সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চার মাস চিকিৎসা শেষে গতকাল লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন। কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় ফিরেছেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই রাজনৈতিক নেত্রী। বিমানবন্দর এবং তাঁর বাসভবনে ফেরার পথে ভিড় না করার জন্য দলের পক্ষ থেকে সমর্থকদের অনুরোধ করা হলেও লাখ লাখ লোক জড়ো হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাতে। এক গভীর সংকটময় মুহূর্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন জনমনে আশার আলো জাগিয়েছে। কারণ দ্রুত সংস্কারের ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে দেনদরবারে বেগম খালেদা জিয়াই সবচেয়ে আস্থাবান ব্যক্তি। বিএনপির চেয়ারপারসন হলেও প্রতিপক্ষ দলগুলোরও সমীহ রয়েছে দেশনেত্রীর প্রতি। সরকারের দিক থেকেও বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আস্থার মনোভাব অন্য যে কোনো নেতা-নেত্রীর চেয়ে বেশি। ফলে সরকারের সঙ্গে সংস্কার এবং অন্যান্য প্রশ্নে বিএনপির যে মতপার্থক্য রয়েছে, তা বেগম জিয়ার হস্তক্ষেপে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের প্রতি ভারতের অনুদার নীতি দূরীকরণের ক্ষেত্রেও তিনি তাঁর প্রভাব কাজে লাগাতে সক্ষম হবেন বলে আশা করা যায়। আরাকানে মানবিক করিডরসহ নানা বিষয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে তার ইতি ঘটাতেও বিএনপি চেয়ারপারসনের দেশে ফিরে আসা ও রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখা অবদান রাখতে পারে। দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সংস্কারের বিকল্প নেই। বিশেষ করে নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার অবশ্যই অতি জরুরি। বেগম জিয়া সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে অতীতে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়েছেন। যেহেতু জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় তিনি অবদান রাখতে পারবেন বলে বিশ্বাস করা হয়। বাংলাদেশে বাজার অর্থনীতি চালু হয় বেগম জিয়ার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে বিরোধী দলের সম্মতিতে। বাংলাদেশের আজকের উন্নয়ন বিশেষত শিল্পায়নে সে সিদ্ধান্ত আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছে। আশা করা যায়, দেশে যে মুহূর্তে ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যাক্তাদের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক ও আস্থার সংকট বিরাজ করছে তখন দেশনেত্রীর ব্যক্তিগত প্রভাব অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে অবদান রাখবে।
শিরোনাম
- ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
- জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
- গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
- তিন বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস
- ১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
- দেশের প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’
- যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
- টাঙ্গাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়ছে হলুদের আবাদ, স্বপ্ন দেখছে কৃষক
- আইফোন ১৮ সিরিজে থাকবে না যে ফিচার
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে
- ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পে স্বস্তি: ঋণের মেয়াদ বাড়বে সর্বোচ্চ ১০ বছর
- খাদ্য মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য ও বৈষম্য
- যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা
- ইসলামী অর্থনীতিতে বাজারদর নির্ধারণের ন্যায়সংগত পথ
- খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
- আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
- চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের শুভসূচনা
- ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
- তিন দাবিতে ১৩ ঘণ্টা ধরে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা
ফিরেছেন দেশনেত্রী
সংকটমোচনের প্রত্যাশা
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর