রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ট্রাফিক পুলিশের ক্ষমতা ও দুঃখজনক বাস্তবতা

এ কে এম শহীদুল হক

ট্রাফিক পুলিশের ক্ষমতা ও দুঃখজনক বাস্তবতা

একটি গল্প আছে। এক বাবা তার স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘বাবা, তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও?’ ছেলের জবাব, ‘আমি বড় হয়ে ট্রাফিক পুলিশ হতে চাই’। বাবার আবার প্রশ্ন, ‘কেন?’ ছেলে বলে ট্রাফিক পুলিশের অনেক ক্ষমতা। ট্রাফিক পুলিশ হাত তুললেই গাড়ি থেমে যায়। জজ, ব্যারিস্টার, মন্ত্রী সবার গাড়িই ট্রাফিক পুলিশ থামিয়ে দিতে পারে। শিশুটি তো বোঝে না এটা ট্রাফিক পুলিশের ক্ষমতা নয়, এটা আইনের ক্ষমতা। ট্রাফিক পুলিশের করুণ অবস্থা জানতে পারলে শিশুটি ভুলেও ট্রাফিক পুলিশ হতে চাইত না। পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণাও নেতিবাচক। পুলিশ সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি থামালেই মানুষ মনে করে ঘুষ খাওয়ার জন্য গাড়ি থামিয়েছে। অনেকের প্রেস্ট্রিজেও লাগে। তারা গণ্যমান্য, হর্তাকর্তা শ্রেণির লোক। একজন সাধারণ ট্রাফিক পুলিশ কেন তার গাড়ি থামাবে? তিনি যে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করছেন তা আমলে নিচ্ছেন না। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে যান। কোনো কোনো সময় ট্রাফিক পুলিশেরও ধৈর্যচ্যুতি ঘটে এবং তারাও বাড়াবাড়ি করে। প্রতিকূল পরিবেশে অধিক খাটুনির কারণে কারও দুর্ব্যবহারে বা তর্কবিতর্কের সময় পুলিশের মেজাজও কখনো কখনো ঠিক রাখা কঠিন। যদিও সব সময় ও সব পরিস্থিতিতে পুলিশকে ধৈর্য ও পেশাদারি নিয়ে কাজ করাই বাঞ্ছনীয়।

বাংলাদেশে ট্রাফিক পুলিশ সনাতন পদ্ধতিতে ট্রাফিক-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ডিউটি করে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধুলাবালি, রোদ-বৃষ্টি, গাড়ির হর্নের কানফাটা শব্দের মধ্যে ৮-১০ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ডিউটি করতে হয়। সিটি করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত লাইট সিগন্যাল ত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে বিধায় ট্রাফিক পুলিশকে হাত সিগন্যাল দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। চালকদের মধ্যে আইন না মানার প্রবণতা থাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। এক মুহুর্তের জন্যও ডিউটিস্থল ত্যাগ করতে পারে না। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে এমনকি মূত্রত্যাগ করার সুযোগও সহজে পায় না। দীর্ঘক্ষণ মূত্র চেপে রাখার কারণে অধিকাংশ ট্রাফিক পুলিশ কিডনি রোগে ভোগেন। তা ছাড়া প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য কর্তব্যস্থলের কাছে কোনো শৌচাগারের ব্যবস্থাও নেই। নারী পুলিশের জন্য এ সমস্যা আরও প্রকট।

৩০ জুলাই, ২০২১ দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘শ্বাসকষ্টে ভুগছেন ঢাকার ৮৪% ট্রাফিক পুলিশ’ শিরোনামে একটি গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়। আইইডিসিআরের একটি প্রকল্পে কাজ করেছেন ডা. শাকিলা ইয়াসমিন। তিনি ঢাকার ট্রাফিক পুলিশের স্বাস্থ্য সমস্যার ওপর ২০১৮ সালে এ গবেষণা করেন।  সে তথ্য ২০২১ সালের মে মাসে ভারতের জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত হয়। ওই গবেষণায়ই দেখা যায় ঢাকার ৮৪% ট্রাফিক পুলিশ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। বায়ুদূষণ নিয়ে করা আরেকটি গবেষণায় দেখা যায় ৪০% ট্রাফিক পুলিশ ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। ৫৬% ট্রাফিক পুলিশ ঘুমের মধ্যে বিকট শব্দ শুনতে পান। ২৭% মানসিকভাবে বিপদগ্রস্ত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করার কারণে তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়, হাড় ক্ষয় হয়, পায়ে ও মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, প্রচন্ড মাথাব্যথা থাকে, চোখ জ্বালাপোড়া করে। এ ছাড়া তারা ব্রঙ্কাইটিস, হৃদরোগ, কিডনি রোগ ও ক্যান্সারেও ভোগেন। বায়ু ও শব্দ দূষণের ফলে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা এসব স্বাস্থ্য সমস্যার কবলে পতিত হচ্ছেন। ফলে অনেকেরই অকালমৃত্যু হয়। এ বিষয়গুলো পুলিশের সব কর্মকর্তা ও সদস্য বরাবরই অবহিত আছেন। বাইরের গবেষণার ফাইন্ডিংসে একই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

পুলিশ সদস্যদের সাধারণ রোগের চিকিৎসা পুলিশ হাসপাতালেই হয়। কিন্তু জটিল রোগের চিকিৎসা বাইরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীন করাতে হয়। আমি দেখেছি প্রায় সব পুলিশ সদস্যেরই বাইরে চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই। তারা আইজিপির কাছে চিকিৎসা সাহায্য চেয়ে আবেদন করে। আইজিপি যতটুকু সম্ভব পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ড থেকে সাহায্য করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রেই তা অপ্রতুল। কর্তব্যরত অবস্থায় একজন পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবার দারুণ অসহায়ত্বের মধ্যে নিমজ্জিত হয়। অথচ একশ্রেণির মানুষ মনে করে পুলিশের অনেক টাকা। বাস্তবতা হলো অধিকাংশ পুলিশ সদস্য সংসার চালাতে হিমশিম খায়।

আমি পুলিশপ্রধান থাকাকালে এ সমস্যার প্রতিকারের জন্য কী করেছি সে প্রশ্ন পাঠকদের মনে আসা স্বাভাবিক। ট্রাফিক পুলিশের এ করুণ অবস্থা আমাকে বরাবরই খুব কষ্ট দিত। আমি মনে মনে স্থির করেছিলাম আমি কখনো সুযোগ পেলে এর প্রতিকারের চেষ্টা করব। আমি ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারিতে আইজিপির দায়িত্ব শুরু করার পর গৃহীত অনেক পরিকল্পনার মধ্যে দুটো পরিকল্পনা প্রথম থেকেই গুরুত্বসহকারে নিয়েছিলাম। এ দুটো আমার স্বপ্নই ছিল। একটি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ চালু এবং অন্যটি ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে উন্নত দেশের মতো ডিজিটাইজড করা। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ চালু করতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু ট্রাফিক ডিজিটাইজডের কাজটি সম্পন্ন করতে পারিনি।

আমি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজড করার লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্‌বান করি। কয়েকটি কোম্পানির মধ্যে চীনের হোয়াইও কোম্পানি কোয়ালিফাইড হয়। তারা অন্য দেশেও সফলতার সঙ্গে এ কাজ করেছে। প্রায় এক বছর পরিশ্রম করে তারা ফিজিবিলিটি রিপোর্ট দেয় এবং সে রিপোর্টকে ভিত্তি করে ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফাইল) তৈরি করে ২০১৭ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। সিটি (কাস্টম ট্যাক্স) ও ভ্যাটসহ ৫ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট। আমি তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী (বর্তমান অর্থমন্ত্রী) মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করি। তিনি অর্থ জোগানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, প্রজেক্ট প্রস্তাব তাঁদের কাছে এলে ফান্ডের ব্যবস্থা করে দেবেন। তিনি আরও বলেন, টাকার কোনো সমস্যা নেই।

আমাদের দেশের মতো সনাতন পদ্ধতিতে পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে বলে আমার জানা নেই। পুলিশকে যাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক ডিউটি করতে না হয় সেজন্যই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাইজড করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। শহরের প্রতিটি সড়ক ও রাস্তায় সিসি ক্যামেরা থাকবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুমে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং যানবাহনের চিত্র বিশাল মনিটরে প্রদর্শিত হবে। যানবাহনগুলো সড়কে স্থাপিত ক্যামেরায় দেখা যাবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুমে বসেও দেখা যাবে। কোনো চালক নির্ধারিত গতিসীমার অধিক গতিতে গাড়ি চালালে কিংবা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে সঙ্গে সঙ্গে তা ক্যামেরায় বন্দী হবে। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের গাড়ি থাকবে। পুলিশের দৃষ্টিতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, দুর্ঘটনা বা বিশৃঙ্খলার দৃশ্য এলে কিংবা পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সংবাদ পাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেবে। ক্যামেরার মাধ্যমে ট্রাফিক মনিটরিং ব্যবস্থা থাকলে চালকরা স্বেচ্ছায়ই সতর্ক থাকবে, ট্রাফিক আইন মেনে চলবে এবং ট্রাফিক-শৃঙ্খলা রক্ষা করবে। এ উদ্দেশ্যেই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাইজড করার প্রকল্প তৈরি করেছিলাম। এ ব্যবস্থা যদি চালু হতো তবে পুলিশকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধুলাবালি, শব্দ ও বায়ু দূষণের মধ্যে ডিউটি করতে হতো না। তাদের শব্দ ও বায়ু দূষণের কারণে সৃষ্ট রোগব্যাধিতে ভুগতে হতো না। ট্রাফিক-শৃঙ্খলাও বজায় থাকত। ট্রাফিক-শৃঙ্খলা বজায় থাকলে দেশের ভাবমূর্তিও বৃদ্ধি পেত। কিন্তু চার-পাঁচ বছরেও ট্রাফিক ডিজিটাইজডের প্রজেক্ট এখনো আলোর মুখ দেখেনি। শুনেছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গন্ডি পেরিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যায়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা অত্যন্ত ভিশনারি লিডার। তিনি পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের মতো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তিনি প্রতি সপ্তাহে একনেক সভায় হাজার হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট অনুমোদন দিচ্ছেন। রাজধানী শহর ঢাকার ট্রাফিকব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট তাঁর কাছে এমন কোনো বড় প্রজেক্ট নয়। আমার বিশ্বাস এ প্রজেক্ট একনেকের সভায় উঠলেই তিনি অনুমোদন করে দিতেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় দীর্ঘদিনেও প্রজেক্টটি একনেকে ওঠাতে পারল না। আমার অবসরে আসার পর পুলিশের পক্ষ থেকেও প্রজেক্টটি পাস করানোর জন্য কোনো চেষ্টা-তদবির হচ্ছে বলে মনে হয় না।

