বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনাভাইরাসের ওষুধ

মানব জাতির জন্য সুখবর

মাত্র এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিন অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি করোনাভাইরাসের মুখে খাওয়া ওষুধ মলনুপিরাভির অনুমোদন দিয়েছে। এর পাঁচ দিনের মাথায় বাংলাদেশের বাজারেও এসেছে এ ওষুধটি। ক্যাপসুল-জাতীয় এ ওষুধটি উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে বেক্সিমকো ও এসকেএফ। অনুমতি পাচ্ছে আরও আটটি নামিদামি ওষুধ কোম্পানি। বাংলাদেশকে বলা হয় লাল ফিতার দৌরাত্ম্যের দেশ। করোনাভাইরাসের ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন এবং তা দেশে উৎপাদনের প্রক্রিয়া এত দ্রুতলয়ে ঘটেছে যার দ্বিতীয় কোনো নজিরই নেই। করোনাভাইরাসের ওষুধটির উদ্ভব যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোম্পানি মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে মলনুপিরাভির নামে মুখে খাওয়ার এ ওষুধ। এর আগে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ওষুধটি মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা কভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারছে বলে প্রমাণ মিলেছে। বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের উপসর্গের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার প্রথম ওষুধটি যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পায়। করোনাভাইরাসের রোগীদের প্রতিদিন দুই বেলা চারটি করে আটটি ক্যাপসুল খেতে হবে। এ ওষুধের কোর্স চলবে পাঁচ দিন। ২০০ মিলিগ্রামের প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম পড়বে ৫০ টাকা করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এ ওষুধ খেতে হবে। করোনাভাইরাস মানব জাতির জন্য যে বিপর্যয় ডেকে এনেছে তা দুটি মহাযুদ্ধের চেয়েও বেশি। মানুষের জীবননাশই শুধু নয়, অর্থনীতির জন্যও ভাইরাসটি ডেকে এনেছে সর্বনাশ। এ রোগের ওষুধ আবিষ্কার মানব জাতির জন্য একটি সুখবর। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে কিছু ওষুধের ক্ষেত্রে মেধাস্বত্বের ছাড় পায়। যে কারণে অতিদ্রুত ওষুধটি উৎপাদনের সুযোগ পেয়েছে। দেশবাসীর প্রাণ রক্ষায় ওষুধটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে আমরা এমনটিই আশা করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর