শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪ আপডেট:

সম্পর্কের কাঁটাতারে শূন্যতা একজন প্রণব মুখার্জির

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
 সম্পর্কের কাঁটাতারে শূন্যতা একজন প্রণব মুখার্জির

সম্পর্কের টানাপোড়েনে একজন প্রণব মুখার্জির অভাব অনুভব করছি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে তিনি অন্য উচ্চতা দিয়েছিলেন। ধরে রেখেছিলেন অনেক কিছু। প্রণবকে বলা হতো ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য। আইনে মাস্টার্স করে সাংবাদিকতা পেশা দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন। তারপর যোগ দেন শিক্ষকতায়। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ছিলেন ক্রাইসিস ম্যানেজার। ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকটময় মুহূর্তগুলোয় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতেন। বিদেশনীতিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গুরুত্ব দিতেন।  দলমতনির্বিশেষে প্রশংসিত ছিলেন সবার কাছে। ভারতের দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছিলেন তিনি। স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য কাজ করেছেন। ভারতের সব দলের নেতারাই প্রণবকে দেখতেন ভিন্ন চোখে। অন্য উচ্চতায়। তিনি ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির শিক্ষক। তাঁর অসুস্থতার সময় ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক জয়ন্ত রায়চৌধুরী বলেছিলেন, প্রণববাবুর কোনো তুলনা চলে না। বিজ্ঞান এখনো এমন উচ্চতায় পৌঁছেনি প্রণববাবু চলে যাওয়ার সময় তাঁর ব্রেনটা সংরক্ষণ করার। তাঁর ব্রেনটা রেখে দেওয়ার দরকার ছিল শুধু ভারতের জন্য নয়, এ উপমহাদেশের জন্য। শুধু ইন্দিরা গান্ধী, মনমোহন সিং, নরসিমা রাও নন, সংকটে নরেন্দ্র মোদিও তাঁর পরামর্শ নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। নরেন্দ্র মোদি সব সময় প্রশংসা করতেন প্রণবের।

শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও পাকিস্তানের রাজনীতির অন্দরমহলেও ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। যোগাযোগ রাখতেন সবার সঙ্গে। খারাপ সময়ে আপনজনের মতো পাশে দাঁড়াতেন। বাড়িয়ে দিতেন সহায়তার হাত। পাকিস্তানের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। আবার শ্রীলঙ্কার চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গাও তাঁকে মানতেন। নেপালের রাজনীতিবিদদের অনেকে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়েকে তিনি পছন্দ করতেন। তাঁদের সম্পর্কটা ছিল পারিবারিক ও ব্যক্তিগত। একবার তিনি আমাকে বলেছিলেন, বিএনপির মুস্তাফিজুর রহমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। তিনি মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বাগেরহাট গিয়েছিলেন। আবার জিয়াউর রহমান তাঁকে দুবার আমন্ত্রণ জানিয়ে ঢাকা এনেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকার সময় বাংলাদেশ সফরকালে খালেদা জিয়ার আচরণে বিস্মিত হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দিল্লি সফরকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ঢাকা সফরকালে জামায়াতের হরতালে বিএনপি সমর্থন দিয়েছিল। খালেদা জিয়া কূটনৈতিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁর পূর্বঘোষিত সাক্ষাতের কর্মসূচি বাতিল করেন।

প্রণব মুখার্জি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশের প্রতি একটা টান ছিল। তিনি দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতেন। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রণবের সম্পর্ক ১৯৭১ সালে তৈরি। তিনি তখন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সমর্থন, সহায়তা ছিল। শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দুই হাত বাড়িয়ে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছিল। আলাপকালে প্রথমবার বঙ্গবন্ধু জানতে চেয়েছিলেন প্রণববাবুর পূর্বপুরুষ এখানকার কি না। জবাবে প্রণব বলেছিলেন, তিনি খাঁটি বাঙাল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে প্রণব পরিবারের গভীর হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সম্পর্কের বন্ধন তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বজায় ছিল। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তিনি নিজের পরিবারের সদস্য মনে করতেন। শুভ্রা মুখার্জিও সব সময় যোগাযোগ রাখতেন বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের বিপদে-আপদে প্রণব পাশে থাকতেন। প্রণবের পুত্র ও কন্যা এখন শেখ হাসিনাকে তাঁদের গার্জিয়ান হিসেবে দেখেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড প্রণব মুখার্জিকে আঘাত করেছিল। তিনি এ নিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার সময় প্রণব মুখার্জি নিয়মিত খোঁজখবর রাখতেন। স্বপ্নচারী রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জি সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন। আলাপে-আড্ডায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার প্রতি তাঁর গভীর মমত্বের কথা বলতেন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক লেখনীতেও বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের কথা আছে।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে পছন্দ করতেন। ডাকতেন বাঘা নামে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াবহ নিষ্ঠুর কালো অধ্যায়ের পর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রতিরোধ যুদ্ধের ডাক দেন। প্রণব মুখার্জি সে সময় কাদের সিদ্দিকীর পাশে দাঁড়ান। সব ধরনের সহায়তা দেন। বাংলাদেশের প্রতি প্রণবের গভীর টানের আরেকটি কারণ ছিলেন তাঁর স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জি। শুভ্রা মুখার্জি বৃহত্তর যশোরের মেয়ে। নড়াইলের ভদ্রবিলা গ্রামে তাঁর জন্ম। ১০ বছর বয়সে কলকাতা যান পরিবারের সঙ্গে। পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠা সেখানে। প্রণবের সঙ্গে বিয়ের পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুখদুখের সঙ্গী ছিলেন। শুভ্রার মৃত্যু প্রণবকে ভেঙে দিয়েছিল। তিনি সেই শোক সামলে উঠলেন ধীরে ধীরে। প্রণব ও শুভ্রার দুই পুত্র, এক কন্যা। পুত্র অভিজিৎ মুখার্জি একাধিকবার লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন আর রাজনীতি করছেন না। অভিজিৎ রাজনীতিতে সক্রিয়।

প্রণব মুখার্জির রাজনীতিতে আসাটা ছিল একটু অন্যভাবে। কলেজের অধ্যাপক রাজনীতিতে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। ১৯৬৯ সালে মেদিনীপুর উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন স্বতন্ত্রভাবে। হঠাৎ ভোট করে তিনি সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চোখে পড়েন ইন্দিরা গান্ধীর। ইন্দিরা তাঁকে দলে টেনে নেন। ইন্দিরার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা গভীর ছিল। তিনি ছিলেন ইন্দিরা ব্লু আই। সে সম্পর্ক নষ্ট হয় রাজীব গান্ধীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জেরে। তিনি কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। রাজীব তাঁকে বহিষ্কার করেন। অভিমান নিয়ে সমাজবাদী কংগ্রেস নামে একটি নতুন দল করেন। সে দলে তেমন সাফল্য আসেনি। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের আপনজনরাও তাঁকে ত্যাগ করেন। রাজীবের মৃত্যুর নানা পটপরিক্রমায় তিনি ১৯৯১ সালে আবার কংগ্রেসে সক্রিয় হন। প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাও তাঁকে পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান করেন। নরসিমার মন্ত্রিসভায় তিনি কাজ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। 

প্রণব মুখার্জি ব্যতিক্রমী একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সামাল দিতে তাঁর দক্ষতার তুলনা ছিল না। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন জটিল বিষয় সমাধানে গঠিত কমিটিগুলোয় তাঁকে রাখা হতো। ইন্দিরা গান্ধীর একটা আস্থা ছিল তাঁর ওপর। অন্যরাও মনে করতেন জটিল সমস্যাগুলোর সমাধান প্রণবই পারেন করতে। চলার পথে নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে আটটি বই লিখেছেন। বাংলাদেশের ওয়ান-ইলেভেনের সময়কার ঘটনা নিয়েও বই আছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করলেও বেশি আলোচিত ছিলেন অর্থ, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে।

প্রণব জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মিরাটি গ্রামে। এ গ্রামটি কীর্ণাহার শহরের কাছে। প্রণবের বাবার নাম কামদাকিঙ্কর মুখার্জি, মা রাজলক্ষ্মী দেবী। বাবা ছিলেন কংগ্রেস নেতা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। কারাভোগ করেছিলেন ১০ বছর। ভারত বিভক্তির পর তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন। ছোটবেলা থেকে রাজনৈতিক পরিমন্ডলে প্রণবের বেড়ে ওঠা। সাংবাদিকতা করেছেন ‘দেশের ডাক’ পত্রিকায়। তারপর কলেজের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ধীরে ধীরে বাবার পথ ধরে সক্রিয় হন রাজনীতিতে। ৫০ বছরের বেশি সময় জুড়ে ভারতীয় সংসদে ছিলেন। রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে যাত্রা করেন ১৯৬৯ সালে। ইন্দিরার মন্ত্রিসভায় উপমন্ত্রী হন ১৯৭৩ সালে। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮২ সালে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান প্রথম। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সফলতার সঙ্গে ভারতীয় অর্থনীতিতে নতুন গতি আনেন। প্রণবের সময় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন মনমোহন সিং। ২০০৪ সালে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আসন থেকে জিতে লোকসভায় যান। এ সময় তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করার কথা ছিল। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী বেছে নেন মনমোহনকে। প্রণব নীরবে সব হজম করেন। যোগ দেন মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভায়। কাজ করেন নিরলসভাবে।

প্রণব মুখার্জি ছিলেন প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব শেষ হয়। তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে সফল ছিলেন। ২৫ জুলাই, ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। প্রণব রাষ্ট্রপতি থাকার সময় সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতি ভবনে যেতে পারত। তিনি সবার জন্য খুলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবনের দরজা। তাঁর নির্বাচনি এলাকার লোকজন যখন তখন যেত। তিনি সবার সুখদুখের কথা শুনতেন। সংকটের সমাধান করতেন। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারত। কোনো বাধা ছিল না। শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকের সঙ্গে প্রণবের আলাদা সখ্য ছিল। রাষ্ট্রপতি থাকাকালে তাঁর সঙ্গে অনেকবার সাক্ষাৎ করেছি। তিনি একবার জানালেন, তোমাদের বাংলাদেশের শিল্পী শাহাবুদ্দিন এসেছিল। বেশ কিছুদিন থেকেছে আমার এখানে। রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকার সময় শিল্পী শাহাবুদ্দিন অনেক ছবি এঁকেছেন। আরেকবার দিল্লি গিয়েছিলাম অন্য একটি কাজে। হঠাৎ মনে হলো প্রণবদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। আবার চিন্তায় এলো এত দ্রুত রাষ্ট্রপতি সময় দিতে পারবেন কি না। তার পরও ফোন করলাম রাষ্ট্রপতির এপিএস প্রদ্যুৎদাকে। রাজীব গান্ধীর সময় প্রদ্যুৎ ছিলেন অল ইন্ডিয়া যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এপিএস হলেও প্রণব মুখার্জির সঙ্গে কাজ করেছেন রাজনৈতিক সচিব হিসেবে।

কুশলাদি বিনিময়ের পর প্রদ্যুৎদা অনুমান করলেন কেন ফোন করেছি। কিছু বলার আগেই বললেন, ঢাকা থেকে ফোন করে দিল্লি এলে কী হয়? বুঝতে হবে প্রণব মুখার্জি এখন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তাঁর সময়গুলো নির্ধারণ করা থাকে। জবাবে বললাম, এবার সাক্ষাৎ না পাওয়া গেলেও সমস্যা নেই। অন্য কাজে এসেছি। আমার একটা সালাম দিয়েন। দুই ঘণ্টা পর আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। অন্য প্রান্ত থেকে একজন বললেন, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এডিসি... বলছি। মি. নিজাম আগামীকাল বেলা আড়াইটায় আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। আপনার গাড়ির নম্বর দিন গেটে বলে রাখার জন্য। আপনি আসবেন ৩০ মিনিট আগে। নির্ধারিত সময়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলাম। ভিতরে গিয়ে দেখলাম প্রণব মুখার্জির নিজের এলাকা জঙ্গিপুর থেকে অনেকে এসে অপেক্ষা করছেন। কয়েকজনের সঙ্গে আলাপও হলো। সেদিন দুপুরে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ফুরফুরে মুডে ছিলেন। আমাকে পেয়ে বাংলাদেশ নিয়ে গল্প করলেন। তিনি শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন। বললেন শেখ রেহানার সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার কথা।

রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসরের পর তিনি উঠেছিলেন ১০ রাজাজি রোডের বাড়িতে। নতুন বাড়িতে ওঠার কয়েকদিনের মধ্যে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে বাড়িটি ঘুরিয়ে দেখালেন। বললেন, এ বাড়িতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকতেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম। নতুন বাড়ি পছন্দ হয়েছে কি না জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, চারপাশে অনেক জায়গা আছে। সকালে হাঁটতে পারব। লাইব্রেরি সাজিয়েছি। অনেক বইয়ের সংগ্রহ আছে। পড়ব। লিখব নিয়মিত। কথা বলার সময় তাঁর হাতে ছিল মওলানা ভাসানীর কাগমারী সম্মেলন নিয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদের লেখা একটি বই। বললাম, এ বইটি পড়েছেন? জবাবে বললেন, পড়ছি। কেউ একজন কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে অনেক বই দিয়ে গেছে। বই হলে আমার আর কিছু লাগে না। প্রণব মুখার্জি পড়তেন। লিখতেন। তাঁর লেখা আটটি বই বাজারে আছে। একটি বইতে বাংলাদেশের ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনাবলির কথা রয়েছে। এ নিয়েও কথা হয়েছিল। তিনি বইয়ের বাইরে বেশ কিছু বিষয় স্মৃতিচারণা করলেন। ফিরে এসে বাংলাদেশ প্রতিদিনে তা প্রকাশ করেছিলাম।

করোনাকালে প্রণব মুখার্জি অসুস্থ হলেন। ২০২০ সালের ৯ আগস্ট খবর পেলাম দিল্লির ১০ রাজাজি রোডের বাড়িতে তিনি বাথরুমে পড়ে গেছেন। আঘাত পেয়েছেন সামান্য। পরদিন সকালে দেখলেন বাঁ হাত নাড়াতে পারছেন না। শরীরে আরও কিছু সমস্যা হচ্ছে। একটু জ্বরও আছে। হাসপাতালে ভর্তি হন ১০ আগস্ট। পরীক্ষানিরীক্ষায় ধরা পড়ল করোনা পজিটিভ।  রয়েছে আরও কিছু সমস্যা। চিকিৎসকরা চিন্তিত হলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ দেখে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন জরুরি সার্জারি করবেন। পরিবারের অনুমতি নিলেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে লড়তে থাকলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি। টানা ২০ দিন লড়াই করলেন। ৩১ আগস্ট, ২০২০ সালে জীবনের শেষ লড়াইয়ে পরাস্ত হন। থেমে গেল প্রণব মুখার্জির দীর্ঘ পথচলা। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেন। না-ফেরার দেশে চলে গেলেন চিরতরে।

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
নতুন ট্যারিফ
নতুন ট্যারিফ
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
বুড়িগঙ্গা বাঁচান
বুড়িগঙ্গা বাঁচান
চার ইমামের ইমানি দৃঢ়তা
চার ইমামের ইমানি দৃঢ়তা
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের হৃদয়ে দুঃখ ছিল
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের হৃদয়ে দুঃখ ছিল
রাজধানীর যানজট
রাজধানীর যানজট
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব
কোয়ান্টামতত্ত্ব ও কোয়ান্টাম তথ্য
কোয়ান্টামতত্ত্ব ও কোয়ান্টাম তথ্য
নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.)
নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.)
আমার বন্ধু হাসান হাফিজ
আমার বন্ধু হাসান হাফিজ
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
সর্বশেষ খবর
বৃষ্টিতে ভেসে গেল পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচ
বৃষ্টিতে ভেসে গেল পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচ

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কলাপাড়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান
কলাপাড়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে সুনামগঞ্জ জামায়াতের মানববন্ধন
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে সুনামগঞ্জ জামায়াতের মানববন্ধন

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএসসহ ২৪টি পদে ছাত্রশিবিরের জয়
চাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএসসহ ২৪টি পদে ছাত্রশিবিরের জয়

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশিকে নির্মমভাবে হত্যা
ভারতের ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশিকে নির্মমভাবে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ দফা দাবিতে ঝালকাঠিতে জামায়াতের মানববন্ধন
৫ দফা দাবিতে ঝালকাঠিতে জামায়াতের মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইব্রাহিম জাদরানকে আইসিসির জরিমানা
ইব্রাহিম জাদরানকে আইসিসির জরিমানা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ অক্টোবর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ করেছে ইএসপিএন-ক্রিকইনফো: বিশেষ সহকারী
জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ করেছে ইএসপিএন-ক্রিকইনফো: বিশেষ সহকারী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোহরাওয়ার্দী হলে পুনরায় ভোট গণনার দাবি ছাত্রদলের
সোহরাওয়ার্দী হলে পুনরায় ভোট গণনার দাবি ছাত্রদলের

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চার ইমামের ইমানি দৃঢ়তা
চার ইমামের ইমানি দৃঢ়তা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

১ ও ২ টাকার কয়েন নিয়ে নতুন যে নির্দেশনা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক
১ ও ২ টাকার কয়েন নিয়ে নতুন যে নির্দেশনা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অযাচিত বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা কেন?
অযাচিত বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা কেন?

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনের জন্য আরও বেশি মার্কিন অস্ত্র কেনার আহ্বান
ইউক্রেনের জন্য আরও বেশি মার্কিন অস্ত্র কেনার আহ্বান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিদ্ধিরগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক
সিদ্ধিরগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে’

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত: ইসলামাবাদ
পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত: ইসলামাবাদ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাকসুতে চলছে ভোট গণনা, নিরাপত্তায় দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চাকসুতে চলছে ভোট গণনা, নিরাপত্তায় দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হলো এনআইডির কার্যক্রম
যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হলো এনআইডির কার্যক্রম

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপাল ও ওমান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপাল ও ওমান

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেড় লাখ টাকা নিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হলো ভিম সাবান
দেড় লাখ টাকা নিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হলো ভিম সাবান

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুড়িগ্রামে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত
কুড়িগ্রামে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরও ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিল ইসরায়েল
আরও ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিল ইসরায়েল

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়ে টেস্টে রশিদকে ছাড়াই খেলবে আফগানিস্তান
জিম্বাবুয়ে টেস্টে রশিদকে ছাড়াই খেলবে আফগানিস্তান

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে কিং কোবরা সাপ উদ্ধার
চট্টগ্রামে কিং কোবরা সাপ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাকৃবিতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
গাকৃবিতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণে প্রশিক্ষণ কর্মশালা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দৃষ্টি সীমার বাইরে গিয়েও আঘাত হানবে চীনা ট্যাঙ্ক
দৃষ্টি সীমার বাইরে গিয়েও আঘাত হানবে চীনা ট্যাঙ্ক

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চসিকের পরীক্ষামূলক বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন শুরু
চসিকের পরীক্ষামূলক বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন শুরু

১০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কুবিতে ফুটবল টুর্নামেন্ট
কুবিতে ফুটবল টুর্নামেন্ট

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান
১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প
হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান
একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব, তবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ উল্লেখ থাকতে হবে
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব, তবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ উল্লেখ থাকতে হবে

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষার ফল কাল : যেভাবে রেজাল্ট জানবেন
এইচএসসি পরীক্ষার ফল কাল : যেভাবে রেজাল্ট জানবেন

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের গোপন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের গোপন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৪ বিলিয়ন ডলারের বিটকয়েন জব্দ করলো যুক্তরাষ্ট্র
১৪ বিলিয়ন ডলারের বিটকয়েন জব্দ করলো যুক্তরাষ্ট্র

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান
'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাতকড়া পরানোয় ওসিকে ধমক শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের
হাতকড়া পরানোয় ওসিকে ধমক শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের
আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিম তীরে ভয়ংকর হয়ে উঠছে বসতি স্থাপনকারীরা, লাগাতার হামলা
পশ্চিম তীরে ভয়ংকর হয়ে উঠছে বসতি স্থাপনকারীরা, লাগাতার হামলা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেলেন ১১১ প্রধান শিক্ষক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেলেন ১১১ প্রধান শিক্ষক

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাল এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে
কাল এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১ ও ২ টাকার কয়েন নিয়ে নতুন যে নির্দেশনা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক
১ ও ২ টাকার কয়েন নিয়ে নতুন যে নির্দেশনা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

৪ জেলায় নতুন ডিসি
৪ জেলায় নতুন ডিসি

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে চলন্ত বাসে আগুনে পুড়ে প্রাণ গেল ২০ যাত্রীর
ভারতে চলন্ত বাসে আগুনে পুড়ে প্রাণ গেল ২০ যাত্রীর

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে এখনো নিখোঁজ ১৩ জন
মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে এখনো নিখোঁজ ১৩ জন

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
জটিলতা কাটল না জুলাই সনদে
জটিলতা কাটল না জুলাই সনদে

প্রথম পৃষ্ঠা

কেনাকাটায় ভয়াবহ দুর্নীতি
কেনাকাটায় ভয়াবহ দুর্নীতি

নগর জীবন

অ্যাপে নয়, খ্যাপে চলে
অ্যাপে নয়, খ্যাপে চলে

রকমারি নগর পরিক্রমা

প্রবাসীদের পদচারণে ভোটের মাঠ সরগরম
প্রবাসীদের পদচারণে ভোটের মাঠ সরগরম

নগর জীবন

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের হৃদয়ে দুঃখ ছিল
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের হৃদয়ে দুঃখ ছিল

সম্পাদকীয়

বিএনপির ২৪, একক প্রার্থী নিয়ে প্রচারে জামায়াত এনসিপি
বিএনপির ২৪, একক প্রার্থী নিয়ে প্রচারে জামায়াত এনসিপি

নগর জীবন

যমুনা অভিমুখে লংমার্চ ঘোষণা
যমুনা অভিমুখে লংমার্চ ঘোষণা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পিআর আমি নিজেই বুঝি না জনগণ কী বুঝবে
পিআর আমি নিজেই বুঝি না জনগণ কী বুঝবে

পেছনের পৃষ্ঠা

ফার্নিচার মেলায় ছাড়ের ছড়াছড়ি
ফার্নিচার মেলায় ছাড়ের ছড়াছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশি তরুণীকে নিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয়
বাংলাদেশি তরুণীকে নিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয়

পেছনের পৃষ্ঠা

টাকাপয়সার ছড়াছড়ি শুরু হয়েছে
টাকাপয়সার ছড়াছড়ি শুরু হয়েছে

নগর জীবন

আকর্ষণীয় চাকরির প্রলোভন ঠিকানা চীনের যৌনপল্লি
আকর্ষণীয় চাকরির প্রলোভন ঠিকানা চীনের যৌনপল্লি

পেছনের পৃষ্ঠা

গুলি সরবরাহ করা হয় হিসাব ছাড়া
গুলি সরবরাহ করা হয় হিসাব ছাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দিয়েছিলেন বিরল সাক্ষাৎকার
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দিয়েছিলেন বিরল সাক্ষাৎকার

পেছনের পৃষ্ঠা

জাল নোট নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কবার্তা
জাল নোট নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কবার্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজ রাকসুতে ভোটযুদ্ধ
আজ রাকসুতে ভোটযুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে অপহৃত শিশু উদ্ধার গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রামে অপহৃত শিশু উদ্ধার গ্রেপ্তার ১

নগর জীবন

কালো ঘোড়ার অনুপ্রবেশ হতে পারে
কালো ঘোড়ার অনুপ্রবেশ হতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

নানা অনিয়ম চাকসু ভোটেও
নানা অনিয়ম চাকসু ভোটেও

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতাদের সাক্ষাৎ
জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতাদের সাক্ষাৎ

নগর জীবন

অযাচিত বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা কেন?
অযাচিত বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা কেন?

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান হাসপাতালে ভর্তি

নগর জীবন

মাহী বি. চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সিদ্ধান্ত
মাহী বি. চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সিদ্ধান্ত

নগর জীবন

সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ সম্পন্ন
সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ সম্পন্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারকে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টায় গণতন্ত্রবিরোধীরা
সরকারকে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টায় গণতন্ত্রবিরোধীরা

নগর জীবন

দেশ এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে
দেশ এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে

নগর জীবন

অর্থনীতি শুধু ধনীদের স্বার্থে হলে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে না
অর্থনীতি শুধু ধনীদের স্বার্থে হলে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে না

নগর জীবন

নির্বাচনমুখী পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টায় পুলিশ
নির্বাচনমুখী পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টায় পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি নারী ও শিশুবান্ধব দল
বিএনপি নারী ও শিশুবান্ধব দল

নগর জীবন