শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১

দয়াময় প্রভু ফকিরকে বাদশাহর মর্যাদা দান করুন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
দয়াময় প্রভু ফকিরকে বাদশাহর মর্যাদা দান করুন

এবারের ঈদে ছোটাছুটি ছাড়া কোনো স্বস্তি-শান্তি ছিল না। ধর্মীয় দায়দায়িত্বও তেমন বিশুদ্ধভাবে পালিত হয়েছে বলে মনে হয় না। আট দিন লকডাউন শিথিলের তামাশা বিশ্ব ইতিহাস হয়ে থাকবে। বলেছিলাম, ঈদের পর লকডাউন তেমন সুবিধার হবে না, হয়নি। মাঝখান থেকে কিছু মানুষের হয়রানি। ঠিক আছে, কঠোর লকডাউন যদি করতে পারেন করবেন তবে মানুষকে হেরাজ করে কেন? মানুষের সম্মতি নিয়ে তাদের সন্তুষ্টিতে কোনো কিছু করতে পারলে করুন, জোরজবরদস্তি করে কেন? জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাবা ’৭৫-এ মেহেরপুর জেলা গভর্নর ছিলেন। আমিও জেলা গভর্নর ছিলাম। বড় ভালো মানুষ তিনি। ফরহাদও যে খারাপ তা বলি কী করে। বিয়ে করেছে দাদু সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছোট ভাই পট্টু দাদুর মেয়ে। পট্টু দাদু আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসতেন। লকডাউনের ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রী হিসেবে ফরহাদের কতটা কর্তৃত্ব-নেতৃত্ব আছে বুঝতে পারি না। এত বড় একটা কাজ বা ঘটনা তার একার কর্তৃত্বে যে হবে না তা পাগলেও বোঝে। তা যা হোক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সাহসের ফসল পদ্মা সেতু। সেই পদ্মা সেতুতে আছড়ে পড়েছিল এক রো রো ফেরি। ফেরি ডুবে গেলে অর্ধশতাধিক গাড়িসহ কয়েক শ লোকের প্রাণহানি হতে পারত। তা হয়নি সে আল্লাহর ইচ্ছা। রো রো ফেরির চালককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমার কাছে ব্যাপারটা খুব সহজ মনে হয় না। বাংলাদেশে তো বটেই পৃথিবীর অনেক দেশে অনেক সেতুর কলাম টু কলাম বা পায়ার টু পায়ার এত প্রশস্ত নয়, ১৫০ মিটার মানে ৪৫০ ফুট বলতে গেলে আরও ২-১ ফুট বেশি। এত প্রশস্ত জায়গায় ফেরি লাগিয়ে দেওয়া এটা কথার কথা নয়। বেখেয়ালিপনা, না হয় ষড়যন্ত্র। জানি, বললে কাজ হবে না তবু বললাম। যারা পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া বা কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া ফেরি পার হয়েছে তাদের দুর্দশার অন্ত নেই। ৭০-৭৫ বছর বয়সী মহিলাদের দুই হাতে ব্যাগ নিয়ে ক্লান্ত শরীরে হাঁটতে দেখেছি। ছোট ছোট বাচ্চাদের সে কি দুর্দশা। প্রতিকারের কেউ নেই। উত্তরবঙ্গের যে গাড়িগুলো দেরিতে এসেছে সেগুলোর যাত্রীদের বিড়ম্বনা বলে শেষ করা যাবে না। লঞ্চঘাটে অনেক যাত্রী রাত ৪টায় এসেও কোনো পরিবহন পাননি। তাদের কষ্ট সরকারকে অপ্রিয় করছে। আর যারা সরেজমিনে আছেন তারা যদি মানবিকভাবে এ মানুষগুলোর দুর্দশা দূর করতেন তাহলে তারা হজের সওয়াব পেতেন। মনে হয় সরকারের এবং নেতৃবৃন্দের কারোরই সাধরণ মানুষের সমর্থন বা ভালোবাসার দরকার নেই। দরকার থাকলে এমন নির্দয় আচরণ কেন করা হবে। চিৎকার করে বদদোয়া বা দোয়া কোনোটাই আল্লাহর আরশে ফল দেয় না। মানুষের অন্তর আপনা আপনি দোয়া বা বদদোয়া দিতে পারে। নদীপথে সদরঘাটে আসা যাদের গাজীপুর, টঙ্গী বা মিরপুরে যাওয়ার কথা তাদের যদি বিশেষ ব্যবস্থায় কর্তৃপক্ষ পৌঁছে দিতেন তাহলে তারা বিএনপি, জামায়াতের লোক হলেও মুখে চিৎকার করে বদদোয়া করলেও তাদের অন্তরাত্মা আল্লাহর দরবারে দোয়া করত এবং সে দোয়া আল্লাহর আরশে কবুল ও মঞ্জুর হতো। কিন্তু কেউ শোনে না, কেউ দেখে না। সবাই পাওয়ার দেখায়। যে পাওয়ারের সত্যিকারে কোনো মূল্য নেই। সকালবেলার আমির রে ভাই/ফকির সন্ধ্যাবেলা- এ তো প্রমাণিত সত্য। তবু কেন যে অনেকেই এসব বোঝে না বা বুঝতে চায় না ভেবে পাই না। একটা দীর্ঘ সময় গৃহবন্দী, কোথাও যেতে আসতে পারছি না। প্রতিদিন কারও না কারও মৃত্যুসংবাদ শুনতে পাই। করোনায় প্রতিদিন মৃত্যু কখনো দুই শর নিচে, কখনো ওপরে। তালিকায় প্রিয়জনদের নাম এলে বুক কেঁপে ওঠে। কদিন আগে এলাসিন মওলানা ভাসানী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল করীম শহীদ চলে গেল। বড় ভালো মানুষ ছিল এনামুল করীম। মুক্তিযোদ্ধা ছিল, একসময় জাসদ করেছে। কিন্তু হুজুর মওলানা ভাসানীর দারুণ ভক্ত। আমাকে ভালোবাসত পাগলের মতো। আমাদের যে কোনো সভা-সমাবেশে সব সময় অংশ নিত। আমি একবার এনামুল করীম শহীদের হুজুর মওলানা ভাসানী মহাবিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ শহীদ যে যত্ন নিয়েছিল তা ভোলার নয়।

লেখকের টাঙ্গাইলের বাসভবনে লেখক, প্রখ্যাত সাংবাদিক সায়মন ড্রিং ও আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক

জানি সবাই যাবে। কিন্তু এ অসময়ে অনেকের জানাজায়ও শরিক হতে পারি না এটাই এক নিদারুণ কষ্ট। কাদেরিয়া বাহিনীর অন্যতম কমান্ডার লোকমান হোসেন এক সপ্তাহ হলো পরপারে চলে গেছে। তার জানাজায়ও শরিক হতে পারিনি। ভীষণ পরিশ্রম করেছে সে মুক্তিযুদ্ধে। তা ছাড়া ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদেও কমান্ডার লোকমান শরিক হয়েছিল। তার সে যে কি অপরিসীম আস্থা আমার ওপর যা লিখে বোঝানো যাবে না। মৃত্যুর কদিন আগেও ফোন করেছিল, ‘স্যার, দেখতে বড় ইচ্ছা করে।’ কিন্তু তার সে শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো না। আমারও বারবার ইচ্ছা করছিল বেতুয়ার কমান্ডার লোকমানকে দেখার। আল্লাহর যা ইচ্ছা তা-ই তো হবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন কমান্ডার ও এনামুল করীম শহীদকে বেহেশতবাসী করুন।

এই তো গত পরশু আজীবন সংগ্রামী গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর, সেই সঙ্গে বিদেশি বন্ধু সায়মন ড্রিং চলে গেলেন। মুক্তিযুদ্ধে সায়মন ড্রিংয়ের অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি যেভাবে পাকিস্তানি হানাদারদের নির্মম হত্যা-লুণ্ঠন, মা-বোনের সম্মান-সম্ভ্রমহানির খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে বিশ্ববিবেককে জাগিয়ে ছিলেন, তেমনি বাঙালির শৌর্য-বীর্য বাঙালির শক্তি-সাহসকে সমানভাবে তুলে ধরেছিলেন। তুলে ধরেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অমিয় তেজ। তার সেই ভূমিকা আমরা চিরকাল মনে রাখব। সায়মন ড্রিংয়ের সঙ্গে একসময় আমার ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বেশ কয়েকবার তিনি আমার টাঙ্গাইলের বাড়িতেও গেছেন, সভা-সমিতিতে অংশ নিয়েছেন। তার মৃত্যু কেন যেন আমাকে ভীষণ নাড়া দিয়েছে। অন্যদিকে ফকির আলমগীর ছিলেন একেবারে আপনজন। কতবার কত অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে ওঠাবসা করেছি। আমি যখন নির্বাসনে ছিলাম সে সময় মানিকগঞ্জ-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ-জামালপুর-কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোনা এসব জায়গায় গেলেই গানের মধ্যে আমাকে নিয়ে আলোচনা করতেন। আমি যে তার কত প্রিয়, আমাকে তিনি কত গভীরভাবে ভালোবাসেন তা তুলে ধরতেন। এমন পরম বন্ধু পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। তিনি যেমন হুজুর মওলানা ভাসানীর অনুরক্ত-ভক্ত, তেমনি বঙ্গবন্ধুকেও ভালোবাসতেন আমার মতো। তাই আজ তার সম্পর্কে কিছু না লিখে ’৮৯ সালের ৪ আগস্ট তাকে লেখা আমার একটা চিঠি হুবহু তুলে ধরছি। পরবর্তী কোনো সময় তার লেখা দু-একটি চিঠিও তুলে দেব।

‘ভাই ফকির আলমগীর,

আপনার ০৯.০৭.৮৯-র মধুমাখা আন্তরিকতায় ভরপুর চিঠিখানা সময়মতোই পেয়েছি। আমার ধারণা ছিল, বোধহয় আপনি আমার চিঠি পাননি। অনুলিপির ফাইল খুঁজে অবশ্যই সে চিঠির কপি পাঠিয়ে দেব। গত মাসের প্রথম সপ্তাহে একটা জরুরি কাজে দিল্লি গিয়েছিলাম। প্রায় ১৫ দিন সেখানে কাটিয়ে বাসায় ফিরে অনেক চিঠির মাঝে আপনার চিঠি পেয়ে ভীষণভাবে অভিভূত হয়েছি। আপনাকে এবং আপনার গান আমি ভীষণ ভালোবাসি। দেশের জন্য আপনার এ চারণের ভূমিকাকে আমি অত্যন্ত সম্মান করি। পতনোন্মুখ জাতিকে হতাশা ও দুঃখের অথই সাগর থেকে টেনে তোলা আমাদের কারও একার সাধ্য নয়। দুঃখ বেদনায় মুহ্যমান জাতিকে আবার উদ্দীপ্ত, কর্মচঞ্চল করে তুলতে আপনার মতো মানুষের প্রয়োজন মোটেই কম নয়। ষাটের দশকের শেষে সত্তরের গোড়ায় চট্টগ্রামের শাহ আলী বাঙালির গণজাগরণমূলক গানের সে যে কি তেজ, বঙ্গবন্ধুর বিশাল বিশাল মিটিংয়ে আমি উপলব্ধি করেছি। তারপর স্বাধীনতাযুদ্ধের সেই অগ্নিঝরা দিনগুলিতে জীবনের সর্বক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাবের মাঝেও গানের সে যে কি দুর্দমনীয় সর্বজয়ী আবেদন, হৃদয়ের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে মরমে মরমে উপলব্ধি করেছি। আপনার অনেক গানই শুনে আমি মোহিত অভিভূত হই। আপনার মরমি গানে বারবার নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করি।

আপনার বাবার মৃত্যুসংবাদে আমি গভীর বেদনাহত হয়েছি। স্বজনহীন বিদেশ বিভূমে এমনিতেই বেদনার থেকে আনন্দ অনেক কম। তার ওপর আবার প্রিয়জনরা স্বজন হারার ব্যথায় ব্যথিত হলে আমার বুকেও তা বাজে। পরম করুণাময় আল্লাহ আপনার পিতাকে বেহেশতবাসী করুন- কায়মনে এই কামনা করি। কোনো মানুষই অবিনশ্বর নয়। মৃত্যুর হাতছানি আমরা কেউ এড়াতে পারব না। বর্তমানে এই মৃত্যুপুরীতে আপনার পিতার সজ্ঞানে পরিণত বয়সে আল্লাহর প্রিয় হওয়া পুণ্যের ফল। আমরা তাঁর কীর্তি আপনার মতো সুসন্তানের জন্মের মধ্য দিয়ে মনে রাখব।

হুজুর মওলানা ভাসানী ছিলেন আমার জীবনে অফুরন্ত শক্তির উৎস। রাজনৈতিকভাবে তাঁকে অনুসরণ না করলেও তাঁর রাজনৈতিক কোনো পদক্ষেপই আমার কাছে সামান্যতম জনবিরোধী মনে হয়নি। তাঁর যৌবনের শুরুতে প্রজা আন্দোলন থেকে শুরু করে ব্রিটিশ ভারতে মুসলিম লীগ, পাকিস্তানে আওয়ামী মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এমনকি শেষের দিনগুলিতে নানান জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন পুনর্গঠনের কোনো পদক্ষেপই আমার কাছে অর্থহীন মনে হয়নি। শত বছরের দীর্ঘ জীবনে কোনো রক্তচক্ষু ও ক্ষমতার প্রলোভন তাঁকে বশীভূত করতে পারেনি। আপনার বোধহয় মনে আছে, ষাটের দশকের মাঝামাঝি আমাদের প্রিয় হুজুর আইয়ুবের সাথে একটা বুঝাপড়া করেছিলেন। তখনকার সেই পদক্ষেপ অনেকের কাছে দারুণভাবে সমালোচিত হয়েছিল। বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হওয়ার পর ছাত্রকালে আমিও যে দু-চারবার হুজুরের সমালোচনা করিনি তা নয়। কিন্তু বড় হয়ে নানা বই-পুস্তক পড়ে কেন তিনি আইয়ুবের কাছে গিয়েছিলেন, কী তার উদ্দেশ্য ছিল তা যখন স্পষ্ট হয় তখন শ্রদ্ধায় বুক ভরে যায়। আমরা সাধারণত নিজের যশ, খ্যাতি, সুনামের জন্য অনেক সময় জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতে তৈরি থাকি। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য জেনেশুনে নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে, লোকসমক্ষে নিন্দিত হতে চাই না। হুজুর কিন্তু তা করেছিলেন। প্রথমবার আইয়ুব খানের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা দীর্ঘ বৈঠক করে বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমার কৃষককুল যদি খেতে পায়, তাদের মুখে সত্যিকারের হাসি ফোটে, পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পাটের ন্যায্য মূল্য ও মোহাজেরদের বাসস্থান এবং কর্মসংস্থান হয় তাহলে আইয়ুব খান কেন আমি শয়তান ইবলিশের সঙ্গে হাত মেলাতেও রাজি আছি।” একজন মহামানবের মানুষের প্রতি কতটা ভালোবাসা থাকলে এমন কথা বলতে পারেন, সত্তরের দশকেই তা উপলব্ধি করার মতো সামান্য বুদ্ধি আমার হয়েছিল। তাই হুজুরকে অহেতুক অশ্রদ্ধা নয়, শুধু শ্রদ্ধা আর শ্রদ্ধাই করতাম।

হুজুর আমায় দারুণ ভালোবাসতেন। বিশ্বাসও করতেন অপরিসীম। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর দূত হিসেবে গভীরভাবে মেলামেশা করতে পারায় তাঁর জীবন আমার কাছে কাগজের সাদা পাতার মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। আমি তাঁকে বুঝতে ও উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। তাই আমার মধ্যে মোহ সৃষ্টি হয়েছিল তাঁর কফিন কাঁধে নেওয়ার। বঙ্গবন্ধুর কফিন বইবার একটা সাধ জেগেছিল সমস্ত দেহ-মন অন্তরাত্মা জুড়ে। সে সাধ আমার পূর্ণ হয়নি। অনেক অপূর্ণ সাধের মধ্যে ওটিও আমার জীবনের অপূর্ণ সাধ। ’৭৬-এর ১৭ নভেম্বর রাতে বিবিসির খবরে হুজুরের মৃত্যুসংবাদ পেয়েছিলাম। খবর শুনে বুকের ভিতর এমন একটা আঘাত পেয়েছিলাম যা ওর আগে কখনো পাইনি। সে রাতে আমি আর খেতে পারিনি। মনে হচ্ছিল আমার ওপর সমস্ত আকাশটাই যেন দুই ভাগ হয়ে গেছে। বঙ্গপিতাকে হারিয়ে এমনিতেই মুহ্যমান ছিলাম। আহত ব্যথাতুর বুকে হুজুরের শোক সইবার শক্তি ছিল না।

আমি আপনার সঙ্গে একমত, আমাদের অনেকে যুক্তি মানে না। গায়ের জোরের ভরসা করে। আওয়ামী লীগের জন্মবৃত্তান্ত তুলে ধরতে গেলে হুজুর মওলানা ভাসানী, জননেতা শামসুল হককে বাদ দেওয়া যায় না। আবার স্বাধীনতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে এড়িয়ে গেলে কিছুতেই পুরোপুরি বলা বা তুলে ধরা যাবে না। যেটা অসম্ভব সেটাকে অসম্ভব বলেই মানতে বা শিখতে হবে। সংকীর্ণ মন নিয়ে আর যা কিছুই হোক দেশের কল্যাণ সাধন ও জাতি পুনর্গঠন সম্ভব নয়। একজন নেতা যখন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তখন তিনি যদি দলীয় গন্ডির বাইরে চিন্তা করতে না পারেন তাহলে তিনি কিছুতেই দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বের ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন না। আমরা যখন দেশ ও জাতিকে নিয়ে চিন্তা করব তখন সবার কথাই ভাবতে হবে। আওয়ামী লীগ করি বলে শুধু আওয়ামী লীগের ভালোমন্দ ভাবলে চলবে না। সম্মান পাওয়ার জন্য অন্যকে সম্মান করা শিখতে হয়। নিজের সুকর্মের স্বীকৃতি পেতে হলে অন্যের গুণ স্বীকার করার সাহস থাকা চাই। আপনি নিশ্চয় আমার প্রতি আস্থা রাখতে পারেন, পরম করুণাময় আল্লাহ ও আমার আরাধ্য দেশবাসী যদি আমায় সুযোগ দেন, এই জাতীয় দৈন্য অবশ্যই অবশ্যই ঘোচাব। বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে হলে হুজুরকেও রক্ষা করতে হবে। আমি অসংখ্য মানুষের মতামত জানি, যারা স্বাধীনতার প্রশ্নে হুজুর এবং বঙ্গবন্ধুকে দুই মেরুতে চিহ্নিত করেন না। বরং এক ও অভিন্ন ভাবেন।

ডাকসুতে জাতির পিতার ছবি তোলা নিয়ে আমি আপনার সঙ্গে ভিন্নমত হতে পারলাম না। আমার মনে হয় সত্য একটাই। সত্যকে নানাভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অস্বীকার করা যায় না। কেবল ছবি নিয়ে কাড়াকাড়ি তার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা দেখানো নয়। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর প্রকৃষ্ট উপায় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ যোগ্যতার সঙ্গে সমাপ্ত করা। না ভাই, যারা আমায় মুক্তিযোদ্ধা বলে মনে করে না তারা মুক্তিযোদ্ধা নয়, বঙ্গবন্ধুকে যারা অপছন্দ করে তারা দেশপ্রেমিক নয়, এমন বোধ এখনো আমার হয়নি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে আমাকে মুক্তিযোদ্ধা না বলা, স্বাধীনতাপ্রেমী হয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার না করার ব্যাপারে তাদের গভীরভাবে ভেবে দেখতে বলা ছাড়া আমার দিক থেকে আর কিছু করার নেই।

আপনার শিল্পী গোষ্ঠী, আপনার পরিবারের সদস্যবৃন্দ আমায় যেভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তা প্রবাসজীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকল। ভাতিজা রানা, রাজীব, রাহুলকে আমার প্রাণ নিংড়ানো ভালোবাসা ও আদর, আপনার শিল্পী গোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভাবিকে সশ্রদ্ধ সালাম। শ্রেণিমত সবাইকে সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।

আপনাদেরই একান্ত

কাদের সিদ্দিকী

০৪/০৮/৮৯’

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
সংসদ নির্বাচন
সংসদ নির্বাচন
সুগন্ধি মনকে সতেজ করে
সুগন্ধি মনকে সতেজ করে
একটা ভিডিওর আয়নায় আমাদের সমাজ
একটা ভিডিওর আয়নায় আমাদের সমাজ
জাতীয় মর্যাদা ও পুনর্জাগরণের সেই দিন
জাতীয় মর্যাদা ও পুনর্জাগরণের সেই দিন
সবার আগে বাংলাদেশ
সবার আগে বাংলাদেশ
গ্যাসসংকট
গ্যাসসংকট
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
সেনারা পারে, পারতেই হয়
সেনারা পারে, পারতেই হয়
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
সর্বশেষ খবর
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর জামিন
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর জামিন

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে যেসব কর্মসূচি করবে বিএনপি
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে যেসব কর্মসূচি করবে বিএনপি

৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

পাঁচ দফা দাবিতে পল্টনে বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ
পাঁচ দফা দাবিতে পল্টনে বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ

১০ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিহারে চলছে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন, ভোট দিলেন একাধিক মন্ত্রী
বিহারে চলছে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন, ভোট দিলেন একাধিক মন্ত্রী

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে জরাজীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য চায় ইসি
ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে জরাজীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য চায় ইসি

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

ফাশারের কসাই কে এই আবু লুলু?
ফাশারের কসাই কে এই আবু লুলু?

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্কুল-কলেজের সিসি ক্যামেরাগুলো ভোটকেন্দ্রে ব্যবহার করতে চায় ইসি
স্কুল-কলেজের সিসি ক্যামেরাগুলো ভোটকেন্দ্রে ব্যবহার করতে চায় ইসি

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

মহেশখালীতে অস্ত্রসহ আটক ১
মহেশখালীতে অস্ত্রসহ আটক ১

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সংসদ নির্বাচনে প্রতিবন্ধীদের ভাবনা জানতে চায় ইসি
সংসদ নির্বাচনে প্রতিবন্ধীদের ভাবনা জানতে চায় ইসি

৩১ মিনিট আগে | জাতীয়

অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ডুবছে রাঙামাটির বরকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ডুবছে রাঙামাটির বরকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জেতার সম্ভাবনা আছে এমন শরিকদের জন্য আসন ছাড়বে বিএনপি : আমীর খসরু
জেতার সম্ভাবনা আছে এমন শরিকদের জন্য আসন ছাড়বে বিএনপি : আমীর খসরু

৩৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

দুই বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

‘যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই বাংলাদেশ পাইনি’
‘যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই বাংলাদেশ পাইনি’

৪০ মিনিট আগে | রাজনীতি

শীত এলেই চুলকাতে থাকে মাথার ত্বক, যেভাবে নেবেন চুলের যত্ন
শীত এলেই চুলকাতে থাকে মাথার ত্বক, যেভাবে নেবেন চুলের যত্ন

৪৭ মিনিট আগে | জীবন ধারা

বাকৃবির উদ্ভাবন: দেশের প্রথম হাঁসের ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন
বাকৃবির উদ্ভাবন: দেশের প্রথম হাঁসের ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন

৫৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ফোনে অশ্লীল বার্তা পাঠালে দুই বছরের দণ্ড ও জরিমানা
ফোনে অশ্লীল বার্তা পাঠালে দুই বছরের দণ্ড ও জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে যা বললেন রেজা কিবরিয়া
বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে যা বললেন রেজা কিবরিয়া

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেয়ারবাজারে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত
শেয়ারবাজারে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

খুলনায় নবায়নযোগ্য শক্তি বিষয়ক বিতর্ক উৎসব শুক্রবার
খুলনায় নবায়নযোগ্য শক্তি বিষয়ক বিতর্ক উৎসব শুক্রবার

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৩ দফা দাবিতে ৮ নভেম্বর থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
৩ দফা দাবিতে ৮ নভেম্বর থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুক্তির আমলাদের হাতেই প্রশাসনের লাগাম
চুক্তির আমলাদের হাতেই প্রশাসনের লাগাম

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলারকে লাথি মেরে আবারও নিষিদ্ধ সুয়ারেজ
প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলারকে লাথি মেরে আবারও নিষিদ্ধ সুয়ারেজ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রধান উপদেষ্টার কাছে আজ স্মারকলিপি দেবে জামায়াতসহ আট দল
প্রধান উপদেষ্টার কাছে আজ স্মারকলিপি দেবে জামায়াতসহ আট দল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুল্ক নীতি নিয়ে উচ্চ আদালতের শুনানিতে তীব্র প্রশ্নের মুখে ট্রাম্প
শুল্ক নীতি নিয়ে উচ্চ আদালতের শুনানিতে তীব্র প্রশ্নের মুখে ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে নবম দিনের আপিল শুনানি চলছে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে নবম দিনের আপিল শুনানি চলছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মাদকবিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ
বগুড়ায় মাদকবিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমার বিশ্বজিতের সুরে কিশোরের নতুন গান
কুমার বিশ্বজিতের সুরে কিশোরের নতুন গান

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল
পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ
রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি
যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবশেষে সিলেট-৪ আসনেই প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী
অবশেষে সিলেট-৪ আসনেই প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী

১০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়
পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি
পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা
চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত

১৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার
বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার

১৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের
৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম
আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রাথমিকে শিক্ষক পদে আবেদন শুরু ৮ নভেম্বর
প্রাথমিকে শিক্ষক পদে আবেদন শুরু ৮ নভেম্বর

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের উপহারের গম ফিরিয়ে দিয়েছিল তুরস্ক, দিল্লিকে বাঁচায় ইসরায়েল
ভারতের উপহারের গম ফিরিয়ে দিয়েছিল তুরস্ক, দিল্লিকে বাঁচায় ইসরায়েল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি সই
ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ
বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের কাছে পারমাণবিক প্ল্যান বিক্রির চেষ্টা ভারতীয় ভুয়া বিজ্ঞানীর
ইরানের কাছে পারমাণবিক প্ল্যান বিক্রির চেষ্টা ভারতীয় ভুয়া বিজ্ঞানীর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের
এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি
ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তানজিন তিশার বিরুদ্ধে মামলা
তানজিন তিশার বিরুদ্ধে মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া
শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন
ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

সিন্ডিকেটের খপ্পরে পিঁয়াজের বাজার
সিন্ডিকেটের খপ্পরে পিঁয়াজের বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব মানুষ
অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

গণসংযোগের সময় গুলিতে বিএনপি প্রার্থী আহত, একজন নিহত
গণসংযোগের সময় গুলিতে বিএনপি প্রার্থী আহত, একজন নিহত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো
দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুল নকশায় ভোগান্তি
ভুল নকশায় ভোগান্তি

রকমারি নগর পরিক্রমা

সবার আগে বাংলাদেশ
সবার আগে বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর
তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল
পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রথম পৃষ্ঠা

বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?
বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?

প্রথম পৃষ্ঠা

এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি
এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী
স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী

দেশগ্রাম

সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক
সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্রীড়াঙ্গনে অন্যরকম নভেম্বর
ক্রীড়াঙ্গনে অন্যরকম নভেম্বর

মাঠে ময়দানে

ডেকে নিয়ে হত্যা দুই ব্যবসায়ী ও বৃদ্ধকে
ডেকে নিয়ে হত্যা দুই ব্যবসায়ী ও বৃদ্ধকে

দেশগ্রাম

মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ
মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে ডেনিম এক্সপো
আইসিসিবিতে ডেনিম এক্সপো

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার
ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার

পূর্ব-পশ্চিম

কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত

নগর জীবন

পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ
পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ

দেশগ্রাম

ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর

প্রথম পৃষ্ঠা

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি

নগর জীবন

সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন
সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত
বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত

নগর জীবন

সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

নগর জীবন

অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

দেশগ্রাম

ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০
ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০

পূর্ব-পশ্চিম

জকসু নির্বাচনের তফসিল, ভোট ২২ ডিসেম্বর
জকসু নির্বাচনের তফসিল, ভোট ২২ ডিসেম্বর

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটে আগুনে ঘি ঢেলে দেয় প্রথম আলো
সংকটে আগুনে ঘি ঢেলে দেয় প্রথম আলো

প্রথম পৃষ্ঠা