বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

অবৈধ হাসপাতাল

প্রতারকদের কঠোর শাস্তিই প্রাপ্য

চিকিৎসা মানবসেবার একটি মহান পেশা। কিন্তু এ পেশাকে প্রতারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের জন্য দেশের প্রতিটি প্রান্তে গড়ে উঠেছিল অবৈধভাবে ক্লিনিক ও হাসপাতাল। কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় সেগুলো বছরের পর বছর ধরে অবাধে ব্যবসা চালিয়েছে। তবে সম্প্রতি এসব অবৈধ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চলছে অভিযান। সোম ও মঙ্গলবার দুই দিন অভিযান চালিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে বন্ধ করা হয়েছে ৫২৪টি অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতাল। লাইসেন্স না থাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং অন্যান্য শর্ত পূরণ না করায় এসব প্রতিষ্ঠানকে ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে সিলগালাও করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর ১৫টি প্রতিষ্ঠান অভিযান চালিয়ে বন্ধ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেরায়েরবাজারের বাংলাদেশ আই ট্রাস্ট হাসপাতাল, কামরাঙ্গীর চরের আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নূর ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইনান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঢাকা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, খিলগাঁওয়ের সিমান্তিক ক্লিনিক, মুক্তি নার্সিং হোমসহ আরও ৮টি অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক। অপারেশন থিয়েটারের নোংরা পরিবেশ, লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় চট্টগ্রাম নগরের একটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ১১ হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালীতে ১টি করে, আনোয়ারায় ২টি, মিরসরাই ও লোহাগাড়ায় ৩টি করে হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। বরিশালে নানা অনিয়মের অভিযোগে চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাজশাহীতে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে সিভিল সার্জনের দফতর। এ সময় কয়েকটি ক্লিনিককে জরিমানা করা হয়। খবর পেয়ে অবৈধ ক্লিনিক মালিকরা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে যান। দেশের অন্যান্য এলাকায়ও অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। হাসপাতালের নোংরা পরিবেশের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে জরিমানা। আমরা আশা করব এ অভিযান নিছক লোক দেখানো বিষয় হয়ে দাঁড়াবে না। চিকিৎসার নামে যারা প্রতারণায় জড়িত তাদের কঠোর শাস্তিই প্রত্যাশিত।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর