বৈষম্য। ছয় দফা ওই বৈষম্যকেই চিহ্নিত করেছে। ছয় দফার প্রস্তাবগুলো এখানে স্মরণ করা যাক। সেগুলো হলো- ‘১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রকৃতি : পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশন-ভিত্তিক রাষ্ট্রসংঘ এবং তার ভিত্তি হবে লাহোর প্রস্তাব। ২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা : কেন্দ্রীয় সরকারের, ক্ষমতা কেবলমাত্র দুটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে, দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। ৩. মুদ্রা ও অর্থসম্বন্ধীয় ক্ষমতা : দুটির যে কোনো একটি; (ক) সমগ্র দেশের জন্য দুটি পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা। (খ) অভিন্ন মুদ্রা থাকবে কিন্তু ব্যবস্থা নিতে হবে মূলধন পাচার বন্ধের, পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভের। ৪. রাজস্ব কর ও শুল্ক : অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর কর ও শুল্ক ধার্যের সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে, তবে কেন্দ্রীয় ব্যয়ের জন্য অঙ্গরাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্র পাবে। ৫. বৈদেশিক বাণিজ্য : বহির্বাণিজ্যের পৃথক হিসাব থাকবে, বহির্বাণিজ্যে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর এখতিয়ারাধীন হবে, কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা অঙ্গরাষ্ট্রগুলো মেটাবে, অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দেশজ দ্রব্যাদি চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা কর জাতীয় বাধানিষেধ থাকবে না, অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর বিদেশে নিজ নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ ও নিজেদের স্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি করার ক্ষমতা থাকবে।’

পূর্ববঙ্গের রাজনীতির প্রধান ভুমিকা পালন করছিল যে উঠতি মধ্যবিত্ত এগুলো ছিল তাদেরও দাবি। তারা নিজেদের হিস্সা চেয়েছে। অখন্ড বঙ্গে এ মধ্যবিত্ত দেখছিল উন্নতির পথে অন্তরায় হচ্ছে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু মধ্যবিত্ত, পাকিস্তান কায়েম করে তাদের হটানো গেছে; কিন্তু তাদের জায়গা দখল করেছে অবাঙালিরা, যাদের হটানো না গেলে উন্নতির পথ অবরুদ্ধ থাকবে। মধ্যবিত্ত কিন্তু নিজেদেরই জাতি মনে করে, সেই জাতীয়তায় মেহনতিদের স্থান একেবারেই প্রান্তিক। ১৪ দফায় সমাজতন্ত্রের কথা আছে; মুখে যা-ই বলুক মধ্যবিত্ত কিন্তু সমাজতন্ত্র চায়নি, কেউ কেউ বরং সমাজতন্ত্রের কথা শুনে বিরক্তই হয়েছে। ওদিকে সমাজতন্ত্র যারা চায় তারা সুসংগঠিত ছিল না। দল হিসেবে পূর্ববঙ্গে ন্যাপ বের হয়ে এসেছে মূলত আওয়ামী লীগ ভেঙে, অখন্ড কমিউনিস্ট পার্টি নেতৃত্বের একাংশ আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে আসাটা পছন্দ করেনি, তাদের বক্তব্য ছিল আওয়ামী লীগের ভিতরে থাকলেই কাজ করতে বিশেষ করে জনগণের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে সুবিধা হবে। এঁরা মওলানাকেই ন্যাপ গঠনের জন্য দায়ী করেছেন।

সমাজতন্ত্রবিদ্বেষীরা যে চুপ করে থেকেছে তা নয়। মওলানা মুসলিম লীগের মুখপত্র দৈনিক আজাদের দ্বারা যেমন নিষ্ঠুরভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তেমনি হামলার শিকার হয়েছেন তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত ও আওয়ামী লীগের মুখপত্র বলে পরিচিত দৈনিক ইত্তেফাকেরও। ন্যাপকে ইত্তেফাক সোহরাওয়ার্দীর শেখানো নেহরু-এইডেড পার্টি বলে ঠাট্টা তো করেছেই আবার প্রশংসা ছলেও আক্রমণ করেছে; যেমন, লিখেছে, ‘ইতিমধ্যেই কম্যুনিস্ট ও অনুপ্রবেশকারীরা মওলানা ভাসানীকে তাঁর সম্মানজনক আসন হইতে টানিয়া অনেক নিম্নে নামাইয়া আনিয়াছে। আওয়ামী লীগে ঠাঁই না পাইয়া ঐসব অনুপ্রবেশকারী পশ্চিম পাকিস্তানের পাকিস্তানবিরোধী রাজনৈতিক এতিমদের সহিত কেন, তৃণগুচ্ছ সম্বল করিয়াও মরণের হাত হইতে বাঁচিবার চেষ্টা করিতে পারে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে ঐ শ্রেণীর নেতাদের যে কী রকমের “অভিনন্দন” জুটিবে, সেই-সম্পর্কে এখনই নিরাপদ ভবিষ্যদ্বাণী করা যাইতে পারে।’

যাদের অনুপ্রবেশকারী বলা হচ্ছে তারা সমাজতন্ত্রী, মওলানা ভাসানী নিজেও কিন্তু ওই দলেই পড়েন।

নিজের দল বিভক্ত ও বিভ্রান্ত; সরকার, সরকারি দল এবং বুর্জোয়া-মনোভাবাপন্ন সংবাদপত্র সবাই বিরুদ্ধে, নিজেদের পত্রিকা বলতে কিছুই নেই, বিপরীতে ছয় দফার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ও প্রচার, শত্রুপক্ষের প্রবল আক্রমণ এসবের মধ্যে জাতীয়তাবাদী সংগ্রামকে যারা সমাজতন্ত্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তারা যে আপাতত বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক। এবং তারা সেটা পারেওনি।

ন্যাপ যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করছিল তা-ও কিন্তু মধ্যবিত্তকে আকৃষ্ট করার কথা নয়। মধ্যবিত্ত তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শত্রু নয় মিত্র হিসেবেই দেখতে চাইছিল। ইংরেজরা ছিল ঔপনিবেশিক, তারা এখানে থাকত, শোষণ-নির্যাতন করত; তাদের কাজের পটভুমিতে আমেরিকানদের উজ্জ্বলই মনে হচ্ছিল। আমেরিকানরা আসা-যাওয়া করে, থাকে না, তাদের কাজকর্ম বন্ধুর মতোই। আমেরিকানদের সাহায্যে দেশের উন্নতি হচ্ছে, তারা ঋণ দিচ্ছে, সাহায্যের হাত প্রসারিত করে রেখেছে, অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করবে, তাদের অংশগ্রহণে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। পিস কোরের স্বেচ্ছাসেবকরা আসছে, দুর্যোগে আমেরিকানরা পাশে দাঁড়াচ্ছে। এসব দেখা যাচ্ছিল। তাদের ছাড়া চলবে কী করে, এ প্রশ্নটা ছিল। তদুপরি আমেরিকান সরকার ইতিমধ্যে বড় আকারে সাংস্কৃতিক প্রচার ও তৎপরতা শুরু করে দিয়েছিল। বড় বড় শহরে তারা ইনফরমেশন সেন্টার খুলেছে। সেখানে লাইব্রেরি আছে, গিয়ে বই ও পত্রিকা পড়া যায়, সিনেমা দেখা যায়, ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা সার্ভিস চালু হয়েছে, বিনামূল্যে বিতরণের জন্য পত্রিকা প্রকাশ করছে; সর্বোপরি বৃত্তি দিচ্ছে আমেরিকায় গিয়ে পড়াশোনার। ভ্রমণেও নিয়ে যাচ্ছে বিশিষ্ট শিক্ষকদের, ফুলব্রাইট স্কলাররা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে আসছে। আমেরিকাকে শত্রু ভাবাটা তখন খুব সহজ ছিল না।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিভাগের আরও খবর
আইএমএফ ঋণ
আইএমএফ ঋণ
বিনিয়োগ বিসংবাদ
বিনিয়োগ বিসংবাদ
দরকার আদর্শ পরিবার
দরকার আদর্শ পরিবার
ধর্ষণের কারণ ও ভয়াবহতা
ধর্ষণের কারণ ও ভয়াবহতা
শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে প্রকৃতির প্রতিশোধ
শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে প্রকৃতির প্রতিশোধ
শ্রম সংস্কার
শ্রম সংস্কার
পুলিশ ও র‌্যাব পুনর্গঠন
পুলিশ ও র‌্যাব পুনর্গঠন
আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা
আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা
বাইতুল্লাহর মুসাফিরদের জন্য জরুরি নসিহত
বাইতুল্লাহর মুসাফিরদের জন্য জরুরি নসিহত
নতুন বিনিয়োগের গ্যারান্টি চাই
নতুন বিনিয়োগের গ্যারান্টি চাই
ফিলিস্তিন নিয়ে কি পারমাণবিক যুদ্ধ বাধবে
ফিলিস্তিন নিয়ে কি পারমাণবিক যুদ্ধ বাধবে
গরু চোরাচালান
গরু চোরাচালান
সর্বশেষ খবর
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ মে)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ মে)

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যা: গ্রেপ্তার তামিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যা: গ্রেপ্তার তামিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধ চালানো টাইগ্রে দল নিষিদ্ধ
ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধ চালানো টাইগ্রে দল নিষিদ্ধ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লুণ্ঠনচিত্র, ‘দরবেশ বাবা’ এবং ৪০ চোর
আওয়ামী লুণ্ঠনচিত্র, ‘দরবেশ বাবা’ এবং ৪০ চোর

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সরকারি টাকায় প্রথম আলোর প্রচারণা
সরকারি টাকায় প্রথম আলোর প্রচারণা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জবির সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
জবির সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাঙার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক
ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাঙার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য
নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক সেনাসদস্যদের আবেদন সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে: আইএসপিআর
সাবেক সেনাসদস্যদের আবেদন সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে: আইএসপিআর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫০ হাজার টাকা করে পেলেন অভিযানে রিকশা হারানো ৩ চালক
৫০ হাজার টাকা করে পেলেন অভিযানে রিকশা হারানো ৩ চালক

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাঁদপুরে মাকে হত্যায় ছেলের যাবজ্জীবন
চাঁদপুরে মাকে হত্যায় ছেলের যাবজ্জীবন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কে এই রাফাল ধ্বংসকারী পাকিস্তানি নারী পাইলট আয়েশা?
কে এই রাফাল ধ্বংসকারী পাকিস্তানি নারী পাইলট আয়েশা?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২৭ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে খাল উদ্ধার
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২৭ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে খাল উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু
আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের নানা অনিয়ম-সমস্যা নিয়ে মানববন্ধন
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের নানা অনিয়ম-সমস্যা নিয়ে মানববন্ধন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আফগানদের জন্য অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদা বাতিল করলেন ট্রাম্প
আফগানদের জন্য অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদা বাতিল করলেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনাকে যেভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব, জানালেন দুদক চেয়ারম্যান
শেখ হাসিনাকে যেভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব, জানালেন দুদক চেয়ারম্যান

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত বাথুয়াবাসী
প্রধান উপদেষ্টাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত বাথুয়াবাসী

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগে মামলা
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগে মামলা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১৫

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় মাদকবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা
গাইবান্ধায় মাদকবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর গ্রেফতার
লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ মিছিল
ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ মিছিল

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে সাংবাদিকদের আয়োজনে ব্যতিক্রমধর্মী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
গাজীপুরে সাংবাদিকদের আয়োজনে ব্যতিক্রমধর্মী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঠাকুরগাঁওয়ে স্কাউটসের মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
ঠাকুরগাঁওয়ে স্কাউটসের মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন
ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারপ্রার্থীদের সেবা সহজ করতে এবার সব আদালতে পৃথক হেল্পলাইন
বিচারপ্রার্থীদের সেবা সহজ করতে এবার সব আদালতে পৃথক হেল্পলাইন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু
সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু

৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেমিক্যালমুক্ত আম চেনার উপায়
কেমিক্যালমুক্ত আম চেনার উপায়

১৯ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

রাতে আপনি ঘুমান কীভাবে, সৌদি যুবরাজকে ট্রাম্প
রাতে আপনি ঘুমান কীভাবে, সৌদি যুবরাজকে ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিল ইরান
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিল ইরান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যার মাথার দাম ছিল এক কোটি ডলার, তার সঙ্গেই হাত মেলালেন ট্রাম্প
যার মাথার দাম ছিল এক কোটি ডলার, তার সঙ্গেই হাত মেলালেন ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের আলোচিত কর্নেল সোফিয়াকে ‘সন্ত্রাসীদের বোন’ বললেন বিজেপি মন্ত্রী
ভারতের আলোচিত কর্নেল সোফিয়াকে ‘সন্ত্রাসীদের বোন’ বললেন বিজেপি মন্ত্রী

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ আইপিএলে ডাক পেলেন মুস্তাফিজ
হঠাৎ আইপিএলে ডাক পেলেন মুস্তাফিজ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আহত তটিনী, দুই দিনের বিশ্রামে ঢাকায়
আহত তটিনী, দুই দিনের বিশ্রামে ঢাকায়

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিশ্বের ‘দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট’ হোসে মুজিকা আর নেই
বিশ্বের ‘দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট’ হোসে মুজিকা আর নেই

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাদের জন্য ব্লু ভিসা চালু করল আমিরাত
যাদের জন্য ব্লু ভিসা চালু করল আমিরাত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কে এই রাফাল ধ্বংসকারী পাকিস্তানি নারী পাইলট আয়েশা?
কে এই রাফাল ধ্বংসকারী পাকিস্তানি নারী পাইলট আয়েশা?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করব না: নেতানিয়াহু
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করব না: নেতানিয়াহু

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিহত সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা: রাকিব
নিহত সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা: রাকিব

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী আটক
ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী আটক

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে মন্তব্য, জবাবে যা বললেন প্রীতি জিনতা
ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে মন্তব্য, জবাবে যা বললেন প্রীতি জিনতা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সমালোচনার মুখে বদলে গেল ‌‘আ-আম জনতা’ পার্টির নাম
সমালোচনার মুখে বদলে গেল ‌‘আ-আম জনতা’ পার্টির নাম

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবনের সামনে বিক্ষোভ
ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবনের সামনে বিক্ষোভ

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মোদি ফের হামলা চালাতে পারেন, প্রস্তুত থাকতে হবে : ইমরান খান
মোদি ফের হামলা চালাতে পারেন, প্রস্তুত থাকতে হবে : ইমরান খান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার ভারত-পাকিস্তানের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাকরাইলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিতে বাসে করে আসছেন ছাত্র-শিক্ষকরা
কাকরাইলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিতে বাসে করে আসছেন ছাত্র-শিক্ষকরা

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিয়াম-মেহজাবীনের গিগাবাইট টাইটানস চ্যাম্পিয়ন
সিয়াম-মেহজাবীনের গিগাবাইট টাইটানস চ্যাম্পিয়ন

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শত চ্যালেঞ্জেও নীরবে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী
শত চ্যালেঞ্জেও নীরবে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের সাথে চুক্তি করতে চান ট্রাম্প, তবে থাকা যাবে না পারমাণবিক অস্ত্র
ইরানের সাথে চুক্তি করতে চান ট্রাম্প, তবে থাকা যাবে না পারমাণবিক অস্ত্র

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বড় পরিবর্তন
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বড় পরিবর্তন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো বাফুফের মাহফুজাকে
বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো বাফুফের মাহফুজাকে

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন
অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাম্য হত্যায় জড়িত সবার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে: হাসনাত
সাম্য হত্যায় জড়িত সবার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে: হাসনাত

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বিমানবন্দরে হুথির তিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বিমানবন্দরে হুথির তিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যুক্ত হবে আরও দেশ: ট্রাম্প
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যুক্ত হবে আরও দেশ: ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রণক্ষেত্রে পরিণত কাকরাইল
রণক্ষেত্রে পরিণত কাকরাইল

প্রথম পৃষ্ঠা

সাম্য হত্যায় কারা
সাম্য হত্যায় কারা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে প্রকৃতির প্রতিশোধ
শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে প্রকৃতির প্রতিশোধ

সম্পাদকীয়

জুলাইয়ের ঘটনায় অনুশোচনা করতে চান শাজাহান খান
জুলাইয়ের ঘটনায় অনুশোচনা করতে চান শাজাহান খান

পেছনের পৃষ্ঠা

সংসদে ১০০ নারী আসন চাইলেন নাসরিন আউয়াল
সংসদে ১০০ নারী আসন চাইলেন নাসরিন আউয়াল

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান এখনো উত্তেজনা
ভারত-পাকিস্তান এখনো উত্তেজনা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

চিকিৎসা ওষুধে লাগামহীন খরচ
চিকিৎসা ওষুধে লাগামহীন খরচ

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রদল নেতা হত্যায় উত্তাল ঢাবি
ছাত্রদল নেতা হত্যায় উত্তাল ঢাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লুণ্ঠনচিত্র, ‘দরবেশ বাবা’ এবং ৪০ চোর
আওয়ামী লুণ্ঠনচিত্র, ‘দরবেশ বাবা’ এবং ৪০ চোর

প্রথম পৃষ্ঠা

আমার প্রেমটা দর্শকদের নিয়ে
আমার প্রেমটা দর্শকদের নিয়ে

শোবিজ

জাতীয় ঐকমত্য কতদূর
জাতীয় ঐকমত্য কতদূর

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউ-ডাকে বদলেছে জীবন
বাউ-ডাকে বদলেছে জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আকবরের সেঞ্চুরির পরও হার
আকবরের সেঞ্চুরির পরও হার

মাঠে ময়দানে

আমলাতন্ত্রের ফাঁদে সরকারি কোম্পানির শেয়ার
আমলাতন্ত্রের ফাঁদে সরকারি কোম্পানির শেয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

আইসিসির এপ্রিল  সেরা মিরাজ
আইসিসির এপ্রিল সেরা মিরাজ

মাঠে ময়দানে

বন্ধুত্ব নিয়ে সুনেরাহ
বন্ধুত্ব নিয়ে সুনেরাহ

শোবিজ

সরকারি টাকায় প্রথম আলোর প্রচারণা
সরকারি টাকায় প্রথম আলোর প্রচারণা

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দরে বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত করা হবে : প্রধান উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম বন্দরে বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত করা হবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

সাড়ে ৮ কোটিতে দিল্লিতে মুস্তাফিজ
সাড়ে ৮ কোটিতে দিল্লিতে মুস্তাফিজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সমন্বয়হীনতায় আটকা উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন
সমন্বয়হীনতায় আটকা উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন

নগর জীবন

প্রকৃত ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই
প্রকৃত ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওয়াকিবহাল
আওয়ামী লীগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওয়াকিবহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

সাপ খেলা দেখতে হাজারো মানুষ
সাপ খেলা দেখতে হাজারো মানুষ

দেশগ্রাম

আবর্জনায় বদ্ধ জেল খাল
আবর্জনায় বদ্ধ জেল খাল

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামিন পেলেন জুবাইদা রহমান
জামিন পেলেন জুবাইদা রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রে আওয়ামী লীগ দোসররা
ষড়যন্ত্রে আওয়ামী লীগ দোসররা

প্রথম পৃষ্ঠা

কর্নেল সোফিয়াকে কটাক্ষ করে বিপাকে বিজেপি মন্ত্রী
কর্নেল সোফিয়াকে কটাক্ষ করে বিপাকে বিজেপি মন্ত্রী

পূর্ব-পশ্চিম

মারা গেছেন বিশ্বের দরিদ্র প্রেসিডেন্ট হোসে মুজিকা
মারা গেছেন বিশ্বের দরিদ্র প্রেসিডেন্ট হোসে মুজিকা

পূর্ব-পশ্চিম