সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

শুদ্ধ হোক রাজনীতি

অধঃপতিত অবস্থা থেকে সরে আসতে হবে

বাংলাদেশ নামের জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রাজনীতিকদের নেতৃত্বে। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজনীতিকরা। বাঙালি জাতির হাজার বছরের সেরা অর্জন স্বাধীনতা এসেছে যাঁর হাত দিয়ে, সর্বকালের সেরা বাঙালি বঙ্গবন্ধুও ছিলেন একজন রাজনীতিক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার। সে সরকারের সবাই ছিলেন রাজনীতিক। এমনকি মুক্তিবাহিনীর প্রধান হিসেবে কোনো ট্র্যাডিশনাল সেনাপতি নয়, দায়িত্ব পালন করেছিলেন একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যিনি অতি অবশ্যই রাজনীতিক। বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র থেকে আজ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে রাজনীতিকদের নেতৃত্বে। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে এ দেশকে অযুত সম্ভাবনার দেশে পরিণত করার পেছনে রাজনীতিকদের অবদান অনন্য। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, দেশের রাজনীতি তার স্বকীয় মহিমা হারিয়ে ফেলেছে সাম্প্রতিক দিনগুলোয়। দুর্বৃত্তায়ন রাজনীতির উজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিষ্প্রভ করে তুলেছে। রাজনীতিতে গুণগতমান নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি করা কঠিন হবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে তৃণমূল পর্যায়ে জনমত গড়ে তুলতে হবে। রাজনীতিতে মূল্যবোধের যে ধস নেমেছে সে সম্পর্কে রাজনীতিকদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদের মতো নেতারা জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁরা বাংলাদেশের আত্মা হয়ে ওঠার কৃতিত্বও দেখিয়েছেন। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা ছিল যাঁদের স্বপ্ন।  সে রাজনীতি আজ গতি হারাচ্ছে। রাজনীতিকরা রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। রাজনীতি জনসেবার বদলে ভোগ ও বাণিজ্যের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এ অধঃপতিত অবস্থা থেকে সরে আসতে হবে। এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে রাজনীতিকদেরই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর