শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪ আপডেট:

সম্পর্কের কাঁটাতারে শূন্যতা একজন প্রণব মুখার্জির

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
 সম্পর্কের কাঁটাতারে শূন্যতা একজন প্রণব মুখার্জির

সম্পর্কের টানাপোড়েনে একজন প্রণব মুখার্জির অভাব অনুভব করছি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে তিনি অন্য উচ্চতা দিয়েছিলেন। ধরে রেখেছিলেন অনেক কিছু। প্রণবকে বলা হতো ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য। আইনে মাস্টার্স করে সাংবাদিকতা পেশা দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন। তারপর যোগ দেন শিক্ষকতায়। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ছিলেন ক্রাইসিস ম্যানেজার। ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকটময় মুহূর্তগুলোয় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতেন। বিদেশনীতিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গুরুত্ব দিতেন।  দলমতনির্বিশেষে প্রশংসিত ছিলেন সবার কাছে। ভারতের দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছিলেন তিনি। স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য কাজ করেছেন। ভারতের সব দলের নেতারাই প্রণবকে দেখতেন ভিন্ন চোখে। অন্য উচ্চতায়। তিনি ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির শিক্ষক। তাঁর অসুস্থতার সময় ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক জয়ন্ত রায়চৌধুরী বলেছিলেন, প্রণববাবুর কোনো তুলনা চলে না। বিজ্ঞান এখনো এমন উচ্চতায় পৌঁছেনি প্রণববাবু চলে যাওয়ার সময় তাঁর ব্রেনটা সংরক্ষণ করার। তাঁর ব্রেনটা রেখে দেওয়ার দরকার ছিল শুধু ভারতের জন্য নয়, এ উপমহাদেশের জন্য। শুধু ইন্দিরা গান্ধী, মনমোহন সিং, নরসিমা রাও নন, সংকটে নরেন্দ্র মোদিও তাঁর পরামর্শ নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। নরেন্দ্র মোদি সব সময় প্রশংসা করতেন প্রণবের।

শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও পাকিস্তানের রাজনীতির অন্দরমহলেও ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। যোগাযোগ রাখতেন সবার সঙ্গে। খারাপ সময়ে আপনজনের মতো পাশে দাঁড়াতেন। বাড়িয়ে দিতেন সহায়তার হাত। পাকিস্তানের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। আবার শ্রীলঙ্কার চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গাও তাঁকে মানতেন। নেপালের রাজনীতিবিদদের অনেকে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়েকে তিনি পছন্দ করতেন। তাঁদের সম্পর্কটা ছিল পারিবারিক ও ব্যক্তিগত। একবার তিনি আমাকে বলেছিলেন, বিএনপির মুস্তাফিজুর রহমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। তিনি মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বাগেরহাট গিয়েছিলেন। আবার জিয়াউর রহমান তাঁকে দুবার আমন্ত্রণ জানিয়ে ঢাকা এনেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকার সময় বাংলাদেশ সফরকালে খালেদা জিয়ার আচরণে বিস্মিত হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দিল্লি সফরকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ঢাকা সফরকালে জামায়াতের হরতালে বিএনপি সমর্থন দিয়েছিল। খালেদা জিয়া কূটনৈতিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁর পূর্বঘোষিত সাক্ষাতের কর্মসূচি বাতিল করেন।

প্রণব মুখার্জি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশের প্রতি একটা টান ছিল। তিনি দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতেন। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রণবের সম্পর্ক ১৯৭১ সালে তৈরি। তিনি তখন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সমর্থন, সহায়তা ছিল। শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দুই হাত বাড়িয়ে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছিল। আলাপকালে প্রথমবার বঙ্গবন্ধু জানতে চেয়েছিলেন প্রণববাবুর পূর্বপুরুষ এখানকার কি না। জবাবে প্রণব বলেছিলেন, তিনি খাঁটি বাঙাল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে প্রণব পরিবারের গভীর হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সম্পর্কের বন্ধন তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বজায় ছিল। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তিনি নিজের পরিবারের সদস্য মনে করতেন। শুভ্রা মুখার্জিও সব সময় যোগাযোগ রাখতেন বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের বিপদে-আপদে প্রণব পাশে থাকতেন। প্রণবের পুত্র ও কন্যা এখন শেখ হাসিনাকে তাঁদের গার্জিয়ান হিসেবে দেখেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড প্রণব মুখার্জিকে আঘাত করেছিল। তিনি এ নিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার সময় প্রণব মুখার্জি নিয়মিত খোঁজখবর রাখতেন। স্বপ্নচারী রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জি সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন। আলাপে-আড্ডায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার প্রতি তাঁর গভীর মমত্বের কথা বলতেন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক লেখনীতেও বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের কথা আছে।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে পছন্দ করতেন। ডাকতেন বাঘা নামে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াবহ নিষ্ঠুর কালো অধ্যায়ের পর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রতিরোধ যুদ্ধের ডাক দেন। প্রণব মুখার্জি সে সময় কাদের সিদ্দিকীর পাশে দাঁড়ান। সব ধরনের সহায়তা দেন। বাংলাদেশের প্রতি প্রণবের গভীর টানের আরেকটি কারণ ছিলেন তাঁর স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জি। শুভ্রা মুখার্জি বৃহত্তর যশোরের মেয়ে। নড়াইলের ভদ্রবিলা গ্রামে তাঁর জন্ম। ১০ বছর বয়সে কলকাতা যান পরিবারের সঙ্গে। পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠা সেখানে। প্রণবের সঙ্গে বিয়ের পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুখদুখের সঙ্গী ছিলেন। শুভ্রার মৃত্যু প্রণবকে ভেঙে দিয়েছিল। তিনি সেই শোক সামলে উঠলেন ধীরে ধীরে। প্রণব ও শুভ্রার দুই পুত্র, এক কন্যা। পুত্র অভিজিৎ মুখার্জি একাধিকবার লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন আর রাজনীতি করছেন না। অভিজিৎ রাজনীতিতে সক্রিয়।

প্রণব মুখার্জির রাজনীতিতে আসাটা ছিল একটু অন্যভাবে। কলেজের অধ্যাপক রাজনীতিতে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। ১৯৬৯ সালে মেদিনীপুর উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন স্বতন্ত্রভাবে। হঠাৎ ভোট করে তিনি সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চোখে পড়েন ইন্দিরা গান্ধীর। ইন্দিরা তাঁকে দলে টেনে নেন। ইন্দিরার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা গভীর ছিল। তিনি ছিলেন ইন্দিরা ব্লু আই। সে সম্পর্ক নষ্ট হয় রাজীব গান্ধীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জেরে। তিনি কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। রাজীব তাঁকে বহিষ্কার করেন। অভিমান নিয়ে সমাজবাদী কংগ্রেস নামে একটি নতুন দল করেন। সে দলে তেমন সাফল্য আসেনি। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের আপনজনরাও তাঁকে ত্যাগ করেন। রাজীবের মৃত্যুর নানা পটপরিক্রমায় তিনি ১৯৯১ সালে আবার কংগ্রেসে সক্রিয় হন। প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাও তাঁকে পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান করেন। নরসিমার মন্ত্রিসভায় তিনি কাজ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। 

প্রণব মুখার্জি ব্যতিক্রমী একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সামাল দিতে তাঁর দক্ষতার তুলনা ছিল না। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন জটিল বিষয় সমাধানে গঠিত কমিটিগুলোয় তাঁকে রাখা হতো। ইন্দিরা গান্ধীর একটা আস্থা ছিল তাঁর ওপর। অন্যরাও মনে করতেন জটিল সমস্যাগুলোর সমাধান প্রণবই পারেন করতে। চলার পথে নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে আটটি বই লিখেছেন। বাংলাদেশের ওয়ান-ইলেভেনের সময়কার ঘটনা নিয়েও বই আছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করলেও বেশি আলোচিত ছিলেন অর্থ, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে।

প্রণব জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মিরাটি গ্রামে। এ গ্রামটি কীর্ণাহার শহরের কাছে। প্রণবের বাবার নাম কামদাকিঙ্কর মুখার্জি, মা রাজলক্ষ্মী দেবী। বাবা ছিলেন কংগ্রেস নেতা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। কারাভোগ করেছিলেন ১০ বছর। ভারত বিভক্তির পর তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন। ছোটবেলা থেকে রাজনৈতিক পরিমন্ডলে প্রণবের বেড়ে ওঠা। সাংবাদিকতা করেছেন ‘দেশের ডাক’ পত্রিকায়। তারপর কলেজের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ধীরে ধীরে বাবার পথ ধরে সক্রিয় হন রাজনীতিতে। ৫০ বছরের বেশি সময় জুড়ে ভারতীয় সংসদে ছিলেন। রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে যাত্রা করেন ১৯৬৯ সালে। ইন্দিরার মন্ত্রিসভায় উপমন্ত্রী হন ১৯৭৩ সালে। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮২ সালে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান প্রথম। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সফলতার সঙ্গে ভারতীয় অর্থনীতিতে নতুন গতি আনেন। প্রণবের সময় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন মনমোহন সিং। ২০০৪ সালে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আসন থেকে জিতে লোকসভায় যান। এ সময় তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করার কথা ছিল। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী বেছে নেন মনমোহনকে। প্রণব নীরবে সব হজম করেন। যোগ দেন মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভায়। কাজ করেন নিরলসভাবে।

প্রণব মুখার্জি ছিলেন প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব শেষ হয়। তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে সফল ছিলেন। ২৫ জুলাই, ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। প্রণব রাষ্ট্রপতি থাকার সময় সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতি ভবনে যেতে পারত। তিনি সবার জন্য খুলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবনের দরজা। তাঁর নির্বাচনি এলাকার লোকজন যখন তখন যেত। তিনি সবার সুখদুখের কথা শুনতেন। সংকটের সমাধান করতেন। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারত। কোনো বাধা ছিল না। শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকের সঙ্গে প্রণবের আলাদা সখ্য ছিল। রাষ্ট্রপতি থাকাকালে তাঁর সঙ্গে অনেকবার সাক্ষাৎ করেছি। তিনি একবার জানালেন, তোমাদের বাংলাদেশের শিল্পী শাহাবুদ্দিন এসেছিল। বেশ কিছুদিন থেকেছে আমার এখানে। রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকার সময় শিল্পী শাহাবুদ্দিন অনেক ছবি এঁকেছেন। আরেকবার দিল্লি গিয়েছিলাম অন্য একটি কাজে। হঠাৎ মনে হলো প্রণবদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। আবার চিন্তায় এলো এত দ্রুত রাষ্ট্রপতি সময় দিতে পারবেন কি না। তার পরও ফোন করলাম রাষ্ট্রপতির এপিএস প্রদ্যুৎদাকে। রাজীব গান্ধীর সময় প্রদ্যুৎ ছিলেন অল ইন্ডিয়া যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এপিএস হলেও প্রণব মুখার্জির সঙ্গে কাজ করেছেন রাজনৈতিক সচিব হিসেবে।

কুশলাদি বিনিময়ের পর প্রদ্যুৎদা অনুমান করলেন কেন ফোন করেছি। কিছু বলার আগেই বললেন, ঢাকা থেকে ফোন করে দিল্লি এলে কী হয়? বুঝতে হবে প্রণব মুখার্জি এখন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তাঁর সময়গুলো নির্ধারণ করা থাকে। জবাবে বললাম, এবার সাক্ষাৎ না পাওয়া গেলেও সমস্যা নেই। অন্য কাজে এসেছি। আমার একটা সালাম দিয়েন। দুই ঘণ্টা পর আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। অন্য প্রান্ত থেকে একজন বললেন, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এডিসি... বলছি। মি. নিজাম আগামীকাল বেলা আড়াইটায় আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। আপনার গাড়ির নম্বর দিন গেটে বলে রাখার জন্য। আপনি আসবেন ৩০ মিনিট আগে। নির্ধারিত সময়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলাম। ভিতরে গিয়ে দেখলাম প্রণব মুখার্জির নিজের এলাকা জঙ্গিপুর থেকে অনেকে এসে অপেক্ষা করছেন। কয়েকজনের সঙ্গে আলাপও হলো। সেদিন দুপুরে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ফুরফুরে মুডে ছিলেন। আমাকে পেয়ে বাংলাদেশ নিয়ে গল্প করলেন। তিনি শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন। বললেন শেখ রেহানার সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার কথা।

রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসরের পর তিনি উঠেছিলেন ১০ রাজাজি রোডের বাড়িতে। নতুন বাড়িতে ওঠার কয়েকদিনের মধ্যে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে বাড়িটি ঘুরিয়ে দেখালেন। বললেন, এ বাড়িতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকতেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম। নতুন বাড়ি পছন্দ হয়েছে কি না জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, চারপাশে অনেক জায়গা আছে। সকালে হাঁটতে পারব। লাইব্রেরি সাজিয়েছি। অনেক বইয়ের সংগ্রহ আছে। পড়ব। লিখব নিয়মিত। কথা বলার সময় তাঁর হাতে ছিল মওলানা ভাসানীর কাগমারী সম্মেলন নিয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদের লেখা একটি বই। বললাম, এ বইটি পড়েছেন? জবাবে বললেন, পড়ছি। কেউ একজন কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে অনেক বই দিয়ে গেছে। বই হলে আমার আর কিছু লাগে না। প্রণব মুখার্জি পড়তেন। লিখতেন। তাঁর লেখা আটটি বই বাজারে আছে। একটি বইতে বাংলাদেশের ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনাবলির কথা রয়েছে। এ নিয়েও কথা হয়েছিল। তিনি বইয়ের বাইরে বেশ কিছু বিষয় স্মৃতিচারণা করলেন। ফিরে এসে বাংলাদেশ প্রতিদিনে তা প্রকাশ করেছিলাম।

করোনাকালে প্রণব মুখার্জি অসুস্থ হলেন। ২০২০ সালের ৯ আগস্ট খবর পেলাম দিল্লির ১০ রাজাজি রোডের বাড়িতে তিনি বাথরুমে পড়ে গেছেন। আঘাত পেয়েছেন সামান্য। পরদিন সকালে দেখলেন বাঁ হাত নাড়াতে পারছেন না। শরীরে আরও কিছু সমস্যা হচ্ছে। একটু জ্বরও আছে। হাসপাতালে ভর্তি হন ১০ আগস্ট। পরীক্ষানিরীক্ষায় ধরা পড়ল করোনা পজিটিভ।  রয়েছে আরও কিছু সমস্যা। চিকিৎসকরা চিন্তিত হলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ দেখে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন জরুরি সার্জারি করবেন। পরিবারের অনুমতি নিলেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে লড়তে থাকলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি। টানা ২০ দিন লড়াই করলেন। ৩১ আগস্ট, ২০২০ সালে জীবনের শেষ লড়াইয়ে পরাস্ত হন। থেমে গেল প্রণব মুখার্জির দীর্ঘ পথচলা। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেন। না-ফেরার দেশে চলে গেলেন চিরতরে।

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
নিখোঁজের তিন দিন পর ধানক্ষেতে মিলল কৃষকের মরদেহ
নিখোঁজের তিন দিন পর ধানক্ষেতে মিলল কৃষকের মরদেহ

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় মাদক বুপ্রেনরফিনসহ গ্রেফতার ১
বগুড়ায় মাদক বুপ্রেনরফিনসহ গ্রেফতার ১

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধানের শীষকে কেউ হারাতে পারবে না: চট্টগ্রামে ইসরাফিল
ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধানের শীষকে কেউ হারাতে পারবে না: চট্টগ্রামে ইসরাফিল

৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বোয়ালমারীতে যুবকের লাশ উদ্ধার
বোয়ালমারীতে যুবকের লাশ উদ্ধার

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কপ-৩০ চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা
কপ-৩০ চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা

১৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি-বিষয়ক মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণ শুরু
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি-বিষয়ক মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণ শুরু

১৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'

২৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে চালু হচ্ছে ‘ই-ফ্যামেলি কোর্ট’
বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে চালু হচ্ছে ‘ই-ফ্যামেলি কোর্ট’

৩৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কোষের বার্ধক্য থামাতে ন্যানোফ্লাওয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবন
কোষের বার্ধক্য থামাতে ন্যানোফ্লাওয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবন

৩৯ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

দৌলতপুরে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ
দৌলতপুরে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানালেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং
বাংলাদেশে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানালেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং

৫৭ মিনিট আগে | পরবাস

ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে : মাজেদ বাবু
ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে : মাজেদ বাবু

৫৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আধুনিক নগরজীবন মানুষকে অসুস্থ করছে, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা
আধুনিক নগরজীবন মানুষকে অসুস্থ করছে, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নে তৃপ্তির গণসংযোগ
শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নে তৃপ্তির গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোপালগঞ্জে নতুন আলো ব্রি ধান ১০৩
গোপালগঞ্জে নতুন আলো ব্রি ধান ১০৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জ উন্নয়ন সোসাইটির বৃত্তি পরীক্ষার সনদ প্রদান
মুন্সীগঞ্জ উন্নয়ন সোসাইটির বৃত্তি পরীক্ষার সনদ প্রদান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাইবেরিয়ার বরফে মিলল ৪০ হাজার বছরের প্রাচীন আরএনএ
সাইবেরিয়ার বরফে মিলল ৪০ হাজার বছরের প্রাচীন আরএনএ

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়াতে হবে: ফরিদপুরে কৃষক দল নেতা
নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়াতে হবে: ফরিদপুরে কৃষক দল নেতা

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

২২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়
বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা