বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রংপুর সিটি নির্বাচন

গণতন্ত্রের জয় অভিনন্দনযোগ্য

রংপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে নেওয়া ভোটে যান্ত্রিক ত্রুটি ও ভোটারের একাংশের অনভিজ্ঞতার কারণে ভোট দিতে তুলনামূলক বেশি সময় ব্যয় হয়েছে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও অনেক কেন্দ্রে রাত ৮টা পর্যন্ত চলেছে ভোট পর্ব। এ সিটিতে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তৃতীয় আর চতুর্থ স্থানে ছিলেন দলের প্রতীকধারী প্রার্থী। রংপুর সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সুষ্ঠুভাবে। ইভিএমে ভোট গ্রহণে ধীরগতি ছাড়া পুরো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কিংবা ভোটারদের দিক থেকে বড় ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। আঙুলের ছাপে মিল না থাকায় কেউ কেউ ভোট দিতে পারেননি। রংপুরের সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় এবং তা প্রার্থী ও ভোটারদের গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় কমিশন স্বস্তি প্রকাশ করেছে। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় নির্বাচনের পর্যায়ে পড়ে। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের এক বছর আগে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনকে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের রোল মডেল হিসেবে দেখতে চেয়েছে। সেদিক থেকে তারা অনেকাংশেই সফল হয়েছে। রংপুরের সিটি নির্বাচনে বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো অংশ নেয়নি। তবে ভোটের ভাগ্য নির্ধারণে নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলোর সমর্থকদের ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী দ্বিতীয়বারের মতো বিপুলভাবে জিতেছেন। অন্তঃকোন্দলের কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অবস্থান ছিল চতুর্থ। বিদ্রোহী প্রার্থীর তৃতীয় স্থান লাভে প্রার্থী মনোনয়নে ক্ষমতাসীন দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে কি না সে বিষয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে হারজিত থাকে। রংপুরের নির্বাচনে কোন দল জয়ী হলো এটি দেশ ও জাতির জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র জয়ী হয়েছে, যা দেশ, জাতি ও নির্বাচন কমিশনের জন্য এক বড় অর্জন। নির্বাচনে জয়ী এবং অংশগ্রহণকারী সবাইকে অভিনন্দন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর