বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্রেনেড

জননিরাপত্তার জন্য ওরা সাক্ষাৎ হুমকি

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে উদ্ধারকৃত অত্যাধুনিক গ্রেনেডটি রামু সেনানিবাসের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। গ্রেনেডটি পাওয়া যায় অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত জনৈক মোহাম্মদ নবীর ঘরে। ৬ জানুয়ারি গ্রেনেড উদ্ধারের পর ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা রবিবার রাতে উখিয়া থানায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মোহাম্মদ নবীকে আসামি করে মামলা করেছেন। বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে করা মামলাটি এজাহারের ৩৪ জন এবং আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ নবীকে ৩ নম্বর এবং মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি-আরসার প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এজাহারে জুনুনির ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুর কোনারপাড়া সীমান্তের শূন্যরেখা।

গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ নবী আরসার সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তার ঘরের কোনায় পাওয়া গেছে আর্জেস গ্রেনেডের মতো অবিস্ফোরিত অত্যাধুনিক গ্রেনেডটি। গ্রেনেডটি কীভাবে রোহিঙ্গা বসতিতে এলো তার রহস্য উদঘাটনে অনুসন্ধান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অত্যাধুনিক গ্রেনেড উদ্ধার দেশের জননিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল মানবিক কারণে। কিন্তু ১২ থেকে ১৫ লাখ রোহিঙ্গা দেশের পরিবেশের জন্য বিপদ ডেকে এনেছে। মাদকাসক্তি বিস্তারে ভূমিকা রাখছে তারা। জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর অনুরোধের ঢেঁকি গিলে সত্যিকার অর্থে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। তাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে করণীয় সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। এ দুর্ভাগ্যের অবসানে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে পাঠাতে তৎপর হতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর