রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

রোজার আগে এ আলামত ভালো নয়

রমজানের আগে আরেক দফা বেড়েছে মাছ ও মাংসের দাম। মুনাফার লকলক জিহ্বার বদৌলতে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই প্রতিটি পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ২৫০ টাকা। অথচ একই মাংসের দাম বাংলাদেশে আড়াই গুণেরও বেশি। রোজা সামনে রেখে তা প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিদেশ থেকে গরু আমদানির বদলে দেশে খামার তৈরি করে চাহিদা মেটানো তাত্ত্বিক বিচারে দেশের জন্য কল্যাণ বলে বিবেচিত হলেও তা একশ্রেণির মানুষের মুনাফার লকলকে জিহ্বাকে উসকে দিয়েছে। পশ্চিম বাংলার মানুষ যদি ২৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস কিনতে পারে তবে বাংলাদেশে কেন এর মূল্য ৭৫০ টাকা হবে সে প্রশ্নের জবাব বের করা জরুরি হয়ে উঠছে। শুধু গরুর মাংস নয়, প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়। মুরগির দাম এক মাস ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। সাদা ব্রয়লার এখন ২৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা, লাল লেয়ার ২৯০ টাকা, সোনালি কক ৩৫০ টাকা, গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। মাছের বাজারে পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া ও রুই মাছের দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারে পাঙ্গাশ মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা, রুই (নলা) ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ২৮০ টাকা। এ ছাড়া পুঁটি ৩০০ টাকা ও সিলভার কার্প ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সবজির বাজার বাড়তির দিকে। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আকার ভেদে দামের তারতম্য রয়েছে। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একটু কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০-২০০ টাকা। বলা হচ্ছে ব্যবসায়ীরা রোজায় কোনো নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে না এমনটি দেখিয়ে সরকারের কাছে প্রিয় হতে চান। তাই আগেভাগে দাম বাড়ানোর কসরত চলছে ‘নৃশংসভাবে’। এ বিষয়ে সরকার চোখ ও কান খোলা না রাখলে তা তাদের সুনামকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর