শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২ আপডেট:

রসুল (সা.)-এর অবমাননা কোনোভাবেই মানা যায় না

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
রসুল (সা.)-এর অবমাননা কোনোভাবেই মানা যায় না

আজ আমার জন্মদিন। প্রিয় পাঠক! দোয়া করবেন ভালো থেকে যেন মরতে পারি। ৯ জুন ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। আমাদের প্রথম বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকার, যা বছর শেষে দাঁড়িয়ে ছিল ১১০০-১২০০ কোটিতে। এটা অনেকটাই গতানুগতিক বাজেট। আর এর থেকে ভালো কিছু করার তেমন সুযোগ কোথায়। তবে জালিয়াতি করে যারা বাইরে টাকা নিয়ে গেছে, হুন্ডিতে পাচার করেছে তাদের টাকা আনার সুযোগ দেওয়া খুব একটা যুক্তিযুক্ত হয়নি। কোনো অপরাধকে এভাবে রাষ্ট্র আড়াল করতে পারে না।

আমার জীবনে মা-মাতৃভূমি এক ও অভিন্ন। রাজনীতিতে এসে দেশকে চেনার পর অন্তরে দেশপ্রেম জাগলে মায়ের মতো মাতৃভূমিকে আপন করে নিয়েছিলাম। আজ মা নেই, কিন্তু মাতৃভূমি আছে। মাতৃভূমির চেয়ে আমার কাছে বড় কোনো সম্পদ নেই। আমার কাছে সবার আগে মাতৃভূমি, তারপর অন্য কিছু। তাই বাংলাদেশের চেয়ে অধিক প্রিয় আমার জীবনে কিছু নেই। দেশের বাইরে যে দেশটির জন্য প্রাণ কাঁদে আমার সব পুঞ্জীভূত ভালোবাসা সেটা হলো ভারত। মহান ভারত আমার স্বাধীনতায় ধাত্রীর দায়িত্ব পালন করেছে। বিশ্বের কত বড় বড় মোড়ল আমাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকার পরও ভারত বসে থাকেনি। শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সহমর্মিতায় ভারত আমাদের সর্বস্ব দিয়ে সহযোগিতা করেছে। পরে ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে নিহত হলে তার প্রতিবাদে যে প্রতিরোধযুদ্ধ গড়ে তুলেছিলাম সেখানেও ভারত আমাদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছিল। তাই ভারতের প্রতি আমার বুকভরা ভালোবাসা। বাংলাদেশের পর সবকিছুতেই ভারত আমার প্রিয়। ভারতীয়রা আরও প্রিয়। কিন্তু ভারতের কোনো অন্যায় কখনো মাথা পেতে নিইনি। পিন্ডির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে ভারতের কাছে নতজানু হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি। প্রায় ১৬ বছর নির্বাসনে ছিলাম। ভারতের কত নেতা-উপনেতা- অভিনেতার সঙ্গে ওঠাবসা করেছি কিন্তু বাংলাদেশের ওপর কর্তৃত্ব, বাংলাদেশকে করায়ত্ত করতে হবে এমন মনোভাব কারও মধ্যে দেখিনি। সেটা প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখর বলুন, অটল বিহারি বাজপেয়ি বলুন, মধু লিমাই, জর্জ ফার্নান্ডেজ, বিজু পট্টনায়েক, সুরেন্দ্র মোহন, ভুপেশ দাশগুপ্ত, জাঠনেতা চরণসিং, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, ইন্দিরা গান্ধী, মোরারজি দেশাই, দেশে ফেরার পর মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নরসিমা রাও। কাউকে বড় ভাই সুলভ আচরণ করতে দেখিনি। আমি চেয়েছি প্রতিবেশী হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ আচরণ। শিল্পী-সাহিত্যিক-রাজনীতিক তেমন কেউ ছিলেন না যার কাছে যাইনি। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সুব্রত মুখার্জি, সোমেন মিত্র, নুরুল ইসলাম, অজিত পাজা, সওগত রায় সবাই ছিলেন আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কী যে উচ্চমাত্রার সম্মান দিয়েছেন তা লিখে বোঝানো যাবে না। সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায়, মনোজ বসু, প্রবোধ কুমার সান্যাল, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বরুণ সেন, অমিতাভ গুপ্ত, অমিতাভ চৌধুরী, সত্যজিৎ রায়, সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত আরও বহু সাহিত্যিক-সাংবাদিক-নাট্যকারের সঙ্গে ওঠাবসা করেছি। হেমন্ত মুখার্জি, অনুপ ঘোষাল, ভূপেন হাজারিকা আমার শিলিগুঁড়ির বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন। সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, সন্ধ্যা মুখার্জি, উৎপলা সেন আরও কত শিল্পীর সামনে বসে গান শুনেছি। কারও মধ্যে দাদাগিরি দেখিনি। সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ, প্রণব মুখার্জি আমাদের নিয়ে গর্ব করতেন। নিশ্চয় নরেন্দ্র মোদি এখন অনেক বড় নেতা। তিনি এখন ভারতের সর্বজয়ী প্রধানমন্ত্রী। এক দুর্বার জ্ঞান-বুদ্ধি শক্তি-সামর্থ্য না থাকলে সাধারণ ঘর থেকে উঠে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায় না। দুর্ভাগ্য, আমি যখন ছিলাম তখন তিনি গুজরাটে প্রাদেশিক রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। খুব বড় নামকরা কেউ ছিলেন না। তাই পরিচয় ছিল না। কিন্তু একজন মানুষের মহান ভারতের সর্বোচ্চ নেতা হতে যে গুণ-মেধা থাকা দরকার, তার কোনো কিছুর কমতি তাঁর মধ্যে আছে তা কখনো মনে করি না। বরং প্রায় ৩০-৩৫ বছর পর তাঁর নেতৃত্বে বিজেপির একক দলীয় সরকার গঠন করার কৃতিত্বকে কোনোমতেই ছোট করে দেখা যায় না। এতসবের পরও তাঁদের দলের কখনো কখনো কিছু কিছু অপরিণামদর্শী কর্মকান্ড ভাবিয়ে তোলে। অতি সম্প্রতি মুসলিম জাহানের প্রাণ আমাদের অন্তরাত্মা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র নূপুর শর্মার নিন্দনীয় বক্তব্য এবং সেই বক্তব্যকে আরেক পন্ডিত নবীন জিন্দালের সমর্থন খুবই দুর্ভাগ্যজনক। জানি না, নূপুর শর্মা কত বড় পন্ডিত, কী তাঁর জানাশোনা। কেন তাঁকে মুসলমানদের প্রাণবায়ু নবী করিম (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করতে হবে। আমাদের মহানবী (সা.) তো কটূক্তির পাত্র নন। তিনি নবী হওয়ার আগেই সাধারণ মানুষ হিসেবে যে নজির স্থাপন করেছেন তার তুলনা বিশ্বদরবারে নেই। তিনি নবী হওয়ার আগে আল-আমিন হয়েছিলেন। আল-আমিন অর্থ বিশ্বাসী। তিনি কখনো মিথ্যা বলেননি, কারও কষ্টের কারণ হননি। তিনি ১২টি বিয়ে করেছিলেন তাঁর জন্য নয়, সমাজে উদাহরণ সৃষ্টির জন্য, মুসলমানদের জীবন পরিচালনায় উদাহরণ সৃষ্টিতে সহায়তার জন্য। সেখানে কোনো কপটতা ছিল না। বিবি আয়েশা (রা.) ছিলেন তাঁর একমাত্র কুমারী স্ত্রী। নবী করিম (সা.)-এর একনিষ্ঠ হজরত আবু বকর (রা.)-এর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে তিনি বিবি আয়েশাকে ঘরে এনেছিলেন। নবী করিম (সা.) যে কোনো যুদ্ধে সব সময় স্ত্রীদের নিয়ে যেতেন। উদ্দেশ্য, আহত যোদ্ধাদের সঠিকভাবে সেবা-শুশ্রƒষা করায় মুসলিম নারীদের উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করা। নবী করিম (সা.) এক যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে বিবি আয়েশা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়েছিলেন। সে সময় বিশ্রাম করা কাফেলা উঠে চলে গিয়েছিল। বিবি আয়েশা সেখানেই পড়েছিলেন। রসুল (সা.) তাঁর বিশ্রাম নেওয়া কাফেলার স্থান ত্যাগ করলে কোনো কিছু পড়ে আছে কি না বা কেউ রয়ে গেল কি না এর খোঁজ করতে লোক পাঠাতেন। সেবারও পাঠিয়েছিলেন। বিশ্রামস্থলে রসুল (সা.)-এর দূত কাপড়ে ঢাকা উপুড় হয়ে পড়ে থাকা এক নারীকে দেখতে পান। পরে বুঝতে পারেন তিনি বিবি আয়েশা। তাঁকে উটে তুলে মদিনায় নিয়ে আসেন। এ নিয়ে নানা কথা হয়। একসময় বিবি আয়েশা বাপের বাড়ি চলে যান। রটনা রটতেই থাকে। একসময় আল্লাহর তরফ থেকে এ ঘটনা নিয়ে সুরা নাজিল হয়। জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে রসুল (সা.)-কে জানানো হয় বিবি আয়েশা নিষ্পাপ নিষ্কলুষ। তাদের এই মন কষাকষির অবসান হওয়া উচিত। রসুল (সা.) হজরত আবু বকর (রা.)-এর বাড়ি গিয়ে বিবি আয়েশাকে জানান সব মেঘ কেটে গেছে। রসুল (সা.)-এর কথায় হজরত আবু বকর (রা.) এবং তাঁর স্ত্রী বিবি আয়েশাকে রসুল (সা.)-কে কৃতজ্ঞতা জানাতে বলেন। তখন বিবি আয়েশা বাবা-মাকে বলেন, কেন আমি রসুল (সা.)-কে কৃতজ্ঞতা জানাব। তিনি আমার জন্য কী করেছেন? তিনি তো আমার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াননি, আমার জন্য কিছুই করেননি। কৃতজ্ঞতা জানাতে হলে, শুকরিয়া জানাতে হলে সেটা জানাব আমার দয়াল প্রভু মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের প্রতি। তিনি আমার বিপদে সাহায্য করেছেন। সমালোচনা করা সোজা কিন্তু নিগূঢ়ে পৌঁছা অত সহজ নয়। আমি ভারতে প্রায় ১৬ বছর থেকেছি। গয়া-কাশি-বৃন্দাবন-মথুরা-তারকেশ্বর এমনকি নবদ্বীপ কোথাও বাদ রাখিনি। আজমিরে হজরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করে কতবার পৃথিবীর একমাত্র ব্রহ্মা মন্দির পুষ্করে গিয়েছি। পুষ্করে কত পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মধ্যে কখনো তেমন কোনো ধর্মভেদ দেখিনি। আর্চারিয়া বিনোয়াভাবের আশ্রমে গিয়েছিলাম। তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে তিন ঘণ্টার ওপর কথা বলেছি, খাবার খেয়েছি। তিনি ইসলাম সম্পর্কে আমাকে যে জ্ঞান দিয়েছিলেন এর আগে সে জ্ঞানের কানাকড়িও আমার ছিল না। আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুল সম্পর্কে তাঁর যে অগাধ জ্ঞানের পরিধি যাতে অনেক মুসলমান পন্ডিতকে ডুবে মরতে হবে। রাম রহিমের যে বর্ণনা দিয়েছিলেন এর আগে কখনো শুনিনি। চৈতন্য মহাপ্রভুর ধাম নবদ্বীপে তাঁর আশ্রমে অনেক সময় কাটিয়েছি। তাতে তাদের ধর্মের কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হয়নি। কাশিতে গিয়েছিলাম মহাপ্রভু বুদ্ধের মন্দিরে, কেউ বাধা দেয়নি। চরম উত্তেজনার সময় বাবরি মসজিদে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখেছি হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে কাজ করছে। হিন্দু মুচি জুতা সেলাই করছে, মুসলমান দর্জি করছে কাপড় সেলাই। তাদের মধ্যে কোনো মারামারি, কাটাকাটি নেই। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ও মা সারদার ধাম দক্ষিণেশ্বরে বেশ কয়েকবার গিয়েছি। সেখানকার পুরোহিতের সে যে কি অসাধারণ জ্ঞান! হিন্দুশাস্ত্র, মুসলিম-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ-ইহুদি ধর্ম সম্পর্কে সে যে কি পান্ডিত্য ভাবাই যায় না। তাই অবাক হয়ে যাই নূপুর শর্মার কথাবার্তায়। এত সাহস কোথা থেকে পান, নাকি কোনো সাড়া জাগানো ফেমাস হওয়ার কৌশল হিসেবে মুসলমানদের এমন অসম্মান করতে পয়গম্বরের প্রতি এমন কটূক্তি করেছেন। দীর্ঘ সময় নূপুর শর্মা বিজেপি করে এত দূর এসেছেন। এত দিন যদি তিনি বিজেপির কথা বলে থাকেন তাহলে হুট করে তো আর নতুন কথা বলেননি, বিজেপির কথাই বলেছেন। বিজেপি ভারত জয় করার বহু আগে মুসলমানরা ভারত জয় করেছিল। শত শত বছর মহান ভারতে মুসলমানদের শাসন চলেছে। ভারতে তেমন যুদ্ধ-বিগ্রহ করে খুব বেশি মুসলমান বানানো হয়নি। হাজার হাজার লাখো দরিদ্র হিন্দু যখন দেখেছে মুসলমান রাজা-বাদশাহ-আমির-ফকির এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে, ঈদে কোলাকুলি করে, একসঙ্গে বসে খাবার খায় তখন তারা উচ্চবর্ণের হিন্দুদের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিম্নবর্ণের হিন্দুরা স্বেচ্ছায় আত্মিক তাগিদে মুসলমান হয়েছে। নির্বাসিত জীবনে আমি মাঝেমধ্যেই বিহারের কদমকুয়ায় সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের বাড়ি যেতাম। আমাদের দেশে যেমন সাদা-কালোর ভেদাভেদ বোঝা যায় না, আমরা বাংলাদেশের মানুষ অনেকটা উচ্চবর্ণ আর নিম্নবর্ণের ভেদাভেদ বুঝতে পারি না। কারণ বাংলাদেশে রঙের অথবা জাতের তেমন ভেদাভেদ নেই। ইউরোপে গেলে রঙের, ভারতে গেলে জাতের ভেদাভেদ বোঝা যায়। আমি একবার পাটনায় গান্ধী ভবনে ছিলাম। বিকালে বাগানে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। একটা পানির পাইপে কল ছিল না। তাই অনবরত পানি পড়ছিল। হঠাৎ দেখি একজন দরিদ্র মানুষ সেখানে পানি নেওয়ার জন্য ছোট্ট একটা ঘটি অনেকদূর থেকে ধরছে আবার সরে যাচ্ছে। প্রায় ১০ মিনিট লোকটিকে লক্ষ্য করছিলাম। যে বেগে পানি পড়ছিল তার ঘটি ভরতে ১০-১৫ সেকেন্ড লাগার কথা সেখানে ১০ মিনিটেও সে ঘটি ভরতে পারেনি। প্রায় ৬-৭ ফুট উঁচু থেকে না হলেও ১০ ফুট দূরে গিয়ে পানি পড়ছিল। সেখানে মাটির কাছেও সে লোকটি ঘটি ধরতে সাহস পাচ্ছিল না। আমি এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে লোকটি থতমত খেয়ে যায়। বলে, ‘থোরা পানি লেয়ে গা’। বলেছিলাম, লে লি জিয়ে। ‘নেহি সাহাব, হাম ছোটা জাত হ্যায়। পানি খারাপ হো যায়েগা। হামকো ছুঁয়ে গা নেহি।’ ঘটি নিয়ে পানি ভরে দিলাম। লোকটিকে বাগানে ঘাসের ওপর বসিয়ে আমি জোড়াসীন করে তার সামনে বসেছিলাম। লোকটি বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিল। তার পানির কেন দরকার জিজ্ঞেস করলে বলেছিল, ‘হাম দ্বারভাঙা ছে আয়া। ঘরমে লেরকি বিমার হ্যায়। কুছ পয়সেকে লিয়ে আয়াথা। লেকিন মিলা নেহি। ঘরছে থোরা কুছ ছাতু লে আয়া। ওহি খানেকে লিয়ে পানিকা জরুরত থা।’ লোকটি যখন টোপলা থেকে ছাতু বের করে একটু একটু করে খাচ্ছিল তখন আমার বড় মজা লাগছিল। আমাদের দেশে নারকেল দিয়ে চিড়া পাড় দিলে যেমন হয় প্রায় তেমনি। লোকটি যখন খাচ্ছিল আমার খুব ভালো লাগছিল। বলেছিলাম, হামে বি থোরা দি জিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে বলেছিল, ‘আপ লি জিয়ে। আপনা হাতছে লি জিয়ে।’ আবার বলেছিলাম, নেহি আপ দি জিয়ে। ‘নেহি বাবুজি, মেরা হাতছে নেহি। হামারা হাতছে দেনেছে ঝুটা হো যায়েগা।’ অনেক পীড়াপীড়িতে শেষ পর্যন্ত আমার হাতে একদলা ছাতু তুলে দিয়েছিল। বেশ ভালো, সুস্বাদু। গরিবরা সাধারণ জিনিস খায়, কিন্তু বেস্বাদ খায় না। সুস্বাদু খাবার খায়। খাওয়া শেষ করে পানি খেয়ে উঠে যাবার পথে তাকে আমি পকেট থেকে কয়েকটা কড়কড়ে নোট দিয়েছিলাম। লোকটি টাকাটা নিয়ে একটু দূর গিয়েই ঘুরে এসে বিস্ময়ভরা কণ্ঠে বলেছিল, ‘সাহাব, আপতো গলতি নেহি কিয়া। আপকা জরুর গলতি হুয়া। আপকা জরুর গলতি হুয়া সাহাব।’ আমি যতই বলি আমি গলতি করিনি। যা দেওয়ার জেনে শুনে দিয়েছি। সে ততই বলে ‘নেহি সাহাব, আপকা জরুর গলতি হুয়া।’ অনেক বলে কয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়েছিলাম। বলেছিলাম মেয়ের জন্য ওষুধ কিনে নিয়ে যেতে। ওইদিন দুপুরেই জয়প্রকাশজির সঙ্গে খাবার খেয়েছিলাম। রাতে বর্ধমান ফিরব তাই জয়প্রকাশজির দেওয়া হাজার দশেক টাকা পকেটে রেখে বাকিটা ব্যাগে রেখেছিলাম। তখন ভারতে ৫০০ টাকার থেকে বড় নোট ছিল না। আমি তাকে ৮-১০টি নোট দিয়েছি ভুল হতে যাবে কেন। ২০০ টাকা বেতনে বিহার বিধানসভার পিয়নের চাকরি করে। অত টাকা ভুল করে দিইনি তো। তাই বারবার বলছিল। আমি দেখেছি বিহার-উত্তর প্রদেশ-মধ্য প্রদেশ-রাজস্থানে মৃত্যুর সময়ও ব্রাহ্মণরা নিম্ন জাতের লোকের হাতে পানি পান করে না। এত জাতপাতের ভেদাভেদ।

আবার মহামানবের দেশ ভারত। এত মানবিক গুণের সমাহার সেখানে যা বলার মতো নয়। সারা দুনিয়া নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দালের এই জঘন্য বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছে, ধিক্কার দিচ্ছে, ভারতের কোটি কোটি হিন্দু-মুসলমান মিলিতভাবে নিন্দা করছে। এই প্রথম পেয়ারা নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সম্পর্কে কটূক্তির জন্য সারা আরব দুনিয়া রুখে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় যারা আরব দেশে চাকরি-বাকরি করে তাদের ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ আরব দেশের আজকের এ উন্নয়নে ভারতীয় মানুষের বা ভারতীয়দের শ্রম-ঘাম একেবারে উপেক্ষা করা যায় না। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশ পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন। এবার আরব দেশগুলো ভারতীয় পণ্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ বুঝতে পারছি না বাংলাদেশ কেন চুপচাপ, বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত কেন কোনো কথা বলছে না। আমি আর কী করতে পারি। গত সপ্তাহ থেকে ভারতীয় টিভি চ্যানেল বর্জন করেছি। প্রায় সময়ই জি বাংলায় কয়েকটি প্রিয় সিরিয়াল দেখতাম। তার মধ্যে পিলু, গৌরী ও উমা ছিল খুবই আকর্ষণীয়। করোনার শুরুতে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক ভ- সাহেদের কারণে চ্যানেল আই ও আরটিভি দেখা বাদ দিয়েছিলাম। কারণ চ্যানেল আই, আরটিভি ও আরও কয়েকটি চ্যানেল টকশোয় ডেকে সাহেদকে পাতে তুলেছিল। চ্যানেল আইয়ের ফরিদুর রেজা সাগর আমার খুবই প্রিয়, ছোটবোন শুশুর সঙ্গে পড়ত। যখন যেখানে দেখা হয়েছে সেখানেই পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেছে। তবু তার চ্যানেল বর্জন করেছি। চ্যানেল আইয়ের ‘তৃতীয় মাত্রা’য় আমার কথা কেটে দিয়েছিল। সেজন্য ১২-১৫ বছরে চ্যানেল আইয়ের ত্রিসীমানায় যাইনি। তাই বাড়িতে সবাইকে বলেছি, যতক্ষণ এর সুরাহা না হচ্ছে, যারা নবী করিম (সা.)-এর সম্মানহানি করেছে তাদের আইনানুগ বিচার হওয়ার আগ পর্যন্ত ভারতীয় কোনো জিনিসপত্র ব্যবহার করতে বারণ করেছি। সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, সরকারপ্রধান যিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, যাঁর তাহাজ্জুদের নামাজ বাদ পড়ে না তাঁর মহানবীর অবমাননা মুখ বুজে সহ্য করা উচিত নয়। তা করলে বরং তাঁরই ক্ষতি হবে। ভারতকে কীসের ভয়, ভয় করব আল্লাহ ও আল্লাহর রসুলকে।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেসব খরচ বরকত বয়ে আনে
যেসব খরচ বরকত বয়ে আনে

২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাল পাহাড়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ভোটের উৎসব
লাল পাহাড়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ভোটের উৎসব

২৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর গুলিতে দুই সেনা নিহত
সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর গুলিতে দুই সেনা নিহত

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লঙ্কানদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল জিম্বাবুয়ে
লঙ্কানদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল জিম্বাবুয়ে

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রুশ হামলার একদিন পরেও নিখোঁজ ২২ : জেলেনস্কি
রুশ হামলার একদিন পরেও নিখোঁজ ২২ : জেলেনস্কি

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রস্তুতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ
বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রস্তুতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ

৫৮ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান
জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন
জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু
বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন
অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার
রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল
তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন
হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন

৭ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা

২৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

১২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রিন্ট সর্বাধিক
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

প্রথম পৃষ্ঠা