ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেশ কিছু শিল্পকারখানায় হামলা হয়। ধ্বংসাত্মক শ্রম অসন্তোষের মুখে ঝাঁপ টানা হতে থাকে একের পর এক কারখানায়। সে বিশৃঙ্খলা দমনের পর কিছু কারখানা চালু হলেও গ্যাস-বিদ্যুৎ, ডলার ও মূলধন সংকট, কাঁচামালের অপর্যাপ্ততা, পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়াসহ নানা কারণে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক কারখানা। গত ছয় মাসে বন্ধ হয়েছে শতাধিক গার্মেন্ট এবং অন্তত দশটি টেক্সটাইল মিল। চব্বিশের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে আশিটির ওপর প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সিমেন্ট, ইস্পাত ও কাগজশিল্পের অনেক কারখানাও নাম লিখিয়েছে বন্ধের তালিকায়। নানা সংকটে বিপর্যয় নেমে এসেছে শিল্পক্ষেত্রে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) জানিয়েছে, প্রায় দশ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হয়েছে। প্রতিদিনই কর্মক্ষম বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। তাঁরা রাস্তায় নেমে আসছেন। অবস্থা উদ্বেগজনক। জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিয়ে কর্মসংস্থান রক্ষা এবং নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে না পারলে সামাজিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি রাজনৈতিক কারণেও বেশ কয়েকটি বড় শিল্পগ্রুপের কারখানা বন্ধ হয়েছে। কোনো কোম্পানির মালিক গ্রেপ্তার হয়েছেন, কেউবা পালিয়ে গেছেন। এতে তাঁদের অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। এসব কারখানায় কাজ হারিয়ে পথে বসা শ্রমিকরা সড়কে মানববন্ধন করেছেন। তাঁরা চান- তাঁদের কর্মস্থল খুলে দেওয়া হোক। পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার রুটিরুজির ক্ষেত্র ওই শিল্প। এসব নিয়েই গতকাল বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিনে। তাতে জানা যায়, বেকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সরকারকে বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আছে- চালু রাখা সম্ভব, এমন শিল্পমালিকদের সহায়তা দিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা নিশ্চিত করা। পলাতক মালিকদের শিল্পকারখানায় প্রশাসক নিয়োগ করে চালু রাখার উদ্যোগ নেওয়া এবং কর্মহীন শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়িয়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে নিয়োগের ব্যবস্থা করা। এ প্রক্রিয়ায় কয়েক লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব। উত্তম প্রস্তাব। এগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। একের পর এক শিল্পকারখানা যদি বন্ধ হয়ে যায়, স্বভাবতই লাখো শ্রমিক কাজ হারিয়ে পথে বসবে। কিন্তু তাঁরা বেশিক্ষণ পথে বসে থাকতে পারবে না। পেটের জ্বালায়, পরিজনের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে তাঁদের অবশ্যই কিছু করতে হবে। আর তা করতে না পারলে তখন অপরাধপ্রবণতা ও সামাজিক অপরাধ বাড়বে। অস্থিরতা সৃষ্টি হলে জননিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। এসব ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছানোর আগেই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
শিরোনাম
- সীমাহীন পাল্লার পরমাণু মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি রাশিয়ার
- জাতীয় ঐক্য নষ্ট হলে ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন হবে : সালাহউদ্দিন
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৫৬১
- নারায়ণগঞ্জে খানপুর হাসপাতালে বিএনপি নেতার ডেঙ্গু কিট প্রদান
- চট্টগ্রামে হ্যান্ডকাপসহ পালানো আসামি গ্রেফতার
- ৪ দিন পরেই বাতিল হবে অতিরিক্ত সিমকার্ড, বিটিআরসির জরুরি বার্তা
- যাত্রাবাড়ীতে নির্মাণাধীন ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রড মিস্ত্রির মৃত্যু, আহত ১
- বইমেলা হবে, কোনো সন্দেহ নেই: প্রেস সচিব
- বৃষ্টির কারণে ৩৫ মিনিট দেরিতে টস, ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ
- স্কুলছাত্রী অপহরণের ৪ মাস পর আদালতে মামলা
- মালয়েশিয়া থেকে ট্রাম্পের এশিয়া সফর শুরু
- ল্যুভর জাদুঘরে চুরির ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার
- রায়পুরায় বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভা
- শাবিপ্রবি ছাত্রদলের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি
- ‘যুবদল গণমানুষের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে রাজপথে ছিল, থাকবে’
- হঠাৎ মেট্রোরেল বন্ধে দুর্ভোগ
- ভিন্নতা থাকলেও জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: গোলাম পরওয়ার
- নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের চেষ্টা করা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ঘুষ নিয়ে ভাইরাল সেই শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হয়নি
- এশিয়ার নবীনতম দেশ এখন আসিয়ানের ১১তম সদস্য
বেকারত্ব বাড়ছে
প্রতিকারে জরুরি পদক্ষেপ নিন
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
বাসে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোন, ২০ জনের প্রাণহানিতে থাকতে পারে ব্যাটারি বিস্ফোরণের প্রভাব
২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম
প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে দিতে হবে কাশি, বারবার কাশতে গিয়ে ধরা পড়লেন পরীক্ষার্থী
২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম