শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নির্যাতন

নব্য রাজাকারদের শাস্তি নিশ্চিত করুন

মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে যে গর্বিত পরিচয় বহন করছি তার পেছনে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁরা জীবন বাজি রেখে অংশ নিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারছি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতঘ্ন আচরণ যেন একশ্রেণির মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কয়েক দিন আগে রাজনৈতিক মামলায় কোমরে দড়ি পরানো হয়েছিল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। মিডিয়ার বদৌলতে বিষয়টি ফাঁস হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতারের সঙ্গে জড়িত অর্বাচীন পুলিশ কর্মকর্তা এক অদ্ভুত যুক্তি খাড়া করে নিজেদের দোষ এড়ানোর অপচেষ্টা করেন। বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিটি বীর মুক্তিযোদ্ধা তা তারা জানতেন না। এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল ৫২ বছর আগে। একজন মুক্তিযোদ্ধার বয়স ন্যূনতম সত্তরের কোটায়। এ বয়সের একজন মানুষকে যারা সন্ত্রাস ও নাশকতার দায়ে গ্রেফতার করে তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। সে ঘটনার রেশ না কাটতেই চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আহমদ হোসেন (৭০) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। পরে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টির সমাধান করেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে দেয়াল তোলাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে দেয়াল অপসারণ করান। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। হাটহাজারী থানায় বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন।  ইতোমধ্যে অভিযুক্ত লোকমান হাকিমের স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লোকমান ও তার দুই ছেলে পলাতক। আমরা আশা করব হাটহাজারীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত নব্য রাজাকারদের গ্রেফতার ও তাদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

সর্বশেষ খবর