শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪ আপডেট:

সম্পর্কের কাঁটাতারে শূন্যতা একজন প্রণব মুখার্জির

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
 সম্পর্কের কাঁটাতারে শূন্যতা একজন প্রণব মুখার্জির

সম্পর্কের টানাপোড়েনে একজন প্রণব মুখার্জির অভাব অনুভব করছি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে তিনি অন্য উচ্চতা দিয়েছিলেন। ধরে রেখেছিলেন অনেক কিছু। প্রণবকে বলা হতো ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য। আইনে মাস্টার্স করে সাংবাদিকতা পেশা দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন। তারপর যোগ দেন শিক্ষকতায়। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ছিলেন ক্রাইসিস ম্যানেজার। ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকটময় মুহূর্তগুলোয় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতেন। বিদেশনীতিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গুরুত্ব দিতেন।  দলমতনির্বিশেষে প্রশংসিত ছিলেন সবার কাছে। ভারতের দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছিলেন তিনি। স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য কাজ করেছেন। ভারতের সব দলের নেতারাই প্রণবকে দেখতেন ভিন্ন চোখে। অন্য উচ্চতায়। তিনি ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির শিক্ষক। তাঁর অসুস্থতার সময় ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক জয়ন্ত রায়চৌধুরী বলেছিলেন, প্রণববাবুর কোনো তুলনা চলে না। বিজ্ঞান এখনো এমন উচ্চতায় পৌঁছেনি প্রণববাবু চলে যাওয়ার সময় তাঁর ব্রেনটা সংরক্ষণ করার। তাঁর ব্রেনটা রেখে দেওয়ার দরকার ছিল শুধু ভারতের জন্য নয়, এ উপমহাদেশের জন্য। শুধু ইন্দিরা গান্ধী, মনমোহন সিং, নরসিমা রাও নন, সংকটে নরেন্দ্র মোদিও তাঁর পরামর্শ নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। নরেন্দ্র মোদি সব সময় প্রশংসা করতেন প্রণবের।

শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও পাকিস্তানের রাজনীতির অন্দরমহলেও ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। যোগাযোগ রাখতেন সবার সঙ্গে। খারাপ সময়ে আপনজনের মতো পাশে দাঁড়াতেন। বাড়িয়ে দিতেন সহায়তার হাত। পাকিস্তানের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। আবার শ্রীলঙ্কার চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গাও তাঁকে মানতেন। নেপালের রাজনীতিবিদদের অনেকে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়েকে তিনি পছন্দ করতেন। তাঁদের সম্পর্কটা ছিল পারিবারিক ও ব্যক্তিগত। একবার তিনি আমাকে বলেছিলেন, বিএনপির মুস্তাফিজুর রহমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। তিনি মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বাগেরহাট গিয়েছিলেন। আবার জিয়াউর রহমান তাঁকে দুবার আমন্ত্রণ জানিয়ে ঢাকা এনেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকার সময় বাংলাদেশ সফরকালে খালেদা জিয়ার আচরণে বিস্মিত হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দিল্লি সফরকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ঢাকা সফরকালে জামায়াতের হরতালে বিএনপি সমর্থন দিয়েছিল। খালেদা জিয়া কূটনৈতিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁর পূর্বঘোষিত সাক্ষাতের কর্মসূচি বাতিল করেন।

প্রণব মুখার্জি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশের প্রতি একটা টান ছিল। তিনি দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতেন। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রণবের সম্পর্ক ১৯৭১ সালে তৈরি। তিনি তখন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সমর্থন, সহায়তা ছিল। শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দুই হাত বাড়িয়ে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছিল। আলাপকালে প্রথমবার বঙ্গবন্ধু জানতে চেয়েছিলেন প্রণববাবুর পূর্বপুরুষ এখানকার কি না। জবাবে প্রণব বলেছিলেন, তিনি খাঁটি বাঙাল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে প্রণব পরিবারের গভীর হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সম্পর্কের বন্ধন তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বজায় ছিল। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তিনি নিজের পরিবারের সদস্য মনে করতেন। শুভ্রা মুখার্জিও সব সময় যোগাযোগ রাখতেন বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের বিপদে-আপদে প্রণব পাশে থাকতেন। প্রণবের পুত্র ও কন্যা এখন শেখ হাসিনাকে তাঁদের গার্জিয়ান হিসেবে দেখেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড প্রণব মুখার্জিকে আঘাত করেছিল। তিনি এ নিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার সময় প্রণব মুখার্জি নিয়মিত খোঁজখবর রাখতেন। স্বপ্নচারী রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জি সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন। আলাপে-আড্ডায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার প্রতি তাঁর গভীর মমত্বের কথা বলতেন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক লেখনীতেও বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের কথা আছে।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে পছন্দ করতেন। ডাকতেন বাঘা নামে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াবহ নিষ্ঠুর কালো অধ্যায়ের পর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রতিরোধ যুদ্ধের ডাক দেন। প্রণব মুখার্জি সে সময় কাদের সিদ্দিকীর পাশে দাঁড়ান। সব ধরনের সহায়তা দেন। বাংলাদেশের প্রতি প্রণবের গভীর টানের আরেকটি কারণ ছিলেন তাঁর স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জি। শুভ্রা মুখার্জি বৃহত্তর যশোরের মেয়ে। নড়াইলের ভদ্রবিলা গ্রামে তাঁর জন্ম। ১০ বছর বয়সে কলকাতা যান পরিবারের সঙ্গে। পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠা সেখানে। প্রণবের সঙ্গে বিয়ের পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুখদুখের সঙ্গী ছিলেন। শুভ্রার মৃত্যু প্রণবকে ভেঙে দিয়েছিল। তিনি সেই শোক সামলে উঠলেন ধীরে ধীরে। প্রণব ও শুভ্রার দুই পুত্র, এক কন্যা। পুত্র অভিজিৎ মুখার্জি একাধিকবার লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন আর রাজনীতি করছেন না। অভিজিৎ রাজনীতিতে সক্রিয়।

প্রণব মুখার্জির রাজনীতিতে আসাটা ছিল একটু অন্যভাবে। কলেজের অধ্যাপক রাজনীতিতে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। ১৯৬৯ সালে মেদিনীপুর উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন স্বতন্ত্রভাবে। হঠাৎ ভোট করে তিনি সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চোখে পড়েন ইন্দিরা গান্ধীর। ইন্দিরা তাঁকে দলে টেনে নেন। ইন্দিরার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা গভীর ছিল। তিনি ছিলেন ইন্দিরা ব্লু আই। সে সম্পর্ক নষ্ট হয় রাজীব গান্ধীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জেরে। তিনি কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। রাজীব তাঁকে বহিষ্কার করেন। অভিমান নিয়ে সমাজবাদী কংগ্রেস নামে একটি নতুন দল করেন। সে দলে তেমন সাফল্য আসেনি। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের আপনজনরাও তাঁকে ত্যাগ করেন। রাজীবের মৃত্যুর নানা পটপরিক্রমায় তিনি ১৯৯১ সালে আবার কংগ্রেসে সক্রিয় হন। প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাও তাঁকে পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান করেন। নরসিমার মন্ত্রিসভায় তিনি কাজ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। 

প্রণব মুখার্জি ব্যতিক্রমী একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সামাল দিতে তাঁর দক্ষতার তুলনা ছিল না। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন জটিল বিষয় সমাধানে গঠিত কমিটিগুলোয় তাঁকে রাখা হতো। ইন্দিরা গান্ধীর একটা আস্থা ছিল তাঁর ওপর। অন্যরাও মনে করতেন জটিল সমস্যাগুলোর সমাধান প্রণবই পারেন করতে। চলার পথে নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে আটটি বই লিখেছেন। বাংলাদেশের ওয়ান-ইলেভেনের সময়কার ঘটনা নিয়েও বই আছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করলেও বেশি আলোচিত ছিলেন অর্থ, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে।

প্রণব জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মিরাটি গ্রামে। এ গ্রামটি কীর্ণাহার শহরের কাছে। প্রণবের বাবার নাম কামদাকিঙ্কর মুখার্জি, মা রাজলক্ষ্মী দেবী। বাবা ছিলেন কংগ্রেস নেতা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। কারাভোগ করেছিলেন ১০ বছর। ভারত বিভক্তির পর তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন। ছোটবেলা থেকে রাজনৈতিক পরিমন্ডলে প্রণবের বেড়ে ওঠা। সাংবাদিকতা করেছেন ‘দেশের ডাক’ পত্রিকায়। তারপর কলেজের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ধীরে ধীরে বাবার পথ ধরে সক্রিয় হন রাজনীতিতে। ৫০ বছরের বেশি সময় জুড়ে ভারতীয় সংসদে ছিলেন। রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে যাত্রা করেন ১৯৬৯ সালে। ইন্দিরার মন্ত্রিসভায় উপমন্ত্রী হন ১৯৭৩ সালে। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮২ সালে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান প্রথম। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সফলতার সঙ্গে ভারতীয় অর্থনীতিতে নতুন গতি আনেন। প্রণবের সময় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন মনমোহন সিং। ২০০৪ সালে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আসন থেকে জিতে লোকসভায় যান। এ সময় তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করার কথা ছিল। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী বেছে নেন মনমোহনকে। প্রণব নীরবে সব হজম করেন। যোগ দেন মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভায়। কাজ করেন নিরলসভাবে।

প্রণব মুখার্জি ছিলেন প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব শেষ হয়। তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে সফল ছিলেন। ২৫ জুলাই, ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। প্রণব রাষ্ট্রপতি থাকার সময় সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতি ভবনে যেতে পারত। তিনি সবার জন্য খুলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবনের দরজা। তাঁর নির্বাচনি এলাকার লোকজন যখন তখন যেত। তিনি সবার সুখদুখের কথা শুনতেন। সংকটের সমাধান করতেন। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারত। কোনো বাধা ছিল না। শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকের সঙ্গে প্রণবের আলাদা সখ্য ছিল। রাষ্ট্রপতি থাকাকালে তাঁর সঙ্গে অনেকবার সাক্ষাৎ করেছি। তিনি একবার জানালেন, তোমাদের বাংলাদেশের শিল্পী শাহাবুদ্দিন এসেছিল। বেশ কিছুদিন থেকেছে আমার এখানে। রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকার সময় শিল্পী শাহাবুদ্দিন অনেক ছবি এঁকেছেন। আরেকবার দিল্লি গিয়েছিলাম অন্য একটি কাজে। হঠাৎ মনে হলো প্রণবদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। আবার চিন্তায় এলো এত দ্রুত রাষ্ট্রপতি সময় দিতে পারবেন কি না। তার পরও ফোন করলাম রাষ্ট্রপতির এপিএস প্রদ্যুৎদাকে। রাজীব গান্ধীর সময় প্রদ্যুৎ ছিলেন অল ইন্ডিয়া যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এপিএস হলেও প্রণব মুখার্জির সঙ্গে কাজ করেছেন রাজনৈতিক সচিব হিসেবে।

কুশলাদি বিনিময়ের পর প্রদ্যুৎদা অনুমান করলেন কেন ফোন করেছি। কিছু বলার আগেই বললেন, ঢাকা থেকে ফোন করে দিল্লি এলে কী হয়? বুঝতে হবে প্রণব মুখার্জি এখন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তাঁর সময়গুলো নির্ধারণ করা থাকে। জবাবে বললাম, এবার সাক্ষাৎ না পাওয়া গেলেও সমস্যা নেই। অন্য কাজে এসেছি। আমার একটা সালাম দিয়েন। দুই ঘণ্টা পর আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। অন্য প্রান্ত থেকে একজন বললেন, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এডিসি... বলছি। মি. নিজাম আগামীকাল বেলা আড়াইটায় আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। আপনার গাড়ির নম্বর দিন গেটে বলে রাখার জন্য। আপনি আসবেন ৩০ মিনিট আগে। নির্ধারিত সময়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলাম। ভিতরে গিয়ে দেখলাম প্রণব মুখার্জির নিজের এলাকা জঙ্গিপুর থেকে অনেকে এসে অপেক্ষা করছেন। কয়েকজনের সঙ্গে আলাপও হলো। সেদিন দুপুরে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ফুরফুরে মুডে ছিলেন। আমাকে পেয়ে বাংলাদেশ নিয়ে গল্প করলেন। তিনি শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন। বললেন শেখ রেহানার সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার কথা।

রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসরের পর তিনি উঠেছিলেন ১০ রাজাজি রোডের বাড়িতে। নতুন বাড়িতে ওঠার কয়েকদিনের মধ্যে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে বাড়িটি ঘুরিয়ে দেখালেন। বললেন, এ বাড়িতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকতেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম। নতুন বাড়ি পছন্দ হয়েছে কি না জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, চারপাশে অনেক জায়গা আছে। সকালে হাঁটতে পারব। লাইব্রেরি সাজিয়েছি। অনেক বইয়ের সংগ্রহ আছে। পড়ব। লিখব নিয়মিত। কথা বলার সময় তাঁর হাতে ছিল মওলানা ভাসানীর কাগমারী সম্মেলন নিয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদের লেখা একটি বই। বললাম, এ বইটি পড়েছেন? জবাবে বললেন, পড়ছি। কেউ একজন কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে অনেক বই দিয়ে গেছে। বই হলে আমার আর কিছু লাগে না। প্রণব মুখার্জি পড়তেন। লিখতেন। তাঁর লেখা আটটি বই বাজারে আছে। একটি বইতে বাংলাদেশের ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনাবলির কথা রয়েছে। এ নিয়েও কথা হয়েছিল। তিনি বইয়ের বাইরে বেশ কিছু বিষয় স্মৃতিচারণা করলেন। ফিরে এসে বাংলাদেশ প্রতিদিনে তা প্রকাশ করেছিলাম।

করোনাকালে প্রণব মুখার্জি অসুস্থ হলেন। ২০২০ সালের ৯ আগস্ট খবর পেলাম দিল্লির ১০ রাজাজি রোডের বাড়িতে তিনি বাথরুমে পড়ে গেছেন। আঘাত পেয়েছেন সামান্য। পরদিন সকালে দেখলেন বাঁ হাত নাড়াতে পারছেন না। শরীরে আরও কিছু সমস্যা হচ্ছে। একটু জ্বরও আছে। হাসপাতালে ভর্তি হন ১০ আগস্ট। পরীক্ষানিরীক্ষায় ধরা পড়ল করোনা পজিটিভ।  রয়েছে আরও কিছু সমস্যা। চিকিৎসকরা চিন্তিত হলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ দেখে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন জরুরি সার্জারি করবেন। পরিবারের অনুমতি নিলেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে লড়তে থাকলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি। টানা ২০ দিন লড়াই করলেন। ৩১ আগস্ট, ২০২০ সালে জীবনের শেষ লড়াইয়ে পরাস্ত হন। থেমে গেল প্রণব মুখার্জির দীর্ঘ পথচলা। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেন। না-ফেরার দেশে চলে গেলেন চিরতরে।

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
সর্বশেষ খবর
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির
র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?
টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক
বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প
চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত
ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি
নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং
শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড
গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম
চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ
আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম
বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করছে ইসি
নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করছে ইসি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প
আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ
পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩
বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের
ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার
আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার একা নয়: আরব লীগ প্রধান
কাতার একা নয়: আরব লীগ প্রধান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮
নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর চটলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী
ইসরায়েলের ওপর চটলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ
ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে
অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে

১৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার
পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার
হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের
মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’
‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একটা গোষ্ঠী দেশে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী দেশে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির একাধিক প্রার্থীর ভিড় জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থীর ভিড় জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি
নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি

নগর জীবন

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান

নগর জীবন

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার

নগর জীবন

সারা দেশে শুরু হলো একাদশ শ্রেণির ক্লাস
সারা দেশে শুরু হলো একাদশ শ্রেণির ক্লাস

নগর জীবন

সৌজন্য সাক্ষাৎ
সৌজন্য সাক্ষাৎ

নগর জীবন

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল রোহান এখনো চিকিৎসাধীন ১০ জন
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল রোহান এখনো চিকিৎসাধীন ১০ জন

নগর জীবন

প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ
প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ

দেশগ্রাম

চমেক হাসপাতাল এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান
চমেক হাসপাতাল এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান

দেশগ্রাম

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

সম্পাদকীয়

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব

সম্পাদকীয়

খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ

সম্পাদকীয়