বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

জ্বর সর্দি কাশির প্রাদুর্ভাব

চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে

দেশজুড়ে জ্বর সর্দি কাশির প্রাদুর্ভাব অস্বস্তি ও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তের মধ্যে যারা টেস্ট করাচ্ছেন তার একাংশ করোনায় আক্রান্ত বলে প্রমাণিত হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ পালনে গ্রামমুখী হওয়ায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। অস্বস্তিকর এ অবস্থার মধ্যে স্বস্তি এতটুকু, আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যুর হার নগণ্য। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এ সময়ে করোনা সংক্রমণ, ডেঙ্গু, ভাইরাস কিংবা সাধারণ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তাই জ্বর এলে করোনা টেস্ট করতে হবে। জ্বর আক্রান্ত অনেকেরই টেস্ট করালে করোনা পজিটিভ আসছে। ওষুধ ব্যবহারে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে টেলিমেডিসিন সেবাও নেওয়া যেতে পারে। অনেক রোগী করোনা আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্তও হচ্ছেন। তাই ফার্মেসি থেকে ইচ্ছামতো ওষুধ সেবন করে নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা ঠিক হবে না। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। গত কয়েক দিনে সারা দেশে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে জ্বরাক্রান্তের সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত শিশুরা। সঙ্গে বাড়ছে করোনার প্রভাবও। ডেঙ্গু আক্রান্তের হারও ধীরে ধীরে বাড়ছে। এক পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে পুরো পরিবারে ছড়িয়ে পড়ছে জ্বর। বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই তাপমাত্রার ওঠানামায় সারা দেশে বেড়েছে ভাইরাস জ্বর সর্দি কাশি ও ডায়রিয়ার প্রকোপ। হাসপাতালগুলোয়ও বাড়ছে এমন রোগীর সংখ্যা। তবে এ প্রবণতা সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী ঢাকায়। জ্বরাক্রান্তের মধ্যে সাধারণ ভাইরাস ও করোনার চেয়ে বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি করছে ডেঙ্গু। জ্বরাক্রান্তের অনেকেই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও সমস্যা সৃষ্টি করছে। আমাদের দেশে জ্বর হলে অনেকেই ছুটে যান ফার্মেসিতে। নিজেদের খেয়াল-খুশি-মতো ওষুধ ব্যবহার করে ভয়াবহ বিপদও ডেকে আনেন। এ প্রবণতা থেকে সবারই সরে আসা উচিত।

সর্বশেষ খবর