মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ব্যবসা সহজীকরণ

সব পক্ষের ঐকমত্য কাম্য

দেশের উন্নয়নে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভূমিকাই মুখ্য। এ মুহূর্তে দেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ বেসরকারি খাতে কর্মরত। ঘনবসতির এই দেশে দারিদ্র্য বিমোচন এবং আরও বেশি বেশি কর্মসংস্থানের পথ উন্মোচনে ব্যবসা-বাণিজ্যের কোনো বিকল্প নেই। যে কারণে শিল্পোদ্যোক্তাদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানোর আমলাতান্ত্রিকতা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। শিল্প স্থাপনে সবচেয়ে প্রয়োজন যে বিদ্যুৎ ও গ্যাস, সে ক্ষেত্রে সামর্থ্য অর্জনের পথে হেঁটেছে সরকার। এমনকি বৈশ্বিক মন্দায় বিশ্ববাজার থেকে কয়েক গুণ বেশি দামে জ্বালানি কিনে দেশের শিল্প খাত সচল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এ অসাধ্য কাজ করতে গিয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে হাত দিতে হয়েছে। যে প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধনকালে বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ১ কিলোওয়াটে খরচ হয় ১২ টাকা, সেখানে সরকার নিচ্ছে মাত্র ৬ টাকা। তাতেই অনেক চিৎকার। অথচ ইংল্যান্ডে বিদ্যুতের দাম যেভাবে বেড়েছে বাংলাদেশে সেভাবে বাড়েনি। গ্যাস-বিদ্যুৎ সাপ্লাই পেতে হলে ক্রয়মূল্য যা হয়, তা দিতে রাজি থাকতে হবে। ভাবতে হবে কত আর ভর্তুকি দেওয়া যায়? সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছে। সরকারের লক্ষ্যই ছিল প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। জেনারেটরের ওপর যে ট্যাক্স ছিল, সেই ট্যাক্স প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। শিল্পকারখানায় যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়, সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে ভালোভাবে চলে, যাতে বিনিয়োগ আসে সে চেষ্টাই করা হচ্ছে। সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চায়। বিদেশিরা যখন আসবে, ভালো পরিবেশ দেখলে ভালো বিনিয়োগ হবে। সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে কৃষিতে, খাদ্য উৎপাদনে। করোনা মোকাবিলায় শিল্প খাতকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এখন হাওয়া ভবন নেই। ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শিল্পকারখানার জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে কেনা দামে জ্বালানি সরবরাহের যে প্রস্তাব দিয়েছেন,বাস্তবতার নিরিখে তা যৌক্তিক। এ বিষয়ে সমঝোতায় আসতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর