মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মানব পাচার আইনের বেড়াজালে জনশক্তি প্রেরণ খাত

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ

মানব পাচার আইনের বেড়াজালে জনশক্তি প্রেরণ খাত

জনশক্তি খাত আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। করোনা দুর্যোগের ঘোর অমানিশার কালেও সেটি প্রমাণিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কেউ কেউ পোশাকশিল্প খাতকে এগিয়ে রাখলেও নেট বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে জনশক্তি খাতই এগিয়ে। অর্থনীতিবিদদের বিচার-বিশ্লেষণে কাঁচামাল আমদানির খরচাপাতি বাদ দিলে জনশক্তি খাত পোশাকশিল্প থেকে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসে। বৈশ্বিক করোনা দুর্যোগে মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতিকে সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা দিয়েছে এ খাত। করোনা মহামারীর বিস্তারকালে বিশ্বব্যাপী লকডাউন শুরু হলে এক অর্থে প্রায় সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সংকুচিত হয়ে ছিল। বিপদাপন্ন অবস্থা তৈরি হয়েছিল ভারী থেকে হালকা সব শিল্প ক্ষেত্রেই। করোনাকালে সড়ক, নৌ, বিমান পথ বন্ধ হওয়ার কারণে উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে সময় বহুমাত্রিক সমস্যা মোকাবিলায় অর্থনীতিতে আশা জাগিয়ে রাখে অভিবাসন খাত। সেই ভীষণ অর্থনৈতিক দুরবস্থাকালেও জনশক্তি খাত থেকে বেশি বেশি রেমিট্যান্স আসতে থাকে। এখানেই শেষ নয়, ধারাবাহিক লকডাউনে যখন দেশের ক্ষুদ্র কর্মজীবী মানুষ বেকার হয়ে নিরুপায় জীবনযাপন করছিল তখন হাজার হাজার রেমিট্যান্স যোদ্ধা বিদেশে বসেও শহর ও গ্রামের দরিদ্র মানুষের পাশে খাদ্য, চিকিৎসা ও অন্যান্য সহায়তা নিয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল।

অর্থবছর হিসেবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যাস আসে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসে আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। রেমিট্যান্সের এ প্রবহমানতা নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক থেকে শুরু করে আমরা সবাই কম-বেশি গর্ব করি। শুধু অর্থনীতিবিদ নয়, আমরা সবাই বুঝতে পারি প্রবাসী যারা আছেন দেশের অর্থনীতিতে তারা কীভাবে অবদান রেখে চলেছেন। কিন্তু যে খাত এ দেশের অর্থনীতির ধারাবাহিক সুরক্ষা দিয়ে চলেছে, যে খাত থেকে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়মিত আসে সে খাতের নির্মাতাদের নিরাপত্তা, মর্যাদা, সুরক্ষা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। সেই পুরনো বৃত্তের মধ্যেই যেন সবকিছু ঘুরপাক খাচ্ছে। এ খাতের নির্মাতাদের এখনো সর্বত্র নেতিবাচকভাবেই উপস্থাপনের চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। অথচ যে জনশক্তি খাত নিয়ে আমরা নিত্য গর্ববোধ করি, যে খাত আমাদের অর্থনীতিকে সব ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে সে খাতের সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের তুচ্ছতাচ্ছিল্যই শুধু নয়, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের আগেই মানব পাচার আইনে মামলা থেকে শুরু করে রিমান্ড জেল পর্যন্ত খাটতে হচ্ছে।

বিএমইটির তথ্যানুযায়ী বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ১৬৮টি দেশে প্রফেশনাল, স্কিল্ড, সেমি স্কিল্ড এবং কম বা অদক্ষ মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত। এই মোট অভিবাসী শ্রমিকের মধ্যে ৩১.৮৯% সৌদি আরব, ১৮.৬৮% আরব আমিরাত, ৮.৩২% মালয়েশিয়া, ৪.৯৫% কুয়েত, ১১.৮২% ওমান, ৬.১৬% সিঙ্গাপুর, ৩.২৩% বাহরাইন এবং ৬.৩৬% কাতারে কাজ করছে। এখনো আমাদের সবচেয়ে বেশি শ্রমিক কাজ করছে সৌদি আরবে। উল্লিখিত শ্রমিকদের কর্মসংস্থানে সরকারের সহায়তায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোই। কিন্তু এ খাতে এখন অনেকটাই গলার কাঁটার মতো বিঁধে আছে অভিবাসন আইনের পরিবর্তে মানব পাচার আইনে যে কোনো অভিযোগের বিচার। আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করছি মানব পাচার আইনের আওতায় ফেলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই রিক্রুটিং এজেন্সির মালিককে গ্রেফতার করা হচ্ছে, মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে যারা জড়িত তারা বরাবরই বলছেন বৈধভাবে অভিবাসন আর মানব পাচার এক নয়। দুটিকে গুলিয়ে ফেলায় খেসারত দিতে হচ্ছে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের। আমাদের সবার জন্যই স্মর্তব্য যে একজন বৈধ লাইসেন্সধারী জনশক্তি ব্যবসায়ী সরকারের নিয়মনীতি মেনেই বিভিন্ন দেশে জনশক্তি প্রেরণ করে। এ বৈধ প্রক্রিয়ায় একটি এজেন্সিকে অনেক ধাপ বা পর্যায় অনুসরণ করতে হয়। সে ধাপের মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র নেওয়াসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাজ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দূতাবাসের সত্যায়ন, নিয়োগ অনুমতি, ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স, বিএমইটির স্মার্টকার্ড ইত্যাদি। সরকার নির্ধারিত এসব প্রক্রিয়া অবলম্বন ছাড়া কোনো বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি বিদেশে কর্মী প্রেরণ করে না। কিন্তু যে কোনো অভিযোগে আইনের বেড়াজালে ফেলে এই ব্যবসায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মানব পাচার আইনে জেল-জরিমানা প্রদান এক ধরনের অশনিসংকেত; যা রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের মধ্যে ভীতি তৈরি করেছে। মানব পাচার প্রতিরোধকল্পে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে অযথা হয়রানি না করার জন্য ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি পত্র প্রদান করা হয়েছিল। যেখানে বলা হয়, মানব পাচার আইন, ২০১২ প্রয়োগ করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিনা ওয়ারেন্টে বা বিনা নোটিসে রিক্রুটিং এজেন্সি অফিসে গিয়ে হয়রানি করছে। জনশক্তি প্রেরণকারীদের জন্য মানব পাচার প্রতিরোধ আইন, ২০১২ প্রয়োগ প্রযোজ্য না হয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইন, ২০১৩ প্রযোজ্য হওয়ার কথা বলা হয় ওই চিঠিতে। এ ছাড়া ২০১৯ সালের ২৫ জুন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি ‘রিক্রুটিং এজেন্টগণ কর্তৃক বৈধভাবে (স্মার্টকার্ড প্রাপ্ত কর্মী) প্রেরিত কর্মীদের রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে আনীত যে কোনো অভিযোগ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২-এর আওতাবহির্ভূত রাখা’ নিয়ে একটি চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করেছিলেন। যার অনুলিপি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রীকেও প্রদান করা হয়েছিল। ওই চিঠিতে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কর্মী প্রেরণের জন্য রিক্রুটিং এজেন্টরা নিয়োগ কর্তাদের কাছ থেকে ডিমান্ড ও এমপ্লয়মেন্ট ভিসা সংগ্রহের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস থেকে সত্যায়নপূর্বক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বিএমইটির প্রাক-নিয়োগ অনুমতির মাধ্যমে বিদেশগমনেচ্ছু কর্মীগণের বহির্গমন ছাড়পত্র গ্রহণ ও স্মার্টকার্ড প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিদেশে কর্মী প্রেরণ করে থাকে। তাই তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, জনশক্তি প্রেরণ খাতের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে এবং ক্রমবর্ধমান বিকাশের জন্য বিদেশ থেকে ফেরত স্মার্টকার্ড প্রাপ্ত কর্মী কর্তৃক যে কোনো অভিযোগ গোচরীভূত হলে মামলা করার আগে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিএমইটি অথবা বায়রার মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করার অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিশ্চিত হওয়ার আগে রিক্রুটিং এজেন্টদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২-এর আওতায় এ ধরনের মামলা না করার জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে সব থানায় এবং পুলিশের সব সংস্থাকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

এরই ধারাবহিকতায়, ২২ অক্টোবর বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএমইটির মহাপরিচালক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বায়রার পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। ওই সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের মানব পাচার আইনে হয়রানি করা ঠিক হবে না। একই সঙ্গে এ নির্দেশনাও দেন যে কারও বিরুদ্ধে কোনো থানায় অভিযোগ এলে সংশ্লিষ্ট রিক্রটিং এজেন্সির লাইসেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোকে (বিএমইটি) তদন্তের জন্য পাঠানো হবে। বিএমইটি অভিযোগটি নিষ্পত্তি করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট থানাকে অভিযোগের ধরন বুঝে মানব পাচার অথবা অভিবাসন আইনে মামলা নেওয়ার জন্য পাঠাবে।

তবে শ্রম অভিবাসনের নামে বা আড়ালে-আবডালে যে-কোনো প্রক্রিয়ায় মানব পাচার অবশ্যই নিন্দনীয়। আসলে মানব পাচার ঘটে মূলত ক্রসবর্ডার ট্রাফিকিংয়ের কারণে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৮০ শতাংশই এ রূপ ঘটনা। এর বাইরে অভিবাসনের নামে আড়ালে-আবডালেও কিছু ঘটে। তবে সেখানেও রকমফের আছে। পরিষ্কারভাবে কে দায়ী তা-ও অনুসন্ধান করে শাস্তি প্রদান করা উচিত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অভিবাসন আইনে সমাধানযোগ্য অভিযোগে রিক্রুটিং এজেন্সিকেই দায়ী করে মানব পাচার আইনে মামলা নেওয়া হচ্ছে। আমরা যদি এভাবে একটি উদাহরণ দিই যে কোনো ব্যক্তি বৈধভাবে সৌদি আরব বা মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কোনো দেশে গেলেন। তিনি দুই বছরের ভিসা পেয়েছেন। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ওই ব্যক্তি স্বউদ্যোগে দালাল ধরে অবৈধভাবে গ্রিস বা ইউরোপের অন্য কোনো দেশে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন বা মানব পাচারকারীদের দ্বারা হতাহত হলেন। দেখা গেল যে রিক্রুটিং এজেন্সি বৈধভাবে কর্মী প্রেরণ করল সে কিছুই জানে না কিন্তু ওই ব্যক্তিকে বিদেশে পুলিশ গ্রেফতার বা হতাহতের ঘটনায় মামলা হয়ে গেল বৈধভাবে কর্মী প্রেরণকারী রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে। আবার দেখা যায় নিজের ভুলে দেশে ফেরত এসেছেন এ রকম হাজার হাজার কর্মী পাওয়া যাবে যারা মানব পাচারের অভিযোগ তুলছেন রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে। এ সমস্যা সমাধানে ২২ অক্টোবর আন্তমন্ত্রণালয় সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে।

গত দুই বছরে করোনার কারণে এ খাত ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো হিমশিম খাচ্ছে। অনেককে হয়তো করোনায় পুঁজি হারিয়ে এ ব্যবসা থেকে বিদায় নিতে হবে। আবার অনেকে হয়তো ব্যবসা ধরে রাখতে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে আগামী বছর ৭ থেকে ৮ লাখ কর্মী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো পাঠাতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তাই বৈধভাবে কর্মী প্রেরণকারী ব্যক্তিদের তথাকথিত অভিযোগে মানব পাচার আইনে মামলা দেওয়া হলে এ খাত থেকে অনেক ভালো উদ্যোক্তা সরে যেতে পারেন। যা করোনা-পরবর্তীকালে আমাদের প্রবাসী আয়ের পথে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। এজন্য জনশক্তি রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তাদের অহেতুক মানব পাচার আইনের বেড়াজালে না ফেলে তাদের সুরক্ষা ও মর্যাদা প্রশস্ত করা উচিত। তা হলে হয়তো দেশের টেকসই উন্নয়নে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির উদ্যোক্তারা।

 

লেখক : শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক ও চেয়ারম্যান ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

Email : [email protected]

সর্বশেষ খবর