সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

রেমিট্যান্স বিতর্ক

দরকার যথাযথ পর্যালোচনা

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ রেমিট্যান্স হয়ে ফিরে আসছে- এমন অনুমান তুলে ধরা হয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পক্ষ থেকে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘স্টেট অব দ্য বাংলাদেশ ইকোনমি’ শীর্ষক সভায় তারা বলেছেন, গত ১০ মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৯ দশমিক ২২ লাখ মানুষ গেছে। সেখান থেকে প্রত্যাশামতো রেমিট্যান্স আসছে না। লোক যাওয়া ও রেমিট্যান্সের মধ্যে বড় রকমের পার্থক্য তৈরি হয়েছে। এতদিন সৌদি আরব থেকে বেশি রেমিট্যান্স এলেও যুক্তরাষ্ট্র এখন সে জায়গা দখল করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে যারা যান তাদের বেশির ভাগই হোয়াইট কালার জব করেন। অনেকেই ঘরবাড়ি ও জমিজমা বিক্রি করে দেশ থেকে টাকা নিয়ে চলে যান। অনেক শিক্ষার্থীও সে দেশে আছেন। তারা তো আর টাকা পাঠাতে পারেন না। তাহলে বিপুল এ রেমিট্যান্স আসছে কোথা থেকে? এর একটা সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হতে পারে এমন- দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে তা আবার রেমিট্যান্স হয়ে ফেরত আসছে। রেমিট্যান্সের ওপর যে আড়াই শতাংশ ইনসেনটিভ বা সাবসিডি দেওয়া হচ্ছে তার সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে আরও গভীরে গিয়ে বিষয়টি অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ সম্পর্কে সিপিডির অভিমত কতটা গ্রহণযোগ্য তা যথাযথ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বেরিয়ে আসতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বাংলাদেশির সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও কেন রেমিট্যান্স কম আসছে সে রহস্য উদঘাটন হওয়া দরকার। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সিংহভাগ সে দেশে গেছে অভিবাসীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য। এদের অনেকেই গেছেন জমিজমা বিক্রি করে। বেশির ভাগের পরিবার সচ্ছল হওয়ায় তারা দেশে থাকা স্বজনদের কাছে তুলনামূলকভাবে কম অর্থ পাঠান। হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স বেশি আসার পেছনে পাচারকৃত টাকা ভিন্ন কৌশলে দেশে ফেরত এনে সে অর্থের বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কি না পর্যালোচনার দাবি রাখে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর