শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার :- পূজা চেরী

আমি কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি না

আমি কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি না

এ সময়ের ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম দর্শকপ্রিয় নায়িকা পূজা চেরী। ঈদে মুক্তি পেয়েছে জাজের ব্যানারে নির্মিত ও নাদের চৌধুরী পরিচালিত পূজা অভিনীত সিনেমা ‘জ্বীন’। সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলেছেন-পান্থ আফজাল

 

ঈদ উৎসব মানেই পূজার আনন্দ! কেমন লাগছে?

ভালোই তো লাগছে। প্রতি ঈদেই আমার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, যেটা সত্যিই আনন্দের। এবারও মুক্তি পেল ‘জ্বীন’। আমি চাই আমার সিনেমা প্রতি ঈদে মুক্তি পাক। কারণ, দর্শকের ভালোবাসার কারণেই আমি আজকের এই পূজা চেরী।

 

‘জ্বীন’ নিয়ে দর্শক সাড়া কেমন পাচ্ছেন?

অনেক অনেক ভালো। যদিও ‘জ্বীন’ শুধু সিনেপ্লেক্সেই মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু কম হলে মুক্তি পেলেও দর্শকের চাহিদার কেন্দ্রে ‘জ্বীন’। এই ঈদে প্রায় সাত-আটটি সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। যেগুলোর বেশির ভাগ সিঙ্গেল স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে। ‘জ্বীন’ সিঙ্গেল স্ক্রিনে মুক্তি দেওয়া হয়নি। তবুও ছবিটির প্রতি দর্শকের আগ্রহ দেখে আমি ভীষণ অবাক ও মুগ্ধ হয়েছি। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।

 

জিনে ভর করেছিল। এখন কী অবস্থা আপনার?

হা হা হা... জিন, সিনেমায় জিনে ভর করেছিল। এখন ঠিকঠাক আছি। আসলে ‘জ্বীন’ সিনেমায় সাধারণ একজন মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি, যার ওপর জিন ভর করে।

সে সময় চরিত্রটিতে চেহারায় কিছুটা ভৌতিকতা ছিল। ইতোমধ্যে যারা দেখেছেন তারা চরিত্রটি উপভোগ করেছেন আশা করছি।

 

এ ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?

খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা! ছবির পুরো শুটিংয়ে কষ্টটা আমার ওপর দিয়েই গেছে। আমার ওপর যখন জিন ভর করে, তখন প্রাচীরের ওপর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটেছি। মানিকগঞ্জে এক পুরনো জমিদারবাড়ির শত বছর আগের কুয়ায় নামতে হয়েছিল। ময়লা পানিযুক্ত গভীর কুয়ায় নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম।

 

ফলো বলব না। সবাইকে ভালো লাগে। তবে আমি আমার মতোই চলার চেষ্টা করি। হ্যাঁ, শাবনূরকে খুবই পছন্দ করি। মাঝে মাঝে মনে হয়, একজন মানুষ এত ভালো অ্যাক্টিং কীভাবে করে!

 

‘জ্বীন’ দেখতে সিনেপ্লেক্সে গিয়েছিলেন?

হুম, গিয়েছিলাম। ঈদের দিন থেকে সিনেপ্লেক্সগুলোতে ঘুরছি। ছবিতে যারা অভিনয় করেছি, সবাই মিলে দর্শকের সঙ্গে ছবিটি দেখছি। হলে হলে ঘুরে দর্শক প্রতিক্রিয়া নিজের চোখে লক্ষ্য করছি।

 

নারায়ণগঞ্জে ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত পূজা...  

গত বুধবার বিকালে শহরের ডিআইটি এলাকার সিনেস্কোপ-এ গিয়েছিলাম আমি ও আমার দুই নায়ক সজল ও রোশান। সঙ্গে ছিলেন প্রযোজক আবদুল আজিজসহ সংশ্লিষ্টরা। এ সময় আমাদের দেখতে দর্শক-ভক্ত ভিড় জমান। ভক্তদের সঙ্গে সেলফি তুলি। ভক্তরা কেক কেটে আনন্দ ভাগাভাগি করেন আমাদের সঙ্গে। এটি সত্যিই আনন্দের। আমি আবারও বলব, এখনো যারা দেখেননি, তারা সবাই সিনেমা হলে এসে মুভিটি দেখবেন। দেখে আপনারাই বলবেন সিনেমাটি কেমন হয়েছে। আমরা আপনাদের জন্য কাজ করছি।

 

‘জ্বীন’ কি দর্শকবান্ধব সিনেমা? আপনার কি মনে হয়, দর্শকের রুচির পরিবর্তন হয়েছে?

শতভাগ দর্শকবান্ধব সিনেমা! সিনেমাটি নির্মাতা দর্শকদের কথা চিন্তা করেই বানিয়েছেন। আর হ্যাঁ, এখন মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ একঘেয়েমি কিছু পছন্দ করেন না।

আমরাও যদি গতানুগতিক সিনেমা দিয়েই চলি তাহলে আমাদের চেঞ্জ আসবে না। তাই রুচি বদলের জন্য আমাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।

 

এই ঈদে অনেক নায়িকার সিনেমাই মুক্তি পেয়েছে। কাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন?

আমি কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবী না। কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কখনো যেতে চাই না। সর্বদা চাই ভালো বাংলা সিনেমা সবাই দেখুক। সব সিনেমা চলুক।

 

পূজা ফের জাজে! তাহলে কি এখন থেকে জাজের বাইরের কোনো সিনেমা করবেন না?

অবশ্যই করব। করছিও তো। জাজের বাইরে আগে তো অনেক কাজই করেছি। আসলে আগেও ক্লিয়ার করেছি, জাজে থাকা অবস্থায় আমি অন্যদের কাজও করতে পারব। সো এতে কোনো প্রবলেম নেই।

 

পূজাকে পুজো বলে কে ডাকে?

পুজো! ও হ্যাঁ হ্যাঁ...আবদুল আজিজ ভাই ডাকেন এই নামে।

 

বাংলাদেশি কোন নায়িকাকে ফলো করেন?

ফলো বলব না। সবাইকেই ভালো লাগে। তবে আমি আমার মতোই চলার চেষ্টা করি। হ্যাঁ, শাবনূরকে খুবই পছন্দ করি। মাঝে মাঝে মনে হয়, একজন মানুষ এত ভালো অ্যাক্টিং কীভাবে করে!

 

পূজা লং ড্রাইভে কার সঙ্গে যেতে চান?

যদি নায়ক হয় তাহলে কারও সঙ্গেই যেতে চাই না। আর যদি ইন্ডাস্ট্রির বাইরে হয় তাহলে দর্শকদের বলব, এখনো খুঁজছি। আর আমি এটা ক্লিয়ার করে দিই, যদি কখনো খুঁজে পাই তাহলে তখনই বিয়ে করে ফেলব...হা হা হা।

সর্বশেষ খবর