ট্রাফিক পুলিশকে বায়ু ও শব্দ দূষণের কারণে সৃষ্ট জটিল রোগব্যাধি থেকে বাঁচাতে হলে তাদের রাস্তা থেকে তুলে নিতে হবে। ক্যামেরা ও ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পুলিশ গাড়িতে ও কন্ট্রোল রুমে বসে ওয়াচ করবে এবং আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। ক্যামেরায়ও আইন লঙ্ঘনের দৃশ্য বন্দী হবে। উন্নত ও সভ্য দেশে এ ব্যবস্থাই চালু আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাজধানী শহরে যদি সনাতন ট্রাফিকব্যবস্থা চালু থাকে তবে শুধু ট্রাফিক পুলিশই রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হবে না দেশের উন্নয়নের চিত্রও তমসাচ্ছন্ন থেকে যাবে। বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশে এসে ঢাকার ট্রাফিকব্যবস্থা দেখে দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য দেখতে না পেয়ে তাদের মনে প্রশ্ন জাগবে কেন এমন অবস্থা।

অনেকের ধারণা মেট্রোরেল চালু হলে ট্রাফিক যানজট কমে যাবে এবং এ সমস্যাগুলো থাকবে না। আসলে তা ঠিক নয়। ট্রাফিক-শৃঙ্খলা ও যানজটকে পৃথকভাবে দেখতে হবে। রাস্তায় গাড়ি থাকবে। নানাবিধ যানবাহন থাকবে। সেখানে ট্রাফিক-শৃঙ্খলা রক্ষা করতেই হবে। একটা দেশের ট্রাফিক-শৃঙ্খলা সে দেশের উন্নয়ন ও সভ্যতার প্রতীক। ট্রাফিক পুলিশের স্বাস্থ্য সংকট নিরসন, সড়কে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রযুক্তিনির্ভর অর্থাৎ ডিজিটাইজড ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই।

আমাদের দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ ও নির্দেশনা ছাড়া কোনো কাজই এগোয় না। এ দেশের আমলাতন্ত্রের ইতিহাস আমরা সবাই কমবেশি জানি। যে কোনো বিষয়ই দীর্ঘসূত্রতায় ফেলে রাখার অভিযোগ বরাবর তাদের বিরুদ্ধে আছে। নথির পেছনে অব্যাহতভাবে পশ্চাদ্ধাবন না করলে নথি সাধারণত গতি পায় না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ, আগ্রহ ও হস্তক্ষেপেই পুলিশের সব অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি যদি দয়া করে স্বরাষ্ট্র সচিব মহোদয়কে পুলিশের ট্রাফিক ডিজিটাইজড প্রজেক্ট প্রস্তাবটি একনেকের সভায় ওঠানোর উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন তবেই ওই প্রজেক্ট আলোর মুখ দেখবে। ট্রাফিক পুলিশকে সনাতন ও অমানবিক ডিউটি থেকে মুক্তি দিয়ে মানবিক কারণে তাদের রোগব্যাধি থেকে রক্ষা করা যেমন জরুরি তেমনি উন্নত দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মতো আমাদের রাজধানী শহরেও আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চালু করা অপরিহার্য। এতে নাগরিকরা স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারবে এবং দেশের ভাবমূর্তিও বৃদ্ধি পাবে।

লেখক : সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ।

সর্বশেষ খবর