শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ওষুধের নামে মাদক আমদানি

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি বাড়াতে হবে

করোনা রোধে ব্যবহৃত সরঞ্জাম বা জরুরি চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ আমদানির মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিদেশি সিগারেট, মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও যৌন উত্তেজক পণ্য আনা হয়েছে। গত তিন অর্থবছরে বিভিন্ন বন্দর দিয়ে মিথ্যা তথ্যে আমদানি করা এ ধরনের পণ্যের ১৩৭টি চালান আটক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এসব চালানে প্রায় ১ হাজার ৫০৯ কোটি টাকার রাজস্ব জড়িত ছিল। একসময় চালু থাকলেও এখন বন্ধ রয়েছে অথবা কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে অস্তিত্ব নেই এমন সব প্রতিষ্ঠানের নামে এসব চালানের বেশির ভাগ এসেছে। এ ছাড়া দেশের নামিদামি হাসপাতাল, ওষুধ কোম্পানি বা তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করেও অবৈধ ওই সব পণ্য আনা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর বলছে, লোকবলস্বল্পতার কারণে অনেক সময় সব কনটেইনার যাচাই করা সম্ভব হয় না। এনবিআর বলছে, গত বছরের মার্চে তাইওয়ান থেকে করোনা রোধে ব্যবহৃত সরঞ্জামের মিথ্যা তথ্য দিয়ে দুই কনটেইনারে প্রায় ৩৭ কোটি টাকার বিদেশি সিগারেট ও মদ আনা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে তেলের ড্রামে করে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার কোকেন আনার ঘটনা ঘটেছে। তার আগে বেনাপোল বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় আনা দুই চালানে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার যৌন উত্তেজক পণ্য ভায়াগ্রা ও ভায়াগ্রা তৈরির সরঞ্জাম আটক করা হয়। মোংলা বন্দর দিয়ে ৫৩৯ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য তৈরির সরঞ্জাম জীবন রক্ষাকারী ওষুধের নামে আমদানি করে খালাসের সময় এক ব্যক্তিকে আটক করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি এড়িয়ে এতসব মাদক আসছে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে। অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিশ্চয় কোথাও ফাঁকফোকরে সুযোগ পেয়ে থাকে। তাদের সুযোগ বন্ধের নিশ্চিত উপায় খুঁজে বের করতে হবে। যে কোনো আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি; শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকান্ডের জবাবদিহি বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর