দ্বিতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন। ভোটে এত ব্যবধান কেন?
আমি তো মনে করি দর্শকের মতো চলচ্চিত্রের মানুষও আমাকে খুব পছন্দ করে। না হলে ভোটের এমন ব্যবধান হবে কেন? আমি জানি, গত মেয়াদে সমিতির জন্য শতভাগ কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। কিন্তু এটি যে আমার ব্যর্থতা নয় বরং প্রতিকূলতা তা কিন্তু সদস্যরা অনুধাবন করতে পেরেছে। তাই অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে তারা আবার সুযোগ দিয়েছে।
এবার শতভাগ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে?
আশা করছি হবে। এ জন্য সুদূরপ্রসারী একটি পকিল্পনা তৈরি করছি। আমার প্রথম কাজ হবে, শিল্পীদের মধ্য থেকে দুস্থ শব্দটি মুছে ফেলা।
কিন্তু আপনি নাকি অসুস্থ শিল্পীদের পাশে দাঁড়ান না?
এ কথা ঠিক নয়, গত মেয়াদে অনেক দুস্থ শিল্পীকে সহযোগিতা করেছি। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা মারা গেলে হয় তো শুটিংয়ের কারণে ঢাকার বাইরে থাকায় সবসময় সশরীরে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি না। কারণ নির্মাতাকে শিডিউল দেওয়া থাকে। তিনি যদি কাজ চালিয়ে যান সেক্ষেত্রে আমার করার কী আছে। তারপরও প্রতি মুহূর্তে সবার খবরা-খবর নেই। সহযোগিতা করি। না হলে বিপুল ভোটে আমাকে তো শিল্পীরা আবার সভাপতি নির্বাচিত করত না।
নির্বাচনের দিন রাতে ফল প্রকাশের পর এফডিসিতে আপনার উপস্থিতি নিয়ে পত্রিকায় নেতিবাচক খবর প্রকাশ হয়েছে, এ বিষয়ে কী বলবেন?
বিষয়টি আমিও শুনেছি। আমি এই মিথ্যে রটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি। কারণ নির্বাচনের আগে বেশ কয়দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলাম। ওইদিনও জ্বর নিয়ে এফডিসিতে ছিলাম। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে হয়তো দেখেছেন সারাদিন শাল গায়ে জড়িয়ে রেখেছি। ঠিকমতো কথা পর্যন্ত বলতে পারছিলাম না। জ্বরের কারণে সবার অনুরোধে ফল প্রকাশের আগেই আমি রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে এফডিসি ছেড়ে বাসায় চলে আসি। ফল প্রকাশ হয় মধ্যরাতের অনেক পর। তাহলে আমি রাতভর মদপান করে এফডিসিতে মাতলামি করলাম কীভাবে। সেখানে সাংবাদিকসহ সবাই তো অনেক রাত পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। আসলে সবারই শত্রু থাকে। হয় তো আমারও আছে। তারা আমার এই বিপুল বিজয়কে মেনে নিতে পারিনি বলেই আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছে। আবারও আমি এ উদ্দেশ্যমূলক খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন, কবে নাগাদ শুরু করছেন?
আসলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি এবং অভিনয় নিয়ে সীমাহীন ব্যস্ততার কারণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে শীঘ্রই কাজ শুরুর প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে যৌথ এবং স্থানীয় আয়োজনে প্রথমে দুটি ছবির নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।
বছরে শুধু দুটি ছবিতে অভিনয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন তো প্রায় এক ডজনের মতো ছবিতে অভিনয় করছেন?
কী করব বলুন, প্রতিদিন প্রচুর ছবির প্রস্তাব আসে। নির্মাতা ও দর্শক এখনো আমার ওপর পূর্ণ আস্থা নিয়ে নির্ভর করে। তাই বেছে বেছে কাজ হাতে নিতে গিয়েও কাজের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। তা ছাড়া আমাদের শিল্পের অবস্থাও খুব ভালো নয়। এ অবস্থায় যদি কাজ ফিরিয়ে দিই তাহলে এই শিল্পের অবস্থা তো আরও রুগ্ণ হয়ে পড়বে। শিল্পের সঙ্গে জড়িতরাও কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হবে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে চাইলেও কাজ কমাতে পারছি না।
আলাউদ্দীন মাজিদ