শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪ আপডেট:

সম্পর্কের কাঁটাতারে শূন্যতা একজন প্রণব মুখার্জির

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
 সম্পর্কের কাঁটাতারে শূন্যতা একজন প্রণব মুখার্জির

সম্পর্কের টানাপোড়েনে একজন প্রণব মুখার্জির অভাব অনুভব করছি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে তিনি অন্য উচ্চতা দিয়েছিলেন। ধরে রেখেছিলেন অনেক কিছু। প্রণবকে বলা হতো ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য। আইনে মাস্টার্স করে সাংবাদিকতা পেশা দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন। তারপর যোগ দেন শিক্ষকতায়। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ছিলেন ক্রাইসিস ম্যানেজার। ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকটময় মুহূর্তগুলোয় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতেন। বিদেশনীতিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গুরুত্ব দিতেন।  দলমতনির্বিশেষে প্রশংসিত ছিলেন সবার কাছে। ভারতের দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছিলেন তিনি। স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য কাজ করেছেন। ভারতের সব দলের নেতারাই প্রণবকে দেখতেন ভিন্ন চোখে। অন্য উচ্চতায়। তিনি ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির শিক্ষক। তাঁর অসুস্থতার সময় ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক জয়ন্ত রায়চৌধুরী বলেছিলেন, প্রণববাবুর কোনো তুলনা চলে না। বিজ্ঞান এখনো এমন উচ্চতায় পৌঁছেনি প্রণববাবু চলে যাওয়ার সময় তাঁর ব্রেনটা সংরক্ষণ করার। তাঁর ব্রেনটা রেখে দেওয়ার দরকার ছিল শুধু ভারতের জন্য নয়, এ উপমহাদেশের জন্য। শুধু ইন্দিরা গান্ধী, মনমোহন সিং, নরসিমা রাও নন, সংকটে নরেন্দ্র মোদিও তাঁর পরামর্শ নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। নরেন্দ্র মোদি সব সময় প্রশংসা করতেন প্রণবের।

শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও পাকিস্তানের রাজনীতির অন্দরমহলেও ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। যোগাযোগ রাখতেন সবার সঙ্গে। খারাপ সময়ে আপনজনের মতো পাশে দাঁড়াতেন। বাড়িয়ে দিতেন সহায়তার হাত। পাকিস্তানের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। আবার শ্রীলঙ্কার চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গাও তাঁকে মানতেন। নেপালের রাজনীতিবিদদের অনেকে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়েকে তিনি পছন্দ করতেন। তাঁদের সম্পর্কটা ছিল পারিবারিক ও ব্যক্তিগত। একবার তিনি আমাকে বলেছিলেন, বিএনপির মুস্তাফিজুর রহমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। তিনি মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বাগেরহাট গিয়েছিলেন। আবার জিয়াউর রহমান তাঁকে দুবার আমন্ত্রণ জানিয়ে ঢাকা এনেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকার সময় বাংলাদেশ সফরকালে খালেদা জিয়ার আচরণে বিস্মিত হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দিল্লি সফরকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ঢাকা সফরকালে জামায়াতের হরতালে বিএনপি সমর্থন দিয়েছিল। খালেদা জিয়া কূটনৈতিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁর পূর্বঘোষিত সাক্ষাতের কর্মসূচি বাতিল করেন।

প্রণব মুখার্জি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশের প্রতি একটা টান ছিল। তিনি দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতেন। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রণবের সম্পর্ক ১৯৭১ সালে তৈরি। তিনি তখন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সমর্থন, সহায়তা ছিল। শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দুই হাত বাড়িয়ে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছিল। আলাপকালে প্রথমবার বঙ্গবন্ধু জানতে চেয়েছিলেন প্রণববাবুর পূর্বপুরুষ এখানকার কি না। জবাবে প্রণব বলেছিলেন, তিনি খাঁটি বাঙাল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে প্রণব পরিবারের গভীর হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সম্পর্কের বন্ধন তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বজায় ছিল। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তিনি নিজের পরিবারের সদস্য মনে করতেন। শুভ্রা মুখার্জিও সব সময় যোগাযোগ রাখতেন বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের বিপদে-আপদে প্রণব পাশে থাকতেন। প্রণবের পুত্র ও কন্যা এখন শেখ হাসিনাকে তাঁদের গার্জিয়ান হিসেবে দেখেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড প্রণব মুখার্জিকে আঘাত করেছিল। তিনি এ নিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার সময় প্রণব মুখার্জি নিয়মিত খোঁজখবর রাখতেন। স্বপ্নচারী রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জি সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন। আলাপে-আড্ডায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার প্রতি তাঁর গভীর মমত্বের কথা বলতেন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক লেখনীতেও বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের কথা আছে।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে পছন্দ করতেন। ডাকতেন বাঘা নামে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াবহ নিষ্ঠুর কালো অধ্যায়ের পর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রতিরোধ যুদ্ধের ডাক দেন। প্রণব মুখার্জি সে সময় কাদের সিদ্দিকীর পাশে দাঁড়ান। সব ধরনের সহায়তা দেন। বাংলাদেশের প্রতি প্রণবের গভীর টানের আরেকটি কারণ ছিলেন তাঁর স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জি। শুভ্রা মুখার্জি বৃহত্তর যশোরের মেয়ে। নড়াইলের ভদ্রবিলা গ্রামে তাঁর জন্ম। ১০ বছর বয়সে কলকাতা যান পরিবারের সঙ্গে। পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠা সেখানে। প্রণবের সঙ্গে বিয়ের পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুখদুখের সঙ্গী ছিলেন। শুভ্রার মৃত্যু প্রণবকে ভেঙে দিয়েছিল। তিনি সেই শোক সামলে উঠলেন ধীরে ধীরে। প্রণব ও শুভ্রার দুই পুত্র, এক কন্যা। পুত্র অভিজিৎ মুখার্জি একাধিকবার লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন আর রাজনীতি করছেন না। অভিজিৎ রাজনীতিতে সক্রিয়।

প্রণব মুখার্জির রাজনীতিতে আসাটা ছিল একটু অন্যভাবে। কলেজের অধ্যাপক রাজনীতিতে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। ১৯৬৯ সালে মেদিনীপুর উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন স্বতন্ত্রভাবে। হঠাৎ ভোট করে তিনি সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চোখে পড়েন ইন্দিরা গান্ধীর। ইন্দিরা তাঁকে দলে টেনে নেন। ইন্দিরার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা গভীর ছিল। তিনি ছিলেন ইন্দিরা ব্লু আই। সে সম্পর্ক নষ্ট হয় রাজীব গান্ধীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জেরে। তিনি কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। রাজীব তাঁকে বহিষ্কার করেন। অভিমান নিয়ে সমাজবাদী কংগ্রেস নামে একটি নতুন দল করেন। সে দলে তেমন সাফল্য আসেনি। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের আপনজনরাও তাঁকে ত্যাগ করেন। রাজীবের মৃত্যুর নানা পটপরিক্রমায় তিনি ১৯৯১ সালে আবার কংগ্রেসে সক্রিয় হন। প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাও তাঁকে পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান করেন। নরসিমার মন্ত্রিসভায় তিনি কাজ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। 

প্রণব মুখার্জি ব্যতিক্রমী একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সামাল দিতে তাঁর দক্ষতার তুলনা ছিল না। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন জটিল বিষয় সমাধানে গঠিত কমিটিগুলোয় তাঁকে রাখা হতো। ইন্দিরা গান্ধীর একটা আস্থা ছিল তাঁর ওপর। অন্যরাও মনে করতেন জটিল সমস্যাগুলোর সমাধান প্রণবই পারেন করতে। চলার পথে নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে আটটি বই লিখেছেন। বাংলাদেশের ওয়ান-ইলেভেনের সময়কার ঘটনা নিয়েও বই আছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করলেও বেশি আলোচিত ছিলেন অর্থ, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে।

প্রণব জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মিরাটি গ্রামে। এ গ্রামটি কীর্ণাহার শহরের কাছে। প্রণবের বাবার নাম কামদাকিঙ্কর মুখার্জি, মা রাজলক্ষ্মী দেবী। বাবা ছিলেন কংগ্রেস নেতা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। কারাভোগ করেছিলেন ১০ বছর। ভারত বিভক্তির পর তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন। ছোটবেলা থেকে রাজনৈতিক পরিমন্ডলে প্রণবের বেড়ে ওঠা। সাংবাদিকতা করেছেন ‘দেশের ডাক’ পত্রিকায়। তারপর কলেজের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ধীরে ধীরে বাবার পথ ধরে সক্রিয় হন রাজনীতিতে। ৫০ বছরের বেশি সময় জুড়ে ভারতীয় সংসদে ছিলেন। রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে যাত্রা করেন ১৯৬৯ সালে। ইন্দিরার মন্ত্রিসভায় উপমন্ত্রী হন ১৯৭৩ সালে। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮২ সালে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান প্রথম। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সফলতার সঙ্গে ভারতীয় অর্থনীতিতে নতুন গতি আনেন। প্রণবের সময় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন মনমোহন সিং। ২০০৪ সালে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আসন থেকে জিতে লোকসভায় যান। এ সময় তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করার কথা ছিল। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী বেছে নেন মনমোহনকে। প্রণব নীরবে সব হজম করেন। যোগ দেন মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভায়। কাজ করেন নিরলসভাবে।

প্রণব মুখার্জি ছিলেন প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব শেষ হয়। তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে সফল ছিলেন। ২৫ জুলাই, ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। প্রণব রাষ্ট্রপতি থাকার সময় সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতি ভবনে যেতে পারত। তিনি সবার জন্য খুলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবনের দরজা। তাঁর নির্বাচনি এলাকার লোকজন যখন তখন যেত। তিনি সবার সুখদুখের কথা শুনতেন। সংকটের সমাধান করতেন। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারত। কোনো বাধা ছিল না। শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকের সঙ্গে প্রণবের আলাদা সখ্য ছিল। রাষ্ট্রপতি থাকাকালে তাঁর সঙ্গে অনেকবার সাক্ষাৎ করেছি। তিনি একবার জানালেন, তোমাদের বাংলাদেশের শিল্পী শাহাবুদ্দিন এসেছিল। বেশ কিছুদিন থেকেছে আমার এখানে। রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকার সময় শিল্পী শাহাবুদ্দিন অনেক ছবি এঁকেছেন। আরেকবার দিল্লি গিয়েছিলাম অন্য একটি কাজে। হঠাৎ মনে হলো প্রণবদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। আবার চিন্তায় এলো এত দ্রুত রাষ্ট্রপতি সময় দিতে পারবেন কি না। তার পরও ফোন করলাম রাষ্ট্রপতির এপিএস প্রদ্যুৎদাকে। রাজীব গান্ধীর সময় প্রদ্যুৎ ছিলেন অল ইন্ডিয়া যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এপিএস হলেও প্রণব মুখার্জির সঙ্গে কাজ করেছেন রাজনৈতিক সচিব হিসেবে।

কুশলাদি বিনিময়ের পর প্রদ্যুৎদা অনুমান করলেন কেন ফোন করেছি। কিছু বলার আগেই বললেন, ঢাকা থেকে ফোন করে দিল্লি এলে কী হয়? বুঝতে হবে প্রণব মুখার্জি এখন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তাঁর সময়গুলো নির্ধারণ করা থাকে। জবাবে বললাম, এবার সাক্ষাৎ না পাওয়া গেলেও সমস্যা নেই। অন্য কাজে এসেছি। আমার একটা সালাম দিয়েন। দুই ঘণ্টা পর আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। অন্য প্রান্ত থেকে একজন বললেন, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এডিসি... বলছি। মি. নিজাম আগামীকাল বেলা আড়াইটায় আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। আপনার গাড়ির নম্বর দিন গেটে বলে রাখার জন্য। আপনি আসবেন ৩০ মিনিট আগে। নির্ধারিত সময়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলাম। ভিতরে গিয়ে দেখলাম প্রণব মুখার্জির নিজের এলাকা জঙ্গিপুর থেকে অনেকে এসে অপেক্ষা করছেন। কয়েকজনের সঙ্গে আলাপও হলো। সেদিন দুপুরে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ফুরফুরে মুডে ছিলেন। আমাকে পেয়ে বাংলাদেশ নিয়ে গল্প করলেন। তিনি শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন। বললেন শেখ রেহানার সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার কথা।

রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসরের পর তিনি উঠেছিলেন ১০ রাজাজি রোডের বাড়িতে। নতুন বাড়িতে ওঠার কয়েকদিনের মধ্যে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে বাড়িটি ঘুরিয়ে দেখালেন। বললেন, এ বাড়িতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকতেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম। নতুন বাড়ি পছন্দ হয়েছে কি না জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, চারপাশে অনেক জায়গা আছে। সকালে হাঁটতে পারব। লাইব্রেরি সাজিয়েছি। অনেক বইয়ের সংগ্রহ আছে। পড়ব। লিখব নিয়মিত। কথা বলার সময় তাঁর হাতে ছিল মওলানা ভাসানীর কাগমারী সম্মেলন নিয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদের লেখা একটি বই। বললাম, এ বইটি পড়েছেন? জবাবে বললেন, পড়ছি। কেউ একজন কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে অনেক বই দিয়ে গেছে। বই হলে আমার আর কিছু লাগে না। প্রণব মুখার্জি পড়তেন। লিখতেন। তাঁর লেখা আটটি বই বাজারে আছে। একটি বইতে বাংলাদেশের ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনাবলির কথা রয়েছে। এ নিয়েও কথা হয়েছিল। তিনি বইয়ের বাইরে বেশ কিছু বিষয় স্মৃতিচারণা করলেন। ফিরে এসে বাংলাদেশ প্রতিদিনে তা প্রকাশ করেছিলাম।

করোনাকালে প্রণব মুখার্জি অসুস্থ হলেন। ২০২০ সালের ৯ আগস্ট খবর পেলাম দিল্লির ১০ রাজাজি রোডের বাড়িতে তিনি বাথরুমে পড়ে গেছেন। আঘাত পেয়েছেন সামান্য। পরদিন সকালে দেখলেন বাঁ হাত নাড়াতে পারছেন না। শরীরে আরও কিছু সমস্যা হচ্ছে। একটু জ্বরও আছে। হাসপাতালে ভর্তি হন ১০ আগস্ট। পরীক্ষানিরীক্ষায় ধরা পড়ল করোনা পজিটিভ।  রয়েছে আরও কিছু সমস্যা। চিকিৎসকরা চিন্তিত হলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ দেখে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন জরুরি সার্জারি করবেন। পরিবারের অনুমতি নিলেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে লড়তে থাকলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি। টানা ২০ দিন লড়াই করলেন। ৩১ আগস্ট, ২০২০ সালে জীবনের শেষ লড়াইয়ে পরাস্ত হন। থেমে গেল প্রণব মুখার্জির দীর্ঘ পথচলা। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেন। না-ফেরার দেশে চলে গেলেন চিরতরে।

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
শিরকমুক্ত থাকা
শিরকমুক্ত থাকা
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
অংশ কখনো সমগ্র নয়
অংশ কখনো সমগ্র নয়
সর্বশেষ খবর
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি : চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরল আরও ২ শিক্ষার্থী
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি : চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরল আরও ২ শিক্ষার্থী

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গোয়েন্দাপ্রধান গ্রেফতার
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গোয়েন্দাপ্রধান গ্রেফতার

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফুটপাত ও ড্রেন দখল, পথচারীদের ভোগান্তি
ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফুটপাত ও ড্রেন দখল, পথচারীদের ভোগান্তি

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমবারের মতো অর্থোপেডিক অপারেশন
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমবারের মতো অর্থোপেডিক অপারেশন

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে নদী থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে নদী থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অন্ধকারে গাজা: যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও বিদ্যুৎবিহীন বাসিন্দারা
অন্ধকারে গাজা: যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও বিদ্যুৎবিহীন বাসিন্দারা

২৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি ফুটবল দলকে নিষিদ্ধ করতে উয়েফাকে চিঠি
ইসরায়েলি ফুটবল দলকে নিষিদ্ধ করতে উয়েফাকে চিঠি

২৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

টেস্টে দুই স্তরের ভাবনা বাতিল, ফিরতে পারে ওয়ানডে সুপার লিগ
টেস্টে দুই স্তরের ভাবনা বাতিল, ফিরতে পারে ওয়ানডে সুপার লিগ

৩৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সারাদেশে অপরিবর্তিত থাকবে দিন-রাতের তাপমাত্রা
সারাদেশে অপরিবর্তিত থাকবে দিন-রাতের তাপমাত্রা

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৬৯ প্রাণ
অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৬৯ প্রাণ

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন

৫৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সাক্ষাৎ
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ট্রেলিয়ায় মিলল ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর প্রাচীন কুমিরের ডিমের খোসা
অস্ট্রেলিয়ায় মিলল ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর প্রাচীন কুমিরের ডিমের খোসা

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সাক্ষাৎ
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পর্যাপ্ত প্রতিভা নেই, সংবেদনশীল খাতে বিদেশি অপরিহার্য: ট্রাম্প
পর্যাপ্ত প্রতিভা নেই, সংবেদনশীল খাতে বিদেশি অপরিহার্য: ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন ফ্রান্সের ওপর চটেছেন ট্রাম্প?
কেন ফ্রান্সের ওপর চটেছেন ট্রাম্প?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নিখোঁজের ৩ দিন পর নদী থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজের ৩ দিন পর নদী থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক কিশোরের মৃত্যু
ভাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক কিশোরের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর
দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাজ অলড্রিনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে মানবজাতির প্রথম মহাকাশ সেলফি
বাজ অলড্রিনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে মানবজাতির প্রথম মহাকাশ সেলফি

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

গাজা সীমান্তে বড় সেনা ঘাঁটি বানানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
গাজা সীমান্তে বড় সেনা ঘাঁটি বানানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিজয়নগরে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রল ঢেলে আগুন
বিজয়নগরে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রল ঢেলে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৪৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৪৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৯৯৯-এ খবরে ডাকাত ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ কর্মকর্তা
৯৯৯-এ খবরে ডাকাত ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩ ফিলিস্তিনি নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরাইলের শীর্ষ মন্ত্রী রন ডারমারের পদত্যাগ
ইসরাইলের শীর্ষ মন্ত্রী রন ডারমারের পদত্যাগ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিম তীরে ইসলায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কড়া বার্তা
পশ্চিম তীরে ইসলায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কড়া বার্তা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাড়ির পথে ধর্মেন্দ্র
বাড়ির পথে ধর্মেন্দ্র

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিবচরে মহাসড়কে তল্লাশি, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
শিবচরে মহাসড়কে তল্লাশি, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার
নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’
‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসন নিশ্চিত হলে আপসহীন নেতাদেরও বিক্রি হতে সমস্যা নেই: আব্দুল কাদের
আসন নিশ্চিত হলে আপসহীন নেতাদেরও বিক্রি হতে সমস্যা নেই: আব্দুল কাদের

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না : মির্জা ফখরুল
ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না : মির্জা ফখরুল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন
উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান
রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দিতে সম্মতি
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দিতে সম্মতি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র
ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানালেন রশিদ খান
দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানালেন রশিদ খান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আলোচনা নাকচ সিরিয়া
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আলোচনা নাকচ সিরিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাবাকে আড়াই মিনিটে ১৭ কোপে হত্যা করলেন ফারুক, নেপথ্যে স্ত্রীর সঙ্গে ‘পরকীয়া’
বাবাকে আড়াই মিনিটে ১৭ কোপে হত্যা করলেন ফারুক, নেপথ্যে স্ত্রীর সঙ্গে ‘পরকীয়া’

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সনদের বাইরের সিদ্ধান্ত স্বাক্ষরকারী দলগুলো মানতে বাধ্য নয় : সালাহউদ্দিন
সনদের বাইরের সিদ্ধান্ত স্বাক্ষরকারী দলগুলো মানতে বাধ্য নয় : সালাহউদ্দিন

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে বাসে আগুন
রাজধানীতে বাসে আগুন

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট করতে পারি: হাসনাত আবদুল্লাহ
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট করতে পারি: হাসনাত আবদুল্লাহ

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ লাখ টাকায় রফা, ভাগ নিলেন মাতবররা!
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ লাখ টাকায় রফা, ভাগ নিলেন মাতবররা!

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে লুকানোর গর্ত খুঁজে পাবেন না’
‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে লুকানোর গর্ত খুঁজে পাবেন না’

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন

৫০ মিনিট আগে | নগর জীবন

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ডিএমপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ডিএমপি

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই সনদের বাইরে যেকোনো সিদ্ধান্তের দায় সরকারের: বিএনপি
জুলাই সনদের বাইরে যেকোনো সিদ্ধান্তের দায় সরকারের: বিএনপি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ
প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় গণমাধ্যম ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারতীয় গণমাধ্যম ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
এনসিপিতে গৃহদাহ
এনসিপিতে গৃহদাহ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ
আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা
ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা

মাঠে ময়দানে

বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি
বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি

নগর জীবন

সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে
সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজারে মাফিয়া
শেয়ারবাজারে মাফিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ
আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার
আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার

নগর জীবন

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া
শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের
সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার

মাঠে ময়দানে

বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা

সম্পাদকীয়

ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা
ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের
ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা
কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা

মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেশাদারিতে শাবনূর
অপেশাদারিতে শাবনূর

শোবিজ

ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব

সম্পাদকীয়

কেন ক্ষেপলেন তামান্না
কেন ক্ষেপলেন তামান্না

শোবিজ

যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট

প্রথম পৃষ্ঠা

বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?

সম্পাদকীয়

শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প
শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প

শোবিজ

কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী
কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পর্শিয়ার ক্ষোভ
স্পর্শিয়ার ক্ষোভ

শোবিজ

টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু
টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু

শোবিজ

সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ
সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নগর জীবন