শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মাত্রাতিরিক্ত বিমান ভাড়া

কর্তাদের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙুক

বাংলাদেশের ১ কোটি মানুষ বিদেশে থাকেন। দেশের প্রতি ১৭ জনের একজন প্রবাসী। প্রতি বছর তাদের এক উল্লেখযোগ্য অংশ দেশে আসা-যাওয়া করেন। বছরে হজ ও ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে যাওয়া-আসা করেন প্রায় ২ লাখ মানুষ। এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা ও শিক্ষার সূত্রে বিদেশে যাতায়াতকারী নাগরিকের সংখ্যাও বিপুল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে বাংলাদেশি যাত্রীরা বিদেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নির্মম শোষণের শিকার হচ্ছেন। বাদ যাচ্ছেন না হজযাত্রীরাও। কলকাতা-দুবাই-কলকাতা রুটে এমিরেটস এয়ারলাইনসে ভাড়া দিতে হয় ৩৪ হাজার ৫২ রুপি বা ৪২ হাজার ৭৭৫ টাকা অথচ ঢাকা-দুবাই-ঢাকা রুটে নেওয়া হয় প্রায় দ্বিগুণ ৮০ হাজার টাকা। চাহিদার তুলনায় ফ্লাইট সংখ্যা কম থাকার পাশাপাশি টিকিট বিক্রিতে অনিয়মের কারণে এ সংকট তৈরি হয়েছে, বেড়েছে ভাড়া। এতে বেশি বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী কর্মীরা। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কিছুদিন আগেও ভাড়া ছিল ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। সম্প্রতি সেই ভাড়া বেড়ে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখে পৌঁছেছে। আরব আমিরাত, ওমান, সৌদি আরব, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশে যেতেও বিমানের ভাড়া বেড়েছে। এতে বেশি বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী কর্মীরা। কারণ এসব দেশেই বেশির ভাগ শ্রমিক কাজে যাচ্ছেন। বিমানের টিকিট বিক্রির আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট স্কাইস্ক্যানার ট্রাভেল ইনসাইটের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় টিকিটের দাম ৩৩ শতাংশ বেশি ছিল। অথচ একই সময়ে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় যথাক্রমে টিকিটের দাম বেড়েছে ১২ ও ১৭ শতাংশ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চার বছর আগের তুলনায় এখন যাত্রীদের দ্বিগুণ বিমান ভাড়া গুনতে হচ্ছে। বিমানের টিকিট কালোবাজারিও চলছে যথেচ্ছভাবে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মজীবী বাংলাদেশিরা কর্মস্থলে ফেরার সময় বাধ্য হচ্ছেন বেশি দামে টিকিট কিনতে। এ বিষয়ে কর্তাব্যক্তিরা বোধগম্য কারণে কুম্ভকর্ণের ঘুমে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সক্রিয় হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর