২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৯:২৭

নীলফামারীতে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ

আবদুল বারী, নীলফামারী

নীলফামারীতে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ

উত্তরের কৃষিপ্রধান এলাকা নীলফামারীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মাল্টা। পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও সমতল ভূমিতেও রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা। মাল্টা একটি রপ্তানিকারক ফল। মাল্টা কৃষি অর্থনীতি একটি সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।  

মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, সুস্বাদু এবং রসালো ফল। এক সময় নীলফামারীতে মাল্টা চাষ হতো না। তবে কিছু ব্যবসায়ী মাল্টা আমদানি করে নীলফামারীতে বিক্রি করতো। ওই সময় মাল্টা দোকানের ক্রেতা ছিল সাধারণত বিত্তবানেরা। মাল্টার দাম বেশী হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারের লাগালের বাইরে ছিল।

বর্তমানে নীলফামারী জেলায় প্রায় ২৫টি বাণিজ্যিক মাল্টার বাগান রয়েছে। বেলে, দোআঁশ ও উঁচু জমি হচ্ছে মাল্টা চাষের উপযোগী। মাটির গুণাগুণ ঠিক থাকলে সমতল এলাকায়ও মাল্টা চাষ করে লাভবান হতে পারবেন কৃষকেরা।

নীলফামারী চৌরঙ্গী মোড়ের ফল ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন বলেন, আগে মাল্টার দাম বেশী ছিল। তবে এখন স্থানীয়ভাবে মাল্টার বাগান তৈরী হওয়ায় এর  দাম কমে গেছে। বর্তমানে মাল্টার কেজি ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হওয়ায় এটি সবাই সহজেই কিনতে পারছে। 
 
নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের ঝাড়পাড়া গ্রামের রাজু অর্গানিক গার্ডেনের উদ্যোক্তা কৃষিবিদ মো মনিরুজ্জামান রাজু বলেন, বারি মালটা-১ এর চারা এনে মাল্টা বাগান গড়ে তুলি। বছরখানেকের মধ্যেই মাল্টা গাছে ফল ধরে। মৌসুমে একটা গাছে দেড় মণ থেকে দুই মণ মাল্টা ধরে। এই বাগানের মাল্টা খেতে সুস্বাদু এবং বাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এবছর ৫ বিঘা জমিতে সাড়ে তিনশ' চারা রোপণ করেছি। প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মাল্টা বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে।

উপ-সহকারি কৃষি কর্মকতা আনারুল হক বলেন, শিক্ষিত বেকার যুবকদের আমরা বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন ফল বাগানের দিকে আকৃষ্ট করছি। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া এ ধরনের মাল্টা বাগান করার ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। কেউ বাগান করতে চাইলে এখান থেকে চারা নিয়ে নতুন বাগান করতে পারবেন।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এ বছর নীলফামারী জেলায় ১৮ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর