১১ মে, ২০২০ ২১:০৩

কনিষ্ঠ পুত্রের কাছে ধরা পড়ে গেছি

মেহের আফরোজ শাওন

কনিষ্ঠ পুত্রের কাছে ধরা পড়ে গেছি

প্রতি ৩ মাসে আমার একটা depression attack হয়। ৪/৫ দিন স্থায়ী সেই সময়টাতে এলোমেলোর চূড়ান্ত ধাপে আমি থাকি।ঘুম নেই।
খাওয়া নেই।
গোসল নেই। 
সারাদিন বিছানায়! মাথার ভেতরটা থাকে একদম ফাঁকা! কারো ফোন ধরতে ইচ্ছা হয় না। ধরিও না।
বাচ্চাদু’টো আমার এই phase এর সাথে অভ্যস্ত। নিষাদ স্বাভাবিক আচরণ করার ভাব নিয়ে আমার আশে পাশে ঘুরঘুর করে। আর ছোট্ট বয়সে পৃথিবীর কঠিন এক বাস্তব দেখা নিনিত একটু পরপর আমাকে নানাবিধ ধারাবাহিক পরামর্শ দিতে থাকে!
-মা চলো আমরা মুভি দেখি!
-মা Ditan খালামনি অথবা Saba আন্টিকে আসতে বলো, তোমরা পার্টি করবা!
-মা তাইলে শাড়ি পরো আমি তোমার ছবি তুলে দেই!
কিছুতেই কাজ হয় না। তারপর স্বাভাবিক নিয়মেই এই বিষন্নতা একদিন কেটে যায়।
এবারের বিষন্নতা পর্যায় যেন কাটতেই চাইছে না...করোনা পরিস্থিতির বিভিন্ন আয়োজনে হাসি হাসি মুখ করে লাইভে আসছি কিন্তু ঐ হাসির পেছনের ডুবন্ত মানুষটাকে টেনে তুলতে পারছি না...

৩ রাত একেবারে না ঘুমানোর পর আজ সকালে Facebook memories এ আসা ছবিটা অনেকের কাছে ‘একজন শক্ত যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচিত এবং পুত্রদের চোখে ‘the strongest mother’ টাইটেল পাওয়া এই আমার সকল অহংকার ধূলায় মিশে গেল। বাথরুমের দরজা বন্ধ করে বেসিনের কলের প্রবাহিত পানির শব্দে আমি কান্না আড়াল করার চেষ্টা করলাম। 
কনিষ্ঠ পুত্রের কাছে ধরা পড়ে গেছি। 
তাতে কি!
সকালের কান্না আমার এবারের ত্রৈমাসিক বিষন্নতাকে ধুয়ে নিয়ে গেছে। এটাই বা কম কি!

ফেসবুক মেমোরিতে পাওয়া পোস্ট এবং ছবি কৃতজ্ঞতা: Shakoor Majid
(২০১২ এর ১১ মে-কোলন সার্জারির আগে চিকিৎসা বিরতি নিয়ে মা, বন্ধুদল আর নুহাশপল্লী দেখতে দেশে ফিরে আসা হুমায়ূন আহমেদ। সে যাত্রায় এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি নুহাশপল্লী যান তিনি! এ ছবিটি শেষবারের মতো দেশে পা রাখবার পরপর এয়ারপোর্টে তোলা।)

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর