শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পাহাড়ে অশান্তি

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের উদ্যোগ নিন

পাহাড়ি দুটি সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারের অশুভ কর্মকান্ড পার্বত্য চট্টগ্রামের স্নিগ্ধ ও শান্ত পরিবেশ অশান্ত করে তুলছে। পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর তিন পার্বত্য জেলায় প্রবাহিত হয় শান্তির সুবাতাস। উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে নেওয়া হয় বহুমুখী কার্যক্রম। পার্বত্য এলাকার অধিবাসীদের জীবনমানেও এর সুফল অনুভূত হয়। শান্তিচুক্তির পর পাহাড়ে রাস্তাঘাট ও স্থাপনা তৈরি হয়েছে ব্যাপক হারে। পর্যটন খাতে পার্বত্য তিন জেলা খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার দুয়ার। কিন্তু পাহাড়ি সংগঠনগুলোর সশস্ত্র ক্যাডাররা আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্র শানাচ্ছে প্রথম থেকেই। বিশেষ করে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরকারী জনসংহতি সমিতি ভেঙে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন তৈরি হওয়ায় তাদের সংঘর্ষে প্রায়ই রক্ত ঝরছে। পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সরকার ও বিদ্রোহী শান্তিবাহিনীর রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির মধ্যে। চুক্তি অনুযায়ী শান্তিবাহিনী তাদের অস্ত্র সমর্পণ করবে এবং সরকার আত্মসমর্পণকারীদের পুনর্বাসন করবে এমন প্রতিশ্রুতিও ছিল। কিন্তু শুরু থেকে চাঁদাবাজিতে অভ্যস্ত জনসংহতির একাংশ অস্ত্র সমর্পণ করেনি নিজেদের ব্যক্তিগত ফায়দা লোটার জন্য। তাদের একাংশ পাল্টা সংগঠন গঠন করে। বিরোধটা যেহেতু আদর্শগত নয়, অবৈধ চাঁদা আদায় এবং আধিপত্য বিস্তারের সেহেতু চাঁদাবাজদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ভাঙন অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায় বিভিন্ন ইস্যুতে। পার্বত্য দুটি সংগঠনের বন্দকযুদ্ধে বুধবার দুজনের প্রাণহানি ঘটেছে, আহত হয়েছেন একজন। প্রমাণিত হয়েছে শান্তিচুক্তি সত্ত্বেও দুর্বৃত্তদের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রয়ে গেছে। পাহাড়কে অশান্ত করার অপচেষ্টা ব্যর্থ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পার্বত্য এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এটি প্রতিটি পাহাড়বাসী শান্তিপ্রিয় মানুষেরও দাবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর