রবিবার, ৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

পিরামিড

পিরামিড বলতে প্রথমেই যে দেশটির নাম চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেটি মিসর। নানারকম গল্প কথিত আছে এ পিরামিড নিয়ে। তবে মিসর ছাড়াও অন্য অনেক দেশে পিরামিড আছে। পিরামিড পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি। এ ছাড়া পিরামিড বলতে মিসরের ফারাও রাজাদের কথা ইতিহাসে বর্ণিত রয়েছে। দেশের শাসনভার তাদের ওপরই ন্যস্ত ছিল। কথিত আছে, তাদের কবরের ওপর নির্মিত সমাধিগুলোই পিরামিড নামে পরিচিত। তবে এখানে শুধু যে তাদের মৃতদেহ সমাধিস্থ হতো তাই নয়, তাদের ব্যবহৃত বহু মূল্যবান অলঙ্কার, ধনসম্পত্তি তাদের কবরে স্থান পেত। কারণ মিসরের রাজারা বিশ্বাস করতেন মৃত্যুর পরও জীবন আছে। তাই তাদের ভোগবাসনার সব জিনিস তারা তাদের সঙ্গেই রাখতে চাইতেন। এহেন পিরামিড নামটির সঙ্গেই কেমন যেন রহস্যময়তা জড়িয়ে আছে। সুউচ্চ এ পিরামিডগুলোর সামনে দাঁড়ালেই কেমন যেন রহস্যের হাতছানি, যা জানার ইচ্ছাকে আরও তীব্র থেকে তীব্রতর করে তোলে। তাই মিসর বলতে পিরামিড, নীল নদ আর রাজা-বাদশাহদের মমি এ কথাগুলো সবার আগে মনে পড়ে। মিসরে সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় পিরামিডটি হলো গিজার পিরামিড বা খুফুর পিরামিড। এটি নির্মিত হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৫ হাজার বছর আগে। এর উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। এটি প্রায় ৭৫৫ বর্গফুট জমির ওপর স্থাপিত। শোনা যায়, এটি তৈরি করতে লেগেছিল ২০ বছর। নির্মাণ কাজে শ্রমিকের সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাভ। বিশ্বের সব মানুষের কাছেই পিরামিডের আকর্ষণ দুর্নিবার, তা ইতিহাসের পাতায় হোক কিংবা চাক্ষুষ দর্শনে। এসব কারণে পর্যটকদের কাছেও পিরামিডের আকর্ষণ কিছু কম নয়। যুগ যুগ ধরে মানুষ ভিড় জমিয়েছে এ পিরামিডের রহস্যভেদে। ইতিহাসবিদরাও তাঁদের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর