রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ছাড় দেওয়া যাবে না

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যথেচ্ছতার গড্ডলিকা প্রবাহে নিজেদের ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তা দেখার যেন কেউ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় নামটিকেই তারা কলঙ্কিত করে চলেছে। দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন থাকলেও দুই-তৃতীয়াংশের বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলছে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ভাড়া করা ভবনে। কোথাও কোথাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য যথেষ্ট নয় এমন পরিসরে পরিচালিত হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন ১০৯। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৩৩টি স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাকি ৭৬টিই ভাড়া বাড়ি বা অস্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১২ বছরের মধ্যে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম স্থানান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সে বাধ্যবাধকতা কিতাবে থাকলেও বাস্তবে নেই। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর প্রায় দুই যুগ হতে চললেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রহস্যজনক কারণে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দফায় দফায় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে চিঠি দেওয়া হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। বছরের পর বছর নানান অজুহাত দেখিয়ে অস্থায়ী ভবন বা বাসাবাড়িতেই ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া ও ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটিসহ চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে ছয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। ইউজিসির এসব কার্যক্রম প্রশংসাযোগ্য হলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা আনতে আরও তৎপর হতে হবে। নিয়মভঙ্গের বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা।

সর্বশেষ খবর