রবিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাতালরেল যুগে বাংলাদেশ

যানজট নিরসনে অবদান রাখবে

পাতালরেলের যুগে পা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থায় বিপ্লব সৃষ্টি করবে এ ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের চিতলগঞ্জে ডিপো নির্মাণকাজের ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এ মহাপ্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু করবেন। পাতালরেল তৈরি হচ্ছে র‌্যাপিড ট্রানজিট লাইনের অংশ হিসেবে। ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার লাইনের দুটি অংশ থাকবে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার অংশ ভূগর্ভস্থ এবং নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়াল। কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর যেতে লাগবে ২৪ মিনিট। বিমানবন্দর রুটে ১২ ও পূর্বাচল রুটে ৯টি স্টেশন থাকবে। পূর্বাচল রুটের নর্দ্দা ও নতুনবাজার স্টেশন থাকবে ভূগর্ভে এবং এ দুটি স্টেশন যাত্রীদের রুট পরিবর্তনে ইন্টারচেঞ্জ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা। বাকি ১২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা খরচ করবে বাংলাদেশ সরকার। ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাতালরেল দেশবাসীকে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির নতুন যুগের সঙ্গে যুক্ত করবে। মানুষ কম খরচে শহরের বাইরে থাকতে পারবে এবং অফিস ও অন্যান্য কাজে সহজে ঢাকায় আসতে পারবে। প্রকল্প এলাকার বাণিজ্যিক উন্নয়ন ঘটবে এবং রুটের চারপাশের সুবিধাগুলোর মূল্য বাড়বে। ওইসব এলাকায় বসবাসকারী স্বল্প আয়ের লোকজন কম ভাড়ার জায়গায় চলে যাওয়ার গরজ অনুভব করবে এবং এতে মানুষ রাজধানীর শহরতলিতে বিকেন্দ্রীভূত হবে। ঢাকা এ মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম মেগা সিটি। বিশ্বের বৃহৎ নগরীগুলোর মধ্যে ঢাকা সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিসম্পন্ন। জনসংখ্যার তুলনায় সড়কের সংখ্যা কম হওয়ায় যানজট অনিবার্য হয়ে ওঠে। মেট্রোরেল, পাতালরেল সেই দুর্বিষহ অবস্থা সহনশীল পর্যায়ে আনতে সহায়তা করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর