ভালোবাসার নামই প্রেম। ভালোবাসার গভীরতাকে মোহ নামে আখ্যায়িত করেন অনেকে। তবে হাজারো দ্বন্দ্ব সংঘাতের এই পৃথিবী টিকে আছে ভালোবাসার টানে। স্নেহ-প্রীতির বন্ধন, প্রেম আর ভালোবাসার জন্য কি বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন হয়! কিন্তু তারপরও পৃথিবীর মানুষ পালন করে আসছে একটি দিন। আর সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটিই আজ— বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে। দিনটি আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবার জন্য হলেও প্রধানত তারুণ্যের জয়জয়কার ঘোষিত হবে আজ। ফাগুন হাওয়ায় ভেসে যাবে ভালোবাসার নৌকা। প্রেমকাতর হৃদয়ের রক্তরাঙা গোলাপটি তুলে দেবে প্রিয়ার হাতে। হিয়ার মাঝে বেজে উঠবে গান, আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল। ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ইতিহাস বেশ পুরনো। এ নিয়ে প্রচলিত রয়েছে অনেক কাহিনী। তবে সবচেয়ে বেশি যে গল্পটি প্রচলিত সেটি হচ্ছে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজকের ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের একটি ঘটনা। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে ওই ধর্মযাজক একই সঙ্গে চিকিৎসক ছিলেন। তখন রোমান সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় ক্লডিয়াস। বিশ্বজয়ী রোমানরা একের পর এক রাষ্ট্র জয় করে চলেছে। যুদ্ধের জন্য রাষ্ট্রে বিশাল সৈন্যবাহিনী গড়ে তোলা দরকার। কিন্তু লোকজন বিশেষ করে তরুণরা এতে উৎসাহী নয়। সম্রাটের ধারণা হলো, পুরুষরা বিয়ে করতে না পারলে যুদ্ধে যেতে রাজি হবে। তিনি তরুণদের জন্য বিয়ে নিষিদ্ধ করলেন। কিন্তু প্রেমপিয়াসী তারুণ্যকে কি নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ করা যায়! এগিয়ে এলেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। ভ্যালেন্টাইন প্রেমে আবদ্ধ তরুণ-তরুণীদের বিয়ের ব্যবস্থা করলেন। কিন্তু এক দিন ধরা পড়ে গেলেন ভ্যালেন্টাইন। তাকে জেলে নেওয়া হলো। দেশজুড়ে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিল। অনেকেই ভ্যালেন্টাইনকে জেলখানায় দেখতে যান। ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। কারাগারের জেলারের একজন অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে যেত। চিকিৎসক ভ্যালেন্টাইন মেয়েটির অন্ধত্ব দূর করলেন। তাদের মধ্যেও সৃষ্টি হলো হৃদয়ের বন্ধন। ধর্মযাজক হয়েও নিয়ম ভেঙে তিনি প্রেম করেন। আইন ভেঙে তিনিও বিয়ে করেন। খবর যায় সম্রাটের কানে। তিনি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড দেন। সে তারিখটি ছিল ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে রোমের রাজা পপ জেলুসিয়াস এই দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। রাজধানীর বিভিন্ন উদ্যান, বাংলা একাডেমির বইমেলা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কফিশপ, ফাস্টফুড শপ, লং ড্রাইভ অথবা নির্জন গৃহকোণে একান্ত নিভৃতে চলবে তরুণ-তরুণীদের অভিসার। চকলেট, পারফিউম, শুভেচ্ছা কার্ড, ই-মেইল, মোবাইলে এসএমএস, প্রেমবার্তা, আংটি, প্রিয় পোশাক, বই অথবা রক্তগোলাপ উপহার হিসেবে আজ দেওয়া-নেওয়া হবে তরুণ-তরুণীদের মাঝে। শুধু তরুণ-তরুণীরাই নয়, এদিনে সন্তানের প্রতি তাদের পিতামাতার ভালোবাসাও উৎসারিত হয় স্বর্গীয়ভাবে। ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে অন্যান্য বছরের মতো এবারও নগরজুড়ে নানা অনুষ্ঠানমালা রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বই মেলা আর টিএসসি চত্বরের সবুজ ঘাসে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিনোদন পিয়াসী নগরবাসীকে দারুণ আকৃষ্ট করে। এ ছাড়া চারুকলার বকুলতলা, শিল্পকলা একাডেমি, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, উত্তরা, বনানীসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেও রয়েছে নানা অনুষ্ঠান।
শিরোনাম
- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর জয় বাংলাদেশের
- যাত্রাবাড়ীতে ছুরিকাঘাতে দুই স্কুলছাত্র আহত
- পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত ডা. মিজান
- ফরিদপুরে এ কে আজাদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
- মিরপুরে কমিউনিটি সেন্টারে আগুন
- শান্তির বিশ্ব গড়তে জাতিসংঘকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে : ড. ইউনূস
- লিবিয়ায় অভিবাসীরা নির্যাতন ও অপহরণের শিকার হচ্ছেন : আইওএম প্রধান
- নারায়ণগঞ্জে মুসল্লিদের ৬০ বছরের ভোগান্তির অবসানে ডিসির উদ্যোগ
- দেশের ভেতরে নাশকতায় শেখ হাসিনার পরিকল্পনা কাজ করছে : গয়েশ্বর
- ওমরাহ যাত্রীদের নতুন নিয়ম : রিটার্ন টিকিট ক্রয় বাধ্যতামূলক
- লাকসামে কারাতে বেল্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান
- ফাজিল পরীক্ষা শুরু শনিবার, অংশ নেবে ১ লাখ ১৭ হাজার শিক্ষার্থী
- সব জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে বিএনপি : মির্জা ফখরুল
- ওয়েলসে স্টারমারের লেবার পার্টির ঐতিহাসিক পরাজয়
- ইমাম অপহরণের ঘটনায় টঙ্গীতে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ
- এমন সমাজ গড়তে চাই, যেখানে দুর্নীতি-দুঃশাসন থাকবে না : নবীউল্লাহ নবী
- বেনাপোলে বিএনপির যৌথ সভা, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের আহ্বান
- বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মোংলায় সমাবেশ
- কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার উদ্যোগ স্থগিতের সিদ্ধান্ত
- ‘জুলাই আন্দোলন উপদেষ্টাদের ভাগবাটোয়ারার জন্য হয়নি’