শনিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাইবার অপরাধ

গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ

দেশে সাইবার অপরাধ বেড়েই চলছে। মনুষ্য চেহারাধারী একশ্রেণির বিকৃত মস্তিষ্ক জীব তথ্যপ্রযুক্তিকে অপরাধ সংঘটনের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ায় প্রতিদিনই হেনস্তার শিকার হচ্ছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। বিশেষত নারীরা সাইবার অপরাধের প্রধান টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সাইবার ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মাসে তারা কমপক্ষে ৩ হাজার সাইবার অপরাধের অভিযোগ পান। মামলা হলে জড়িতরা আটকও হচ্ছে। নারীদের পাশাপাশি অনেক পুরুষও সেক্সটরশনের শিকার হচ্ছেন। পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে সামাজিক বা ব্যক্তি-মর্যাদাহানি, ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় বা অন্য কোনো সুবিধা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।

ডিএমপির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ১৮ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে ৭ শতাংশ, ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ, ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ, ৩৬ থেকে ৫৫ বছর বয়সী নারী-পুরুষের মধ্যে ২০ শতাংশ এবং ৫৫ থেকে বেশি বয়সী নারী-পুরুষের মধ্যে ৩ শতাংশ তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে অপরাধে জড়াচ্ছে। অনেক নারী ও তরুণী সাইবার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন। সাইবার অপরাধ বৃদ্ধির জন্য পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার অধঃপতিত মূল্যবোধ অনেকাংশে দায়ী। যে কারণে সিংহভাগ ক্ষেত্রে নারীরা সাইবার অপরাধী পুরুষদের দ্বারা উত্ত্যক্ত হচ্ছেন। হচ্ছে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার। নারীর প্রতি বিকৃত মনোভাবই মানুষ নামধারী শকুনদের অপরাধ সংঘটনে উৎসাহিত করছে। এ অপরাধ বন্ধে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনের প্রয়োগ যাতে যথাযথভাবে হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা বিকাশের মাধ্যমে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নারীবিরোধী মানসিকতা যেহেতু সাইবার অপরাধে মদদ জোগায়, সেহেতু সেটিকে পরাস্ত করতে সমাজের সভ্য অংশকে হতে হবে সোচ্চার।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর