শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১

দয়াময় প্রভু ফকিরকে বাদশাহর মর্যাদা দান করুন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
দয়াময় প্রভু ফকিরকে বাদশাহর মর্যাদা দান করুন

এবারের ঈদে ছোটাছুটি ছাড়া কোনো স্বস্তি-শান্তি ছিল না। ধর্মীয় দায়দায়িত্বও তেমন বিশুদ্ধভাবে পালিত হয়েছে বলে মনে হয় না। আট দিন লকডাউন শিথিলের তামাশা বিশ্ব ইতিহাস হয়ে থাকবে। বলেছিলাম, ঈদের পর লকডাউন তেমন সুবিধার হবে না, হয়নি। মাঝখান থেকে কিছু মানুষের হয়রানি। ঠিক আছে, কঠোর লকডাউন যদি করতে পারেন করবেন তবে মানুষকে হেরাজ করে কেন? মানুষের সম্মতি নিয়ে তাদের সন্তুষ্টিতে কোনো কিছু করতে পারলে করুন, জোরজবরদস্তি করে কেন? জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাবা ’৭৫-এ মেহেরপুর জেলা গভর্নর ছিলেন। আমিও জেলা গভর্নর ছিলাম। বড় ভালো মানুষ তিনি। ফরহাদও যে খারাপ তা বলি কী করে। বিয়ে করেছে দাদু সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছোট ভাই পট্টু দাদুর মেয়ে। পট্টু দাদু আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসতেন। লকডাউনের ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রী হিসেবে ফরহাদের কতটা কর্তৃত্ব-নেতৃত্ব আছে বুঝতে পারি না। এত বড় একটা কাজ বা ঘটনা তার একার কর্তৃত্বে যে হবে না তা পাগলেও বোঝে। তা যা হোক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সাহসের ফসল পদ্মা সেতু। সেই পদ্মা সেতুতে আছড়ে পড়েছিল এক রো রো ফেরি। ফেরি ডুবে গেলে অর্ধশতাধিক গাড়িসহ কয়েক শ লোকের প্রাণহানি হতে পারত। তা হয়নি সে আল্লাহর ইচ্ছা। রো রো ফেরির চালককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমার কাছে ব্যাপারটা খুব সহজ মনে হয় না। বাংলাদেশে তো বটেই পৃথিবীর অনেক দেশে অনেক সেতুর কলাম টু কলাম বা পায়ার টু পায়ার এত প্রশস্ত নয়, ১৫০ মিটার মানে ৪৫০ ফুট বলতে গেলে আরও ২-১ ফুট বেশি। এত প্রশস্ত জায়গায় ফেরি লাগিয়ে দেওয়া এটা কথার কথা নয়। বেখেয়ালিপনা, না হয় ষড়যন্ত্র। জানি, বললে কাজ হবে না তবু বললাম। যারা পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া বা কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া ফেরি পার হয়েছে তাদের দুর্দশার অন্ত নেই। ৭০-৭৫ বছর বয়সী মহিলাদের দুই হাতে ব্যাগ নিয়ে ক্লান্ত শরীরে হাঁটতে দেখেছি। ছোট ছোট বাচ্চাদের সে কি দুর্দশা। প্রতিকারের কেউ নেই। উত্তরবঙ্গের যে গাড়িগুলো দেরিতে এসেছে সেগুলোর যাত্রীদের বিড়ম্বনা বলে শেষ করা যাবে না। লঞ্চঘাটে অনেক যাত্রী রাত ৪টায় এসেও কোনো পরিবহন পাননি। তাদের কষ্ট সরকারকে অপ্রিয় করছে। আর যারা সরেজমিনে আছেন তারা যদি মানবিকভাবে এ মানুষগুলোর দুর্দশা দূর করতেন তাহলে তারা হজের সওয়াব পেতেন। মনে হয় সরকারের এবং নেতৃবৃন্দের কারোরই সাধরণ মানুষের সমর্থন বা ভালোবাসার দরকার নেই। দরকার থাকলে এমন নির্দয় আচরণ কেন করা হবে। চিৎকার করে বদদোয়া বা দোয়া কোনোটাই আল্লাহর আরশে ফল দেয় না। মানুষের অন্তর আপনা আপনি দোয়া বা বদদোয়া দিতে পারে। নদীপথে সদরঘাটে আসা যাদের গাজীপুর, টঙ্গী বা মিরপুরে যাওয়ার কথা তাদের যদি বিশেষ ব্যবস্থায় কর্তৃপক্ষ পৌঁছে দিতেন তাহলে তারা বিএনপি, জামায়াতের লোক হলেও মুখে চিৎকার করে বদদোয়া করলেও তাদের অন্তরাত্মা আল্লাহর দরবারে দোয়া করত এবং সে দোয়া আল্লাহর আরশে কবুল ও মঞ্জুর হতো। কিন্তু কেউ শোনে না, কেউ দেখে না। সবাই পাওয়ার দেখায়। যে পাওয়ারের সত্যিকারে কোনো মূল্য নেই। সকালবেলার আমির রে ভাই/ফকির সন্ধ্যাবেলা- এ তো প্রমাণিত সত্য। তবু কেন যে অনেকেই এসব বোঝে না বা বুঝতে চায় না ভেবে পাই না। একটা দীর্ঘ সময় গৃহবন্দী, কোথাও যেতে আসতে পারছি না। প্রতিদিন কারও না কারও মৃত্যুসংবাদ শুনতে পাই। করোনায় প্রতিদিন মৃত্যু কখনো দুই শর নিচে, কখনো ওপরে। তালিকায় প্রিয়জনদের নাম এলে বুক কেঁপে ওঠে। কদিন আগে এলাসিন মওলানা ভাসানী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল করীম শহীদ চলে গেল। বড় ভালো মানুষ ছিল এনামুল করীম। মুক্তিযোদ্ধা ছিল, একসময় জাসদ করেছে। কিন্তু হুজুর মওলানা ভাসানীর দারুণ ভক্ত। আমাকে ভালোবাসত পাগলের মতো। আমাদের যে কোনো সভা-সমাবেশে সব সময় অংশ নিত। আমি একবার এনামুল করীম শহীদের হুজুর মওলানা ভাসানী মহাবিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ শহীদ যে যত্ন নিয়েছিল তা ভোলার নয়।

লেখকের টাঙ্গাইলের বাসভবনে লেখক, প্রখ্যাত সাংবাদিক সায়মন ড্রিং ও আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক

জানি সবাই যাবে। কিন্তু এ অসময়ে অনেকের জানাজায়ও শরিক হতে পারি না এটাই এক নিদারুণ কষ্ট। কাদেরিয়া বাহিনীর অন্যতম কমান্ডার লোকমান হোসেন এক সপ্তাহ হলো পরপারে চলে গেছে। তার জানাজায়ও শরিক হতে পারিনি। ভীষণ পরিশ্রম করেছে সে মুক্তিযুদ্ধে। তা ছাড়া ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদেও কমান্ডার লোকমান শরিক হয়েছিল। তার সে যে কি অপরিসীম আস্থা আমার ওপর যা লিখে বোঝানো যাবে না। মৃত্যুর কদিন আগেও ফোন করেছিল, ‘স্যার, দেখতে বড় ইচ্ছা করে।’ কিন্তু তার সে শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো না। আমারও বারবার ইচ্ছা করছিল বেতুয়ার কমান্ডার লোকমানকে দেখার। আল্লাহর যা ইচ্ছা তা-ই তো হবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন কমান্ডার ও এনামুল করীম শহীদকে বেহেশতবাসী করুন।

এই তো গত পরশু আজীবন সংগ্রামী গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর, সেই সঙ্গে বিদেশি বন্ধু সায়মন ড্রিং চলে গেলেন। মুক্তিযুদ্ধে সায়মন ড্রিংয়ের অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি যেভাবে পাকিস্তানি হানাদারদের নির্মম হত্যা-লুণ্ঠন, মা-বোনের সম্মান-সম্ভ্রমহানির খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে বিশ্ববিবেককে জাগিয়ে ছিলেন, তেমনি বাঙালির শৌর্য-বীর্য বাঙালির শক্তি-সাহসকে সমানভাবে তুলে ধরেছিলেন। তুলে ধরেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অমিয় তেজ। তার সেই ভূমিকা আমরা চিরকাল মনে রাখব। সায়মন ড্রিংয়ের সঙ্গে একসময় আমার ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বেশ কয়েকবার তিনি আমার টাঙ্গাইলের বাড়িতেও গেছেন, সভা-সমিতিতে অংশ নিয়েছেন। তার মৃত্যু কেন যেন আমাকে ভীষণ নাড়া দিয়েছে। অন্যদিকে ফকির আলমগীর ছিলেন একেবারে আপনজন। কতবার কত অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে ওঠাবসা করেছি। আমি যখন নির্বাসনে ছিলাম সে সময় মানিকগঞ্জ-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ-জামালপুর-কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোনা এসব জায়গায় গেলেই গানের মধ্যে আমাকে নিয়ে আলোচনা করতেন। আমি যে তার কত প্রিয়, আমাকে তিনি কত গভীরভাবে ভালোবাসেন তা তুলে ধরতেন। এমন পরম বন্ধু পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। তিনি যেমন হুজুর মওলানা ভাসানীর অনুরক্ত-ভক্ত, তেমনি বঙ্গবন্ধুকেও ভালোবাসতেন আমার মতো। তাই আজ তার সম্পর্কে কিছু না লিখে ’৮৯ সালের ৪ আগস্ট তাকে লেখা আমার একটা চিঠি হুবহু তুলে ধরছি। পরবর্তী কোনো সময় তার লেখা দু-একটি চিঠিও তুলে দেব।

‘ভাই ফকির আলমগীর,

আপনার ০৯.০৭.৮৯-র মধুমাখা আন্তরিকতায় ভরপুর চিঠিখানা সময়মতোই পেয়েছি। আমার ধারণা ছিল, বোধহয় আপনি আমার চিঠি পাননি। অনুলিপির ফাইল খুঁজে অবশ্যই সে চিঠির কপি পাঠিয়ে দেব। গত মাসের প্রথম সপ্তাহে একটা জরুরি কাজে দিল্লি গিয়েছিলাম। প্রায় ১৫ দিন সেখানে কাটিয়ে বাসায় ফিরে অনেক চিঠির মাঝে আপনার চিঠি পেয়ে ভীষণভাবে অভিভূত হয়েছি। আপনাকে এবং আপনার গান আমি ভীষণ ভালোবাসি। দেশের জন্য আপনার এ চারণের ভূমিকাকে আমি অত্যন্ত সম্মান করি। পতনোন্মুখ জাতিকে হতাশা ও দুঃখের অথই সাগর থেকে টেনে তোলা আমাদের কারও একার সাধ্য নয়। দুঃখ বেদনায় মুহ্যমান জাতিকে আবার উদ্দীপ্ত, কর্মচঞ্চল করে তুলতে আপনার মতো মানুষের প্রয়োজন মোটেই কম নয়। ষাটের দশকের শেষে সত্তরের গোড়ায় চট্টগ্রামের শাহ আলী বাঙালির গণজাগরণমূলক গানের সে যে কি তেজ, বঙ্গবন্ধুর বিশাল বিশাল মিটিংয়ে আমি উপলব্ধি করেছি। তারপর স্বাধীনতাযুদ্ধের সেই অগ্নিঝরা দিনগুলিতে জীবনের সর্বক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাবের মাঝেও গানের সে যে কি দুর্দমনীয় সর্বজয়ী আবেদন, হৃদয়ের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে মরমে মরমে উপলব্ধি করেছি। আপনার অনেক গানই শুনে আমি মোহিত অভিভূত হই। আপনার মরমি গানে বারবার নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করি।

আপনার বাবার মৃত্যুসংবাদে আমি গভীর বেদনাহত হয়েছি। স্বজনহীন বিদেশ বিভূমে এমনিতেই বেদনার থেকে আনন্দ অনেক কম। তার ওপর আবার প্রিয়জনরা স্বজন হারার ব্যথায় ব্যথিত হলে আমার বুকেও তা বাজে। পরম করুণাময় আল্লাহ আপনার পিতাকে বেহেশতবাসী করুন- কায়মনে এই কামনা করি। কোনো মানুষই অবিনশ্বর নয়। মৃত্যুর হাতছানি আমরা কেউ এড়াতে পারব না। বর্তমানে এই মৃত্যুপুরীতে আপনার পিতার সজ্ঞানে পরিণত বয়সে আল্লাহর প্রিয় হওয়া পুণ্যের ফল। আমরা তাঁর কীর্তি আপনার মতো সুসন্তানের জন্মের মধ্য দিয়ে মনে রাখব।

হুজুর মওলানা ভাসানী ছিলেন আমার জীবনে অফুরন্ত শক্তির উৎস। রাজনৈতিকভাবে তাঁকে অনুসরণ না করলেও তাঁর রাজনৈতিক কোনো পদক্ষেপই আমার কাছে সামান্যতম জনবিরোধী মনে হয়নি। তাঁর যৌবনের শুরুতে প্রজা আন্দোলন থেকে শুরু করে ব্রিটিশ ভারতে মুসলিম লীগ, পাকিস্তানে আওয়ামী মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এমনকি শেষের দিনগুলিতে নানান জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন পুনর্গঠনের কোনো পদক্ষেপই আমার কাছে অর্থহীন মনে হয়নি। শত বছরের দীর্ঘ জীবনে কোনো রক্তচক্ষু ও ক্ষমতার প্রলোভন তাঁকে বশীভূত করতে পারেনি। আপনার বোধহয় মনে আছে, ষাটের দশকের মাঝামাঝি আমাদের প্রিয় হুজুর আইয়ুবের সাথে একটা বুঝাপড়া করেছিলেন। তখনকার সেই পদক্ষেপ অনেকের কাছে দারুণভাবে সমালোচিত হয়েছিল। বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হওয়ার পর ছাত্রকালে আমিও যে দু-চারবার হুজুরের সমালোচনা করিনি তা নয়। কিন্তু বড় হয়ে নানা বই-পুস্তক পড়ে কেন তিনি আইয়ুবের কাছে গিয়েছিলেন, কী তার উদ্দেশ্য ছিল তা যখন স্পষ্ট হয় তখন শ্রদ্ধায় বুক ভরে যায়। আমরা সাধারণত নিজের যশ, খ্যাতি, সুনামের জন্য অনেক সময় জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতে তৈরি থাকি। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য জেনেশুনে নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে, লোকসমক্ষে নিন্দিত হতে চাই না। হুজুর কিন্তু তা করেছিলেন। প্রথমবার আইয়ুব খানের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা দীর্ঘ বৈঠক করে বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমার কৃষককুল যদি খেতে পায়, তাদের মুখে সত্যিকারের হাসি ফোটে, পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পাটের ন্যায্য মূল্য ও মোহাজেরদের বাসস্থান এবং কর্মসংস্থান হয় তাহলে আইয়ুব খান কেন আমি শয়তান ইবলিশের সঙ্গে হাত মেলাতেও রাজি আছি।” একজন মহামানবের মানুষের প্রতি কতটা ভালোবাসা থাকলে এমন কথা বলতে পারেন, সত্তরের দশকেই তা উপলব্ধি করার মতো সামান্য বুদ্ধি আমার হয়েছিল। তাই হুজুরকে অহেতুক অশ্রদ্ধা নয়, শুধু শ্রদ্ধা আর শ্রদ্ধাই করতাম।

হুজুর আমায় দারুণ ভালোবাসতেন। বিশ্বাসও করতেন অপরিসীম। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর দূত হিসেবে গভীরভাবে মেলামেশা করতে পারায় তাঁর জীবন আমার কাছে কাগজের সাদা পাতার মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। আমি তাঁকে বুঝতে ও উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। তাই আমার মধ্যে মোহ সৃষ্টি হয়েছিল তাঁর কফিন কাঁধে নেওয়ার। বঙ্গবন্ধুর কফিন বইবার একটা সাধ জেগেছিল সমস্ত দেহ-মন অন্তরাত্মা জুড়ে। সে সাধ আমার পূর্ণ হয়নি। অনেক অপূর্ণ সাধের মধ্যে ওটিও আমার জীবনের অপূর্ণ সাধ। ’৭৬-এর ১৭ নভেম্বর রাতে বিবিসির খবরে হুজুরের মৃত্যুসংবাদ পেয়েছিলাম। খবর শুনে বুকের ভিতর এমন একটা আঘাত পেয়েছিলাম যা ওর আগে কখনো পাইনি। সে রাতে আমি আর খেতে পারিনি। মনে হচ্ছিল আমার ওপর সমস্ত আকাশটাই যেন দুই ভাগ হয়ে গেছে। বঙ্গপিতাকে হারিয়ে এমনিতেই মুহ্যমান ছিলাম। আহত ব্যথাতুর বুকে হুজুরের শোক সইবার শক্তি ছিল না।

আমি আপনার সঙ্গে একমত, আমাদের অনেকে যুক্তি মানে না। গায়ের জোরের ভরসা করে। আওয়ামী লীগের জন্মবৃত্তান্ত তুলে ধরতে গেলে হুজুর মওলানা ভাসানী, জননেতা শামসুল হককে বাদ দেওয়া যায় না। আবার স্বাধীনতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে এড়িয়ে গেলে কিছুতেই পুরোপুরি বলা বা তুলে ধরা যাবে না। যেটা অসম্ভব সেটাকে অসম্ভব বলেই মানতে বা শিখতে হবে। সংকীর্ণ মন নিয়ে আর যা কিছুই হোক দেশের কল্যাণ সাধন ও জাতি পুনর্গঠন সম্ভব নয়। একজন নেতা যখন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তখন তিনি যদি দলীয় গন্ডির বাইরে চিন্তা করতে না পারেন তাহলে তিনি কিছুতেই দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বের ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন না। আমরা যখন দেশ ও জাতিকে নিয়ে চিন্তা করব তখন সবার কথাই ভাবতে হবে। আওয়ামী লীগ করি বলে শুধু আওয়ামী লীগের ভালোমন্দ ভাবলে চলবে না। সম্মান পাওয়ার জন্য অন্যকে সম্মান করা শিখতে হয়। নিজের সুকর্মের স্বীকৃতি পেতে হলে অন্যের গুণ স্বীকার করার সাহস থাকা চাই। আপনি নিশ্চয় আমার প্রতি আস্থা রাখতে পারেন, পরম করুণাময় আল্লাহ ও আমার আরাধ্য দেশবাসী যদি আমায় সুযোগ দেন, এই জাতীয় দৈন্য অবশ্যই অবশ্যই ঘোচাব। বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে হলে হুজুরকেও রক্ষা করতে হবে। আমি অসংখ্য মানুষের মতামত জানি, যারা স্বাধীনতার প্রশ্নে হুজুর এবং বঙ্গবন্ধুকে দুই মেরুতে চিহ্নিত করেন না। বরং এক ও অভিন্ন ভাবেন।

ডাকসুতে জাতির পিতার ছবি তোলা নিয়ে আমি আপনার সঙ্গে ভিন্নমত হতে পারলাম না। আমার মনে হয় সত্য একটাই। সত্যকে নানাভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অস্বীকার করা যায় না। কেবল ছবি নিয়ে কাড়াকাড়ি তার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা দেখানো নয়। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর প্রকৃষ্ট উপায় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ যোগ্যতার সঙ্গে সমাপ্ত করা। না ভাই, যারা আমায় মুক্তিযোদ্ধা বলে মনে করে না তারা মুক্তিযোদ্ধা নয়, বঙ্গবন্ধুকে যারা অপছন্দ করে তারা দেশপ্রেমিক নয়, এমন বোধ এখনো আমার হয়নি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে আমাকে মুক্তিযোদ্ধা না বলা, স্বাধীনতাপ্রেমী হয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার না করার ব্যাপারে তাদের গভীরভাবে ভেবে দেখতে বলা ছাড়া আমার দিক থেকে আর কিছু করার নেই।

আপনার শিল্পী গোষ্ঠী, আপনার পরিবারের সদস্যবৃন্দ আমায় যেভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তা প্রবাসজীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকল। ভাতিজা রানা, রাজীব, রাহুলকে আমার প্রাণ নিংড়ানো ভালোবাসা ও আদর, আপনার শিল্পী গোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভাবিকে সশ্রদ্ধ সালাম। শ্রেণিমত সবাইকে সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।

আপনাদেরই একান্ত

কাদের সিদ্দিকী

০৪/০৮/৮৯’

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রদলের
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রদলের

১০ মিনিট আগে | রাজনীতি

মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা
মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার
সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার

২৩ মিনিট আগে | শোবিজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ
শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি
টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি

৪১ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে
অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে

৪৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড
মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও
‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা
জবির নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তেঁতুলিয়ায় বেড়েছে শীতের আমেজ, তাপমাত্রা ১৩.৯ ডিগ্রি
তেঁতুলিয়ায় বেড়েছে শীতের আমেজ, তাপমাত্রা ১৩.৯ ডিগ্রি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উত্তরায় বাংলাদেশের প্রথম হায়াত প্লেস হোটেলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
উত্তরায় বাংলাদেশের প্রথম হায়াত প্লেস হোটেলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাঙামাটিতে কোটা–বিরোধী ঐক্যজোটের ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছে
রাঙামাটিতে কোটা–বিরোধী ঐক্যজোটের ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে জোড়া খুনের আসামি জিয়া গ্রেফতার
মুন্সীগঞ্জে জোড়া খুনের আসামি জিয়া গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা