রাজধানীর বেইলি রোডের এক রেস্টুরেন্টে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মর্মান্তিক প্রাণহানি ঘটেছিল। তারপর যা হয়, একদিকে স্বজন হারানো পরিবারগুলোর আহাজারি, অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট সব প্রশাসনের অতি তৎপরতা। তদন্ত কমিটি গঠন, নির্বিচার গ্রেপ্তার, হোটেল-রেস্টুরেন্টের অনিয়ম খুঁজতে ব্যাপক অভিযান। নিহতদের ময়নাতদন্ত, দাফন দ্রুত সম্পন্ন হলেও স্বজনদের চোখের পানি শুকায় না সারাজীবনেও। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আলোর মুখ দেখে না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। মাঝখানে গ্রেপ্তার ও অভিযানের নামে বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার অসৎ কর্মচারীরা একটা যুৎসই বাণিজ্য বাগিয়ে নেন। এ কোনো নতুন অভিযোগ নয়। এজন্যই সমস্যার প্রকৃত সমাধানটা কখনো হয় না। রাজধানীর বহুতল ভবনে থাকা রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিদুর্ঘটনা যেন ব্যবসায়ী ও দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর কাছে ‘ডাল-ভাতে’ পরিণত হয়েছে। শুধু ঢাকা নয়, দেশের মোট হোটেল-রেস্টুরেন্টের ১৫/২০ শতাংশই অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো দেখার যেন কেউ নেই। থাকলেও সেই ভূত তাড়ানোর শর্ষেতেই ভূতের আসর। অনিয়মের ফাঁকফোকর থেকে যাওয়ার সূত্রেই গত সোমবার ফের সেই ব্যস্ত, জনবহুল বেইলি রোডের এক রেস্টুরেন্টে ঘটে গেল আগুনের ঘটনা। ভাগ্য ভালো, ১৮ জন সেখানে আটকা পড়লেও তাদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বলা হচ্ছে, ৯৯ শতাংশ হোটেল-রেস্টুরেন্টেই অগ্নিনির্বাপণের জরুরি ব্যবস্থা নেই। বিপৎকালে দ্রুত বেরিয়ে আসার ব্যবস্থা নেই। এই দায়িত্বহীনতা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা না বোঝার ভান করেন। আর যারা এসব দেখভাল ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারা নিয়মিত নগদ-নারায়ণে তুষ্ট হয়ে কূম্ভকর্ণ হয়ে থাকেন। ব্যবসায়ীদের ‘ম্যানেজ’ করা আর নিয়ন্ত্রকদের ‘কম্প্রোমাইজ’-এ ভেস্তে যায় ভোক্তার জীবনের নিরাপত্তা। তারা হাসিমুখে প্রিয়জন-পরিবার নিয়ে ভিন্ন পরিবেশে খাদ্য-বিনোদনে এসে প্রাণ, অঙ্গ বা স্বজন হারান। সারাজীবনের কান্না নিয়ে বেঁচে থাকেন অনেকে। এর অবসান হওয়া দরকার। ঘটনা-দুর্ঘটনার পর নয়, শুরু থেকেই যদি যথাযথ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে হোটেল-রেস্তোরাঁর অনুমোদন দেওয়া হয়, নিয়মিত পরিদর্শন-তদারকি করা হয়, দুর্ঘটনা নিশ্চয়ই কমবে। এ ঝুঁকি শূন্যে নামানোর পদক্ষেপ নিক সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে