৫ জুন, ২০২৩ ১২:২২

লাখ লাখ গাছের চারা রোপণ, অ্যামাজন রক্ষার চেষ্টা পরিবেশকর্মীদের

অনলাইন ডেস্ক

লাখ লাখ গাছের চারা রোপণ, অ্যামাজন রক্ষার চেষ্টা পরিবেশকর্মীদের

ফাইল ছবি

পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত অ্যামাজনে কোনোভাবেই যখন বন উজাড় থামানো যাচ্ছে না। দাবানলের পাশাপাশি প্রতি বছর মানুষের আগ্রাসনেও উজাড় হচ্ছে অ্যামাজনের মাইলের পর মাইল বনভূমি। সেই ধ্বংস হওয়া বনভূমি পুনরুদ্ধারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইন ফরেস্টে চলছে বৃক্ষরোপণ। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী- অ্যামাজনে বিপুল জায়গাজুড়ে লাখ লাখ গাছের চারা রোপণ করে পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা করছেন পরিবেশকর্মীরা। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। তবে আশার কথা, গাছ রোপণে ক্রমেই বাড়ছে মানুষের আগ্রহ। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

ব্ল্যাক জাগুয়ার ফাউন্ডেশন, রিওটেরার মতো সংস্থাগুলো প্রতিদিনই অ্যামাজনে গাছ রোপণ করছে।  পরিবেশবিদরা বলছেন, অ্যামাজনের পূর্বের রূপ ফিরিয়ে আনতে দুটি জার্মানির সমান এলাকার বনভূমি পুনরুদ্ধার করতে হবে। গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের সমান এলাকায় ৭০ লাখ গাছ লাগিয়েছে রিওটেরা। এতে প্রতি বছর তাদের ব্যয় ২৩ লাখ ডলার। ২০৩০ সালের মধ্যে যা দ্বিগুণ করতে চায় সংস্থাটি। ব্লাক জাগুয়ারের লক্ষ্য আরও বড়। আগামী ২০ বছরে অন্তত ২৭০ কোটি ডলার খরচ করে ১৭০ কোটি গাছ লাগানোর লক্ষ্য তাদের।

ব্ল্যাক জাগুয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বেন ভালকস বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য স্পষ্ট। জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা। এটা বিশাল একটা প্রকল্প। অ্যামাজনের বনভূমি পুনরুদ্ধারে বড় ধরনের প্রকল্প এটি। আমাদের ফাউন্ডেশন ২৪ লাখ ৭১ হাজার একর জায়গায় বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে।

রিওটেরার প্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্সিস ব্যারোস বলেন, কোনোকিছু যতো সহজে ধ্বংস করা যায় ততো সহজে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। গাছ রোপণের মাধ্যমে এসব এলাকা আগের রূপে ফেরাতে বছরের বছর লেগে যাবে। অন্যদিকে, কেউ চাইলে মুহূর্তেই একটি যন্ত্রের মাধ্যমে সব গাছ কেটে ফেলতে পারে।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর