শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩

আলেকজান্ডারের পড়াশোনা ও সাম্রাজ্য জয়

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
আলেকজান্ডারের পড়াশোনা ও সাম্রাজ্য জয়

বর্তমান সময় থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের কাহিনি। সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে বলতে হয় সেটা ছিল ১ অক্টোবর ৩৩১ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ। পারস্য দেশের গাউগামেলা প্রান্তরে দুই বাহিনী পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার সেনাসামন্ত নিয়ে একদিকে গ্রিক বীর আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট অন্যদিকে দুই লক্ষাধিক সৈন্য নিয়ে সম্রাট দারায়ুসের পক্ষে পারস্য সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সেই যুদ্ধে প্রজারা যোগ দিয়েছে দলে দলে।  ব্যাবিলনের দিক থেকে সৈন্যরা এলো সপ্তাহ ধরে। লোহিত সাগরের তীর ঘেঁষে আরবরা এলো উটের পিঠে চড়ে। দামি পোশাক পরিহিত ভারতীয়রা এলো বর্ম সজ্জিত হয়ে হাতি নিয়ে। দুর্ধর্ষ ব্যাকট্রিয়রা এলো বিশাল অশ্বারোহী বাহিনী সঙ্গে নিয়ে। পর্বতসংকুল আফগানিস্তান থেকে আফগান বাহিনীর হিরকানিয়রা এলো ঘোড়ায় চেপে হাতে সুতীক্ষè ধারালো বল্লম। এভাবে আরও অসংখ্য যোদ্ধা এসে যোগ দিল সেই মহাযজ্ঞে। সম্রাট দারায়ুস হয়তো আশা করে ছিলেন তাঁর এ বিশাল বাহিনীর সাহায্যে পরাজিত করতে পারবেন আলেকজান্ডারকে। কিন্তু তাঁর এ বিশাল বাহিনীর মারাত্মক অভাব ছিল দুটি। একটি হলো একজন দক্ষ সেনানায়কের অপরটি শৃঙ্খলার। আলেকজান্ডারের প্রাচীন জীবনী লেখকদের অন্যতম আরিয়ানের মতে, আলেকজান্ডারের সঙ্গে ছিল ৪০ হাজার পদাতিক ও ৮ হাজার অশ্বারোহী সেনা। দারায়ুসের সেনাবাহিনীর তুলনায় আলেকজান্ডারের বাহিনী অত্যন্ত ক্ষুদ্র হলেও তাদের মধ্যে ছিল শৃঙ্খলা এবং দক্ষ সেনাপতিত্ব।

যেদিন যুদ্ধ শুরু হওয়ার কথা অর্থাৎ ১ অক্টোবর ভোরে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বেশ কয়েকজন সেনাপতি ও সঙ্গীসাথী আলেকজান্ডারের তাঁবুতে এসে হাজির। সেখানে পৌঁছাতেই তাদের বিস্ময়ের সীমা রইল না, কারণ তখনো আয়েশ করে ঘুমাচ্ছেন আলেকজান্ডার। গভীর ঘুমে ব্যাপৃত আছেন তিনি। সবাই মিলে তাঁবুর বাইরে পায়চারি করলেন কিছুক্ষণ। দেরি হয়ে যাচ্ছে দেখে আলেকজান্ডারের এক বন্ধু ও সেনাপতি পারমেনিও বেশ কয়েকবার ডেকে জাগালেন তাঁকে। ভ্রুদুটো কুঁচকে পারমেনিও আলেকজান্ডারকে উদ্দেশ্য করে বললেন, বলুন তো এও কি সম্ভব! এমন একটি সাংঘাতিক ও ঘোরতর যুদ্ধের সম্মুখীন হয়েও আপনি কী করে নিরুদ্বেগে ঘুমাচ্ছেন? আলেকজান্ডার মৃদু হেসে উত্তর দিলেন- আমরা তো জয়ী হয়েই আছি। পারমেনিও দ্বিগুণ বিস্ময়ে বললেন, সে কীভাবে? আলেকজান্ডার তক্ষুনি বালিশের নিচ থেকে হোমারের ‘ইলিয়াড’ বইটি বের করে সবাইকে দেখিয়ে বললেন, এ বইটা ভালো করে দেখ। এটা আমার প্রায় মুখস্থ বলতে পার। এ বইয়ে লিখিত প্রতিটি যুদ্ধকৌশল আমার নখদর্পণে। তবুও ভাবছ দারায়ুস জিতবে এ যুদ্ধে? আলেকজান্ডার আরও বললেন, তা ছাড়া পারস্য সম্রাট দারায়ুস এ রণাঙ্গনেই অবস্থান করছেন। উনি যদি আড়াল থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করতেন তাহলে কী কষ্টটাই না হতো বল। বিশাল সাম্রাজ্যের দুর্গম অঞ্চলে দারায়ুসের পেছন পেছন ধাওয়া করার কষ্ট থেকে তো অন্তত বাঁচা গেছে। সে যাই হোক সত্যি সত্যি আলেকজান্ডারের বালিশের নিচে যে দুটো জিনিস সব সময় থাকত তার মধ্যে একটি হচ্ছে হোমারের বিশ্ববিখ্যাত মহাকাব্য ‘ইলিয়াড’। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে একটি ধারালো খড়গ। আলেকজান্ডারের পিতা দ্বিতীয় ফিলিপ আঁততায়ীর হাতে নিহত হয়েছিলেন বলে আলেকজান্ডারের মনেও সর্বদা এক ধরনের ভয় কাজ করত, ফলত তিনি বালিশের নিচে একটি ধারালো ডেগার নিয়ে ঘুমাতেন সব সময়। এবার তাঁর পড়াশোনার বিষয়ে কিছু বলা যাক। আলেকজান্ডারের মাত্র ১৩ বছর বয়সে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন ভুবনখ্যাত দার্শনিক ও জ্ঞান তাপস শিক্ষাগুরু এরিস্টটলকে। তার পিতা সম্রাট ফিলিপই এরিস্টটলকে অনুরোধ করেছিলেন আলেকজান্ডারকে পড়াতে। ফিলিপের অনুরোধ ফেলতে পারেননি এরিস্টটল। তাঁর পিতা নিকোম্যাকাস দীর্ঘদিন মেসিডোনিয়ার রাজগৃহে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফলে চক্ষুলজ্জার কারণে হলেও এ অনুরোধ উপেক্ষা করা এরিস্টটলের পক্ষে অসম্ভব ছিল। এরিস্টটলের শিক্ষাগুরু বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক প্লেটোর তিরোধানের পর তিনি চলে গিয়েছিলেন লেসবস শহরে। ফিলিপের আহ্বানে তিনি নিযুক্ত হলেন রাজমহলের শিক্ষক হিসেবে। এরিস্টটলের সংস্পর্শে এসে বই পাঠে ভীষণভাবে অনুরাগী হয়ে ওঠেন আলেকজান্ডার। জ্ঞান অন্বেষণে প্রবলভাবে ব্রতী হন তিনি। এরিস্টটল, বালক আলেকজান্ডার হাতে তুলে দেন অন্ধ গ্রিক কবি হোমারের ইলিয়াড, অডেসি ও অন্যান্য বহু মূল্যবান গ্রন্থ। ইলিয়াড ও অডেসি পড়ে ভীষণ মুগ্ধ হন তিনি। বিশেষ করে ইলিয়াড তাকে এতটাই চমৎকৃত করে যে আজীবনের মতো তিনি সঙ্গী করে নেন ইলিয়াড বইটি।

আলেকজান্ডারের কাছে ইলিয়াড বইটি নতুন হলেও এর কিছু কিছু কাহিনি আলেকজান্ডারের কাছে নতুন নয়। বিশেষ করে একিলিসের বীরত্বগাঁথা কাহিনি তিনি বহুবার শুনেছেন মা অলিম্পিয়াসের মুখে। রাতে ঘুমানোর আগে মা অলিম্পিয়াস ছেলের পাশে শুয়ে শোনাতেন ট্রয়ের গল্প, একিলিসের গল্প। আলেকজান্ডার তন্ময় হয়ে শোনেন সেসব কাহিনি। মনে মনে সংকল্প করেন তিনিও একদিন হবেন একিলিসের মতো শ্রুতকীর্ত যোদ্ধা। আলেকজান্ডার যে কী অসামান্য সাহিত্য অনুরাগী ছিলেন সে আলোচনায় আসব পরে কিন্তু আগে এ ইলিয়াড প্রসঙ্গে আরেকটা গল্প বলি। সম্রাট দারায়ুসের পরিত্যক্ত প্রাসাদ থেকে বহু মূল্যবান জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছিল, তন্মধ্যে ছিল মণিমুক্তাখচিত অদ্ভুত ছোট একটি বাক্স। তিনি তাঁর বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করলেন, এর মধ্যে কি উপযুক্ত জিনিস রাখা যেতে পারে। সতীর্থ মহল থেকে বিভিন্ন জিনিসের নাম প্রস্তাব করা হলো। কিন্তু তিনি বললেন যে, মহাকাব্য ইলিয়াডই হচ্ছে একমাত্র উপযুক্ত বস্তু যা এর মধ্যে রাখা যেতে পারে। সেনাদলের মধ্য থেকে কেউ কেউ অস্ফুট স্বরে ফিসফিস করে বললেন, সে তো বটেই! আলেকজান্ডারের যুদ্ধ পরিচালনায় মহাকবি হোমারের এ মহাকাব্যটিই তো তাঁকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, আরেকটি বই দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল আলেকজান্ডারকে। সেই বইটিও তিনি পড়তেন বারবার। দার্শনিক জেনোফেন লিখিত ‘অ্যানাবাসিও’ সত্যিই একটি মনোমুগ্ধকর গ্রন্থ। বইটি জেনোফেনের স্মৃতিচারণমূলক একটি বই। মহাজ্ঞানী সক্রেটিসের যে দুই-চারজন বিখ্যাত ছাত্র ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জেনোফেন ও প্লেটো। প্লেটোর ছাত্র এরিস্টটল আর এরিস্টটলের ছাত্র আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট। যাই হোক জেনোফেনের কথা বলছিলাম। জেনোফেন ছিলেন একাধারে লেখক, দার্শনিক, ইতিহাসবিদ ও সেনাদক্ষ। তিনি দশ-বারোটির মতো গ্রন্থের জনক ছিলেন। শুধু ‘অ্যানাবাসিও’ই নয় তাঁর অন্যান্য বইও ইতিহাসে সমান গুরুত্বপূর্ণ। আগেই বলেছি জেনোফেন একজন সেনাদক্ষ ছিলেন। গ্রিক সেনাবাহিনীর একটি অংশ ছিল যারা টাকার বিনিময়ে অন্য দেশের হয়ে যুদ্ধ করত। জেনোফেন ছিলেন সেই সেনাদলের একজন জেনারেল। একবার তিনি পারস্যের সিংহাসনচ্যুত সম্র্রাট সাইরাস দ্য ইয়াং-এর পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। সেই সেনাদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জেনোফেন। সাইরাসের সেনাদলটি জেনোফেনের নেতৃত্বে এজিয়ান সমুদ্র অতিক্রম করে আনাতোলিয়া (তুরস্ক) হয়ে আধুনিক সময়ের ইরাক পর্যন্ত অগ্রসর হয়। যদিও জেনোফেনের বাহিনী এ যুদ্ধে জয়লাভ করে ঠিকই কিন্তু সাইরাসের হঠাৎ মৃত্যুতে সেনাবাহিনীর জন্য এক অনিশ্চয়তা নেমে আসে এবং দলটি পারস্য অঞ্চলের গভীরে একা পড়ে যায়। সেনাদলটিকে ইরাক থেকে আর্মেনিয়া হয়ে গ্রিসে ফিরে যেতে হবে। অতিক্রম করতে হবে কৃষ্ণসাগর, এরপর থ্রেস এবং এরপর তাদের পৌঁছাতে হবে গ্রিস। জেনোফেন তাঁর এ বইটি সেনাদলের নেতৃত্ব, যুদ্ধ এবং গুরুত্বপূর্ণভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে মার্চ করে গ্রিসে ফিরে যাওয়ার সময় লিখেছিলেন। জেনোফেন এ বইটিতে লিপিবদ্ধ করেছিলেন শত-প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কীভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হয় এবং শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। উপরন্তু এ বইটিতে ছিল পারস্য অঞ্চলের একটি দুর্দান্ত মানচিত্র। ‘অ্যানাবাসিও’ নিঃসন্দেহে একটি বিনোদনমূলক এবং তথ্যপূর্ণ বই। বইটি পড়া সহজ। একজন সৈনিক এবং একজন জেনারেল উভয়ের দৃষ্টিকোণ থেকেও সেই সময় সম্পর্কে অসাধারণ একটি গ্রন্থ। ইতিহাস থেকে আমরা এও জানি যে, এ বইটি শুধু আলেকজান্ডারকেই অনুপ্রাণিত করেনি বরং এটি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন জুলিয়াস সিজার, নেপোলিয়ন থেকে শুরু করে ম্যাকিয়াভেলি পর্যন্ত। আলেকজান্ডার সম্ভবত বিখ্যাত চৈনিক দার্শনিক ও সমরবিদ সান জুর লেখা ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ বইটিও পড়েছিলেন। পৃথিবী জয় করতে গিয়ে তার রণকৌশলে সান জুর ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ বইটির প্রভাব ভীষণ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় সান জু তাঁর লিখিত বইয়ে তিনি লিখেছেন- কোনো রাজ্য একবারে অধিকার করা সম্ভব না হলে অল্প অল্প অঞ্চল অধিকার করে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ রাজ্য জয় করে নেওয়ার দর্শন। আলেকজান্ডারও সান জুর দর্শন অনুযায়ী- সমুদ্র উপকূলের অঞ্চলগুলো দখল করে সেই অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত সম্পদ দ্বারা নিজকে আরও শক্তিশালী করে, তারপর দারায়ুসের বিরুদ্ধে অভিযান করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন। ফেয়েনিশিয়া, সিলিশিয়া পর্যন্ত সব ভূ-ভাগ জয় করার জন্য দ্রুত অগ্রসর হলেন। তিনি যে থিওভেক্টেসের দর্শন কতটা ভালোবাসতেন তার নজির পাওয়া যায় একটি ঘটনায়। সিলিশিয়া জয় করার সময় তিনি কিছু সময়ের জন্য একটি স্থানে অবস্থান করছিলেন, তখন তিনি সেখানকার বাজারে প্রয়াত দার্শনিক থিওডেক্টেসের প্রতিমূর্তি দেখতে পান। এরিস্টটলের কাছ থেকে এবং দর্শন অধ্যয়নের মাধ্যমে তার সম্বন্ধে তিনি বিশদভাবে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। এ মৃত দার্শনিকের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য তিনি তাঁর প্রতিমূর্তি মাল্য দ্বারা ভূষিত করেন। মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত ও তাঁর গুরু চাণক্যের মধ্যেও এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেই কাহিনিটি এখানে তুলে ধরার লোভ সংবরণ করতে পারলাম না। চাণক্য তার শিষ্য চন্দ্রগুপ্তকে দীর্ঘকাল ধরে প্রশিক্ষিত করেছিলেন, যাতে করে মগধের রাজা নন্দকে উৎখাত করে চন্দ্রগুপ্তকে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করা যায়। সেই লক্ষ্যে চাণক্য চন্দ্রগুপ্তকে দিয়ে মগধরাজ্য আক্রমণ করান কিন্তু প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে চন্দ্রগুপ্ত ও চাণক্য দুজনেই ফেরার হন। দুজনেই ছদ্মবেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এমন সময় একদিন রাতে এক গৃহস্থের গৃহের পেছনে দুজন ক্লান্ত হয়ে অবস্থান নিয়েছেন। এমন সময় শুনতে পেলেন বাড়ির গৃহকর্ত্রী থালায় গরম গরম খিচুড়ি তুলে দিচ্ছেন ছেলেমেয়ের পাতে। হঠাৎ গৃহকর্ত্রীর এক ছেলে থালার মাঝখান থেকে খাবার তুলে মুখে তুলবেন হঠাৎ উহ্ শব্দে চিৎকার করে উঠলেন- খিচুড়ি তো আগুনের মতো গরম! খাব কীভাবে? গৃহকর্ত্রী বললেন, তুই কী চাণক্যের মতো মূর্খ হয়েছিস। থালার মাঝখান থেকে কেন খাচ্ছিস? পাশ থেকে অল্প অল্প করে মুখে তোল। চাণক্যের চোখ খুলে গেল। তিনি বুঝলেন একবারে নন্দরাজাকে যুদ্ধে পরাজিত করা যাবে না। মগধের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলো আগে জয় করতে হবে, তারপর ধীরে ধীরে অধিকার করতে হবে সম্পূর্ণ মগধ। চাণক্য বহু বিষয়ে পন্ডিত ছিলেন। তিনি সান জুর ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ পড়েছিলেন কি না বলতে পারব না, তবে চাণক্য চন্দ্রগুপ্তকে আলেকজান্ডারের সৈন্যশিবিরে পাঠিয়েছিলেন যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল শিখতে। আলেকজান্ডার যখন ভারতের পাঞ্জাবে অবস্থান করেছিলেন তখন চন্দ্রগুপ্ত বেশ কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন আলেকজান্ডারের সৈন্যবাহিনীতে। তারপর একসময় পালিয়ে আসেন সেখান থেকে। আমার ধারণা চন্দ্রগুপ্ত সান জুর এ যুদ্ধকৌশল আলেকজান্ডার মুখ থেকে শুনতে থাকবেন এবং চাণক্যকে বলে থাকবেন। কবিতা পাঠও ছিল আলেকজান্ডার একটি প্রিয় বিষয়। অনেকগুলোর মধ্যে তাঁর অন্যতম প্রিয় ছিল গ্রিক কবি পিন্ডার। থিবস অঞ্চল আক্রমণ করার সময় তিনি শুধু পিন্ডারের বাড়িটিকেই রেহাই দিয়েছিলেন।

১০০ বছরের অধিককাল আগে কবি পিন্ডার এ বাড়িটিতে বাস করতেন। আলেকজান্ডারের কাছে এ বাড়িটি ছিল পবিত্র, যেমন তিনি পবিত্র মনে করতেন গ্রিকদের গৌরবের যুগের জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য সাধনাকে। তিনি সংকল্প করেছিলেন গ্রিকদের সাধনাকে জগতের দিকে দিকে পরিব্যাপ্ত করবেন। সমগ্র এশিয়া এবং প্রাচ্যের দেশে দেশে গ্রিক জাতির মর্মবাণী বহন করে নিয়ে যাবেন। সেসব দেশের অধিবাসীর মধ্যে গ্রিকদের সাধনা আবার নতুন করে বাঁচবে।  তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন পৃথিবীর সব জাতিকে তিনি একত্রিত করবেন। তারা পরস্পর যুদ্ধ করবে না। তারা মিলে মিশে শান্তি-সমৃদ্ধিতে বাস করবে। কিন্তু তিনি জানতেন তাঁর এ মহান স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে তাঁকে যুদ্ধ করতে হবে। যুদ্ধ করে সব জাতিকে বশ করতে হবে। তাঁর কথা শুনতে বাধ্য করতে হবে। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট ডায়োজেনিসের দর্শন পড়ে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, তিনি নিজেই ডায়োজেনিস হতে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বজয়ের আগে নানা স্থান থেকে খ্যাতনামা ব্যক্তি, মন্ত্রী, দার্শনিকজাতীয় মানুষ তাঁকে অভিবাদন জানাতে এলেন এবং জেনারেল রূপে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য আনন্দ প্রকাশ করলেন। সিনোপির দার্শনিক ডায়োজেনিস সে সময় করিন্থে বাস করতেন। আলেকজান্ডার প্রত্যাশা করেছিলেন ডায়োজেনিস তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসবেন। কিন্তু তিনি নিরাশ হলেন, ডায়োজেনিস এলেন না। তারপর তিনি নিজেই সপারিষদ দার্শনিককে সাক্ষাৎ দিতে গেলেন।  আলাপচারিতার এক পর্যায়ে আলেকজান্ডার বললেন, আপনার জন্য আমি কী করতে পারি? ডায়োজেনিস উত্তরে ঈষৎ হেসে বললেন, এ মুহূর্তে আমার সামনে থেকে একটু সরে দাঁড়ান। রোদের আলোয় আমাকে একটু উষ্ণ হতে দিন। আপাতত এতটুকু করলেই আমি সন্তুষ্ট। দার্শনিক ডায়োজেনিসের কথায় আলেকজান্ডারের সঙ্গে আসা তাঁর সঙ্গীরা খেপে গেলেন। আলেকজান্ডার তাদের থামিয়ে দিয়ে বললেন, তোমরা সবাই শান্ত হও ‘আমি যদি আলেকজান্ডার না হতাম, তবে ডায়োজেনিস হতে চাইতাম।’ 

 

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী

ইমেইল :   [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
অপহরণের ৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি দশম শ্রেণির ছাত্রী
অপহরণের ৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি দশম শ্রেণির ছাত্রী

৪৫ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দেখতে বিসিবি সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানাল বাফুফে
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দেখতে বিসিবি সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানাল বাফুফে

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার রায়ে নারায়ণগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ
শেখ হাসিনার রায়ে নারায়ণগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতির পদ ফিরে পেলেন খুরশিদ আলম মতি
ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতির পদ ফিরে পেলেন খুরশিদ আলম মতি

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মশা নিধনে চসিকের বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম
মশা নিধনে চসিকের বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম

১৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে রাবিতে মিষ্টি বিতরণ
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে রাবিতে মিষ্টি বিতরণ

১৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

উগান্ডাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা বাংলাদেশের
উগান্ডাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা বাংলাদেশের

১৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সীমান্ত সংঘাত এড়াতে আলোচনার প্রস্তাব দক্ষিণ কোরিয়ার
সীমান্ত সংঘাত এড়াতে আলোচনার প্রস্তাব দক্ষিণ কোরিয়ার

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব
শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড রায়ে বগুড়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড রায়ে বগুড়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রূপগঞ্জে ৩ ককটেলসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
রূপগঞ্জে ৩ ককটেলসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন

৩২ মিনিট আগে | পরবাস

গুম-খুনের বিরুদ্ধে আজকের রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে : খেলাফত মজলিস
গুম-খুনের বিরুদ্ধে আজকের রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে : খেলাফত মজলিস

৩২ মিনিট আগে | রাজনীতি

পটুয়াখালী কারাগারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
পটুয়াখালী কারাগারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

লালদিয়ায় ডেনমার্কের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা: প্রধান উপদেষ্টা
লালদিয়ায় ডেনমার্কের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা: প্রধান উপদেষ্টা

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

কান্নার শব্দ শুনে বাথরুম থেকে নবজাতক উদ্ধার
কান্নার শব্দ শুনে বাথরুম থেকে নবজাতক উদ্ধার

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে নোয়াখালীতে মিষ্টি বিতরণ
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে নোয়াখালীতে মিষ্টি বিতরণ

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নাসির সিন্টেক্স মোটরস বাজারে আনছে টু-হুইলার
নাসির সিন্টেক্স মোটরস বাজারে আনছে টু-হুইলার

৪৮ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

নাশকতা ঠেকাতে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বিএনপির অবস্থান
নাশকতা ঠেকাতে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বিএনপির অবস্থান

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারও শুরু করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারও শুরু করতে হবে: নাহিদ ইসলাম

৫১ মিনিট আগে | রাজনীতি

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুশফিককে শততম টেস্ট রাঙাতে দিতে চায় না আয়ারল্যান্ড
মুশফিককে শততম টেস্ট রাঙাতে দিতে চায় না আয়ারল্যান্ড

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে দেনার দায়ে বাড়ি নিলামে উঠার হার ১৯% বেড়েছে
যুক্তরাষ্ট্রে দেনার দায়ে বাড়ি নিলামে উঠার হার ১৯% বেড়েছে

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জে মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ ও সুষম মাত্রার সার ব্যবহারে কৃষক প্রশিক্ষণ
মুন্সীগঞ্জে মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ ও সুষম মাত্রার সার ব্যবহারে কৃষক প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত
গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দেখা মিলল বকফুলের
দেখা মিলল বকফুলের

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ
লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার নতুন শাকিব খান
এবার নতুন শাকিব খান

শোবিজ

ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত
ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত

মাঠে ময়দানে

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি
রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি

শোবিজ

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

কার অপেক্ষায় মাহি?
কার অপেক্ষায় মাহি?

শোবিজ

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!
হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!

মাঠে ময়দানে

নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী
নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে
নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের
ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের

পেছনের পৃষ্ঠা

এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার
এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার

মাঠে ময়দানে

৯৩ রানে অলআউট ভারত
৯৩ রানে অলআউট ভারত

মাঠে ময়দানে

১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট
১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট

মাঠে ময়দানে

দর্শক মাতালেন কনা
দর্শক মাতালেন কনা

শোবিজ

সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল
সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল

মাঠে ময়দানে

শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা
শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

শোবিজ

বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন
বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে