শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪ আপডেট:

সম্পর্কের কাঁটাতারে শূন্যতা একজন প্রণব মুখার্জির

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
 সম্পর্কের কাঁটাতারে শূন্যতা একজন প্রণব মুখার্জির

সম্পর্কের টানাপোড়েনে একজন প্রণব মুখার্জির অভাব অনুভব করছি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে তিনি অন্য উচ্চতা দিয়েছিলেন। ধরে রেখেছিলেন অনেক কিছু। প্রণবকে বলা হতো ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য। আইনে মাস্টার্স করে সাংবাদিকতা পেশা দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন। তারপর যোগ দেন শিক্ষকতায়। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ছিলেন ক্রাইসিস ম্যানেজার। ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকটময় মুহূর্তগুলোয় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতেন। বিদেশনীতিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গুরুত্ব দিতেন।  দলমতনির্বিশেষে প্রশংসিত ছিলেন সবার কাছে। ভারতের দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছিলেন তিনি। স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য কাজ করেছেন। ভারতের সব দলের নেতারাই প্রণবকে দেখতেন ভিন্ন চোখে। অন্য উচ্চতায়। তিনি ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির শিক্ষক। তাঁর অসুস্থতার সময় ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক জয়ন্ত রায়চৌধুরী বলেছিলেন, প্রণববাবুর কোনো তুলনা চলে না। বিজ্ঞান এখনো এমন উচ্চতায় পৌঁছেনি প্রণববাবু চলে যাওয়ার সময় তাঁর ব্রেনটা সংরক্ষণ করার। তাঁর ব্রেনটা রেখে দেওয়ার দরকার ছিল শুধু ভারতের জন্য নয়, এ উপমহাদেশের জন্য। শুধু ইন্দিরা গান্ধী, মনমোহন সিং, নরসিমা রাও নন, সংকটে নরেন্দ্র মোদিও তাঁর পরামর্শ নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। নরেন্দ্র মোদি সব সময় প্রশংসা করতেন প্রণবের।

শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও পাকিস্তানের রাজনীতির অন্দরমহলেও ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। যোগাযোগ রাখতেন সবার সঙ্গে। খারাপ সময়ে আপনজনের মতো পাশে দাঁড়াতেন। বাড়িয়ে দিতেন সহায়তার হাত। পাকিস্তানের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। আবার শ্রীলঙ্কার চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গাও তাঁকে মানতেন। নেপালের রাজনীতিবিদদের অনেকে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়েকে তিনি পছন্দ করতেন। তাঁদের সম্পর্কটা ছিল পারিবারিক ও ব্যক্তিগত। একবার তিনি আমাকে বলেছিলেন, বিএনপির মুস্তাফিজুর রহমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। তিনি মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বাগেরহাট গিয়েছিলেন। আবার জিয়াউর রহমান তাঁকে দুবার আমন্ত্রণ জানিয়ে ঢাকা এনেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকার সময় বাংলাদেশ সফরকালে খালেদা জিয়ার আচরণে বিস্মিত হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দিল্লি সফরকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ঢাকা সফরকালে জামায়াতের হরতালে বিএনপি সমর্থন দিয়েছিল। খালেদা জিয়া কূটনৈতিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁর পূর্বঘোষিত সাক্ষাতের কর্মসূচি বাতিল করেন।

প্রণব মুখার্জি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশের প্রতি একটা টান ছিল। তিনি দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতেন। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রণবের সম্পর্ক ১৯৭১ সালে তৈরি। তিনি তখন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সমর্থন, সহায়তা ছিল। শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দুই হাত বাড়িয়ে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছিল। আলাপকালে প্রথমবার বঙ্গবন্ধু জানতে চেয়েছিলেন প্রণববাবুর পূর্বপুরুষ এখানকার কি না। জবাবে প্রণব বলেছিলেন, তিনি খাঁটি বাঙাল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে প্রণব পরিবারের গভীর হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সম্পর্কের বন্ধন তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বজায় ছিল। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তিনি নিজের পরিবারের সদস্য মনে করতেন। শুভ্রা মুখার্জিও সব সময় যোগাযোগ রাখতেন বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের বিপদে-আপদে প্রণব পাশে থাকতেন। প্রণবের পুত্র ও কন্যা এখন শেখ হাসিনাকে তাঁদের গার্জিয়ান হিসেবে দেখেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড প্রণব মুখার্জিকে আঘাত করেছিল। তিনি এ নিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার সময় প্রণব মুখার্জি নিয়মিত খোঁজখবর রাখতেন। স্বপ্নচারী রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জি সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন। আলাপে-আড্ডায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার প্রতি তাঁর গভীর মমত্বের কথা বলতেন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক লেখনীতেও বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের কথা আছে।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে পছন্দ করতেন। ডাকতেন বাঘা নামে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াবহ নিষ্ঠুর কালো অধ্যায়ের পর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রতিরোধ যুদ্ধের ডাক দেন। প্রণব মুখার্জি সে সময় কাদের সিদ্দিকীর পাশে দাঁড়ান। সব ধরনের সহায়তা দেন। বাংলাদেশের প্রতি প্রণবের গভীর টানের আরেকটি কারণ ছিলেন তাঁর স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জি। শুভ্রা মুখার্জি বৃহত্তর যশোরের মেয়ে। নড়াইলের ভদ্রবিলা গ্রামে তাঁর জন্ম। ১০ বছর বয়সে কলকাতা যান পরিবারের সঙ্গে। পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠা সেখানে। প্রণবের সঙ্গে বিয়ের পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুখদুখের সঙ্গী ছিলেন। শুভ্রার মৃত্যু প্রণবকে ভেঙে দিয়েছিল। তিনি সেই শোক সামলে উঠলেন ধীরে ধীরে। প্রণব ও শুভ্রার দুই পুত্র, এক কন্যা। পুত্র অভিজিৎ মুখার্জি একাধিকবার লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন আর রাজনীতি করছেন না। অভিজিৎ রাজনীতিতে সক্রিয়।

প্রণব মুখার্জির রাজনীতিতে আসাটা ছিল একটু অন্যভাবে। কলেজের অধ্যাপক রাজনীতিতে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। ১৯৬৯ সালে মেদিনীপুর উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন স্বতন্ত্রভাবে। হঠাৎ ভোট করে তিনি সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চোখে পড়েন ইন্দিরা গান্ধীর। ইন্দিরা তাঁকে দলে টেনে নেন। ইন্দিরার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা গভীর ছিল। তিনি ছিলেন ইন্দিরা ব্লু আই। সে সম্পর্ক নষ্ট হয় রাজীব গান্ধীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জেরে। তিনি কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। রাজীব তাঁকে বহিষ্কার করেন। অভিমান নিয়ে সমাজবাদী কংগ্রেস নামে একটি নতুন দল করেন। সে দলে তেমন সাফল্য আসেনি। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের আপনজনরাও তাঁকে ত্যাগ করেন। রাজীবের মৃত্যুর নানা পটপরিক্রমায় তিনি ১৯৯১ সালে আবার কংগ্রেসে সক্রিয় হন। প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাও তাঁকে পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান করেন। নরসিমার মন্ত্রিসভায় তিনি কাজ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। 

প্রণব মুখার্জি ব্যতিক্রমী একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সামাল দিতে তাঁর দক্ষতার তুলনা ছিল না। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন জটিল বিষয় সমাধানে গঠিত কমিটিগুলোয় তাঁকে রাখা হতো। ইন্দিরা গান্ধীর একটা আস্থা ছিল তাঁর ওপর। অন্যরাও মনে করতেন জটিল সমস্যাগুলোর সমাধান প্রণবই পারেন করতে। চলার পথে নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে আটটি বই লিখেছেন। বাংলাদেশের ওয়ান-ইলেভেনের সময়কার ঘটনা নিয়েও বই আছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করলেও বেশি আলোচিত ছিলেন অর্থ, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে।

প্রণব জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মিরাটি গ্রামে। এ গ্রামটি কীর্ণাহার শহরের কাছে। প্রণবের বাবার নাম কামদাকিঙ্কর মুখার্জি, মা রাজলক্ষ্মী দেবী। বাবা ছিলেন কংগ্রেস নেতা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। কারাভোগ করেছিলেন ১০ বছর। ভারত বিভক্তির পর তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন। ছোটবেলা থেকে রাজনৈতিক পরিমন্ডলে প্রণবের বেড়ে ওঠা। সাংবাদিকতা করেছেন ‘দেশের ডাক’ পত্রিকায়। তারপর কলেজের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ধীরে ধীরে বাবার পথ ধরে সক্রিয় হন রাজনীতিতে। ৫০ বছরের বেশি সময় জুড়ে ভারতীয় সংসদে ছিলেন। রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে যাত্রা করেন ১৯৬৯ সালে। ইন্দিরার মন্ত্রিসভায় উপমন্ত্রী হন ১৯৭৩ সালে। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮২ সালে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান প্রথম। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সফলতার সঙ্গে ভারতীয় অর্থনীতিতে নতুন গতি আনেন। প্রণবের সময় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন মনমোহন সিং। ২০০৪ সালে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আসন থেকে জিতে লোকসভায় যান। এ সময় তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করার কথা ছিল। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী বেছে নেন মনমোহনকে। প্রণব নীরবে সব হজম করেন। যোগ দেন মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভায়। কাজ করেন নিরলসভাবে।

প্রণব মুখার্জি ছিলেন প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব শেষ হয়। তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে সফল ছিলেন। ২৫ জুলাই, ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। প্রণব রাষ্ট্রপতি থাকার সময় সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতি ভবনে যেতে পারত। তিনি সবার জন্য খুলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবনের দরজা। তাঁর নির্বাচনি এলাকার লোকজন যখন তখন যেত। তিনি সবার সুখদুখের কথা শুনতেন। সংকটের সমাধান করতেন। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারত। কোনো বাধা ছিল না। শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকের সঙ্গে প্রণবের আলাদা সখ্য ছিল। রাষ্ট্রপতি থাকাকালে তাঁর সঙ্গে অনেকবার সাক্ষাৎ করেছি। তিনি একবার জানালেন, তোমাদের বাংলাদেশের শিল্পী শাহাবুদ্দিন এসেছিল। বেশ কিছুদিন থেকেছে আমার এখানে। রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকার সময় শিল্পী শাহাবুদ্দিন অনেক ছবি এঁকেছেন। আরেকবার দিল্লি গিয়েছিলাম অন্য একটি কাজে। হঠাৎ মনে হলো প্রণবদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। আবার চিন্তায় এলো এত দ্রুত রাষ্ট্রপতি সময় দিতে পারবেন কি না। তার পরও ফোন করলাম রাষ্ট্রপতির এপিএস প্রদ্যুৎদাকে। রাজীব গান্ধীর সময় প্রদ্যুৎ ছিলেন অল ইন্ডিয়া যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এপিএস হলেও প্রণব মুখার্জির সঙ্গে কাজ করেছেন রাজনৈতিক সচিব হিসেবে।

কুশলাদি বিনিময়ের পর প্রদ্যুৎদা অনুমান করলেন কেন ফোন করেছি। কিছু বলার আগেই বললেন, ঢাকা থেকে ফোন করে দিল্লি এলে কী হয়? বুঝতে হবে প্রণব মুখার্জি এখন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তাঁর সময়গুলো নির্ধারণ করা থাকে। জবাবে বললাম, এবার সাক্ষাৎ না পাওয়া গেলেও সমস্যা নেই। অন্য কাজে এসেছি। আমার একটা সালাম দিয়েন। দুই ঘণ্টা পর আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। অন্য প্রান্ত থেকে একজন বললেন, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এডিসি... বলছি। মি. নিজাম আগামীকাল বেলা আড়াইটায় আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। আপনার গাড়ির নম্বর দিন গেটে বলে রাখার জন্য। আপনি আসবেন ৩০ মিনিট আগে। নির্ধারিত সময়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলাম। ভিতরে গিয়ে দেখলাম প্রণব মুখার্জির নিজের এলাকা জঙ্গিপুর থেকে অনেকে এসে অপেক্ষা করছেন। কয়েকজনের সঙ্গে আলাপও হলো। সেদিন দুপুরে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ফুরফুরে মুডে ছিলেন। আমাকে পেয়ে বাংলাদেশ নিয়ে গল্প করলেন। তিনি শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন। বললেন শেখ রেহানার সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার কথা।

রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসরের পর তিনি উঠেছিলেন ১০ রাজাজি রোডের বাড়িতে। নতুন বাড়িতে ওঠার কয়েকদিনের মধ্যে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে বাড়িটি ঘুরিয়ে দেখালেন। বললেন, এ বাড়িতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকতেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম। নতুন বাড়ি পছন্দ হয়েছে কি না জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, চারপাশে অনেক জায়গা আছে। সকালে হাঁটতে পারব। লাইব্রেরি সাজিয়েছি। অনেক বইয়ের সংগ্রহ আছে। পড়ব। লিখব নিয়মিত। কথা বলার সময় তাঁর হাতে ছিল মওলানা ভাসানীর কাগমারী সম্মেলন নিয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদের লেখা একটি বই। বললাম, এ বইটি পড়েছেন? জবাবে বললেন, পড়ছি। কেউ একজন কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে অনেক বই দিয়ে গেছে। বই হলে আমার আর কিছু লাগে না। প্রণব মুখার্জি পড়তেন। লিখতেন। তাঁর লেখা আটটি বই বাজারে আছে। একটি বইতে বাংলাদেশের ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনাবলির কথা রয়েছে। এ নিয়েও কথা হয়েছিল। তিনি বইয়ের বাইরে বেশ কিছু বিষয় স্মৃতিচারণা করলেন। ফিরে এসে বাংলাদেশ প্রতিদিনে তা প্রকাশ করেছিলাম।

করোনাকালে প্রণব মুখার্জি অসুস্থ হলেন। ২০২০ সালের ৯ আগস্ট খবর পেলাম দিল্লির ১০ রাজাজি রোডের বাড়িতে তিনি বাথরুমে পড়ে গেছেন। আঘাত পেয়েছেন সামান্য। পরদিন সকালে দেখলেন বাঁ হাত নাড়াতে পারছেন না। শরীরে আরও কিছু সমস্যা হচ্ছে। একটু জ্বরও আছে। হাসপাতালে ভর্তি হন ১০ আগস্ট। পরীক্ষানিরীক্ষায় ধরা পড়ল করোনা পজিটিভ।  রয়েছে আরও কিছু সমস্যা। চিকিৎসকরা চিন্তিত হলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ দেখে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন জরুরি সার্জারি করবেন। পরিবারের অনুমতি নিলেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে লড়তে থাকলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি। টানা ২০ দিন লড়াই করলেন। ৩১ আগস্ট, ২০২০ সালে জীবনের শেষ লড়াইয়ে পরাস্ত হন। থেমে গেল প্রণব মুখার্জির দীর্ঘ পথচলা। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেন। না-ফেরার দেশে চলে গেলেন চিরতরে।

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি
ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

১১ মিনিট আগে | নগর জীবন

৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব

১৩ মিনিট আগে | শোবিজ

তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

২৩ মিনিট আগে | পরবাস

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজধানীতে প্রাইভেটকার ভস্মীভূত
রাজধানীতে প্রাইভেটকার ভস্মীভূত

৩২ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

উড়ন্ত ট্যাক্সি নিয়ে দ্বন্দ্ব: আর্চারের বিরুদ্ধে জোবির মামলা
উড়ন্ত ট্যাক্সি নিয়ে দ্বন্দ্ব: আর্চারের বিরুদ্ধে জোবির মামলা

৪৩ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ
মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার আসন ৩৭০১
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার আসন ৩৭০১

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির
বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন
জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প
সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর
মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে ফিরলেন কেন উইলিয়ামসন
নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে ফিরলেন কেন উইলিয়ামসন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিসরের গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে হামাসের শীর্ষ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
মিসরের গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে হামাসের শীর্ষ প্রতিনিধিদলের বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস
সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের সিন্ধু আবার ভারতের অংশ হতে পারে: প্রতিরক্ষামন্ত্রী
পাকিস্তানের সিন্ধু আবার ভারতের অংশ হতে পারে: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জে ৩৯ কোটি টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ
মুন্সীগঞ্জে ৩৯ কোটি টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া
শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুইজন নিহত
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুইজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