এক সময় রাজধানী ঢাকায় নদ-নদীর সংখ্যা ছিল অন্তত ৮টি। এর চারটি ইতোমধ্যে অস্তিত্ব হারিয়েছে। যে চারটি টিকে আছে সেগুলোর অবস্থাও সুবিধার নয়। দখল দূষণে চার নদীর অবস্থা হাহাকার করার মতো। দেশের নদ-নদী রক্ষায় গঠন করা হয়েছিল জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। কিন্তু কথামালা দিয়ে ঢাকাবাসীকে আশ্বস্ত করা ছাড়া তারা এ যাবৎ দৃষ্টিগ্রাহ্য কোনো অবদানই রাখতে পারেনি। অনেকের মতে, কথামালার ‘অশ্বডিম্ব’ প্রসবই কমিশনের একমাত্র সাফল্য। গত মার্চে রাজধানীবাসীর বাহবা নিতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘আগামী মার্চের মধ্যে স্বচ্ছ টলমলে হয়ে উঠবে বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকা ঘিরে থাকা চার নদীর পানি। নদীতে আর পড়বে না শিল্পের বিষাক্ত রঙিন বর্জ্য। দূষিত কালচে পানির উৎকট গন্ধে নাকে রুমাল চাপতে হবে না কারও। পাল তুলে চলা নৌকার পাশাপাশি টলমলে পানিতে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে চলবে নানা প্রজাতির মাছ।’ তবে মার্চ আসতে মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও নদীগুলোর দূষণ কমেনি একচুলও। উল্টো শীত আসতেই ঘন ও কালচে হয়ে উঠেছে নদীর পানি। বেড়েছে দুর্গন্ধ। বহুবার উদ্যোগের পরও স্যুয়ারেজ লাইন দিয়ে কারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত বিষাক্ত রঙিন পানি নদীতে পড়া বন্ধ হয়নি। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের গৃহস্থালি ও মানববর্জ্য আগের মতোই পড়ছে নদীতে। বর্ষায় নদীগুলোর পানি কিছুটা পরিষ্কার থাকলেও শীত আসতেই হয়ে ওঠে ঘন, কালচে ও দুর্গন্ধযুক্ত। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগে পানি কমে যাওয়ায় দৃশ্যমান হয়েছে স্যুয়ারেজ লাইনগুলো। সেখান দিয়ে বিরামহীন নদীতে পড়ছে শিল্প ও পয়ঃবর্জ্য মিশ্রিত বিষাক্ত পানি। নদ-নদীর দূষণ ও দখল বন্ধে কথামালা যে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না সে মহাসত্যটি তুলে ধরেছে ঢাকার প্রাণ হিসেবে বিবেচিত চার জলাশয়ের হতশ্রী অবস্থা। সংকট উত্তরণে চার নদী রক্ষায় কমিশনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার এবং সামাজিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। নদ-নদীর দখল দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকায় তাদের সতর্ক দৃষ্টিও প্রত্যাশিত।
শিরোনাম
- গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
- কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোনের বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া
- জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
- সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
- সমবায় অধিদপ্তরের নতুন ডিজি ইসমাইল হোসেন
- জাপোরিঝিয়ায় সম্মুখযুদ্ধের সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করলেন জেলেনস্কি
- রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিকদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
- কাঠামোগত সংস্কারে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি : আইএমএফ
- ট্রাম্পের কাছে তথ্যচিত্রের জন্য ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
- বিমানবন্দর এলাকার দুই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ
- বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
- ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস
- শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে তালা
- নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল আরও ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার
- প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে বিপদ আরও বাড়বে : গয়েশ্বর
- নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
- চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
- আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
- ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন চমক স্পর্শিয়া
নদ-নদীর দূষণ
কথামালা নয় প্রতিরোধ প্রয়োজন
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর