বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

দেশজুড়ে লকডাউন

জীবন-জীবিকা যেন স্তব্ধ না হয়

আজ থেকে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন পালন হবে দেশজুড়ে। বন্ধ থাকবে গণপরিবহন। সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে উৎপাদনশীল খাত কলকারখানা খোলা রাখা যাবে। খোলা থাকবে ব্যাংক। সরকার কলকারখানা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শুধু অর্থনীতি নয়, স্বাস্থ্য খাতও মহাবিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে। শুধু গার্মেন্ট খাত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলে ৪০ লাখ শ্রমিক ‘লকডাউন’ কাটাতে ছুটে যেত গ্রামের দিকে। স্বাস্থ্যবিধির বারোটা বাজানো হতো অদূরদর্শী ও অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে। আমরা বারবার বলেছি মানুষের জীবন-জীবিকা স্তব্ধ নয়, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক না পরে বাইরে বেরোলে জরিমানা নইলে জেলে ভরতে হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া যাবে না। লকডাউনের নামে এযাবৎ যা হয়েছে তাতে হিতে বিপরীত ঘটেছে। আমরা আশা করব চলমান লকডাউনে জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রগুলোয় আরও ছাড় দেওয়া হবে। কঠোর হতে হবে মাস্ক পরার ক্ষেত্রে। করোনাকালেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অগ্রসরমান অবস্থানে রয়েছে। এ অবস্থা ধরে রাখতে দরকার ব্যাপক হারে টিকা দেওয়া। অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর্যাপ্ত পাওয়া না গেলে প্রয়োজনে চীনা টিকার পরিমাণ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি আমেরিকা থেকে বিভিন্ন বড় প্রতিষ্ঠানের টিকা আনার উদ্যোগ নিতে হবে। আমেরিকান টিকা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলে সরকার বিপুল অর্থ ব্যয় থেকে রেহাই পাবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো এর আগে এ বিষয়ে আবেদনও জমা দিয়েছিল। ১২ থেকে ১৪ কোটি মানুষের টিকা নিশ্চিত করতে দেশেও টিকা উৎপাদনের অনুমতি দিতে হবে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সরকারের কাছে এ ব্যাপারে আবেদন করেছে। এ আবেদন বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ঢালাওভাবে সবকিছু বন্ধ করা কোনোভাবে উচিত হবে না। অর্থনীতির সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের নেই। ফলে শুধু জীবন-জীবিকা নয়, স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থেও কথায় কথায় লকডাউন জারির বদলে করোনাকালের অবসানের আগ পর্যন্ত মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর