রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি

বাজার নিয়ন্ত্রণে শক্ত হতে হবে

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কশাঘাতে বিশ্বের ৮০০ কোটি মানুষের মতো বাংলাদেশের মানুষও ভুগছে হতাশায়। করোনাভাইরাসের আগ্রাসনে বিশ্বের স্বাস্থ্যব্যবস্থাই শুধু ভেঙে পড়েনি, ভেঙে পড়েছে প্রায় সব দেশের অর্থনীতি। সেই ধকল কাটিয়ে ওঠার প্রস্তুতি যখন চলছিল ঠিক তখনই ইউক্রেনে রুশ হামলা বিশ্বে খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের উদ্ভব ঘটিয়েছে। এ সংকটের হাত থেকে জ্বালানি তেল রপ্তানিকারী গুটিকয় দেশ ছাড়া আর কেউই রক্ষা পাচ্ছে না। বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্ববাসীকে চমক দিচ্ছিল ঠিক তখনই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে দেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষ। প্রতিদিনই বাড়ছে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম। গত সপ্তাহে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা ৭২০ টাকায় ঠেকেছে। লবণের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। বাজারের দামের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে সর্বস্তরের মানুষ। গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। ডিম ডজনে ২০, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ ও গরুর মাংস কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে। বিশ্বমন্দার কারণে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে নিত্যব্যবহার্য প্রতিটি পণ্যের দাম। নতুন পিঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা। রসুন ১২০-১৫০ টাকা। দেশি আদা ১২০-১৫০ টাকা। চীনা আদা ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আলুর কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। খোলা চিনির কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। খোলা আটা ৬০ টাকা কেজি। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। আগের সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বছরের এই সময় একটি লাউ ২০ থেকে সর্বাধিক ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার ৭০ থেকে ১০০ টাকা। বাজার করতে গিয়ে মূল্যবৃদ্ধির দাপটে হিমশিম সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশ জ্বালানি ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশে পরনির্ভরশীল। গম, ডাল, চিনি, ভোজ্য তেল এমনকি চালের ক্ষেত্রেও পরনির্ভরতা কাটেনি। বিশ্ববাজারে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নিত্যপণ্যের বাজারে হাহাকার লেগেছে; যা রোধে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে শক্ত হতে হবে। নিজেদের স্বার্থেই।

সর্বশেষ খবর