শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ আপডেট:

কাদ্‌রী বললে যোদ্ধারা নদীর তল থেকে সুইও তুলে আনতে পারে

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
কাদ্‌রী বললে যোদ্ধারা নদীর তল থেকে সুইও তুলে আনতে পারে

মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি আবদুল্লাহ বীরপ্রতীককে পেয়েছিলাম। একটা মানুষ কতটা সহজ সরল হতে পারে আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক তার জ্বলন্ত প্রমাণ। কোনো লেখাপড়া জানে না। কিন্তু তার শরীরজুড়ে ভালোবাসা। জীবজন্তু, তরুলতা, আকাশ-বাতাস, নদীনালা সবকিছুকে যে একই রকম ভালোবাসতে পারে তার নাম আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক। গ্রামের বাড়ি ভালুকার তামাইট। কী করে ১৫-১৬ বছর বয়সে টাঙ্গাইল এসেছিল জানি না। একজনের বাড়িতে কাজ করে খেতো। মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে পাহাড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্যগতর ভালো ছিল না বলে মুক্তিবাহিনীতে নেওয়া হয়নি। মাসখানেক পর আবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিল। তৃতীয়বার গিয়েছিল ব্রিগেডিয়ার ফজলুর রহমানের কাছে। আবদুল্লাহর ইচ্ছা ছিল যদি মুক্তিবাহিনীতে নেয় নেবে, ভর্তি হতে পারে হবে, না হয় সে রাজাকারে যাবে। দেশে যুদ্ধবিগ্রহ চলছে। তাই কোনোক্রমেই ঘরে বসে থাকা চলবে না। কপাল ভালো তৃতীয়বার তাকে রাজাকারে যেতে হয়নি, মুক্তিবাহিনীতে ভর্তি হতে পেরেছিল। সহজসরল একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে অবশ্যই আল্লাহ তাকে দয়া করেছিলেন। যে কারণে একজন সফল মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিল, বীরপ্রতীক খেতাব পেয়েছে। দুই মেয়ে, দুই ছেলের বাবা। ছোট মেয়ে জুঁইয়ের চট করে বিয়ে হয়ে গেছে। তেমন বেশি লেখাপড়া করেনি। কিন্তু বড় মেয়ে জ্যোতি ভালো ফল নিয়ে এমএ পাস করেছে। বড় ধর্মভীরু মেয়ে। সব সময় বোরকা পরে থাকে। কেউ ভালো করে মুখ দেখতে পারে না। দুবার বিসিএস দিয়েছে। মাস্টার্সে জ্যোতির রেজাল্টও ছিল বেশ ভালো। আবদুল্লাহর মেয়েজামাইয়ের বাড়ি সখিপুর আড়াইপাড়ার কাছে। মেয়েজামাই মোর্শেদ খান দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকে। আয়-রোজগার খুবই ভালো। আড়াইপাড়া, মাওনা চৌরাস্তায় আরও বেশ কিছু জায়গাজমি বাড়িঘর আছে। বাপদাদার জমির ওপর কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি করেছে। নাম দিয়েছে জুঁই ভবন। বেশ কিছুদিন হয় আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক তার মেয়ের বাড়ি যেতে অনুরোধ করছিল। আবদুল্লাহর অনুরোধ ফেলতে পারি না। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে দেখা হওয়ার পর আজ ২০২৩ সাল কতজন কত রং বদল করেছে। কিন্তু আবদুল্লাহ আবদুল্লাহই। তার রঙে কোনো জোয়ারভাটা নেই। আমার সঙ্গে আছে তো আছেই। দীপ-কুঁড়ি-কুশিকে কোলেকাঁখে মানুষ করেছে, বড় করেছে। ৪ ফেব্রুয়ারি কচুয়ার আবদুল্লাহর ছেলে শুভর ছিল শুভ বউভাত। জীবনে প্রথম সখিপুর উপজেলা মাঠে কারও বউভাতের দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কচুয়ার আবদুল্লাহ স্বাধীনতার পরপরই জাসদ করা শুরু করেছিল। গণবাহিনী করেছে। দাওয়াতে গিয়ে জাসদের অনেক লোকজন দেখলাম আর ভাবলাম, এরা যদি স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধুকে ধ্বংস করার চেষ্টা না করত আজ দেশের অবস্থা এমন হতো না। এর চাইতে অনেক ভালো হতো।

কয়েকদিন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা তামাইটের আবদুল্লাহ বীরপ্রতীকের অনুরোধ ছিল কচুয়ার আবদুল্লাহর ছেলের বিয়েতে গেলে আমি যেন ওর মেয়ে জুঁইয়ের শ্বশুরবাড়ি দেখে আসি। তাই গিয়েছিলাম। আড়াইপাড়া বাজারে জুঁইয়ের বরের বেশ অনেকটা জায়গা আছে। সেখানে ২-৩ ডেসিমলের ওপর পাঁচ তলা দালান করেছে। পাশে আরও ৪০-৫০ শতাংশ জায়গা খালি পড়ে আছে। মার্কেট বানাবে। আড়াইপাড়া বাজার থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ডাকাতিয়া পশ্চিমপাড়া জুঁইয়ের শ্বশুরবাড়ি। আগে থেকেই ওরা ধনী। চার ভাইয়ের পূর্বে-পশ্চিমে লম্বা দক্ষিণমুখী কয়েক একর জায়গা জুড়ে বাড়ি। নতুন দালানঘরে নিয়ে গিয়েছিল। মনে হয় হাজার-বারো শ স্কয়ার ফুটের দোতলা নতুন ঘর। আমরা এক জায়গায় দুপুরের খাবার খেতে গেছি। তার পরও গিয়ে দেখি এলাহি কারবার। মাছ-মাংস-সবজি-ভাজি কত রকম কত কী যে করেছে, বলে শেষ করা যাবে না। ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সখিপুর থেকে কচুয়া গিয়ে হামিদুল হক বীরপ্রতীক ও খোরশেদ আলমকে পেয়েছিলাম। অর্ধেক পথ গিয়ে খোরশেদ আলম চলে এসেছিল বাড়িতে বলে আসেনি বলে। কিন্তু হামিদুল হক আর বাড়ি ফেরেনি। আড়াইপাড়া, ফুলবাড়ি আরও বহু জায়গা ঘুরে ইপিআরের ফেলে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র ডাকাতিয়ার পরশুরাম মেম্বারের বাড়ির মাটির নিচ থেকে তুলে এনেছিলাম। অনেক অস্ত্র ছিল। ৩-৪ শ মুক্তিযোদ্ধার হাতে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে টু ইঞ্চি মর্টার, রকেট লঞ্চার, এলএমজি, দুই-আড়াই শ থ্রি নট থ্রি রাইফেল ছিল। টাঙ্গাইলের মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর জন্য দুটি ঘটনা ছিল আল্লাহর আশীর্বাদ। একটা একেবারে শুরুতে ডাকাতিয়া পরশুরাম মেম্বারের বাড়ির মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা গোলাবারুদ, অন্যদিকে ১১ আগস্ট ধলেশ্বরী যমুনা নদীতে আক্রমণ করে হানাদারদের বিশাল অস্ত্রবোঝাই দুটি জাহাজ দখল। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র জাহাজ থেকে নামানো হয়েছিল; কখনো তার হিসাব মেলাতে পারিনি। শুরুতেই ইপিআরের অস্ত্র, মাঝপথে জাহাজ দখল, স্বাধীনতাযুদ্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে জামালপুর এবং ময়মনসিংহ দুই ব্রিগেড হানাদার বাহিনীর সব মজুদ আমাদের হাতে পড়েছিল। সে কারণে আমাদের অস্ত্রভান্ডার ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। তাই আড়াইপাড়ার কথা আমার দেহমনে সব সময় দোল খায়। ৪ ফেব্রুয়ারিও আড়াইপাড়া আমার মনে নাড়া দিয়েছে। বছর আট-দশ হলো নয়ন নামে একটি ছেলে আমার হৃদয়মন জুড়ে আছে। আট-দশ বছর আগে আড়াইপাড়া স্কুল-মাদরাসা মাঠে ইফতারের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে আমার গা ঘেঁষে নয়ন নামে চটপটে একটি ছোট্ট ছেলে বসেছিল। তার কাছাকাছি ছিল আরও দুজন। তাদের বিরুদ্ধে বিচার দিচ্ছিল, জানেন দোস্ত, ওরা না মিটমিট করে হাসে। ওরা ভালো না। সেই থেকে নয়নের সঙ্গে আমার পরিচয়। নয়নের পাশের বাড়ি এক রাত ছিলাম। বছর কয়েক আগে আট-দশ জন আত্মীয় নিয়ে নয়ন আমার টাঙ্গাইলের বাড়ি এসেছিল। দুপুরে আমার সঙ্গে খেয়েছিল। অনেক মজার মজার গল্প করেছিল। আবদুল্লাহর মেয়ের বাড়ি আবদুল হালিম লাল মিয়া গিয়েছিল। গিয়েছিল আলমগীর, নুরু খান, আবদুল আজিজ, রাজু। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস থাকায় তেমন কোনো মিষ্টি মুখে দিই না। কিন্তু কী করে যে জুঁইয়ের তৈরি পায়েস মুখে দিয়েছিলাম। খুবই ভালো লেগেছিল। তাই ছেলেমেয়ে এবং বউয়ের জন্য পাঠিয়ে দিলাম। এমনিতে কোনো জিনিস ভালো লাগলে অচেনা বাড়ি হলেও ছেলেমেয়ের জন্য নিয়ে নিই। কে কী ভাবল ওসব আমার ভাবনায় নেই। অভ্যাসটা ছোটকাল থেকেই। তখন কেউ পাত্তা দিত না। মাঝেসাজে বিব্রত হতে হতো। মুক্তিযুদ্ধের পর অনেকেই ভালোবেসে সম্মান করে তাই কিছু নিয়ে আসতে চাই শুনলে ছোটলোক না ভেবে আগ্রহ করে অনেক কিছু দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমিও অনেক কিছু নিয়ে আসি। সেদিনও পায়েস এনেছিলাম। সেখান থেকে সিলিমপুর হয়ে টাঙ্গাইল ফিরেছিলাম। সিলিমপুরে এক মজার ঘটনা ঘটেছিল। অনেক পানির কল আছে সেখানে। ৩ ইঞ্চি আর ২ ইঞ্চিই বেশি। ২ ইঞ্চি সাব মারসিবল পাম্পে জটিলতা কম। ৩ ইঞ্চি মোটর ওভারহেড পাম্পে জটিলতা একটু বেশি। তবে পানি ওঠে অনেক বেশি। মাসখানেক আগে একটা ৩ ইঞ্চি পাম্পের পাইপ নিচে ফেলে দেয়। কাকে কী বলব! ৫ ইঞ্চি বোরের একটি পাম্প। বোর করতে পাইপসহ খরচ পড়ে ৩০-৩৫ হাজার। তা-ও আজ থেকে ১০ বছর আগের কথা। ভিতরে ৩ ইঞ্চি থ্রেড পাইপ তার দামও প্রায় ১২ হাজার। পিতলের চেক বাল্বের দাম সাড়ে ৪ হাজার। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজারের মতো। ভিতরে পাইপ পড়ে যাওয়ায় সবটাই অকেজো। নবাবপুরে যাদের কাছ থেকে এটাওটা কিনি, কৃষিকাজের যন্ত্রপাতি, পাম্প, মেশিন, কাপড়ের পাইপ তাদের কয়েকবার বলেছি। কেউ ১০ হাজার, কেউ ১৬ হাজার, নানা রকমের দরদাম করেছে। পাইপ ওঠাতে পারলে পুরোটাই, না পারলে হাফ। আজ প্রায় ২৫ বছর যাবৎ আমার বাড়ির পানির কাজ করে আসকর। ভালোও করে খারাপও করে। একটা ভাঙে আরেকটা লাগায়। ২৫ বছর একইভাবে চলছে। হঠাৎই আমাদের সর্বকর্মে বিশেষজ্ঞ রবীন্দ্রনাথ সূত্রধর বলছিল, আসকর বলেছে সে পড়ে যাওয়া পাইপ তুলতে পারবে। তাই তারা গিয়েছিল। সত্যিই পাইপ তুলেছে। একজন সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল তার মজুরি ৭০০। আসকরের ৮০০, রবীর ৫০০। এতেই তারা খুশি। আমার মনে হচ্ছিল একটা ছোটখাটো অবিচার হচ্ছে। কেউ কেউ ১২ হাজার, ১৬ হাজার চাচ্ছিল, আমিও রাজি ছিলাম। এদের ৮ আর ৭=১৫, রবি ৫। মোট ২ হাজার। মনে হলো বড় অবিচার হচ্ছে। তাই আসকরকে আরও ২ হাজার বকশিশ দিয়েছি। পড়ে যাওয়া সেই পাম্প থেকে এখন অবিরাম পানি উঠছে।

এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল ’৭৪ সালের বর্ষাকালে রেড ক্রস থেকে ছোট একটি অ্যালুমিনিয়ামের বডি এবং ১৫ হর্সের ইয়ামাহা ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছিল। আমরা ৩-৪টি স্পিডবোট, ৫-৬টি দেশি ট্রলার নিয়ে ভূঞাপুর-পাঁচটিকড়ী গিয়েছিলাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে। কালিহাতী থানার পাশে ১৫ হর্স ইঞ্জিনে চাপ দিতেই বোট থেকে খুলে ইঞ্জিনটি পানিতে পড়ে গিয়েছিল। পাশেই জেলেবাড়ি। কালিহাতীর প্রায় সব জেলের সেখানে বাস। ইঞ্জিন পড়ে গেলে কয়েকজন জেলে ছুটে এসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাত কচলাতে কচলাতে বলেছিল, স্যার, আপনারা চলে যান। লোকজনকে ত্রাণসামগ্রী দিয়ে ফিরে এসে দেখবেন আমরা ইঞ্জিন তুলে রেখেছি। খুশিমনে পাঁচটিকড়ী-ভূঞাপুর গিয়েছিলাম। সারা দিন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছি। মুক্তিযুদ্ধের কারণে টাঙ্গাইলের মানুষ যেমন সাহসী ছিল, তেমনি সুশৃঙ্খলও ছিল। সারা দিন ত্রাণকাজ করে মনে হয় কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। ফেরার পথে তন্দ্রা এসেছিল। কালিহাতী থানার ঘাটে ফিরে কোনো শুভসংবাদ নয়, বলতে গেলে দুঃসংবাদই পেয়েছিলাম। স্পিডবোটের ইঞ্জিন তারা তুলতে পারেনি। চলে এসেছিলাম কালিহাতী থেকে। সেদিন শুতে যেতে ইচ্ছা হচ্ছিল না। কেন যেন মেশিনটা পানিতে ডুবে যাওয়ায় বেশ খারাপ লাগছিল। অত খারাপ লাগার কোনো কারণ ছিল না। ওয়াপদা ডাকবাংলোর দোতলায় বসে ছিলাম। হঠাৎ কোথা থেকে আবদুস সবুর খান বীরবিক্রম এসে হাজির, ‘স্যার, আপনি ঘুমান নাই? আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। আগামীকাল ঘুম থেকে উঠে আপনি দেখবেন ইঞ্জিন আপনার বারান্দায় পড়ে আছে।’ মুক্তিযুদ্ধের সময় আবদুস সবুর খান বীরবিক্রম যখন যে কথা বলেছে সে কথা সে রক্ষা করেছে। তাই ঘুমিয়ে ছিলাম। ফজরের আজানে ঘুম ভেঙেছিল। বারান্দায় বেরোতেই দেখি সবুর খান লোকজন নিয়ে কালিহাতীর দিকে যাচ্ছে। প্রথমেই ধাক্কা খাই, ঘুম থেকে উঠে ইঞ্জিন দেখব, তা না, ইঞ্জিন আনতে যারা যাচ্ছে তাদের দেখছি। গোসল সেরে নাশতা খেয়ে সাড়ে ৮টা-৯টার দিকে কালিহাতী থানার কাছে নদীর পাড়ে গিয়ে বসেছিলাম। সবুর খান নদীর এপার-ওপার স্টিলের তার বেঁধেছে। সেখানে দুটি স্পিডবোট বেঁধে জানালার গ্রিলের সঙ্গে কাঁটার মতো আট-দশটি ছোট ছোট রড বাঁকা করে পানিতে ফেলছে আর ওঠাচ্ছে। অন্যদিকে সেদিন ছিল হুজুর মওলানা ভাসানীর কালিহাতী স্কুলমাঠে বিশাল জনসভা। জোহরের নামাজের পর থেকে লোকে লোকারণ্য। লোকজন একত্র হওয়া কোনো দোষের ছিল না। কিন্তু তাদের কথাবার্তা এত কঠিন যা বলে শেষ করা যাবে না। আর কথার তির্যক ক্ষমতা বন্দুকের গুলির চাইতে বেশি। কেউ বলছে, এটা মুক্তিযুদ্ধ না, ২০-২৫ ফুট পানির নিচে ইঞ্জিন এটা তোলা অত সহজ না। আবার কেউ বলছে, স্রোতের যে শক্তি তাতে মেশিন এখানে থাকবে কেন, রাজাবাড়ি পর্যন্ত ভেসে গেছে। এ রকম নানান ধরনের তির্যক কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে নদীতে একটা স্পিডবোটে উঠেছিলাম। কিছুক্ষণ পর মনে হচ্ছিল বসেই যখন আছি গ্রামের বাড়ি ঘুরে আসি। কিন্তু বোটে উঠে মনে হলো ছাতিহাটী গ্রামের বাড়ি না গিয়ে বল্লা বাজার হয়ে আসি। বীর মুক্তিযোদ্ধা বল্লার নজরুল তখন আমার সঙ্গে। বল্লা বাজারে গিয়ে ঘোরাফেরা করে ফেরার পথে ১০ কেজি মিষ্টি নিয়ে কালিহাতীর দিকে ফিরছিলাম। আর মনে মনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছিলাম গিয়ে যদি দেখতাম ইঞ্জিন উঠিয়ে ফেলা হয়েছে তাহলে ওইসব টিটকারীর হাত থেকে বেঁচে যেতাম। কিন্তু ফিরে এসে সেই একই অবস্থা। কিন্তু সবুর বলল, ইঞ্জিন তারা আটকিয়েছে। জানালার গ্রিল এখন টেনে তুললেই তার সঙ্গে ইঞ্জিন উঠে আসবে। ৫ কেজি মিষ্টি সবুরকে দিয়ে দিলে পুরো মিষ্টি সে মা গঙ্গা মা গঙ্গা বলে পানির মধ্যে ঢেলে দিল। বলল, স্যার চর পাকুল্যার ফজলু ডুব দিয়ে দেখে এসেছে কাটার মধ্যে মেশিন বেজেছে। ফজলুকে দূরে ডেকে জিজ্ঞেস করতেই সে বলল ভিন্ন কথা। ফজলু বলল, স্যার ২০-২৫ ফুট পানি। আমি ৫-৭ ফুটের নিচে যেতে পারি নাই। যদি সবুর ভাইকে বলতাম আমি নিচে যেতে পারি নাই, সে আমাকে ডোবাতে ডোবাতে এতক্ষণে মেরেই ফেলত। সবুরের কথায় কিছুটা উৎসাহিত হলেও ফজলুর কথায় আমার সব উৎসাহ ভাটা পড়ে গেল। মিষ্টি টিষ্টি ঢেলে মা গঙ্গা বলে আল্লাহ-রসুলের কাছে কান্নাকাটি করে ১০-১২ জন মিলে তার টানতে শুরু করল। ১৫-২০ মিনিটেই খাঁচার অনেকটা উঠে এলো। তারপর হঠাৎই দেখা গেল ইঞ্জিনের পাটা। সব মানুষ স্তম্ভিত। সঙ্গে আমিও। এখন যদি ইঞ্জিন পড়েও যায় কিছু যায় আসে না। সারা দিন যে পরিমাণ টিটকারী শুনেছি তাতে কান ঝালাপালা হয়ে গিয়েছিল। ইঞ্জিন উঠিয়ে স্পিডবোটগুলো ট্রাকে তুলে টাঙ্গাইল চলে এসেছিলাম। বিকালে হুজুর মওলানা ভাসানী কালিহাতী স্কুলমাঠে বক্তৃতা করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘কাদ্রী বন্দুক নিয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। একটা স্পিডবোটের ইঞ্জিন কত বড়, একটা সুই ওখানে পড়ে গেলে কাদ্রী বললে তার যোদ্ধারা পানির নিচ থেকে সে সুইকেও তুলে আনতে পারত। মুক্তিযোদ্ধারা সব পারে। কাদ্রী সব পারে।’ সত্যিই হুজুর মওলানা ভাসানীর আমার ওপর ও রকম আস্থাই ছিল। পিতার আস্থা ছিল তারও চাইতে বেশি।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার
সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার

২ মিনিট আগে | শোবিজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ
শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি
টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি

২১ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে
অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে

২৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৪৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড
মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও
‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা
জবির নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তেঁতুলিয়ায় বেড়েছে শীতের আমেজ, তাপমাত্রা ১৩.৯ ডিগ্রি
তেঁতুলিয়ায় বেড়েছে শীতের আমেজ, তাপমাত্রা ১৩.৯ ডিগ্রি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উত্তরায় বাংলাদেশের প্রথম হায়াত প্লেস হোটেলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
উত্তরায় বাংলাদেশের প্রথম হায়াত প্লেস হোটেলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাঙামাটিতে কোটা–বিরোধী ঐক্যজোটের ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছে
রাঙামাটিতে কোটা–বিরোধী ঐক্যজোটের ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে জোড়া খুনের আসামি জিয়া গ্রেফতার
মুন্সীগঞ্জে জোড়া খুনের আসামি জিয়া গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে
ভারতকে হারিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা