শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২ আপডেট:

১৫ আগস্ট প্রশ্নের জালে অজানা সব রহস্য

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
১৫ আগস্ট প্রশ্নের জালে অজানা সব রহস্য

মীর মশাররফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধুকেও হার মানায়। নিষ্ঠুরতা কারবালার ময়দানের মতোই ভয়াবহ। জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো অথচ জীবন বাজি রাখলেন না কেউ। করলেন না টুঁশব্দ। দিলেন না আত্মাহুতি। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার লাশ রেখে কেউ গেলেন শপথ নিতে, কেউ শপথ পড়াতে। কেউ ব্যস্ত থাকলেন জান বাঁচাতে। কেউ নীরবে কাঁদলেন। কেউ থাকলেন সিদ্ধান্তহীনতায়। কেউ অপেক্ষা করলেন স্বেচ্ছা কারাবরণের। কেউ গেলেন বাড়ি থেকে পালিয়ে। পুরোটাই এক ব্যর্থতার নির্মম ইতিহাস। ঘটনার প্রতিবাদে রাজপথে আসতে না পারার কলঙ্ক। এখন সবাই অনেক কথা বলছেন। গালভরা বক্তৃতা দিচ্ছেন। সেই ব্যর্থতার জবাব মেলে না। এ লেখা যখন লিখছি তখন স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশে^র বুকে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে। যিনি দেশটি প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি এই উঠে দাঁড়ানো দেখে যেতে পারেননি। তাঁকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছিল স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায়। দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা সদ্য স্বাধীন-সার্বভৌম নতুন দেশটিকে টার্গেট করেছিল। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামাতে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয় জাতির পিতাকে। সেই হত্যার প্রতিবাদ জানাতে ব্যর্থ হয়েছিল তখনকার আওয়ামী লীগ। প্রতিরোধ করতে পারেনি রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী। সেনাপ্রধানের ফোন পেয়ে সশস্ত্র বাহিনী পাল্টা অবস্থান নেয়নি। সেসব ব্যর্থতা এখনো এক রহস্যের বেড়াজালে আচ্ছন্ন। আওয়ামী লীগের বিশাল সংগঠন ছিল। অভাব ছিল না নেতা-কর্মী, আমলা-কামলা, চাটুকারের। তারা কোথায় ছিলেন? সারা দেশে সেনাবাহিনী নামেনি। ঢাকার নির্দিষ্ট এলাকায় ছিল তাদের বিচরণ। তার পরও কেন একটি মিছিলও বের করল না ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ। বাকশাল গঠনের পর দলে দলে যোগদানের হিড়িক ছিল। প্রতিদিনই সারা দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা যোগ দিতেন। লম্বা লম্বা বক্তৃতা দিতেন। জাতির পিতার জন্য জীবন দেওয়ার ঘোষণা দিতেন। সংবাদপত্র জুড়ে থাকত সেসব খবর। আমলা-কামলা, নেতা-কর্মী, নিরাপত্তারক্ষীর অভাব ছিল না। নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের পর কেউ টুঁশব্দ করল না। ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতারা চুপসে গেলেন ভোরবেলায়। সকালে ৩২ নম্বরে ১ লাখ লোক জমায়েত হলে খুনিচক্র এক সেকেন্ড টিকতে পারত না। ১৫ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান ছিল। সারা দেশের নেতা-কর্মীরা ছিলেন ঢাকায়। ক্যাম্পাস ছিল রাতভর ছাত্রলীগ কর্মীদের হাঁটাচলায় মুখরিত। ভোরে খবর শুনে কেউ মিছিল করল না কেন? সেই ব্যর্থতার দায় কি তখনকার ছাত্রলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এড়াতে পারবেন? ক্যাম্পাস থেকে একটি মিছিল বের হলে তা মুহূর্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ত সারা দেশে। নেতাদের ব্যর্থতা আর চুপসে যাওয়ায় থমকে গেলেন কর্মীরা। আর বঙ্গবন্ধুর সহচররা গেলেন শপথ নিতে। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করলেন বঙ্গবন্ধু সরকারের ক্যাবিনেট সচিব এইচ টি ইমাম। তখনকার পররাষ্ট্র সচিব ফখরুদ্দিন আর এইচ টি ইমাম একসঙ্গে, এক গাড়িতে গেলেন বঙ্গভবনে। তাঁদের জোর করে নিতে হয়নি। স্বেচ্ছায় গিয়েছিলেন। বড় নিষ্ঠুর আমাদের সেসব ইতিহাস।

ব্যর্থতার দায় সশস্ত্র বাহিনীসহ কেউ এড়াতে পারে না। রাজনীতিবিদরা ছিলেন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আমলারা মুহূর্তে বদলে গিয়েছিলেন। অন্য বাহিনীর মতো পুলিশপ্রধানও গেলেন আনুগত্য জানাতে। মুহূর্তে সবাই হয়ে গেলেন খুনিচক্রের সহযোগী। রাষ্ট্রপতিকে রক্ষায় ব্যর্থ হলেন সে সময়ের সব গোয়েন্দা সংস্থা আর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা। মুহূর্তে সুর বদলালেন দলে দলে বাকশালে যোগদানকারীরাও। বঙ্গবন্ধুর পায়ের নিচে বসে বেশি চাটুকারিতা যারা করতেন, তাদেরও পাওয়া যায়নি। নিজেদের রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে ওঠেন সবাই। দলের কোনো একজন নেতাও ডাক দেননি কর্মীদের বেরিয়ে আসতে। ব্যর্থতা ছিল রক্ষীবাহিনীরও। এ বাহিনীর সব সদস্যই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। নির্দেশ না পেয়ে ক্ষোভে-অভিমানে সাভারে রক্ষীবাহিনীর দুজন সদস্য আত্মহত্যা করেন। বিডিআরের ভিতরে থাকা তাদের অস্ত্রাগারের অস্ত্র আটকে দেওয়া হলো। তাদের অস্ত্র দেওয়া হলো না। রক্ষীবাহিনী বের হলে পরিস্থিতি বদলে যেত। বলা হয়, সেনাবাহিনীর বিচ্ছিন্ন সদস্যরাই ঘটনা ঘটিয়েছিল। প্রশ্ন থেকে যায়, তাহলে সেনাপ্রধানের নির্দেশ অন্যরা কেন শুনলেন না? যারা ৩ নভেম্বর পাল্টা অবস্থান নেওয়ার তাগিদ অনুধাবন করলেন তারা কেন ১৫ আগস্ট বের হলেন না? রুখে দাঁড়ালেন না খুনি মেজর চক্রের বিরুদ্ধে? বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতাকে সপরিবারে হত্যা করা হলো, সবাই বসে বসে খুনিদের তামাশা দেখলেন। এর চেয়ে কলঙ্কজনক, দুঃখজনক ঘটনা এ জাতির ইতিহাসে কিছু নেই। কোনো দিন হবেও না। শাফায়েত জামিল, খালেদ মোশাররফ অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ছিলেন। কিন্তু তাঁরাও ছিলেন সিদ্ধান্তহীনতায়। ৩ নভেম্বরের প্রতিরোধ ১৫ আগস্ট হলে ইতিহাস বদলে যেত।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার বইটি পড়ছিলাম। এ এল খতিব ও অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের বইতেও ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য আছে। খুনি ডালিমের স্ত্রী নিম্মি ছিলেন শেখ রেহানার সহপাঠী। নিম্মি নিয়মিত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আসতেন। বাদ থাকত না ডালিমের শাশুড়িও। তারা দুপুরে খেতেন। আসতেন ডালিমও। একদিন ডালিম বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে বললেন, তার মা নেই। বেগম মুজিবকে দেখলে মায়ের মুখটা মনে পড়ে। অনুমতি নিয়ে ডালিম বেগম মুজিবকে মা ডাকলেন। বেগম মুজিব তাকে পুত্রস্নেহে খাবার তুলে দিতেন। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস সেই ডালিম ছিলেন ১৫ আগস্টের খুনিদের অন্যতম। খুনি ডালিমের কি একবারের জন্যও মনে পড়েনি বেগম মুজিবের স্নেহের কথা? মানুষ এতটা ভয়াবহ হয় কী করে! খুনিদের সরদার মোশতাককে বিজয়ী করে আনেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে ৩০০ আসনের ২৯১টিতে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। সবাই বিপুল ভোটে জয়ী হলেও মোশতাক মাত্র ৭০০ ভোটে জয়ী হন। তা-ও ফল ঘোষণা করতে বিলম্ব হয়। ভোটের প্রচারণার সময় মোশতাক একদিন বঙ্গবন্ধুর কাছে এলেন। অনুরোধ করলেন তার নির্বাচনী এলাকা সফরের জন্য। বঙ্গবন্ধু সে অনুরোধ রক্ষা করেন। তার পরও সেই জোয়ারে মাত্র ৭০০ ভোটে জয়লাভে বোঝা যায় মোশতাক কতটা অজনপ্রিয় ছিলেন নিজের এলাকায়। সেদিন খুনি মোশতাক জয়ী না হয়ে রশিদ ইঞ্জিনিয়ার বিরোধী পক্ষ থেকে সংসদে এলে কী এমন ক্ষতি হতো? এত আসন না পেলেও কিছু আসত-যেত না আওয়ামী লীগের। এ নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে একজন জিজ্ঞাসা করলেন, মোশতাককে নির্বাচনে জেতাতে সাহায্য করা আপনার জন্য খুব জরুরি ছিল? জবাবে বঙ্গবন্ধু হাসলেন। বললেন, সে আমার একজন পুরনো সহকর্মী। ১৫ আগস্ট মোশতাক বঙ্গবন্ধুর সেই অবদানের কথা মনে রাখেননি।

প্রতিবাদী বীর যোদ্ধা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ১৯৭১ ও ’৭৫ সালের সুবিধাভোগী আমলাকুল, কামলাকুলকে যখন গালাগাল করেন অনেকের মতো আমার খারাপ লাগে না। কাদের সিদ্দিকী একজন বীর যোদ্ধা। ’৭৫-এ কেন্দ্রের নয়, টাঙ্গাইলের নেতা ছিলেন। গভর্নর ছিলেন। সেই অবস্থানে থেকে একমাত্র তিনিই সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর কয়েক শ সহযোদ্ধা জীবন দিয়েছেন। অনেকে গিয়েছেন ফাঁসির মঞ্চে। কারও হয়েছিল যাবজ্জীবন। তাদের এ রাষ্ট্র এত বছরেও স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু পুরস্কৃত করেছে খুনিদের সহায়তাকারীদের। দলের দুঃসময়ে যারা ভূমিকা রাখে তাদের আবেগ থাকে। তারা চাটুকারিতা করতে পারে না। তাদের কেউ পছন্দ করে না। কিন্তু তাদের অবদান খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।

রক্ষীবাহিনীর দুজন উপপরিচালক ছিলেন- প্রয়াত আনোয়ারুল আলম শহীদ ও সরোয়ার হোসেন মোল্লা। তাঁদের দুজনের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কথা বলেছিলাম সেসব ব্যর্থতা নিয়ে। সরোয়ার মোল্লার কিছু কথা প্রকাশও করেছি বাংলাদেশ প্রতিদিনে। সেই কালো সকালে কারা তাঁদের ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গভবন ও ক্যান্টনমেন্টে? সারা দিন ব্যস্ত রাখলেন বিভিন্ন আলোচনার নামে। সেই সেনা কর্মকর্তাদের তালিকা দেখলে আঁতকে উঠতে হয়। চাওয়া-পাওয়াতে ৩ নভেম্বর অভ্যুত্থানের অনেকের পরিবার-পরিজন অনেক পেয়েছে আওয়ামী লীগ থেকে। বাদ যায়নি ৭ নভেম্বরের পাল্টা অবস্থানকারীদের পরিবারও। সেসব নিয়ে আলোচনা করতে চাই না আজ। বরং আসি জেনারেল খলিলের কথায়। তিনি ছিলেন বিডিআরপ্রধান। পিলখানায় রাখা অস্ত্র শতভাগ মুক্তিযোদ্ধার প্রতিষ্ঠান রক্ষীবাহিনীকে দিলেন না তিনি। মোশতাকের বঙ্গভবনের প্রভাবশালীদের তালিকায় জেনারেল খলিলও ছিলেন। তিনিও পরে আওয়ামী লীগ করেছেন। মনোনয়ন নিয়েছেন বারবার। ১৯৯১ সালে নৌকা পেয়েছিলেন সর্বশেষ। ’৯২ সালে ভোরের কাগজে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ভোররাতে তিনি শেভ করতে করতে খবর পেয়েছিলেন। এত ভোরে উঠে কেন শেভ করতে করতে রেডিও ছেড়েছিলেন সেই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি।

জেনারেল খলিলকে আওয়ামী লীগে কারা নিয়েছিলেন? কেন নিয়েছিলেন? অনেক প্রশ্নের জবাব মেলে না। কী করে আমীন আহমেদ চৌধুরী হয়ে গেলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব? বঙ্গভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব কর্নেল মতিনকে কারা দিলেন? রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিয়ে জিয়াউর রহমান, বিডিআরপ্রধান মেজর জেনারেল খলিলুর রহমান, পুলিশের আইজি নুরুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার মসহুরুল হক বঙ্গভবনে এত দ্রুত কেন বৈঠকে মিলিত হলেন? রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের শান্ত করতে ১৭ আগস্ট কার নির্দেশে সাভার ক্যাম্পে গেলেন সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল কর্নেল মইনুল হোসেন চৌধুরী? জেনারেল শফিউল্লাকে সেনাপ্রধান থেকে সরিয়ে জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করা হয়। আবার একই দিন সিজিএস করা হয় খালেদ মোশাররফকে। ইতিহাসের অনেক কঠিন সত্য রয়েছে। সেসব আড়াল করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এম এ জি ওসমানী হন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা। আর মেজর জেনারেল খলিলুর রহমান হন চিফ অব দ্য ডিফেন্স স্টাফ। জিয়াউর রহমানের সবচেয়ে বিশ্বস্ত অফিসার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার এম এ মঞ্জুর। তিনি ছিলেন দিল্লিতে ডিফেন্স অ্যাটাশে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার খবর শুনে তিনি ঢাকা আসেন। ছায়ার মতো ছিলেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। খালেদ মোশাররফ সিজিএস হওয়ায় তাঁর মন খারাপ ছিল। তিনি হাল ছাড়েননি। নিয়তির পরিহাসে এই মঞ্জুর জিয়া হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। রক্ষীবাহিনীর পরিচালক নুরুজ্জামান ১৫ আগস্ট দেশের বাইরে ছিলেন। তিনি দেশে ফেরার পর অক্টোবরের শুরুতে রক্ষীবাহিনী সেনাবাহিনীতে আত্তীকরণ হয়। সে সময় নুরুজ্জামান বারবার শাফায়েত জামিল, খালেদ মোশাররফদের সঙ্গে কথা বলেন পাল্টা কিছু করার। খুনিদের উৎখাত ও মোশতাককে ক্ষমতাচ্যুত করতে তাঁরা দুজন নুরুজ্জামানের সঙ্গে একমত হলেন। তাঁদের চেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয় ৭ নভেম্বর কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে জাসদ। তাঁরা জিয়াউর রহমানকে সমর্থন জানান। গত ১৪ বছর পুরস্কার তাঁরাও কেউ কম পাননি আওয়ামী লীগ থেকে।

বঙ্গবন্ধুকে রক্ষায় নিরাপত্তা বলয় শক্তিশালী ছিল না। সাদামাটাভাবে জীবন কাটাতেন জাতির পিতা। দেশের রাষ্ট্রনায়ক হয়েও থাকতেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ছোট্ট বাড়িতে। ভাবতেন না নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা। রক্ষীবাহিনীর উপপরিচালক কর্নেল সরোয়ার মোল্লার সঙ্গে এ নিয়ে কথা হচ্ছিল। তিনি বললেন, বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের ই এ চৌধুরী, এসপি মাহবুব উৎকণ্ঠায় ছিলেন। রক্ষীবাহিনীর দুই সেকেন্ডম্যান সরোয়ার মোল্লা ও আনোয়ারুল আলম শহীদকে নিয়ে তাঁরা বঙ্গবন্ধুর কাছে যান। নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠার কথা বঙ্গবন্ধুকে জানান। পরামর্শ দেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ছেড়ে বঙ্গভবন অথবা গণভবনে উঠতে। এতে সায় দিলেন না বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু তাঁদের বললেন, ‘মানুষ সারা জীবন আমাকে তাদের মাঝে পেয়েছে। ধানমন্ডি ছাড়লে তাদের থেকে দূরে সরে যাব। আমি মানুষের নেতা। মানুষের মাঝে থাকতে চাই।’ বেগম মুজিবও সম্মত ছিলেন না ৩২ নম্বর ছাড়তে। এ বাড়ি পছন্দের ছিল শেখ কামাল ও জামালেরও। সরোয়ার মোল্লা বলেন, রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টসহ অন্য বাহিনীগুলো। রক্ষীবাহিনী নয়। রক্ষীবাহিনীর কাজ ছিল সদ্যস্বাধীন দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক করা। অস্ত্রধারী, কালোবাজারি, মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এ বাহিনীর সদস্যরা সবাই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের একটা কমিটমেন্ট ছিল। সর্বহারা ও জাসদের গণবাহিনী বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণ করতে পারে এমন তথ্য ছিল রক্ষীবাহিনী ও পুলিশের কাছে। সরোয়ার মোল্লা বলেন, এ খবরে ধানমন্ডি ৩২-এর আশপাশে টহল বাড়িয়েছিলাম। রক্ষীবাহিনীর সেই টহল ভালো নজরে নেননি শেখ মণি। তিনি ভুল বুঝলেন। তিনি ভাবলেন তাঁকে ডিস্টার্ব করতে কারও নির্দেশে রক্ষীবাহিনী ধানমন্ডিতে টহল বাড়িয়েছে। এ বিচার বঙ্গবন্ধুর কাছে যাওয়ায় টহল কমাতে হয়েছিল। তিনি বলেন, রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের ঘাঁটি ছিল সাভার। শেরেবাংলানগরে ছিল প্রধান কার্যালয়। নিজস্ব অস্ত্রাগার ছিল না। অস্ত্র রাখা হতো পিলখানায়। পরদিন বিডিআরপ্রধান খলিল আমাদের অস্ত্র দেননি। রক্ষীবাহিনী প্রধান দেশে না থাকায় আলোচনার নামে শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা তাঁদের দুজনকে সারা দিন ব্যস্ত রাখেন ক্যান্টনমেন্ট ও বঙ্গভবনে। তিনি বলেন, আমাদের ঘরানার সেনা অফিসাররা ধৈর্য ধরতে বললেন রক্ষীবাহিনীকে। সাভারে আমাদের দুজন সদস্য বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর খবরে আত্মহত্যা করেন। কোনো রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী, সরকার কারও কাছ থেকে নির্দেশ পায়নি রক্ষীবাহিনী কিছু করার।

আগাম গোয়েন্দা তথ্য নিয়েও অনেক প্রশ্ন। তবে ভারতীয় গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে ইন্দিরা গান্ধী সতর্ক করেন বঙ্গবন্ধুকে। ইন্দিরার বান্ধবী তাঁর সরকারের মন্ত্রী পুপুল জয়করের একটি বই আছে। বইটি ইন্দিরা গান্ধীর আত্মজীবনীমূলক। তিনি লিখেছেন, ১৯৭৪ সালের শেষ দিকে গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’প্রধান রামেশ্বর নাথ কাও একদিন ইন্দিরার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি ইন্দিরাকে জানান, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ভিতরে বিদ্রোহ পাকিয়ে তোলা হচ্ছে। ইন্দিরা সব তথ্য ঢাকা গিয়ে মুজিবকে জানানোর নির্দেশ দেন। কাও ঢাকায় আসেন। তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুর্বল নিরাপত্তাব্যবস্থা তাঁকে বিস্মিত করে। বাগানে পায়চারি করতে করতে তিনি ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করেন। তারপর বঙ্গবন্ধু তাঁকে আশ্বস্ত করেন, ‘কিছু হবে না। ওরা আমার লোক। পাকিস্তান আর্মি কিছু করার সাহস পায়নি, বাংলাদেশে ওরা কী করবে?’ মন খারাপ করে কাও দিল্লি ফিরে যান। সবকিছু অবহিত করেন ইন্দিরাকে। বঙ্গবন্ধুর একটা বিশ্বাস ছিল তাঁর জাতির প্রতি। দল, সরকার ও তাঁকে রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত লোকদের প্রতি। কেউই সেই বিশ্বাস রাখেনি। আসলে মানুষের চেহারা বদলাতে সময় লাগে না। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর সবাই বদলে গেল। আর যারা বদলালেন না তারা থাকলেন একরাশ ব্যর্থতা, হতাশা, কষ্ট সঙ্গে নিয়ে।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ
মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ

এই মাত্র | শোবিজ

গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর
গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর

১ মিনিট আগে | রাজনীতি

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১ মিনিট আগে | নগর জীবন

২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে স্কটল্যান্ড
২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে স্কটল্যান্ড

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লালমনিরহাটে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিল জেলা কৃষকদল
লালমনিরহাটে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিল জেলা কৃষকদল

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে

২৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফার্ন গাছেই তৈরি হচ্ছে ‘রেয়ার আর্থ’, চমকপ্রদ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
ফার্ন গাছেই তৈরি হচ্ছে ‘রেয়ার আর্থ’, চমকপ্রদ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

৩২ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

মাদকাসক্তির অভিযোগ বোনের, প্রত্যাখ্যান ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের
মাদকাসক্তির অভিযোগ বোনের, প্রত্যাখ্যান ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৭ মাওবাদী নিহত
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৭ মাওবাদী নিহত

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৪১ প্রাণ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৪১ প্রাণ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে হবে: শামা ওবায়েদ
জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে হবে: শামা ওবায়েদ

৪১ মিনিট আগে | রাজনীতি

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৪ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৪ মামলা

৪৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

শাকসু নির্বাচন: অনলাইনে উস্কানি ছড়ালে ব্যবস্থা নেবে কমিশন
শাকসু নির্বাচন: অনলাইনে উস্কানি ছড়ালে ব্যবস্থা নেবে কমিশন

৫৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

শ্রীপুরে যুবদল নেতার ঝুট গুদামে আগুন
শ্রীপুরে যুবদল নেতার ঝুট গুদামে আগুন

৫৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৫৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির দাবি গোলাম পরওয়ারের
লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির দাবি গোলাম পরওয়ারের

৫৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাংবাদিক ও প্রশাসন একে অপরের পরিপূরক: মুন্সীগঞ্জ ডিসি
সাংবাদিক ও প্রশাসন একে অপরের পরিপূরক: মুন্সীগঞ্জ ডিসি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুমিনুল-মুশফিকের ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
মুমিনুল-মুশফিকের ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টাঙ্গাইলে বিএফআরআই উদ্ভাবিত প্রযুক্তি পরিচিতি বিষয়ক কর্মশালা
টাঙ্গাইলে বিএফআরআই উদ্ভাবিত প্রযুক্তি পরিচিতি বিষয়ক কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ময়মনসিংহে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের আগুন
ময়মনসিংহে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনতে চায় সৌদি আরব?
কেন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনতে চায় সৌদি আরব?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত আবারও হামলা চালাতে পারে : খাজা আসিফ
ভারত আবারও হামলা চালাতে পারে : খাজা আসিফ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১ ঘণ্টা আগে | টক শো

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদালতে বিচারকপুত্র হত্যার আসামির ভিডিও ভাইরালের ব্যাখ্যা দিলেন আরএমপি কমিশনার
আদালতে বিচারকপুত্র হত্যার আসামির ভিডিও ভাইরালের ব্যাখ্যা দিলেন আরএমপি কমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাবি এখনো ফ্যাসিবাদের প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়: রাশেদ খান
ঢাবি এখনো ফ্যাসিবাদের প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়: রাশেদ খান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান
উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান

২১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা
তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা