মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

চাঁদাবাজদের দাপট

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয়তা কাম্য

চাঁদাবাজি জনজীবনের এক মহাসমস্যা। জাতীয় জীবনেও এর থাবা প্রতিনিয়ত অনুভূত হয়। র‌্যাব প্রতিষ্ঠার আগে পুরো দেশটি ছিল চাঁদাবাজদের অভয়ারণ্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পদক্ষেপে চাঁদাবাজির কৌশল বদলালেও তা বন্ধ হয়নি। এমনকি এর মাত্রা সন্তোষজনক পর্যায়ে হ্রাস করা যায়নি। দেশে ভবন নির্মাণে চাঁদাবাজদের দাবি না মেটালে হামলার শিকার হন নির্মাণ কর্মীরা। মালামাল লুটের ঘটনাও ঘটে। গ্রাম মহল্লা শহরের এমন কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নেই যারা চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজির শিকার হয় না। এমনকি ভ্যানে যারা সবজি বিক্রি করে তাদেরও মেটাতে হয় চাঁদাবাজদের দাবি। চাঁদা আদায় হয় পুলিশ, সন্ত্রাসী এবং কথিত ছাত্র ও যুব সংগঠন এবং নেতাদের নামে। রাজধানীর মিরপুর, শ্যামলী ও সংলগ্ন এলাকা চাঁদাবাজদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। সিদ্ধেশ্বরীতে রয়েছে চাঁদাবাজ নামের মানুষ শকুনদের দাপট। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি চলে রাজধানীসহ দেশজুড়ে। চাঁদা না পেয়ে ১৩ অক্টোবর শ্যামলীর মোটরসাইকেল শোরুম ইডেন অটোসে এ চক্রের সদস্যরা ঢুকে দুজনকে কুপিয়ে টাকা ও কিছু দামি জিনিস লুট করে আত্মগোপনে চলে যায়। তবে শেষরক্ষা হয়নি র‌্যাবের তৎপরতায়। শনিবার দিবাগত রাতে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-২-এর যৌথ অভিযানে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও ধামরাই থেকে চাঁদাবাজ ও ডাকাত চক্রের মূল হোতা জসিম উদ্দীনসহ জহিরুল ইসলাম জহির, জাহিদুল ইসলাম শিকদার, খায়রুল ভূঁইয়া, রাকিব হাসান ও নয়নকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত চারটি চাপাতি

ও নগদ ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব। পল্লবীর মোটরসাইকেল শোরুমের ডাকাতিতে জড়িত চাঁদাবাজদের আটক নিঃসন্দেহে সুখবর। তবে এ শকুনদের কবল থেকে জনজীবনের স্বস্তি রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কড়া হতে হবে। চাঁদাবাজ নামের শকুনদের নখর ভাঙতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর