শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩ আপডেট:

১৫ ও ২১ আগস্টের প্রেক্ষাপট পরিণতি ও আগামীর বাংলাদেশ

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
১৫ ও ২১ আগস্টের প্রেক্ষাপট পরিণতি ও আগামীর বাংলাদেশ

আজ ২১ আগস্ট। কয়েক দিন আগেই ছিল ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। দুটি নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে প্রায় ২৯ বছরের ব্যবধানে। কিন্তু ঘটনা দুটির প্রেক্ষাপট অনেকটাই ভিন্ন হলেও এর সামনের ও পেছনের কুশীলবরা ছিল একই শ্রেণিভুক্ত এবং তারা একই লক্ষ্যে ১৫ ও ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে ২১ আগস্টের ঘটনার মূল টার্গেট শেখ হাসিনা বেঁচে যান এবং গত প্রায় ১৫ বছর টানা সরকারের নেতৃত্বে আছেন। ২০০৪ সালে তিনি ক্ষমতার বাইরে ছিলেন।  তখন পরিস্থিতি ছিল একরকম, ষড়যন্ত্রের কৌশলও ছিল সেই আঙ্গিকে। আর এখন যেহেতু ক্ষমতায় আছেন, তাই ষড়যন্ত্রকারীরা পঁচাত্তরের কৌশলে যেন ষড়যন্ত্রের জাল বিছাতে না পারেন, তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এটা নিশ্চিত করে বলা যায় পঁচাত্তর ও ২০০৪ সালের ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা, আর শেখ হাসিনা তাঁরই মেয়ে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ কোনো দিন স্বাধীন হতো না। আজও বাংলাদেশের মানুষকে পাকিস্তানের গোলাম হয়ে থাকতে হতো এবং আজকে পাকিস্তানের মানুষের যে রকম দুরবস্থা তার থেকেও ভয়াবহ বিপর্যয়কর অবস্থা হতো বাংলাদেশের মানুষের। সুতরাং বাংলাদেশের মানুষের মনে আজ প্রশ্ন জাগা উচিত বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে কেন হত্যা করা হলো, কী দোষ তিনি করেছিলেন, আর এ স্বঘোষিত খুনিদের যারা রাষ্ট্রীয় পদে বসিয়ে পদোন্নতি দিয়ে পুরস্কৃত করলেন, তারা কারা এবং কেনইবা তারা এ কাজটি করলেন। এত বছর পরও কি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পরিবর্তন হয়েছে, আজকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের অবস্থান কী। তারা আজও কেন জাতির পিতার ছবি ও প্রতিকৃতি সামনে পেলেই ক্ষোভের সঙ্গে তা ভাঙচুর করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের কী ক্ষতি করেছেন। একমাত্র পাকিস্তানই বলতে পারে বঙ্গবন্ধু তাদের ক্ষতি করেছেন, তাদের ভিতরে ক্ষোভ জিঘাংসা থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে তারা কেন পাকিস্তানিদের মতো ক্ষোভ ও জিঘাংসা পোষণ করছেন। এসব প্রশ্নের মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত কলুষিত রাজনীতির কবল থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হতে পারবে না। এটা এখন স্পষ্ট একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই পাকিস্তান ও তাদের এদেশীয় দোসররা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নৃশংস জিঘাংসা নারী, শিশুসহ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। বিএনপির মধ্যে যখন এখনো জাতির পিতার প্রতি ক্ষোভ জিঘাংসা দেখা যায় তখন বাংলাদেশের মানুষ তাদের সম্পর্কে কী ধারণা পোষণ করবেন। দলীয় রাজনীতির বাদ-বিবাদ ভিন্ন বিষয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বলতে যা কিছু বোঝায় তার সবকিছু শেষ করে দেওয়া, যার প্রমাণ  পঁচাত্তরের পরপরই দেখা গেছে। কিন্তু তারা যখন দেখল বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা বেঁচে থাকায় তাদের পঁচাত্তরের লক্ষ্য বাস্তবায়ন প্রবল বাধার মুখে পড়েছে তখনই তারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা করে। কিন্তু এবারও তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। পঁচাত্তরের হত্যাকান্ডে যারা নেপথ্যে ও সামনে ছিল তারাই ভিন্ন চেহারায় ২১ আগস্ট ঘটনার নেপথ্যেও সামনে ছিল। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে জামায়াত-বিএনপি সরকার যখন পঁচাত্তরের খুনিদের কয়েকজনকে আবার চাকরিতে পুনর্বহাল ও পদোন্নতি দিয়ে পুরস্কৃত করল তখনই বোঝা গিয়েছিল তারা সবাই মিলে তাদের পঁচাত্তরের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করার জন্য নতুন মিশন নিয়ে মাঠে নামবে। ২১ আগস্ট তারই প্রতিফলন দেখা গেছে। কিন্তু কথায় আছে রাখে আল্লাহ, মারে কে। গত প্রায় ১৫ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মূল্যবোধের ওপর রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে বলেই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আবার ফিরে এসেছে এবং অপার সম্ভাবনাময় এক দেশের নাম এখন বাংলাদেশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে সব সংকট উতরিয়ে একটা স্থিতিশীল ও সম্ভাবনাময় জায়গায় যখন এনেছিলেন তখনই পঁচাত্তরের আঘাতটি করা হয়েছিল।

আজকে বাংলাদেশ যেভাবে এগোচ্ছে সেটা যদি আর কয়েকটি বছর অব্যাহত থাকে তাহলে পঁচাত্তরের পরে আবির্ভূত হওয়া মুক্তিযুদ্ধবিরোধী নব্য রাজনীতির সঙ্গে একাত্তরে পরাজিত এদেশীয় দোসরদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বাংলাদেশে থাকবে না। সুতরাং প্রাক পঁচাত্তরের মতো ওই ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। বরং তারা আজ আরও বেশি মরিয়া। তাই পঁচাত্তরে তারা যেভাবে চূড়ান্ত আঘাত করার আগে প্রেক্ষাপটটি তৈরি করেছিল সেটা যাতে না পারে তার জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রেক্ষাপটটি সবার উপলব্ধি করা প্রয়োজন।

হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট : লেখার ভূমিকায় বলেছি একাত্তরে পরাজিত বাংলাদেশি পক্ষ এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে প্রেক্ষাপট তৈরি করার কাজটি সুচারুভাবে করতে সক্ষম হয়। তবে রাষ্ট্রের সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন যদি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত না থাকত তাহলে উপরোক্ত পক্ষদ্বয় সহজে সফল হতে পারত না। এ সম্পর্কে দু-একটি তথ্য তুলে ধরি। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর যারা সহযোগী ও অনুগত ছিলেন তাদের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের ১৪ জন সচিবসহ শুধু অফিসারই ছিলেন ২৬৭ জন। পুলিশের শুধু ডিএসপি থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন ১০৪ জন। সশস্ত্র বাহিনীর ছিলেন ৯৫ জন অফিসার, তাদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশে ছুটি ভোগ করেছেন। উপরোক্ত সবাই অবাধ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও শুধু সুবিধাবাদী ও কাপুরুষোচিত চরিত্রের কারণে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেননি। বিপরীতে ২৪ জন সামরিক অফিসার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। সুতরাং মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তানিদের সহযোগী- এ দুয়ের মনমানসিকতা, চিন্তা-চেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গির বিশাল পার্থক্য হবে সেটাই স্বাভাবিক। বেসামরিক প্রশাসনের সব জায়গাই ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের সহযোগী ছিলেন তারাই ১৭ ডিসেম্বর থেকে সব টপ পদ-পদবিতে বসে গেলেন। রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বিশেষ করে তার বাস্তবায়নের সব ক্ষমতা থাকে তাদের হাতে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের কোনো ভূমিকা থাকে না। ম্যাকিয়েভেলি ‘দ্য প্রিন্স’ গ্রন্থে বলেছেন- সুবিধাভোগী ও কাপুরুষেরা চাটুকারিতা ও তোষামোদীতে পটু এবং কিছুটা করিৎকর্মা হয়। যার কারণে অনেক সময় রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের সঠিক চরিত্র ধরতে পারেন না। কাপুরুষোচিত চরিত্রের কারণে তারা সব সময় বীরদের প্রতি চরম ঈর্ষা, হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করেন। সব সময়ই সুযোগের সন্ধানে থাকেন। সুযোগ পেলেই বীর ও বীরত্বের সবকিছু বিনাশ করতে একটুও দ্বিধা করেন না। ১৯৭৫ সাল ও তারপর বাংলাদেশে সেটাই ঘটেছে। সামরিক বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা অফিসাররাই শীর্ষ পদে ছিলেন। কিন্তু তাদের অপরিপক্বতা অনভিজ্ঞতা ও দূরদৃষ্টির অভাব যেমন ছিল তেমনি তারা সবাই ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দর্শনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। পাকিস্তান রাষ্ট্রের সর্বত্র সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব দেখে তারা অভ্যস্ত, সেখানে সামরিক আমলারা নিজস্ব পেশার গন্ডি পেরিয়ে রাষ্ট্রের সার্বিক পরিচালনার বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনায় বেশি সময় ব্যয় করেন, যা মূলত রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাজ। সংগত কারণে বঙ্গবন্ধুর জনগণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক কর্তৃত্বের পরিপূর্ণ অধীনে অনুগত থাকাটাকে মানসিকভাবে কতটুকু তারা মেনে নিতে পেরেছিলেন সে প্রশ্নটা ওঠা স্বাভাবিক। কারণ ১৫ আগস্ট সকালে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা, যারা প্রায় সবাই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তারা যদি বিদ্রোহী ও রাষ্ট্রপতি হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতেন তাহলে স্বল্প কয়েকজন বিদ্রোহী অফিসার পালানোর পথ পেত না। এ ব্যবস্থা না নিয়ে তারা সেনা আইন ও নিজেদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রের সব শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ পদে ছিলেন একাত্তরে পাকিস্তানের একান্ত সহযোগী ও পাকিস্তান থেকে প্রত্যাগত অফিসার। দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রেক্ষাপট তৈরি হলো, তারা কেউ কিছু জানতে পারলেন না। সবাই জানেন বঙ্গবন্ধু নিহত হন ১৫ আগস্ট সকাল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে। কিন্তু হত্যাকারীরা বড় বড় ট্যাংক, গোলন্দাজ কামান ও ট্রাকভর্তি গোলাবারুদ নিয়ে ঢাকা সেনানিবাস থেকে শহরের দিকে যেতে থাকে রাত ১২টার পরপর। কিন্তু কোনো গোয়েন্দা সংস্থা কিছু জানলেন না বা বুঝলেন না। সুতরাং যা হওয়ার সেটাই হলো। বাংলাদেশ ভয়াবহ এক কালো অন্ধকারের যুগে প্রবেশ করল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের প্রেক্ষাপটটি ছিল ভিন্ন। তখন রাষ্ট্রক্ষমতায় জামায়াত-বিএনপি। জামায়াতের মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে বললেন, এদেশে কখনোই কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, যার মাধ্যমে বোঝা গেল, তারা মুক্তিযুদ্ধের কোনো চিহ্ন বাংলাদেশে রাখবেন না। সুতরাং তখন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার অর্থে পুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী বর্তমান সময়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড আক্রমণ চালায়। গ্রেনেড আক্রমণে মজিদ ভাট ও আবদুল মালেক নামের দুজন পাকিস্তানি জঙ্গি অংশ নেয়, যারা ফাঁসির দন্ড নিয়ে এখন বাংলাদেশের কারাগারে আছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিণতি : বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পথ ধরেই জেলের অভ্যন্তরে নিহত হলেন চার জাতীয় নেতা। তাতে বাংলাদেশ নেতৃত্বহীন হয়ে যায়। নির্বিচারে বহু বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যার শিকার হলেন। জীবিতরা রাষ্ট্রের সব অঙ্গনে আপাঙক্তেয় হয়ে গেলেন। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর পা রেখে ক্ষমতায় আসা প্রথম সামরিক শাসক মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, দর্শন, চিন্তা-চেতনা ইতিহাস ও ঐতিহ্য বলতে যা কিছু বোঝায় তার সবকিছু সামরিক আদেশ দ্বারা সংবিধান থেকে বাতিল করে দিলেন। ফিরে এলো পরিত্যক্ত পরাজিত সবকিছু, যা বর্জন করার জন্যই বাঙালি সংগ্রাম করেছে ২৩ বছর, যুদ্ধ করেছে একাত্তরে। একাত্তরে যারা পাকিস্তানের সহযোগী ছিলেন তারা প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিসহ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সর্বত্র চালকের আসনে অধিষ্ঠিত হলেন। ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি ফিরে এলো। জামায়াত, রাজাকার, আলবদরসহ একাত্তরের ঘাতকরা রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ফিরে এলেন। মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রো ডলারের সহযোগিতায় দেশের শহর, বন্দর, গ্রামগঞ্জে ছোট-বড় মাদরাসার ছদ্মবেশে চরম উগ্রবাদীদের প্রতিপত্তি ও প্রভাবের বিস্তার ঘটতে থাকে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আবার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টি দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে। রাষ্ট্র, সমাজ ও শিক্ষাঙ্গন থেকে বাঙালি সংস্কৃতি সব কর্মকান্ড প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলা রাষ্ট্রীভাবে বর্জিত হয়। রাষ্ট্রের কাছে জাতির পিতা ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র মূল্যহীন হয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে চরমভাবে বিকৃত করা হয়। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্মান্ধ জঙ্গিদের উত্থান ঘটে। বিশ্বের গবেষণা সংস্থা ও মিডিয়া হাউস থেকে বলা হয় পরবর্তী আফগানিস্তান হবে বাংলাদেশ। কালো এক অন্ধকারের মধ্যে পড়ে রাষ্ট্র ভূতের মতো পেছনের দিকে চলতে থাকে। দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। বিশ্বব্যাংক ও দাতাদের দান-অনুদান ব্যতিরেকে বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন সম্ভব হয় না। কিন্তু সংগ্রামী বাঙালি একসময়ে রুখে দাঁড়াতে শুরু করে। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাজনীতির হাল ধরায় নতুন প্রজন্ম আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে ওঠে। ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে। বড় বড় যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ব অঙ্গনে এখন নতুন সম্ভাবনাময় এক দেশের নাম বাংলাদেশ।

আগামীর বাংলাদেশ : অতীত ও বর্তমানকে বাদ দিয়ে ভবিষ্যৎ গড়া যায় না। গত প্রায় ১৫ বছর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মূল্যবোধকে ধারণ করে রাষ্ট্র চলছে বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্ব অঙ্গনে মর্যাদাশীল একটি অবস্থানে অধিষ্ঠিত হতে পেরেছে। সারা বিশ্বের নজর এখন বাংলাদেশের দিকে। দারিদ্র্য বিমোচন ও জঙ্গি সন্ত্রাস দমনের রোল মডেল। পরবর্তী আফগানিস্তান নয়, এখন বিশাল এক সম্ভাবনার নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য সারা বিশ্বের দরজা আজ উন্মুক্ত। জঙ্গি সন্ত্রাস আর উগ্রবাদের অপবাদ কেউ দিতে পারে না। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, আকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন রেল কানেকশন অদূর ভবিষ্যতে সরাসরি পূর্বদিকে মিয়ানমার হয়ে একদিকে চীন, অন্যদিকে থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম এবং পশ্চিমে ভারত, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক হয়ে ইউরোপ, আর মধ্য এশিয়া হয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যে বৈশ্বিক কানেকটিভিটি তৈরি হতে চলেছে তার হাব বা ভরকেন্দ্র হবে বাংলাদেশ। তখন বাংলাদেশের মানুষকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। পদ্মা সেতুর জন্যই এ বিশাল সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ।  চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে ২৫তম অর্থনীতির দেশ হব আমরা। কিন্তু এসব সম্ভাবনা মোটেই চ্যালেঞ্জমুক্ত হয়। বড় চ্যালেঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী রাজনীতি। ধর্মান্ধতা, জামায়াত, হেফাজতের আস্ফালন বাড়ছে বৈ কমছে না। নীতি ও আদর্শ নয়, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক পক্ষের বড় দুর্বলতা। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে মোটেই বিশ্বাসী নয় এমন লোক আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরে ঢুকে পড়েছে, যারা সুযোগ পেলেই ভিতরে থেকে আঘাত করবে। তবে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম, নতুন ভোটার যদি সচেতন ও সতর্ক থাকে এবং উপলব্ধি করে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কোন ধরনের রাষ্ট্র ও রাজনীতি অপরিহার্য, তাহলে সব শঙ্কা ও চ্যালেঞ্জ উতরিয়ে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।

 

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
ভিসা জটিলতা
ভিসা জটিলতা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
সর্বশেষ খবর
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’
‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন
জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা
শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’
জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি
৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু
২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির
ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ
ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার
ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড
দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ
গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত
মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল
ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!
নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ
আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান
পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’
‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা
অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়
কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান
আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান
রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের
বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে
এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে

নগর জীবন

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল
পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল

নগর জীবন

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের
ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের

পেছনের পৃষ্ঠা

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে

নগর জীবন

জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ
জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ

নগর জীবন

সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে
সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে

নগর জীবন

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

নগর জীবন

পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ
পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ

পেছনের পৃষ্ঠা